ইশতিয়াক হাসান

উত্তর-পশ্চিম মরক্কোর পর্বতের মধ্যে গুঁজে আছে শেফশাওয়েন নামের এক শহর। এর সরু, খাঁড়া রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় গালিচা আর চামড়ার তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীর দোকানগুলো নজর কাড়বে। বাজারে হরেক পদের মসলাও আকৃষ্ট করতে পারে। তবে বলা যায় না, এগুলোর কিছুই হয়তো আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারবে না। কারণ আপনি তখন মজে গেছেন নীল সৌন্দর্যে। এখানকার ঘর-বাড়ি, দোকানপাট, দরজা-জানালা মোটামুটি সবকিছুই যে নীল।
রিফ পর্বতমালার পাদদেশে ৬০০ মিটার বা ২০০০ ফুট উচ্চতায় শহরটির অবস্থান। পেছনেই জাবেল এল-কেলা পর্বত, কাছেই জাবেল তিসুকা। অনেকের চোখেই এটি মরক্কোর সবচেয়ে সুন্দর শহর। কেউ আবার একে আদর করে ডাকে ‘ব্লু পার্ল’ বা ‘নীল মুক্তা’।
রাজা পঞ্চম আফনাসোর নেতৃত্বে পর্তুগিজদের এক আক্রমণের পর ১৪৭১ সালে শেফশাওয়েন শহরের গোড়াপত্তন হয়। অবশ্য এর আগে থেকে এখানে মানুষের ছড়ানো-ছিটানো বসতি ছিল। তবে ওই ঘটনার পর থেকে ওই এলাকা শহর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। উত্তর মরক্কোর আদিবাসী ঘোমারাস, মরিসকোস এবং স্পেন ও পর্তুগাল থেকে পালিয়ে আসা ইহুদিরা এখানে বসতি গাড়তে শুরু করেন। পরবর্তীতে পর্তুগিজ ভীতি কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে পুরোনো দুর্গের চারপাশে নতুন শহর গড়ে উঠতে শুরু করে।
পর্তুগিজদের দাপটের কারণে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা বিশ শতকের শুরু পর্যন্ত এখানে ভেড়েনি। এর আগপর্যন্ত শহরে পা রাখা কেবল তিনজন ইউরোপীয় পর্যটকের নাম জানা যায়। এর মধ্যে প্রথম আসেন ফরাসি অভিযাত্রী চার্লস ফোকলদ, ১৮৮৩ সালে। ইহুদি ধর্মযাজকের ছদ্মবেশে এখানে আসেন তিনি। এদিকে ফেজ থেকে মুর বণিকের ছদ্মবেশে ইংরেজ সাংবাদিক ওয়াল্টার হ্যারিসের শহরে আগমন ঘটে ১৮৮৯ সালে। পরে তিনি লেখেন, খ্রিষ্টানদের জন্য জায়গাটি ভ্রমণ অসম্ভবের কাছাকাছি এক কাজ। তৃতীয় ব্যক্তিটি উইলিয়াম সামার নামের এক ধর্ম প্রচারক। হ্যারিসের কথাটা যে সত্যি, এর দুঃখজনক উদাহরণ তিনি, কারণ বিষ খাইয়ে মারা হয় তাঁকে।
তবে এই তিন পর্যটকের কেউই এখন শেফশাওয়েনের যে নীল রাস্তা, ঘর-বাড়ি চোখে পড়ে তা দেখতে পাননি। কারণ তখন পর্যন্ত শহরময় এমন নীলের ছড়াছড়ি ছিল না। ১৯২০ সালে স্পেনীয়রা শহরের দখল নেওয়ার পর সবার জন্ম উন্মুক্ত হয় এটি। সেই সঙ্গে নীল হয়ে উঠতে থাকে মরক্কোর এই শহরের বাড়ি-ঘর, দেয়াল।
শেফশাওয়েন নীল হয়ে ওঠার সবচেয়ে জনপ্রিয় তত্ত্বটি হলো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে নাৎসিদের অত্যাচারে পালিয়ে আসায় শহরে ইহুদি জনসংখ্যা বেড়ে যায়। তখন ধর্মীয় রীতির অংশ হিসেবে ঘরের দেয়াল, মেঝে আর সিঁড়ির ধাপে নীল রং করতে থাকেন তাঁরা। শহরের কিছু অংশ অবশ্য আরও বেশ পরে পর্যটক টানার জন্য নীল করা হয়।
এই শহর নীল হয়ে ওঠার পেছনে আরও দুটি তত্ত্বও আছে। এর একটি হলো মশাদের দূরে রাখার জন্য এখানকার দেয়াল, সিঁড়ি সব এভাবে রাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপরটি হলো গ্রীষ্মে এই অঞ্চলের প্রচণ্ড তাপ থেকে বাসিন্দাদের রক্ষা করতে ঘর-বাড়ি, দোকানপাট সব নীল রং করা হয়েছে। তবে যে কারণেই এটা শুরু করা হোক না কেন, পর্যটকদের জিনিসটা লুফে নেওয়ায় চল রয়ে গেছে।
এখন বছরে এক বা দুবার গোটা শহরটি নীল রং করা হয়, যেন নীলের মধ্যে কোনো ফ্যাকাশে ভাব না আসে। মোদ্দা কথা, কারণটা যা-ই হোক না কেন, এটি শহরটিকে আলোকচিত্রীদের জন্য রীতিমতো এক স্বপ্নরাজ্যে পরিণত করেছে। আর শহরের রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় অদ্ভুত এই নীল সৌন্দর্য উপভোগ করেন মুগ্ধ পর্যটকেরা।
নীলের রাজ্যে যাওয়ার উপায়টা বাতলে দেওয়া যাক আর আগে বাড়ার আগে। মরক্কোর ফেজ, তেতুয়ান, রাবাত, কাসাব্লাংকা (দার আল-বাইদা), টাঙ্গিয়ার থেকে নিয়মিত বাস পাবেন শহরটিতে যাওয়ার জন্য। এমনকি স্পেনের সীমান্তবর্তী শহর সেউটা থেকেও বাস ছাড়ে শেফশাওয়েনের দিকে।
শহর লাগোয়া রিফ পর্বতমালার চূড়া থেকে দেখতে পাবেন ভূমধ্যসাগরের অসাধারণ দৃশ্য। শেফশাওয়েন থেকে ঘণ্টা দুয়েক গাড়ি চালিয়ে পৌঁছে যাবেন ৩ লাখ একরের এক অরণ্যভূমিতে। জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে মরক্কোর সবচেয়ে সেরা জায়গাগুলোর একটি এটি। তালাসেমতনে ন্যাশনাল পার্ক নামে পরিচিত জঙ্গলটির গিরিখাদ, মাথা উঁচু করে থাকা পাহাড়, সিডার-পাইনের জঙ্গল ও ভোঁদড়, বানরসহ নানা ধরনের পাখি আপনাকে মুগ্ধ করবে।
যেতে পারেন আকছোর শহরেও। গাড়িতে শেফশাওয়েন থেকে মোটামুটি ৪৫ মিনিটের দূরত্ব। একটি খালের দুপাশে অল্প কিছু বাড়ি নিয়ে ছোট্ট এই শহর। তবে এখানে আপনি খুব একটা বেশি সময় দেবেন না, বরং কিছুটা পথ হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন আকছোর জলপ্রপাতের সামনে। ওপর থেকে নেমে আসা পানিতে ছোট্ট কয়েকটি পুকুরের জন্ম হয়েছে। এগুলোর চারপাশ ঘিরে আছে সবুজ গাছপালায়। এখান থেকে একটু পাহাড় বেয়ে উঠলে আবার পৌঁছে যাবেন গভীর এক জঙ্গলে।
ঘোরাফেরা শেষে বিকেলে আবার ফিরে আসবেন শেফশাওয়েনের নীল রাজ্যে। বেশ কতকটা হাঁটাহাঁটি করে আপনি তখন ক্লান্ত। রাস্তার পাশের একটি রেস্তোরাঁয় ঢুকে এখানকার বিখ্যাত ভেড়ার রানের কাবাব আর পুদিনা পাতার চা খেতে খেতে নীল সৌন্দর্য উপভোগ করতে কেমন লাগবে বলুন তো?
সূত্র: মাচ বেটার অ্যাডভেঞ্চারস ডটকম, দ্য ওয়ার্ল্ড পারস্যুট ডট কম

উত্তর-পশ্চিম মরক্কোর পর্বতের মধ্যে গুঁজে আছে শেফশাওয়েন নামের এক শহর। এর সরু, খাঁড়া রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় গালিচা আর চামড়ার তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীর দোকানগুলো নজর কাড়বে। বাজারে হরেক পদের মসলাও আকৃষ্ট করতে পারে। তবে বলা যায় না, এগুলোর কিছুই হয়তো আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারবে না। কারণ আপনি তখন মজে গেছেন নীল সৌন্দর্যে। এখানকার ঘর-বাড়ি, দোকানপাট, দরজা-জানালা মোটামুটি সবকিছুই যে নীল।
রিফ পর্বতমালার পাদদেশে ৬০০ মিটার বা ২০০০ ফুট উচ্চতায় শহরটির অবস্থান। পেছনেই জাবেল এল-কেলা পর্বত, কাছেই জাবেল তিসুকা। অনেকের চোখেই এটি মরক্কোর সবচেয়ে সুন্দর শহর। কেউ আবার একে আদর করে ডাকে ‘ব্লু পার্ল’ বা ‘নীল মুক্তা’।
রাজা পঞ্চম আফনাসোর নেতৃত্বে পর্তুগিজদের এক আক্রমণের পর ১৪৭১ সালে শেফশাওয়েন শহরের গোড়াপত্তন হয়। অবশ্য এর আগে থেকে এখানে মানুষের ছড়ানো-ছিটানো বসতি ছিল। তবে ওই ঘটনার পর থেকে ওই এলাকা শহর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। উত্তর মরক্কোর আদিবাসী ঘোমারাস, মরিসকোস এবং স্পেন ও পর্তুগাল থেকে পালিয়ে আসা ইহুদিরা এখানে বসতি গাড়তে শুরু করেন। পরবর্তীতে পর্তুগিজ ভীতি কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে পুরোনো দুর্গের চারপাশে নতুন শহর গড়ে উঠতে শুরু করে।
পর্তুগিজদের দাপটের কারণে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা বিশ শতকের শুরু পর্যন্ত এখানে ভেড়েনি। এর আগপর্যন্ত শহরে পা রাখা কেবল তিনজন ইউরোপীয় পর্যটকের নাম জানা যায়। এর মধ্যে প্রথম আসেন ফরাসি অভিযাত্রী চার্লস ফোকলদ, ১৮৮৩ সালে। ইহুদি ধর্মযাজকের ছদ্মবেশে এখানে আসেন তিনি। এদিকে ফেজ থেকে মুর বণিকের ছদ্মবেশে ইংরেজ সাংবাদিক ওয়াল্টার হ্যারিসের শহরে আগমন ঘটে ১৮৮৯ সালে। পরে তিনি লেখেন, খ্রিষ্টানদের জন্য জায়গাটি ভ্রমণ অসম্ভবের কাছাকাছি এক কাজ। তৃতীয় ব্যক্তিটি উইলিয়াম সামার নামের এক ধর্ম প্রচারক। হ্যারিসের কথাটা যে সত্যি, এর দুঃখজনক উদাহরণ তিনি, কারণ বিষ খাইয়ে মারা হয় তাঁকে।
তবে এই তিন পর্যটকের কেউই এখন শেফশাওয়েনের যে নীল রাস্তা, ঘর-বাড়ি চোখে পড়ে তা দেখতে পাননি। কারণ তখন পর্যন্ত শহরময় এমন নীলের ছড়াছড়ি ছিল না। ১৯২০ সালে স্পেনীয়রা শহরের দখল নেওয়ার পর সবার জন্ম উন্মুক্ত হয় এটি। সেই সঙ্গে নীল হয়ে উঠতে থাকে মরক্কোর এই শহরের বাড়ি-ঘর, দেয়াল।
শেফশাওয়েন নীল হয়ে ওঠার সবচেয়ে জনপ্রিয় তত্ত্বটি হলো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে নাৎসিদের অত্যাচারে পালিয়ে আসায় শহরে ইহুদি জনসংখ্যা বেড়ে যায়। তখন ধর্মীয় রীতির অংশ হিসেবে ঘরের দেয়াল, মেঝে আর সিঁড়ির ধাপে নীল রং করতে থাকেন তাঁরা। শহরের কিছু অংশ অবশ্য আরও বেশ পরে পর্যটক টানার জন্য নীল করা হয়।
এই শহর নীল হয়ে ওঠার পেছনে আরও দুটি তত্ত্বও আছে। এর একটি হলো মশাদের দূরে রাখার জন্য এখানকার দেয়াল, সিঁড়ি সব এভাবে রাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপরটি হলো গ্রীষ্মে এই অঞ্চলের প্রচণ্ড তাপ থেকে বাসিন্দাদের রক্ষা করতে ঘর-বাড়ি, দোকানপাট সব নীল রং করা হয়েছে। তবে যে কারণেই এটা শুরু করা হোক না কেন, পর্যটকদের জিনিসটা লুফে নেওয়ায় চল রয়ে গেছে।
এখন বছরে এক বা দুবার গোটা শহরটি নীল রং করা হয়, যেন নীলের মধ্যে কোনো ফ্যাকাশে ভাব না আসে। মোদ্দা কথা, কারণটা যা-ই হোক না কেন, এটি শহরটিকে আলোকচিত্রীদের জন্য রীতিমতো এক স্বপ্নরাজ্যে পরিণত করেছে। আর শহরের রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় অদ্ভুত এই নীল সৌন্দর্য উপভোগ করেন মুগ্ধ পর্যটকেরা।
নীলের রাজ্যে যাওয়ার উপায়টা বাতলে দেওয়া যাক আর আগে বাড়ার আগে। মরক্কোর ফেজ, তেতুয়ান, রাবাত, কাসাব্লাংকা (দার আল-বাইদা), টাঙ্গিয়ার থেকে নিয়মিত বাস পাবেন শহরটিতে যাওয়ার জন্য। এমনকি স্পেনের সীমান্তবর্তী শহর সেউটা থেকেও বাস ছাড়ে শেফশাওয়েনের দিকে।
শহর লাগোয়া রিফ পর্বতমালার চূড়া থেকে দেখতে পাবেন ভূমধ্যসাগরের অসাধারণ দৃশ্য। শেফশাওয়েন থেকে ঘণ্টা দুয়েক গাড়ি চালিয়ে পৌঁছে যাবেন ৩ লাখ একরের এক অরণ্যভূমিতে। জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে মরক্কোর সবচেয়ে সেরা জায়গাগুলোর একটি এটি। তালাসেমতনে ন্যাশনাল পার্ক নামে পরিচিত জঙ্গলটির গিরিখাদ, মাথা উঁচু করে থাকা পাহাড়, সিডার-পাইনের জঙ্গল ও ভোঁদড়, বানরসহ নানা ধরনের পাখি আপনাকে মুগ্ধ করবে।
যেতে পারেন আকছোর শহরেও। গাড়িতে শেফশাওয়েন থেকে মোটামুটি ৪৫ মিনিটের দূরত্ব। একটি খালের দুপাশে অল্প কিছু বাড়ি নিয়ে ছোট্ট এই শহর। তবে এখানে আপনি খুব একটা বেশি সময় দেবেন না, বরং কিছুটা পথ হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন আকছোর জলপ্রপাতের সামনে। ওপর থেকে নেমে আসা পানিতে ছোট্ট কয়েকটি পুকুরের জন্ম হয়েছে। এগুলোর চারপাশ ঘিরে আছে সবুজ গাছপালায়। এখান থেকে একটু পাহাড় বেয়ে উঠলে আবার পৌঁছে যাবেন গভীর এক জঙ্গলে।
ঘোরাফেরা শেষে বিকেলে আবার ফিরে আসবেন শেফশাওয়েনের নীল রাজ্যে। বেশ কতকটা হাঁটাহাঁটি করে আপনি তখন ক্লান্ত। রাস্তার পাশের একটি রেস্তোরাঁয় ঢুকে এখানকার বিখ্যাত ভেড়ার রানের কাবাব আর পুদিনা পাতার চা খেতে খেতে নীল সৌন্দর্য উপভোগ করতে কেমন লাগবে বলুন তো?
সূত্র: মাচ বেটার অ্যাডভেঞ্চারস ডটকম, দ্য ওয়ার্ল্ড পারস্যুট ডট কম
ইশতিয়াক হাসান

উত্তর-পশ্চিম মরক্কোর পর্বতের মধ্যে গুঁজে আছে শেফশাওয়েন নামের এক শহর। এর সরু, খাঁড়া রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় গালিচা আর চামড়ার তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীর দোকানগুলো নজর কাড়বে। বাজারে হরেক পদের মসলাও আকৃষ্ট করতে পারে। তবে বলা যায় না, এগুলোর কিছুই হয়তো আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারবে না। কারণ আপনি তখন মজে গেছেন নীল সৌন্দর্যে। এখানকার ঘর-বাড়ি, দোকানপাট, দরজা-জানালা মোটামুটি সবকিছুই যে নীল।
রিফ পর্বতমালার পাদদেশে ৬০০ মিটার বা ২০০০ ফুট উচ্চতায় শহরটির অবস্থান। পেছনেই জাবেল এল-কেলা পর্বত, কাছেই জাবেল তিসুকা। অনেকের চোখেই এটি মরক্কোর সবচেয়ে সুন্দর শহর। কেউ আবার একে আদর করে ডাকে ‘ব্লু পার্ল’ বা ‘নীল মুক্তা’।
রাজা পঞ্চম আফনাসোর নেতৃত্বে পর্তুগিজদের এক আক্রমণের পর ১৪৭১ সালে শেফশাওয়েন শহরের গোড়াপত্তন হয়। অবশ্য এর আগে থেকে এখানে মানুষের ছড়ানো-ছিটানো বসতি ছিল। তবে ওই ঘটনার পর থেকে ওই এলাকা শহর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। উত্তর মরক্কোর আদিবাসী ঘোমারাস, মরিসকোস এবং স্পেন ও পর্তুগাল থেকে পালিয়ে আসা ইহুদিরা এখানে বসতি গাড়তে শুরু করেন। পরবর্তীতে পর্তুগিজ ভীতি কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে পুরোনো দুর্গের চারপাশে নতুন শহর গড়ে উঠতে শুরু করে।
পর্তুগিজদের দাপটের কারণে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা বিশ শতকের শুরু পর্যন্ত এখানে ভেড়েনি। এর আগপর্যন্ত শহরে পা রাখা কেবল তিনজন ইউরোপীয় পর্যটকের নাম জানা যায়। এর মধ্যে প্রথম আসেন ফরাসি অভিযাত্রী চার্লস ফোকলদ, ১৮৮৩ সালে। ইহুদি ধর্মযাজকের ছদ্মবেশে এখানে আসেন তিনি। এদিকে ফেজ থেকে মুর বণিকের ছদ্মবেশে ইংরেজ সাংবাদিক ওয়াল্টার হ্যারিসের শহরে আগমন ঘটে ১৮৮৯ সালে। পরে তিনি লেখেন, খ্রিষ্টানদের জন্য জায়গাটি ভ্রমণ অসম্ভবের কাছাকাছি এক কাজ। তৃতীয় ব্যক্তিটি উইলিয়াম সামার নামের এক ধর্ম প্রচারক। হ্যারিসের কথাটা যে সত্যি, এর দুঃখজনক উদাহরণ তিনি, কারণ বিষ খাইয়ে মারা হয় তাঁকে।
তবে এই তিন পর্যটকের কেউই এখন শেফশাওয়েনের যে নীল রাস্তা, ঘর-বাড়ি চোখে পড়ে তা দেখতে পাননি। কারণ তখন পর্যন্ত শহরময় এমন নীলের ছড়াছড়ি ছিল না। ১৯২০ সালে স্পেনীয়রা শহরের দখল নেওয়ার পর সবার জন্ম উন্মুক্ত হয় এটি। সেই সঙ্গে নীল হয়ে উঠতে থাকে মরক্কোর এই শহরের বাড়ি-ঘর, দেয়াল।
শেফশাওয়েন নীল হয়ে ওঠার সবচেয়ে জনপ্রিয় তত্ত্বটি হলো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে নাৎসিদের অত্যাচারে পালিয়ে আসায় শহরে ইহুদি জনসংখ্যা বেড়ে যায়। তখন ধর্মীয় রীতির অংশ হিসেবে ঘরের দেয়াল, মেঝে আর সিঁড়ির ধাপে নীল রং করতে থাকেন তাঁরা। শহরের কিছু অংশ অবশ্য আরও বেশ পরে পর্যটক টানার জন্য নীল করা হয়।
এই শহর নীল হয়ে ওঠার পেছনে আরও দুটি তত্ত্বও আছে। এর একটি হলো মশাদের দূরে রাখার জন্য এখানকার দেয়াল, সিঁড়ি সব এভাবে রাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপরটি হলো গ্রীষ্মে এই অঞ্চলের প্রচণ্ড তাপ থেকে বাসিন্দাদের রক্ষা করতে ঘর-বাড়ি, দোকানপাট সব নীল রং করা হয়েছে। তবে যে কারণেই এটা শুরু করা হোক না কেন, পর্যটকদের জিনিসটা লুফে নেওয়ায় চল রয়ে গেছে।
এখন বছরে এক বা দুবার গোটা শহরটি নীল রং করা হয়, যেন নীলের মধ্যে কোনো ফ্যাকাশে ভাব না আসে। মোদ্দা কথা, কারণটা যা-ই হোক না কেন, এটি শহরটিকে আলোকচিত্রীদের জন্য রীতিমতো এক স্বপ্নরাজ্যে পরিণত করেছে। আর শহরের রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় অদ্ভুত এই নীল সৌন্দর্য উপভোগ করেন মুগ্ধ পর্যটকেরা।
নীলের রাজ্যে যাওয়ার উপায়টা বাতলে দেওয়া যাক আর আগে বাড়ার আগে। মরক্কোর ফেজ, তেতুয়ান, রাবাত, কাসাব্লাংকা (দার আল-বাইদা), টাঙ্গিয়ার থেকে নিয়মিত বাস পাবেন শহরটিতে যাওয়ার জন্য। এমনকি স্পেনের সীমান্তবর্তী শহর সেউটা থেকেও বাস ছাড়ে শেফশাওয়েনের দিকে।
শহর লাগোয়া রিফ পর্বতমালার চূড়া থেকে দেখতে পাবেন ভূমধ্যসাগরের অসাধারণ দৃশ্য। শেফশাওয়েন থেকে ঘণ্টা দুয়েক গাড়ি চালিয়ে পৌঁছে যাবেন ৩ লাখ একরের এক অরণ্যভূমিতে। জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে মরক্কোর সবচেয়ে সেরা জায়গাগুলোর একটি এটি। তালাসেমতনে ন্যাশনাল পার্ক নামে পরিচিত জঙ্গলটির গিরিখাদ, মাথা উঁচু করে থাকা পাহাড়, সিডার-পাইনের জঙ্গল ও ভোঁদড়, বানরসহ নানা ধরনের পাখি আপনাকে মুগ্ধ করবে।
যেতে পারেন আকছোর শহরেও। গাড়িতে শেফশাওয়েন থেকে মোটামুটি ৪৫ মিনিটের দূরত্ব। একটি খালের দুপাশে অল্প কিছু বাড়ি নিয়ে ছোট্ট এই শহর। তবে এখানে আপনি খুব একটা বেশি সময় দেবেন না, বরং কিছুটা পথ হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন আকছোর জলপ্রপাতের সামনে। ওপর থেকে নেমে আসা পানিতে ছোট্ট কয়েকটি পুকুরের জন্ম হয়েছে। এগুলোর চারপাশ ঘিরে আছে সবুজ গাছপালায়। এখান থেকে একটু পাহাড় বেয়ে উঠলে আবার পৌঁছে যাবেন গভীর এক জঙ্গলে।
ঘোরাফেরা শেষে বিকেলে আবার ফিরে আসবেন শেফশাওয়েনের নীল রাজ্যে। বেশ কতকটা হাঁটাহাঁটি করে আপনি তখন ক্লান্ত। রাস্তার পাশের একটি রেস্তোরাঁয় ঢুকে এখানকার বিখ্যাত ভেড়ার রানের কাবাব আর পুদিনা পাতার চা খেতে খেতে নীল সৌন্দর্য উপভোগ করতে কেমন লাগবে বলুন তো?
সূত্র: মাচ বেটার অ্যাডভেঞ্চারস ডটকম, দ্য ওয়ার্ল্ড পারস্যুট ডট কম

উত্তর-পশ্চিম মরক্কোর পর্বতের মধ্যে গুঁজে আছে শেফশাওয়েন নামের এক শহর। এর সরু, খাঁড়া রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় গালিচা আর চামড়ার তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীর দোকানগুলো নজর কাড়বে। বাজারে হরেক পদের মসলাও আকৃষ্ট করতে পারে। তবে বলা যায় না, এগুলোর কিছুই হয়তো আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারবে না। কারণ আপনি তখন মজে গেছেন নীল সৌন্দর্যে। এখানকার ঘর-বাড়ি, দোকানপাট, দরজা-জানালা মোটামুটি সবকিছুই যে নীল।
রিফ পর্বতমালার পাদদেশে ৬০০ মিটার বা ২০০০ ফুট উচ্চতায় শহরটির অবস্থান। পেছনেই জাবেল এল-কেলা পর্বত, কাছেই জাবেল তিসুকা। অনেকের চোখেই এটি মরক্কোর সবচেয়ে সুন্দর শহর। কেউ আবার একে আদর করে ডাকে ‘ব্লু পার্ল’ বা ‘নীল মুক্তা’।
রাজা পঞ্চম আফনাসোর নেতৃত্বে পর্তুগিজদের এক আক্রমণের পর ১৪৭১ সালে শেফশাওয়েন শহরের গোড়াপত্তন হয়। অবশ্য এর আগে থেকে এখানে মানুষের ছড়ানো-ছিটানো বসতি ছিল। তবে ওই ঘটনার পর থেকে ওই এলাকা শহর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। উত্তর মরক্কোর আদিবাসী ঘোমারাস, মরিসকোস এবং স্পেন ও পর্তুগাল থেকে পালিয়ে আসা ইহুদিরা এখানে বসতি গাড়তে শুরু করেন। পরবর্তীতে পর্তুগিজ ভীতি কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে পুরোনো দুর্গের চারপাশে নতুন শহর গড়ে উঠতে শুরু করে।
পর্তুগিজদের দাপটের কারণে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা বিশ শতকের শুরু পর্যন্ত এখানে ভেড়েনি। এর আগপর্যন্ত শহরে পা রাখা কেবল তিনজন ইউরোপীয় পর্যটকের নাম জানা যায়। এর মধ্যে প্রথম আসেন ফরাসি অভিযাত্রী চার্লস ফোকলদ, ১৮৮৩ সালে। ইহুদি ধর্মযাজকের ছদ্মবেশে এখানে আসেন তিনি। এদিকে ফেজ থেকে মুর বণিকের ছদ্মবেশে ইংরেজ সাংবাদিক ওয়াল্টার হ্যারিসের শহরে আগমন ঘটে ১৮৮৯ সালে। পরে তিনি লেখেন, খ্রিষ্টানদের জন্য জায়গাটি ভ্রমণ অসম্ভবের কাছাকাছি এক কাজ। তৃতীয় ব্যক্তিটি উইলিয়াম সামার নামের এক ধর্ম প্রচারক। হ্যারিসের কথাটা যে সত্যি, এর দুঃখজনক উদাহরণ তিনি, কারণ বিষ খাইয়ে মারা হয় তাঁকে।
তবে এই তিন পর্যটকের কেউই এখন শেফশাওয়েনের যে নীল রাস্তা, ঘর-বাড়ি চোখে পড়ে তা দেখতে পাননি। কারণ তখন পর্যন্ত শহরময় এমন নীলের ছড়াছড়ি ছিল না। ১৯২০ সালে স্পেনীয়রা শহরের দখল নেওয়ার পর সবার জন্ম উন্মুক্ত হয় এটি। সেই সঙ্গে নীল হয়ে উঠতে থাকে মরক্কোর এই শহরের বাড়ি-ঘর, দেয়াল।
শেফশাওয়েন নীল হয়ে ওঠার সবচেয়ে জনপ্রিয় তত্ত্বটি হলো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে নাৎসিদের অত্যাচারে পালিয়ে আসায় শহরে ইহুদি জনসংখ্যা বেড়ে যায়। তখন ধর্মীয় রীতির অংশ হিসেবে ঘরের দেয়াল, মেঝে আর সিঁড়ির ধাপে নীল রং করতে থাকেন তাঁরা। শহরের কিছু অংশ অবশ্য আরও বেশ পরে পর্যটক টানার জন্য নীল করা হয়।
এই শহর নীল হয়ে ওঠার পেছনে আরও দুটি তত্ত্বও আছে। এর একটি হলো মশাদের দূরে রাখার জন্য এখানকার দেয়াল, সিঁড়ি সব এভাবে রাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপরটি হলো গ্রীষ্মে এই অঞ্চলের প্রচণ্ড তাপ থেকে বাসিন্দাদের রক্ষা করতে ঘর-বাড়ি, দোকানপাট সব নীল রং করা হয়েছে। তবে যে কারণেই এটা শুরু করা হোক না কেন, পর্যটকদের জিনিসটা লুফে নেওয়ায় চল রয়ে গেছে।
এখন বছরে এক বা দুবার গোটা শহরটি নীল রং করা হয়, যেন নীলের মধ্যে কোনো ফ্যাকাশে ভাব না আসে। মোদ্দা কথা, কারণটা যা-ই হোক না কেন, এটি শহরটিকে আলোকচিত্রীদের জন্য রীতিমতো এক স্বপ্নরাজ্যে পরিণত করেছে। আর শহরের রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় অদ্ভুত এই নীল সৌন্দর্য উপভোগ করেন মুগ্ধ পর্যটকেরা।
নীলের রাজ্যে যাওয়ার উপায়টা বাতলে দেওয়া যাক আর আগে বাড়ার আগে। মরক্কোর ফেজ, তেতুয়ান, রাবাত, কাসাব্লাংকা (দার আল-বাইদা), টাঙ্গিয়ার থেকে নিয়মিত বাস পাবেন শহরটিতে যাওয়ার জন্য। এমনকি স্পেনের সীমান্তবর্তী শহর সেউটা থেকেও বাস ছাড়ে শেফশাওয়েনের দিকে।
শহর লাগোয়া রিফ পর্বতমালার চূড়া থেকে দেখতে পাবেন ভূমধ্যসাগরের অসাধারণ দৃশ্য। শেফশাওয়েন থেকে ঘণ্টা দুয়েক গাড়ি চালিয়ে পৌঁছে যাবেন ৩ লাখ একরের এক অরণ্যভূমিতে। জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে মরক্কোর সবচেয়ে সেরা জায়গাগুলোর একটি এটি। তালাসেমতনে ন্যাশনাল পার্ক নামে পরিচিত জঙ্গলটির গিরিখাদ, মাথা উঁচু করে থাকা পাহাড়, সিডার-পাইনের জঙ্গল ও ভোঁদড়, বানরসহ নানা ধরনের পাখি আপনাকে মুগ্ধ করবে।
যেতে পারেন আকছোর শহরেও। গাড়িতে শেফশাওয়েন থেকে মোটামুটি ৪৫ মিনিটের দূরত্ব। একটি খালের দুপাশে অল্প কিছু বাড়ি নিয়ে ছোট্ট এই শহর। তবে এখানে আপনি খুব একটা বেশি সময় দেবেন না, বরং কিছুটা পথ হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন আকছোর জলপ্রপাতের সামনে। ওপর থেকে নেমে আসা পানিতে ছোট্ট কয়েকটি পুকুরের জন্ম হয়েছে। এগুলোর চারপাশ ঘিরে আছে সবুজ গাছপালায়। এখান থেকে একটু পাহাড় বেয়ে উঠলে আবার পৌঁছে যাবেন গভীর এক জঙ্গলে।
ঘোরাফেরা শেষে বিকেলে আবার ফিরে আসবেন শেফশাওয়েনের নীল রাজ্যে। বেশ কতকটা হাঁটাহাঁটি করে আপনি তখন ক্লান্ত। রাস্তার পাশের একটি রেস্তোরাঁয় ঢুকে এখানকার বিখ্যাত ভেড়ার রানের কাবাব আর পুদিনা পাতার চা খেতে খেতে নীল সৌন্দর্য উপভোগ করতে কেমন লাগবে বলুন তো?
সূত্র: মাচ বেটার অ্যাডভেঞ্চারস ডটকম, দ্য ওয়ার্ল্ড পারস্যুট ডট কম

তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
৪ ঘণ্টা আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
২ দিন আগে
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৭ দিন আগে
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আপনি কি আপনার স্ত্রীকে ‘মোটু বা গুলুমুলু’ ডাকেন? তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ওই ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ফোনের কনট্যাক্টে স্ত্রীর নাম সেভ করেছিলেন ‘চাবি’ নাম দিয়ে। এই ঘটনাকে আদালত ‘অসম্মানজনক’ ও ‘বিবাহের জন্য ক্ষতিকর’ বলে রায় দিয়েছেন।
পশ্চিম তুরস্কের উশাক প্রদেশের ওই নারী এই ঘটনার পর স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। অন্যদিকে স্বামী পাল্টা মামলা করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আদালতের শুনানিতে ওই নারী জানান, তাঁর স্বামী বারবার তাঁকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠাতেন। এক বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘দূর হও, তোমাকে আর দেখতে চাই না।’ আরেকটিতে বলেছিলেন, ‘তোমার মুখ শয়তানকে দেখাও গে।’ এ ছাড়া তিনি নিজের বাবার অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা দাবি করেন।
শুনানির সময় আদালতে সবচেয়ে আলোচিত হয় স্বামীর ফোনে স্ত্রীর নাম ‘তোম্বিক—তুর্কি ভাষার এই শব্দের অর্থ মোটা) নামে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি। ওই নারীর দাবি, এই ডাকনাম তাঁকে অপমান করেছে এবং তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে। আদালত তাঁর দাবিকে সমর্থন করে জানায়, ওই নাম ও বার্তাগুলো ‘মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতা’র শামিল।
অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত রায়ে বলে, স্বামীর অপমানজনক ভাষা ও অর্থনৈতিক চাপ ছিল আরও গুরুতর। তাই মূল দায় তাঁরই।
তুর্কি আইনে কারও মর্যাদা বা ব্যক্তিগত সম্মান আঘাত করে এমন ভাষা বা আচরণের জন্য, সেটা বার্তা মারফত হোক বা সরাসরি, দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা পরকীয়ার অভিযোগ খারিজ করা হয়। স্বামীকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একজন লিখেছেন, ‘মোটু বা গুলুমুলু ডাক আসলে বেশ মিষ্টি শোনায়। মোটা হওয়া কোনো অপরাধ না, আর মোটা বলে ডাকা সব সময় অপমানও নয়।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এটা ন্যায্য রায়। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে একের পর এক অপমানজনক বার্তা পাঠিয়েছে—সেখানেই সীমা অতিক্রম করেছে।’ তৃতীয় এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের নম্বরগুলো এখনই যাচাই করব, যেন কোনো আপত্তিকর কিছু না থাকে।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক ব্যক্তি প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। কারণ, প্রেমিকার ফোনটি তাঁদের প্রথমবার একসঙ্গে যাওয়া এক হোটেলের কামরায় ওয়াইফাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যায়।
এর ফলে ওই পুরুষি মনে করেন, এর মানে ওই নারী আগে অন্য কারও সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতারণা করেছেন। অপমানিত হয়ে ওউ নারী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য।

আপনি কি আপনার স্ত্রীকে ‘মোটু বা গুলুমুলু’ ডাকেন? তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ওই ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ফোনের কনট্যাক্টে স্ত্রীর নাম সেভ করেছিলেন ‘চাবি’ নাম দিয়ে। এই ঘটনাকে আদালত ‘অসম্মানজনক’ ও ‘বিবাহের জন্য ক্ষতিকর’ বলে রায় দিয়েছেন।
পশ্চিম তুরস্কের উশাক প্রদেশের ওই নারী এই ঘটনার পর স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। অন্যদিকে স্বামী পাল্টা মামলা করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আদালতের শুনানিতে ওই নারী জানান, তাঁর স্বামী বারবার তাঁকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠাতেন। এক বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘দূর হও, তোমাকে আর দেখতে চাই না।’ আরেকটিতে বলেছিলেন, ‘তোমার মুখ শয়তানকে দেখাও গে।’ এ ছাড়া তিনি নিজের বাবার অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা দাবি করেন।
শুনানির সময় আদালতে সবচেয়ে আলোচিত হয় স্বামীর ফোনে স্ত্রীর নাম ‘তোম্বিক—তুর্কি ভাষার এই শব্দের অর্থ মোটা) নামে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি। ওই নারীর দাবি, এই ডাকনাম তাঁকে অপমান করেছে এবং তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে। আদালত তাঁর দাবিকে সমর্থন করে জানায়, ওই নাম ও বার্তাগুলো ‘মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতা’র শামিল।
অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত রায়ে বলে, স্বামীর অপমানজনক ভাষা ও অর্থনৈতিক চাপ ছিল আরও গুরুতর। তাই মূল দায় তাঁরই।
তুর্কি আইনে কারও মর্যাদা বা ব্যক্তিগত সম্মান আঘাত করে এমন ভাষা বা আচরণের জন্য, সেটা বার্তা মারফত হোক বা সরাসরি, দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা পরকীয়ার অভিযোগ খারিজ করা হয়। স্বামীকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একজন লিখেছেন, ‘মোটু বা গুলুমুলু ডাক আসলে বেশ মিষ্টি শোনায়। মোটা হওয়া কোনো অপরাধ না, আর মোটা বলে ডাকা সব সময় অপমানও নয়।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এটা ন্যায্য রায়। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে একের পর এক অপমানজনক বার্তা পাঠিয়েছে—সেখানেই সীমা অতিক্রম করেছে।’ তৃতীয় এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের নম্বরগুলো এখনই যাচাই করব, যেন কোনো আপত্তিকর কিছু না থাকে।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক ব্যক্তি প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। কারণ, প্রেমিকার ফোনটি তাঁদের প্রথমবার একসঙ্গে যাওয়া এক হোটেলের কামরায় ওয়াইফাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যায়।
এর ফলে ওই পুরুষি মনে করেন, এর মানে ওই নারী আগে অন্য কারও সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতারণা করেছেন। অপমানিত হয়ে ওউ নারী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য।

উত্তর-পশ্চিম মরক্কোর শেফশাওয়েন শহরে গেলে মজে যাবেন নীল সৌন্দর্যে। এখানকার ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট, দরজা-জানালা মোটামুটি সবকিছুই নীল। রিফ পর্বতমালার পাদদেশে ৬০০ মিটার বা ২০০০ ফুট উচ্চতায় শহরটির অবস্থান। অনেকের চোখেই এটি মরক্কোর সবচেয়ে সুন্দর। কেউ আবার একে আদর করে ডাকে ‘ব্লু পার্ল’ বা ‘নীল মুক্তা’। ১৯২০ সা
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
২ দিন আগে
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৭ দিন আগে
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ কিছু দিন আগে ঘটলেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন এই মৃত্যুর ভয়াবহ অবহেলাটিকে সামনে এনেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রিস্টিয়ান একটি রাইডিং মাওয়ার চালানোর সময় পড়ে যায় এবং তখনই তাকে একটি ব্রাউন স্নেক ছোবল দেয়। এটি বিশ্বের অন্যতম মারাত্মক বিষধর সাপ। কামড়ের পর ট্রিস্টিয়ানের বাবা কেরড ফ্রাহাম ও আরও দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কামড়ের দাগ খুঁজলেও স্পষ্ট কিছু না পেয়ে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেন। কেরড মনে করেছিলেন, ছেলে হয়তো মদ্যপ ছিল, তাই অসুস্থ দেখাচ্ছে। পরে তিনি ছেলেকে বলেন, ‘ঘুমিয়ে নাও, সকালে ভালো লাগবে।’
কিন্তু পরদিন সকালেই ট্রিস্টিয়ানকে বাড়ির বাইরে একটি স্লিপিং ব্যাগের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তে দেখা যায়, তার ডান গোড়ালিতে দুটি চিহ্ন ছিল, যা সাপের কামড়ের সঙ্গে মিলে যায়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ব্রাউন স্নেকের বিষে তার দেহে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
করনারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদি ট্রিস্টিয়ান সময়মতো চিকিৎসা পেত, তবে তার মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হতো।’
এই ঘটনাটি সাপের কামড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে।
এদিকে কেরড ফ্রাহামের বিরুদ্ধে প্রথমে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হলেও গত বছর সেই মামলা রহস্যজনকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ কিছু দিন আগে ঘটলেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন এই মৃত্যুর ভয়াবহ অবহেলাটিকে সামনে এনেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রিস্টিয়ান একটি রাইডিং মাওয়ার চালানোর সময় পড়ে যায় এবং তখনই তাকে একটি ব্রাউন স্নেক ছোবল দেয়। এটি বিশ্বের অন্যতম মারাত্মক বিষধর সাপ। কামড়ের পর ট্রিস্টিয়ানের বাবা কেরড ফ্রাহাম ও আরও দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কামড়ের দাগ খুঁজলেও স্পষ্ট কিছু না পেয়ে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেন। কেরড মনে করেছিলেন, ছেলে হয়তো মদ্যপ ছিল, তাই অসুস্থ দেখাচ্ছে। পরে তিনি ছেলেকে বলেন, ‘ঘুমিয়ে নাও, সকালে ভালো লাগবে।’
কিন্তু পরদিন সকালেই ট্রিস্টিয়ানকে বাড়ির বাইরে একটি স্লিপিং ব্যাগের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তে দেখা যায়, তার ডান গোড়ালিতে দুটি চিহ্ন ছিল, যা সাপের কামড়ের সঙ্গে মিলে যায়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ব্রাউন স্নেকের বিষে তার দেহে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
করনারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদি ট্রিস্টিয়ান সময়মতো চিকিৎসা পেত, তবে তার মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হতো।’
এই ঘটনাটি সাপের কামড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে।
এদিকে কেরড ফ্রাহামের বিরুদ্ধে প্রথমে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হলেও গত বছর সেই মামলা রহস্যজনকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

উত্তর-পশ্চিম মরক্কোর শেফশাওয়েন শহরে গেলে মজে যাবেন নীল সৌন্দর্যে। এখানকার ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট, দরজা-জানালা মোটামুটি সবকিছুই নীল। রিফ পর্বতমালার পাদদেশে ৬০০ মিটার বা ২০০০ ফুট উচ্চতায় শহরটির অবস্থান। অনেকের চোখেই এটি মরক্কোর সবচেয়ে সুন্দর। কেউ আবার একে আদর করে ডাকে ‘ব্লু পার্ল’ বা ‘নীল মুক্তা’। ১৯২০ সা
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
৪ ঘণ্টা আগে
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৭ দিন আগে
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে বিশ্বাসী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর ওই ব্যক্তি গত সেপ্টেম্বরে একটি বোর্ডিং হাউসে স্ত্রীকে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন। এরপর তিনি পুলিশে অভিযোগ করলেও পরে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য গ্রামের প্রবীণদের কাছে যান। প্রবীণেরা ‘মোওয়া সারাপু’ নামে একটি ঐতিহ্যবাহী মিলন-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিরোধ মেটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
‘মোওয়া সারাপু’ রীতিটি তোলাকি সম্প্রদায়ের শতাব্দীপ্রাচীন প্রথা, যার অর্থ ‘ছাড় দেওয়া ও শান্তি স্থাপন করা’। এই রীতির লক্ষ্য প্রতিশোধ নয়, বরং সামাজিক ভারসাম্য ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামের প্রবীণ, উভয় পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। সবার সামনেই ওই নারীর প্রেমিক তাঁর স্বামীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কাপড়, একটি তামার পাত্র এবং ৫০ লাখ রুপিয়া (প্রায় ৩৬ হাজার টাকা) দেন।
গ্রামপ্রধান সফরুদ্দিন জানান, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই দম্পতির বিবাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়। পরে নারীটির স্বামী ও প্রেমিক পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করেন। এভাবে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে সমর্পণ করেন স্বামীটি।
তোলাকি প্রবীণদের মতে, এই রীতি কোনো সম্পর্ককে ছোট করার জন্য নয়, বরং নৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেই এমন প্রথা পালন করা হয়। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেন—কোনো নারী যদি এমন রীতি মেনে আবারও অন্য পুরুষকে বেছে নেয়, তবে তা তাঁর ও পরিবারের জন্য লজ্জার কারণ হবে।

ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে বিশ্বাসী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর ওই ব্যক্তি গত সেপ্টেম্বরে একটি বোর্ডিং হাউসে স্ত্রীকে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন। এরপর তিনি পুলিশে অভিযোগ করলেও পরে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য গ্রামের প্রবীণদের কাছে যান। প্রবীণেরা ‘মোওয়া সারাপু’ নামে একটি ঐতিহ্যবাহী মিলন-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিরোধ মেটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
‘মোওয়া সারাপু’ রীতিটি তোলাকি সম্প্রদায়ের শতাব্দীপ্রাচীন প্রথা, যার অর্থ ‘ছাড় দেওয়া ও শান্তি স্থাপন করা’। এই রীতির লক্ষ্য প্রতিশোধ নয়, বরং সামাজিক ভারসাম্য ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামের প্রবীণ, উভয় পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। সবার সামনেই ওই নারীর প্রেমিক তাঁর স্বামীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কাপড়, একটি তামার পাত্র এবং ৫০ লাখ রুপিয়া (প্রায় ৩৬ হাজার টাকা) দেন।
গ্রামপ্রধান সফরুদ্দিন জানান, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই দম্পতির বিবাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়। পরে নারীটির স্বামী ও প্রেমিক পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করেন। এভাবে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে সমর্পণ করেন স্বামীটি।
তোলাকি প্রবীণদের মতে, এই রীতি কোনো সম্পর্ককে ছোট করার জন্য নয়, বরং নৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেই এমন প্রথা পালন করা হয়। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেন—কোনো নারী যদি এমন রীতি মেনে আবারও অন্য পুরুষকে বেছে নেয়, তবে তা তাঁর ও পরিবারের জন্য লজ্জার কারণ হবে।

উত্তর-পশ্চিম মরক্কোর শেফশাওয়েন শহরে গেলে মজে যাবেন নীল সৌন্দর্যে। এখানকার ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট, দরজা-জানালা মোটামুটি সবকিছুই নীল। রিফ পর্বতমালার পাদদেশে ৬০০ মিটার বা ২০০০ ফুট উচ্চতায় শহরটির অবস্থান। অনেকের চোখেই এটি মরক্কোর সবচেয়ে সুন্দর। কেউ আবার একে আদর করে ডাকে ‘ব্লু পার্ল’ বা ‘নীল মুক্তা’। ১৯২০ সা
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
৪ ঘণ্টা আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
২ দিন আগে
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার বাবা, দাদা এবং কখনো কখনো গোত্রের নাম পর্যন্ত অনুসরণ করে। পশ্চিমা দেশগুলোতেও এমন দীর্ঘ নামের ঐতিহ্য রয়েছে।
যেমন প্রখ্যাত শিল্পীর পুরো নাম পাবলো দিয়েগো হোসে ফ্রান্সিসকো দে পাওলা হুয়ান নেপোমুসেনো মারিয়া দে লোস রেমেদিওস সিপ্রিয়ানো দে লা সান্তিসিমা ত্রিনিদাদ রুইজ ওয়াই পিকাসো! তবে পিকাসোর নামের এই আশ্চর্য দৈর্ঘ্যও নিউজিল্যান্ডের লরেন্স ওয়াটকিন্সের নামের কাছে নস্যি। লরেন্স ওয়াটকিন্স বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম নামের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ধারণ করে আছেন।
২,২৫৩ শব্দের নাম
১৯৯০ সালের মার্চে, নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী লরেন্স তাঁর নামের সঙ্গে ২ হাজারটির বেশি মধ্যনাম যুক্ত করার জন্য আইনগতভাবে নিজের নাম পরিবর্তন করেন। তাঁর পুরো নামে বর্তমানে মোট ২ হাজার ২৫৩টি অনন্য শব্দ রয়েছে। এই নাম তাঁকে দীর্ঘতম ব্যক্তিগত নামের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস খেতাব এনে দিয়েছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর এই অস্বাভাবিক ইচ্ছার কারণ ব্যাখ্যা করেন: ‘আমি সব সময় অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিক রেকর্ডগুলোর প্রতি মুগ্ধ ছিলাম। আমি সত্যিই সেই দৃশ্যের অংশ হতে চেয়েছিলাম। আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বইটি আগাগোড়া পড়ি এবং দেখি এমন কোনো রেকর্ড আছে কি না যা ভাঙতে পারি। আমার মনে হয়েছিল, বর্তমান রেকর্ডধারীর চেয়ে বেশি নাম যোগ করার রেকর্ডটিই কেবল আমার পক্ষে ভাঙা সম্ভব।’
লরেন্সের নাম পরিবর্তনের এ প্রক্রিয়াটি ছিল দীর্ঘ এবং কঠিন। সেই সময়ে কম্পিউটারের সীমিত ব্যবহারের কারণে পুরো নামের তালিকা টাইপ করতে তাঁকে কয়েক শ ডলার খরচ করতে হয়েছিল। প্রথমে জেলা আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলেও রেজিস্ট্রার জেনারেল তা বাতিল করে দেন। কিন্তু তিনি দমে যাননি। নিউজিল্যান্ডের হাইকোর্টে আপিল করেন এবং আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেয়।
তবে এই ঘটনার পরপরই আইন প্রণেতারা দ্রুত দুটি আইন পরিবর্তন করেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এত সংখ্যক মধ্যনাম যোগ করতে না পারে। শুরুতে এই রেকর্ড ২ হাজার ৩১০টি নাম হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও গিনেসের হালনাগাদকৃত নির্দেশিকা অনুসারে তা পরে ২ হাজার ২৫৩টি নামে সংশোধন করা হয়।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, লরেন্স সেই সময় সিটি লাইব্রেরিতে কাজ করতেন এবং লাইব্রেরির বই থেকে নাম সংগ্রহ করতেন বা সহকর্মীদের কাছ থেকে সুপারিশ নিতেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় নাম হলো— AZ 2000, যার অর্থ হলো আমার নামের আদ্যক্ষর A থেকে Z পর্যন্ত আছে এবং আমার মোট ২ হাজারটি নাম আছে।’
তবে এর জন্য মাঝেমধ্যে লরেন্সকে বেশ ভোগান্তিও পোহাতে হয়। মানুষ সহজে বিশ্বাস করতে চায় না। প্রধান সমস্যা হয় সরকারি দপ্তরগুলোতে গেলে। কারণ, সরকারি কোনো পরিচয়পত্রে তাঁর পুরো নাম ধরানো সম্ভব হয় না!

বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার বাবা, দাদা এবং কখনো কখনো গোত্রের নাম পর্যন্ত অনুসরণ করে। পশ্চিমা দেশগুলোতেও এমন দীর্ঘ নামের ঐতিহ্য রয়েছে।
যেমন প্রখ্যাত শিল্পীর পুরো নাম পাবলো দিয়েগো হোসে ফ্রান্সিসকো দে পাওলা হুয়ান নেপোমুসেনো মারিয়া দে লোস রেমেদিওস সিপ্রিয়ানো দে লা সান্তিসিমা ত্রিনিদাদ রুইজ ওয়াই পিকাসো! তবে পিকাসোর নামের এই আশ্চর্য দৈর্ঘ্যও নিউজিল্যান্ডের লরেন্স ওয়াটকিন্সের নামের কাছে নস্যি। লরেন্স ওয়াটকিন্স বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম নামের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ধারণ করে আছেন।
২,২৫৩ শব্দের নাম
১৯৯০ সালের মার্চে, নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী লরেন্স তাঁর নামের সঙ্গে ২ হাজারটির বেশি মধ্যনাম যুক্ত করার জন্য আইনগতভাবে নিজের নাম পরিবর্তন করেন। তাঁর পুরো নামে বর্তমানে মোট ২ হাজার ২৫৩টি অনন্য শব্দ রয়েছে। এই নাম তাঁকে দীর্ঘতম ব্যক্তিগত নামের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস খেতাব এনে দিয়েছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর এই অস্বাভাবিক ইচ্ছার কারণ ব্যাখ্যা করেন: ‘আমি সব সময় অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিক রেকর্ডগুলোর প্রতি মুগ্ধ ছিলাম। আমি সত্যিই সেই দৃশ্যের অংশ হতে চেয়েছিলাম। আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বইটি আগাগোড়া পড়ি এবং দেখি এমন কোনো রেকর্ড আছে কি না যা ভাঙতে পারি। আমার মনে হয়েছিল, বর্তমান রেকর্ডধারীর চেয়ে বেশি নাম যোগ করার রেকর্ডটিই কেবল আমার পক্ষে ভাঙা সম্ভব।’
লরেন্সের নাম পরিবর্তনের এ প্রক্রিয়াটি ছিল দীর্ঘ এবং কঠিন। সেই সময়ে কম্পিউটারের সীমিত ব্যবহারের কারণে পুরো নামের তালিকা টাইপ করতে তাঁকে কয়েক শ ডলার খরচ করতে হয়েছিল। প্রথমে জেলা আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলেও রেজিস্ট্রার জেনারেল তা বাতিল করে দেন। কিন্তু তিনি দমে যাননি। নিউজিল্যান্ডের হাইকোর্টে আপিল করেন এবং আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেয়।
তবে এই ঘটনার পরপরই আইন প্রণেতারা দ্রুত দুটি আইন পরিবর্তন করেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এত সংখ্যক মধ্যনাম যোগ করতে না পারে। শুরুতে এই রেকর্ড ২ হাজার ৩১০টি নাম হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও গিনেসের হালনাগাদকৃত নির্দেশিকা অনুসারে তা পরে ২ হাজার ২৫৩টি নামে সংশোধন করা হয়।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, লরেন্স সেই সময় সিটি লাইব্রেরিতে কাজ করতেন এবং লাইব্রেরির বই থেকে নাম সংগ্রহ করতেন বা সহকর্মীদের কাছ থেকে সুপারিশ নিতেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় নাম হলো— AZ 2000, যার অর্থ হলো আমার নামের আদ্যক্ষর A থেকে Z পর্যন্ত আছে এবং আমার মোট ২ হাজারটি নাম আছে।’
তবে এর জন্য মাঝেমধ্যে লরেন্সকে বেশ ভোগান্তিও পোহাতে হয়। মানুষ সহজে বিশ্বাস করতে চায় না। প্রধান সমস্যা হয় সরকারি দপ্তরগুলোতে গেলে। কারণ, সরকারি কোনো পরিচয়পত্রে তাঁর পুরো নাম ধরানো সম্ভব হয় না!

উত্তর-পশ্চিম মরক্কোর শেফশাওয়েন শহরে গেলে মজে যাবেন নীল সৌন্দর্যে। এখানকার ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট, দরজা-জানালা মোটামুটি সবকিছুই নীল। রিফ পর্বতমালার পাদদেশে ৬০০ মিটার বা ২০০০ ফুট উচ্চতায় শহরটির অবস্থান। অনেকের চোখেই এটি মরক্কোর সবচেয়ে সুন্দর। কেউ আবার একে আদর করে ডাকে ‘ব্লু পার্ল’ বা ‘নীল মুক্তা’। ১৯২০ সা
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
৪ ঘণ্টা আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
২ দিন আগে
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৭ দিন আগে