Ajker Patrika

সরকারি সংবাদ সম্মেলন শেষে বাস্তবে ফেরা যে কী কঠিন!

জাহীদ রেজা নূর
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১৮: ২৫
Thumbnail image

পুতিন যে রাশিয়ার এক লৌহমানব, তা নিয়ে সেই দেশে কারও দ্বিমত নেই। তিনি সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। কিন্তু তাই বলে পুতিনকে নিয়ে কৌতুক থেমে নেই। এ কথা সবাই জানেন, যখন কোনো দেশে সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হয়, তখন নানাভাবেই মুক্তির পথ খোঁজে মানুষ। রাশিয়ার মানুষ বহু আগে থেকেই কৌতুকের মাধ্যমেই সে পথ খুঁজেছে।

১. 
একবার ক্রেমলিন থেকে বের হয়ে রেডস্কয়্যার দিয়ে হাঁটছিলেন পুতিন। তিনি সেখানে একজন ভিক্ষুককে দেখলেন। খুব মায়া হলো তাঁর জন্য। কোনো না কোনোভাবে তাঁকে সাহায্য করতে ইচ্ছে হলো। কপর্দকহীন সেই ব্যক্তিকে পুতিন তখন পকেট থেকে একটি কার্ড বের করে উপহার দিলেন। সে কার্ডটিতে লেখা ছিল ‘দু বছরের জন্য এই ব্যক্তির কর মওকুফ করা হলো।’

২. 
যারা এ বছর দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অভিষেক অনুষ্ঠান দেখতে পারেননি, তাঁদের আফসোস করার কিছু নেই। আগামীবার মিস না করলেই হলো।

৩.
প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুতিনের রেটিং ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই আমরা শতাংশে নয়, বরং নাম ধরে জানতে পারব, কে কে পুতিনের বিরোধিতাকারী।

৪.
পুতিন প্রশাসনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, প্রশাসনে নিয়োগ দেওয়া হয় সবচেয়ে তেলবাজ ও বিশ্বাসীদের, অথচ তাদের কাছ থেকে দক্ষ কর্মকর্তার আচরণ দাবি করা হয়।

৫. 
শুধু আমাদের দেশের প্রেসিডেন্টই ২০১৩ সালকে ‘পরিবারবর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করতে পারে এবং নিজে সে বছরই বিবাহবিচ্ছেদ করতে পারে।

৬.
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়া নাক গলিয়েছে বলে মার্কিনদের অভিযোগের জবাবে পুতিন বলেছেন, ‘বাইরের দেশে কী হয়, জানি না, তবে আমাদের দেশে এ রকম ঘটনা ঘটার কোনো সুযোগই নেই।’

৭.
স্তালিনের সময় মানুষদের হত্যা করা হতো। ক্রুশ্চেভের সময় মানুষদের মুখোশ খুলে শাস্তি দেওয়া হতো। ব্রেজনেভের সময় মানুষ পচে গিয়েছিল। ইয়েলৎসিনের সময় মানুষ চুরি করতে শুরু করেছিল। পুতিনের সময় এই সবকিছুকে একত্রিত করা হয়েছে।

৮.
বাচ্চাদের কাছে ‘পুতিন’ আর ‘প্রেসিডেন্ট’ প্রতিশব্দ। বাচ্চারা একে অন্যকে প্রশ্ন করে, ‘বল তো, কে আগে রাশিয়ার পুতিন ছিল?’

৯.
ভ্লাদিমির পুতিনের সংবাদ সম্মেলন দেখার পর বাস্তব জীবনে ফিরে আসা যে কত কঠিন!

১০. 
বলা হয়, পুতিন চলে গেলে আমাদের জীবন খারাপ হতে থাকবে। 

আমাদের জীবন তো এখন প্রতিদিনই খারাপের চেয়ে খারাপ হচ্ছে।

তার মানে কি, আমরা বহুদিন ধরে পুতিনবিহীন জীবন কাটাচ্ছি?

১১.
মার্কিন সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি কি কোনো উত্তরাধিকার রেখে যাচ্ছেন?’ 

পুতিনের উত্তর, ‘এ প্রশ্নের উত্তর এখন দেব না। জো বাইডেনের বয়সে যখন আমি পৌঁছাব, তখন দেব।’

১২.
এক রুশ নাগরিক তার বন্ধুকে মেসেঞ্জারে লিখছে, ‘তোমার নাতি–নাতনিরা পুতিনকে ভোট দেবে।’

হাসির ইমো দিয়ে উত্তর দিচ্ছে বন্ধু, ‘তোমার নাতি–নাতনিরাও।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

বিয়ে করলেন সারজিস আলম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ কোথায় দেখবেন

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা, জাবিতে ১২ বাস আটকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাত্রদলের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত