প্রতিবছরই চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের সিংড়া থেকে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় ছোট-বড় মাছ আহরণ করা হয়। এ মাছের একটি বড় অংশ অবিক্রীত থেকে যায়। এই অবিক্রীত মাছ থেকেই তৈরি হয় শুঁটকি। আর ক্রমেই সিংড়ার মিঠা পানির মাছের শুঁটকির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। এখন বেশ চড়া দামেই এসব শুঁটকি বিক্রি হচ্ছে। সিংড়ায় চারটি চাতাল ও
একেক ঋতুতে তার সৌন্দর্যে যোগ হয় একেক রং। শীতে যেমন ঘন সবুজ আর হলুদ, বর্ষায় তেমনি রুপালি। গ্রীষ্ম আর শীতে ফসলের সমারোহ দেখে বোঝার উপায় নেই, বর্ষায় ঢেউয়ের পর ঢেউ আছড়ে পড়ে তীরে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ বিল চলনবিল। পাবনা, বগুড়া, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলা নিয়ে বিলটি অবস্থিত। বর্ষা মৌসুমে এই বিলে প্রচুর মাছ ধরা পড়ে। আর এসব অঞ্চলের জেলেরা মাছ ধরে তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
মৎস্যভান্ডার খ্যাত চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভরা মৌসুমেও দেশীয় প্রজাতির মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। সাধারণত বর্ষার শেষে আশ্বিন-কার্তিক মাসে প্রচুর দেশি জাতের মাছ ধরা পড়ে; কিন্তু এ বছর চাহিদা অনুযায়ী মাছ ধরা না পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শুঁটকির চাতাল মালিকেরা।