মহানবী

মহানবী (সা.)-এর ওপর হেরা গুহায় প্রথম কোরআনের যে আয়াত নাজিল হয়েছিল, তা ছিল পড়াসংক্রান্ত। আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-কে বলেছেন, ‘পড়ো, তোমার পালনকর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা আলাক: ১) সুতরাং মহান প্রতিপালক আল্লাহর নামে পড়ার তাগিদ দিয়েই পবিত্র কোরআন নাজিলের সূচনা হয়েছিল।

দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় মৃত্যু কখনোই মানুষের কাম্য নয়। মহানবী (সা.) নিজেও দুর্ঘটনার মৃত্যু থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। তবে কেউ দুর্ঘটনায় মারা গেলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মহানবী (সা.) এমন ব্যক্তির জন্য বিরাট সুসংবাদ দিয়েছেন। দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিকে তিনি শহীদ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

মৃত্যু এক অমোঘ সত্য। সব সৃষ্টিকেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে। যার মৃত্যু যখন নির্ধারণ করা হয়েছে, ঠিক তখনই তার মৃত্যু হবে। এক মুহূর্ত আগে-পরে হবে না। তবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আকস্মিকভাবে মারা যাওয়া নিশ্চয়ই কারও জন্য সুখকর নয়। মহানবী (সা.) আকস্মিক মৃত্যু থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন।

‘আলহামদুলিল্লাহ’ শব্দের অর্থ সব প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ তাআলার কোনো অনুগ্রহ পেলে তাঁর প্রশংসা করা মুমিনের কর্তব্য। তাই কোনো সুখবর, অর্জন, আনন্দের সংবাদে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত।

রমজান সংযমের মাস, আত্মশুদ্ধির মাস এবং বছরের সেরা মাস। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে নিজেকে সব ধরনের গুনাহ ও প্রবৃত্তি থেকে মুক্ত রেখে চলার অভ্যাস গড়ার মাস রমজান। তাই মুমিনের জীবনে রমজান মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। এ কারণেই এ মাসের আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন মহানবী (সা.)। রমজানের দুই মাস আগ থেকেই তিনি

আল্লাহ তাআলা ব্যবসা-বাণিজ্য হালাল করেছেন। যাঁরা ব্যবসা করেন, তাঁরাই ব্যবসায়ী। নবী-রাসুল, সাহাবি, তাবিয়িসহ অনেকেই ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। ব্যবসা মহৎ পেশা; কিন্তু তা অবশ্যই নির্ভেজাল ও ত্রুটিমুক্ত হতে হবে। কোনোভাবেই ব্যবসাকে কলুষিত করা যাবে না।

সন্তানের প্রতি বাবার দায়িত্ব অনেক। তাদের সুষ্ঠুভাবে লালন-পালনের প্রধান দায়িত্ব বাবার ওপরই বর্তায়। সন্তানকে ছোট থেকে বড় করে তোলার সময় তাদের জন্য যে অর্থ খরচ হয়, ইসলাম তা বাবাকেই বহন করতে বলে। তবে কেবল ভরণপোষণের খরচ দিয়েই সন্তান থেকে দায়মুক্তি পাওয়া যায় না; বরং সন্তানের মানসিক বিকাশ, শিক্ষাদীক্ষা ও নী

ইসলাম সব সময় জ্ঞানার্জনে উৎসাহ দেয়। নবী (সা.)-এর কাছে প্রথম যে অহি এসেছে তা হলো, ‘পড়ো তোমার প্রতিপালকের নামে।’ এখানে যে পড়ার এবং জ্ঞানার্জনের কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে সবার আগে থাকবে ধর্মীয় জ্ঞান। যেমনটি হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ।’

আল্লাহ তাআলা হিজরি সনের চারটি মাসকে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী ঘোষণা করেছেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আসমান-জমিন সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর কিতাবে মাসের সংখ্যা হলো বারো। তার মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন। কাজেই ওই সময়ে নিজেদের ওপর জুলুম কোরো না।’ (সুরা তওবা: ৩৬)

ইসলামের দৃষ্টিতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া কবিরা গুনাহ। কোনো মুমিন মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে পারেন না। মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার পরিণাম দুনিয়া ও আখিরাতে ভয়াবহ। আখিরাতের কঠিন শাস্তির পাশাপাশি দুনিয়ায়ও তার জন্য বরাদ্দ থাকবে লাঞ্ছনার জীবন। কোরআন-হাদিসে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার পরিণতির কথা বর্ণিত হয়েছে।

হিংসা মানুষের চরিত্রের মন্দ দিক। এটি সমাজকে বিষিয়ে তোলে। পরিবার, সমাজ থেকে নিয়ে সর্বত্র ঘৃণা ও হানাহানির জন্য দায়ী এই হিংসা। তাই এটি পরিহার করার নির্দেশ দেয় ইসলাম। পরকালে হিংসুকদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। কোরআন-হাদিসে হিংসা পরিহারের ফজিলতের কথাও বর্ণিত হয়েছে।

আমাদের সমাজে অনেক কথা হাদিস হিসেবে প্রচলিত আছে, যা আসলে হাদিস নয়। এর মধ্যে অনেক কথার সঙ্গে হাদিসের দূরতম সম্পর্কও নেই। তবে কিছু কিছু কথা অন্যান্য সহিহ্ হাদিসের মর্মের কাছাকাছি পাওয়া যায়। উভয় ধরনের কথাই হাদিস হিসেবে চালিয়ে দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েজ।

অনুমতি ছাড়া কারও ঘরের দরজা-জানালা কিংবা ফাঁকফোকর দিয়ে উঁকি দিলে তা ঘরের ভেতরের লোকজনের জন্য অস্বস্তিকর ও বিব্রতকর হতে পারে। তাই ইসলাম এমন আচরণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে এবং এ কাজের জন্য শাস্তি নির্ধারণ করেছে।

কোনো মানুষই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। তাই প্রত্যেকের উচিত, নিজের ভুল শুধরে নিতে মনোযোগী হওয়া। দুঃখজনক সত্য হলো, মানুষ নিজের ভুলের চেয়ে অন্যের ভুল খুঁজতে বেশি আগ্রহী। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মানুষ ভাইয়ের চোখে পড়া সামান্য ময়লাও দেখতে পায়; কিন্তু নিজের চোখে পড়া খড়কুটাও দেখতে পায় না।’ (ইবনে হিব্বান, আদাবুল মুফরাদ)

সুস্থতা আল্লাহ তাআলার বড় নিয়ামত। তিনি যাকে যতটুকু সময়সীমা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, সে তার এক মুহূর্ত আগে বা পরে মারা যাবে না। কিন্তু সুস্থতা বা অসুস্থতা ব্যক্তির দৈনন্দিন অভ্যাসের ওপর কিছুটা নির্ভরশীল। তাই সুস্থ থাকার জন্য অনেক

মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার একটি বাসস্থান। আর এটি তখনই পূর্ণতা পায়, যখন একটি ঘর বানিয়ে তাতে ওঠা যায়। মানুষ নিজের ঘরে বাস করে যে নিরাপত্তা লাভ করে, অন্য কোথাও সে এমন নিরাপত্তা পায় না। এটি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বড় নেয়ামত। নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা করা মুমিনের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কেননা মহানবী (সা.) যখনই কোনো

আরবি সালাম শব্দের অর্থ শান্তি, নিরাপত্তা, অভিবাদন ইত্যাদি। সালাম ইসলামের অন্যতম নিদর্শন। মুসলিমদের জন্য সালামকে অভিবাদন-বাক্য হিসেবে প্রণয়ন করা হয়েছে। মুসলিমরা যখন পরস্পর মিলিত হয়, তখন আসসালামু আলাইকুম বলে একে অপরকে অভিবাদন জানায়। সালাম দেওয়া-নেওয়ার কিছু আদব রয়েছে, যা মহানবী (সা.) উম্মতকে শিখিয়েছ