বাংলাদেশের খেলা

ম্যাচ শেষে রাতে বেলেরিভ ওভালের নর্থ স্ট্যান্ড পেরোতেই কানে এল সাগরের গর্জন। এতক্ষণ স্টেডিয়ামে এই জলরাশির গর্জন খুব একটা কানে আসেনি। কীভাবে আসবে, ম্যাচের সময় কানে এসেছে শুধুই বাংলাদেশের গর্জন।

গতকাল মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে  ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দারুণ উত্তাপ ছড়িয়েছে। ম্যাচের ফলাফল জানতে অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ পর্যন্ত। তবে একটা নো-বল ইস্যু যেন সব কিছুকে ছাড়িয়ে গেছে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর পথ চলাটা যেন রোলার কোস্টারের মতো। পারফরম্যান্সের কারণে দলে যেন থিতুই হতে পারছেন না। জাতীয় দলে আছেন তাই আসা-যাওয়ার মধ্যে। শান্তকে নিয়ে তাই আলাপ-আলোচনাটা একটু বেশিই...

যে বাংলাদেশ কখনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচই জেতেনি, সেই দল এখন নিজেদের গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে! একটু অদ্ভুত মনে হলেও এটাই বাস্তবতা। হোক না সাময়িক, তবু এমন পয়েন্ট টেবিল বাংলাদেশ আগে কখনো দেখেনি।

ডেথ ওভারের বোলিংয়ে খেই হারানো যেন বাংলাদেশের বোলারদের এক রকম ‘রোগে’ পরিণত হয়েছে। ম্যাচ জিতুক বা হারুক, প্রায় প্রতি ম্যাচেই বাংলাদেশের বোলাররা শেষের ওভারগুলো করতে এসে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন...

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলটা পুরোই সাকিব আল হাসানকেন্দ্রিক। দুবাইয়ে এশিয়া কাপের পর বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক আসেননি সংবাদমাধ্যমের সামনে।

প্রথম ম্যাচের আগে আমাদের প্রস্তুতিটা সে অর্থে হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলারই সুযোগ পেল না,বাংলাদেশ। বৃষ্টির বাগড়ায় বারবার অনুশীলন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। অন্য দলগুলো যে প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, দুর্ভাগ্য আমরা সেটা পারিনি।

শুরুতে আমার কোচিং জীবনের একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। আমি তখন আবাহনীর কোচ, তখন দলের অধিনায়ক ছিল খালেদ মাসুদ পাইলট বা মাশরাফি বিন মর্তুজা। দ্বিতীয় বছরে এমন একটা পরিস্থিতি হয়েছিল, প্রিমিয়ার লিগে আমাদের সুপার লিগের সব ম্যাচ না জিতলে চ্যাম্পিয়ন হতে পারব না। আমরা ৪ নম্বর দল হিসেবে সুপার লিগে গিয়েছিলাম। আমাদে

অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশ দল টি-টোয়েন্টিতে ভালো পারফরম্যান্স করছে না। এশিয়া কাপে হারার পর নিউজিল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজেও হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেছে। ফলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ভালো হয়নি সাকিব আল হাসান-লিটন দাসদের। তাই বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে চান সাকিব। এ জন্য মিডিয়ার বাড়াবাড়ির বিষয়ে বিচার করতে চান না

আগামীকাল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের ম্যাচকে সামনে রেখে সাকিব আল হাসানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ভালো খেলার পরও কেন লিটন দাসকে ওপেনিং থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো।

ব্রিসবেনে বাংলাদেশ এলেই বোধ হয় মুচকি হাসে আকাশ। ২০১৫ বিশ্বকাপে ব্রিসবেনের গ্যাবায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। সেবার ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের বড় উপকার হয়েছিল...

নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষার পর বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার প্রস্তুতি ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। সাকিব আল হাসানদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে বৃষ্টিরই জয় হলো। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের দুটি অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচও শেষ। প্রস্তুতি পর্বের বাকি আছে কেবল দুটি দলীয় অনুশীলন সেশন।

টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারের শীর্ষ স্থান নিয়ে সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ নবীর মধ্যে মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা চলছেই। কিছুদিন আগে নবীর কাছে শীর্ষস্থান হারিয়েছিলেন সাকিব। এবার সেই নবীকেই টপকিয়ে আবাও র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে উঠলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার।

ম্যাচ হেরে গেলে দলের চেহারা হয় এক রকম, জিতলে আরেক রকম। অ্যালান বোর্ডার ফিল্ডে গতকাল প্রস্তুতি ম্যাচের পর দুই চিত্রই দেখা গেল। আফগানিস্তান দল ড্রেসিংরুম থেকে টিম বাসে গেল হাসিমুখে। আর বাংলাদেশ দল টিম হোটেলে ফিরল মলিন মুখে। টিম

ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই সাদা রঙের হুডি পরে এক নারী দর্শককে বসে থাকতে দেখা গেল অ্যালান বোর্ডার ফিল্ডের ‘ম্যাথু হেইডেন স্ট্যান্ডে’। পুরো গ্যালারিতে একজন নারী দর্শক, আবার সমর্থন করছেন বাংলাদেশ দলকে।

অনেক পরিবর্তন হয়েছে মাঠটায়। অনেক সংস্কার হয়েছে। সেখানে শেফিল্ড শিল্ড জিতেছি। দারুণ এক মাঠ। অনুশীলনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। খেলাটা সম্পর্কে খুদে ক্রিকেটারদের পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারণা দিতে এখানে দারুণ সব কোচ আছে।

সকালে টিম বাস থেকে মলিন চেহারা নিয়ে নামলেন লিটন দাস। সতীর্থ ব্যাটার যখন অ্যালান বোর্ডার ফিল্ডের নেটে অনুশীলনে ব্যস্ত, লিটনকে নিয়ে তখন ব্রিসবেনে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ক্রিকেট সেন্টারের জিম খুঁজছেন দলের ট্রেনার নিক লি আর চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী।