বাংলাদেশের খেলা

যেদিন ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা হলো মিরপুরে, নির্বাচকদের সবচেয়ে বেশি শুনতে হলো এ প্রশ্নটা—নাজমুল হোসেন শান্ত কেন দলে? বাঁহাতি ওপেনারকে দলে রাখা নিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন যেমন ফেসবুকে ব্যঙ্গবিদ্রূপের শিকার, শান্তকে নিয়েও কম ট্রল হয় না! নির্মম ব্যঙ্গ-রসিকতার অংশ হিসেবে শান্তর নাম

শ্বাসরুদ্ধকর একটা ম্যাচ দেখলাম। হার্টবিট একবার বেড়েছে, একবার কমেছে—এ রকম একটা অবস্থা ছিল। বিশেষ করে শেষ ওভারে, এক বলে যখন ৫ রান প্রয়োজন, তখন ব্লেসিং মুজারাবানিকে স্ট্যাম্পড করেছিল নুরুল হাসান সোহান। এই প্রথম একটা জিনিস দেখলাম, স্ট্যাম্পের সামনে যদি বল ধরে স্টাম্পিং করা হয়, তাহলে এটাকে ‘নো’ বল ধরা হয়

এই জয় বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল। ১৫তম ম্যাচে এসে নাজমুল হোসেন শান্তর ফিফটি দেখলাম। এটা আমাদের দেশের ক্রিকেটের জন্য দারুণ একটা ব্যাপার যে ক্রিকেটাররা এত সুযোগ পাচ্ছে এবং সুযোগ অবশেষে কাজে লাগাল।

সময় ভালো যাচ্ছিল না মোস্তাফিজুর রহমানের। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের সেরা অস্ত্র তকমা দেওয়া হলেও অনেক ম্যাচ হয়ে গেল, মোস্তাফিজ ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে সফর এবং এশিয়া কাপে খরুচে পেসার ছিলেন তিনি। তবুও টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা ছিল তাঁর ওপর।

সেট হচ্ছেন কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারছেন না—নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে এমনটা ঘটে থাকে হরহামেশাই। তবে আজ ব্রিসবেনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। ম্যাচ জেতানো ইনিংসকে স্পেশাল বা বিশেষ কিছু মনে করছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটার।

ব্রিসবেনের এই বিকেল ভোলার নয় তাঁদের। ব্রিসবেন ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়েই কিছু দর্শক চিৎকার করতে থাকলেন, ‘আমাদের আজ ডাবল আনন্দ। কারণ, আমরা দুবার জিতেছি!’ শেষ বলের ওই নাটকীয়তায় বাংলাদেশের জয়ের আনন্দ হয়েছে দুবার। মোসাদ্দেক হোসেনের শেষ বলে জিম্বাবুয়ের

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। ব্রিসবেনের গ্যাবার ম্যাচটি ছিল নাটকীয়তা ভরা। এমন নাটকীয়তার ম্যাচে বাংলাদেশকে ৩ রানে জিতিয়েছেন শেষ ওভারে বোলিং আসা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ম্যাচের ফল নির্ধারণী ওভারটিতে স্বাভাবিকভাবেই চাপে থাকার কথা তাঁর। তবে সে সময় নাকি কোনো চাপ অনুভব করেননি

ব্রিসবেনের গ্যাবায় ৩ রানের জয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে বাংলাদেশ। তবে জিম্বাবুয়ে ইনিংসের শেষ দিকে ম্যাচটা রোমাঞ্চের পারদ ছুঁয়ে যায়। মোসাদ্দেক হোসেনের শেষ বলে বাংলাদেশের জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ৫ রান। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে বল মিস করেন ব্লেসিং মুজারাবানি, হলেন স্টাম্পড।

ব্রিসবেনে আজ বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচে শেষ বল পর্যন্ত ছিল  উত্তেজনা।বাংলাদেশ না জিম্বাবুয়ে-কে জিতবে, তা-ই যেন বুঝে ওঠা যাচ্ছিল না।শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে ৩ রানের জয় পায়বাংলাদেশ। এই ম্যাচে সবাই খুব নার্ভাস ছিলেন-এমনটাই জানিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।

অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রচার-প্রচারণার কমতি নেই। রাগবি-ফুটবলের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও এ দেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা যথেষ্টই বলা যায়। তবু প্রচারের কমতি রাখেননি আয়োজকেরা। বিভিন্ন দলের তারকা ক্রিকেটারদের উপস্থিতিতে ‘দিজ ইজ দ্য বিগ টাইম’ স্লোগানে অস্ট্রেলিয়া যে প্রচার চালাচ্ছে, সেখানে অবশ্য বাংলা

সিডনির ব্যাটিং উইকেটে তখন বেধড়ক পিটিয়ে চলেছেন রাইলি রুশো ও কুইন্টন ডি ককেরা। বোলিং প্রান্তে যে বাংলাদেশি বোলাররাই আসছেন, তাদেরকেই পেটাচ্ছেন দুই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার। প্রোটিয়াদের রান থামাতে বাংলাদেশের তখন দরকার ছিল অভিজ্ঞ কোনো বোলারকে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ফল নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল পাওয়ার প্লে শেষেই । ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের লড়াইটা ছিল হারের ব্যবধান কমানোর...

ইরফানকে ডাকতেই জানালেন, গতকাল ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে কিছু প্রতিবেদন বেরিয়েছে। সেখানে স্টিভ স্মিথকে নিয়ে তাঁকে একটা উদ্বৃতি করা হয়েছে। সেটি নিয়ে তাঁর নাকি একটু সমস্যা হয়েছে। ইরফান তাই আর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চান না। তবে বাংলাদেশ নেটে তাঁর বোলিং অভিজ্ঞতা শুনতে চাইলে রাজি হলেন।

সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের নায়ক ছিলেন তাসকিন আহমেদ। আগামীকাল সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়াইয়ে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে তাসকিনের মতো বাংলাদেশের নায়ক হবেন কে...

নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের অভিযানটা দুর্দান্তভাবে শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষকে মাঝারি রানের লক্ষ্য দিয়েও জয়টা এসেছে তাসকিন আহমেদের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে। দুরন্ত বোলিংয়ের জন্য ম্যাচের দিন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন....

প্রথমেই বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানাই, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ জেতায়। আগের দুই বিশ্বকাপের শেষটিতে সুপার টুয়েলভে ৫টি এবং এর আগেরটিতে সুপার টেনে টানা ৪টি ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ।

যেকোনো টুর্নামেন্টের আগে ক্রিকেটারদের সবচেয়ে বড় বিষয় মনঃসংযোগ। এখানে বৃষ্টির একটা ব্যাপার ছিল। খেলা হবে কি হবে না, এসব সময়ে খেলায় পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়া যায় না। বৃষ্টির এত বাধা ছিল, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও একটা বাধা ছিল। দিন শেষে আমরা নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৯ রানে ম্যাচটা জিতলাম।