ধর্ম ও জীবন

সিজদাতুস সাহু বা সাহু সিজদা অর্থ ভুলের সিজদা। নামাজে ভুলে কোনো ওয়াজিব ছেড়ে দিলে সিজদায়ে সাহু দেওয়া ওয়াজিব। মূলত ওয়াজিব ছুটে যাওয়াটাই সাহু সিজদা ওয়াজিব হওয়ার কারণ। সাহু সিজদার বিধান এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—

বিয়ের ক্ষেত্রে স্ত্রীকে দেনমোহর পাওয়ার অধিকার দিয়েছে ইসলাম। স্বামীর জন্য স্ত্রীকে নির্ধারিত পরিমাণ দেনমোহর আদায় করে দেওয়া আবশ্যক। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে দেনমোহর আদায় করে দেওয়ার নির্দেশ এসেছে।

তাহাজ্জুদ নামাজ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে বান্দার গভীর সম্পর্ক স্থাপনের অন্যতম মাধ্যম। তাহাজ্জুদের ফজিলত প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ নামাজ কায়েম করো; এটা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন মাকামে মাহমুদ তথা প্রশংসিত স্

আরবি শুরা শব্দের অর্থ পরামর্শ। ইসলামে পরামর্শ বলতে মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক যেকোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানাশোনা ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রচেষ্টাকে বোঝায়। ইসলামে পরামর্শের গুরুত্ব অপরিসীম।

জুমার আগের চার রাকাত সুন্নত আদায় করা অবস্থায় অনেক সময় খতিব সাহেব খুতবা শুরু করে দেন। জানার বিষয় হলো, এমন পরিস্থিতিতে আমার জন্য করণীয় কী?

ইসলামে সবুজ রঙের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এটি পরিবেশ এবং টেকসই জীবনেরও প্রতীক। এ দুটি বিষয় একাকার হয়েছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে নির্মিত ইউরোপের প্রথম ইকো-মসজিদে। ২০০৮ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল এবং ২৪ এপ্রিল ২০১৯ সালে তা শেষ হয়।

আত্মীয়তা ও বন্ধুত্ব ছাড়া মানুষ একা। আত্মীয় ও বন্ধুর সঙ্গ মানুষকে আনন্দিত করে। অন্তরে প্রশান্তি এনে দেয়। এই টানেই মানুষ পরস্পরের কাছে ছুটে আসে। মিলিত হয়। একে অপরের খোঁজখবর নেয়। বিপদে পাশে দাঁড়ায়। মেহমান হয়। মেহমানদারি মানুষের মধ্যে সদ্ভাব তৈরি করে। সম্পর্কের বাঁধন দৃঢ় করে। সামাজিক বন্ধন ও সৌহার্দ্য উ

সফর হিজরি সনের দ্বিতীয় মাস। ধাতুগত অর্থ হিসেবে সফর মানে শূন্য, বিবর্ণ, দীপ্তিহীন ইত্যাদি। তৎকালীন আরব দেশে সফর মাসে খরা দেখা দিত। মাঠ-ঘাট শুকিয়ে যেত। এ জন্য এ মাসকে তারা বলত ‘আস-সাফারুল মুসাফফার’ বা বিবর্ণ সফর মাস। (লিসানুল আরব) 

পবিত্র কোরআনের ১০১তম সুরা—সুরা কারিআ। এটি মক্কায় অবতীর্ণ। আরবি কারিআ শব্দের অর্থ মহাবিপদ। এই অর্থের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ভয়াবহ দুৰ্ঘটনা ও বড় রকমের মারাত্মক বিপদকে কারিআ বলা হয়। (আল-মুজামুল ওয়াসিত) পবিত্র কোরআনে কারিআ শব্দটি কিয়ামত বা মহাপ্রলয় বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে। একইভাবে আল-হাক্কাহ, আত-ত্বাম্ম

বিশ্বাসী মাত্রই পরকালে অনন্ত সুখের জীবন চায়। দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু আমল আছে, যা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার মাধ্যম হবে বলে জানিয়েছেন মহানবী (সা.)। এখানে তেমনই সাতটি আমলের কথা তুলে ধরা হলো

আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করতে পারা বান্দার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। খুশির ব্যাপার হলো, কী কী আমল করলে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়া যাবে—পবিত্র কোরআনে তিনি নিজেই তা বলে দিয়েছেন। এখানে তেমনই কয়েকটি আমলের

ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া যাবে কি? ঘুষের লেনদেনে কেমন গুনাহ হবে? কোরআন-হাদিসের আলোকে জানতে চাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ফরিদপুর থেকে।

কয়েক দিনের টানা বর্ষণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে কয়েক লাখ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে একজন মুমিনের দায়িত্ব হলো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রয়োজন পূরণে এগিয়ে আসা। তাদের জন্য খাবার, পানীয়, ওষুধসহ অন্যান্য দরকারি জিনিসপত্রের জোগান দেওয়া। এটি ইসলামের শিক্ষ

দিনরাতের প্রতিটি মুহূর্তেই আল্লাহ তাআলা বান্দার ডাকে সাড়া দেন, তার দোয়া কবুল করেন। তবে কিছু কিছু মুহূর্ত আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। তখন দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা খুশি হন এবং বান্দার প্রতি আরও বেশি সদয় হন। কোরআন-হাদিসে বর্ণিত এমনই কয়েকটি মুহূর্তের কথা এখানে তুলে ধরা হলো—

হজরত আদম (আ.)কে সৃষ্টির পরপরই তাঁর জীবনসঙ্গী হজরত হাওয়া (আ.)কে সৃষ্টি করার ঘটনা প্রমাণ করে যে, সুস্থ, স্বাভাবিক ও প্রশান্তির জীবনযাপন করতে নারী-পুরুষের পারস্পরিক সম্পর্কের বিকল্প নেই। তাই ইসলাম প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষকে বিয়ের নির্দেশ দেয়।

কবর জিয়ারত করা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এটি। ইসলামের প্রথম যুগে কবর জিয়ারত নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে আবার এর অনুমতি দেওয়া হয়। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমি তোমাদের কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন থেকে কবর জিয়ারত করো। কারণ তা দুনিয়াবিমুখতা এনে দেয় এবং আখিরাতের কথা

প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো, ইবাদতের মাধ্যমে মসজিদ আবাদ করা, প্রাণবন্ত ও চালু রাখা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদগুলো আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না।’