ইজাজুল হক
ইসলামে সবুজ রঙের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এটি পরিবেশ এবং টেকসই জীবনেরও প্রতীক। এ দুটি বিষয় একাকার হয়েছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে নির্মিত ইউরোপের প্রথম ইকো-মসজিদে। ২০০৮ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল এবং ২৪ এপ্রিল ২০১৯ সালে তা শেষ হয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
স্থাপত্যশৈলীতে মসজিদটির স্থপতিদের কর্মকুশলতা ও দক্ষতার ছাপ স্পষ্ট। এই বৈপ্লবিক স্থাপত্য নির্মাণে নেতৃত্ব দিয়েছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের লেকচারার টিম উইন্টার। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি আবদুল হাকিম মুরাদ নাম গ্রহণ করেছিলেন। এই নামেই এখন তিনি যুক্তরাজ্যসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে পরিচিত। শায়খ মুরাদ যুক্তরাজ্য, মিসর ও সৌদি আরবে ইসলাম বিষয়ে বিস্তর পড়াশোনা করেন। মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০০ ব্যক্তির একজন তিনি।
কেমব্রিজে ৮ হাজারের বেশি মুসলমান বসবাস করলেও কোনো স্থায়ী মসজিদ ছিল না। এই অভাব পূরণে শায়খ মুরাদ ২০০৮ সালে কেমব্রিজ মসজিদ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন এবং বড় পরিসরে একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেন। শায়খ মুরাদের লক্ষ্য ছিল একটি পরিবেশবান্ধব আধুনিক ইসলামি স্থাপত্য গড়ে তোলা। এর জন্য এক একর জমি কেনা হয় এবং আন্তর্জাতিক মানের নকশা পেতে একটি প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। এতে প্রখ্যাত ব্রিটিশ স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান মার্কস বারফিল্ডের নকশাটি নির্বাচিত হয়।
মসজিদের প্রবেশপথের দুপাশে সবুজ বাগান এবং মাঝখানে তুর্কি মার্বেল পাথর বসানো জ্যামিতিক নকশার উঠোন। উঠোনের মাঝখানে একটি ঝরনা। দুপাশে কাঠের চেয়ার পাতানো। বাইরে থেকেই দেখা যায় বাঁকা কাঠের সমন্বয়ে গঠিত মসজিদের স্তম্ভগুলো। ছাদ থেকে প্রাকৃতিক আলো-বাতাস আসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। রয়েছে পূর্ণাঙ্গ সৌর বিদ্যুতায়িত ব্যবস্থা।
মসজিদে রয়েছে ১ হাজার মুসল্লি ধারণক্ষমতার হলরুম। নারীদের নামাজের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রয়েছে একটি করে রেস্তোরাঁ, ক্লাসরুম, সামাজিক অনুষ্ঠানকক্ষ, প্রদর্শনীকক্ষ, ইমামের কক্ষ এবং চার বেডের দুটি অ্যাপার্টমেন্ট। এ ছাড়া শিশুদের খেলার স্থান এবং কবরের জন্যও আলাদা জায়গা রাখা হয়েছে।
মজবুত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান লার্চ কাঠ দিয়ে কাঠের স্তম্ভগুলো তৈরি করা হয়েছে। ছাদে রয়েছে হিটিং সিস্টেম এবং বৃষ্টির পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা। অজুর পানির পুনর্ব্যবহার হবে বাগানে এবং টয়লেট পরিষ্কার করার কাজে। ছাদে রয়েছে সেডাম মোস নামের উদ্ভিদ, যা পোকামাকড় ও পাখিদের বসবাসের উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করে। রয়েছে স্বয়ংক্রিয় গরম পানির ব্যবস্থা। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে হিট পাম্পিং সিস্টেম। পুরো কমপ্লেক্সে আটটি বাক্সও রয়েছে, যা ব্রিটেনের বিপন্ন প্রজাতির পাখিদের নিরাপদ আবাসস্থল।
এই মসজিদ নির্মাণে ২৬০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়। এতে মুসলিম বিশ্বের বড় বড় ধনকুবেরসহ সাধারণ মুসলমানগণ অংশ নিয়েছেন। কেমব্রিজের সাধারণ লোকজন এই প্রকল্পের প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও আর্থিক সহায়তা করলেও কিছু ডানপন্থী সংগঠন বিরোধিতা করেছিল। তবে তাদের বিরোধিতা ধোপে টেকেনি। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনেই এটি নির্মাণ করা হয়।
মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা শায়খ মুরাদ জানান, শিয়া-সুন্নি বিরোধ এই মসজিদে গৌণ। সবাই এক কাতারে নামাজ পড়েন। এখানে সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদের কোনো স্থান নেই। ইমাম নির্বাচন করা হয় অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই, এটি এমন এক জায়গা হোক, যেখানে সব ধর্মের মানুষ একত্র হবে। কারণ এই মসজিদ শুধু কেমব্রিজের মুসলমানদের নয়, যেকোনো দেশের, যেকোনো ধর্মের, যেকোনো মানুষের প্রিয় ঠিকানা হবে।’
সূত্র: আরব নিউজ
ইসলামে সবুজ রঙের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এটি পরিবেশ এবং টেকসই জীবনেরও প্রতীক। এ দুটি বিষয় একাকার হয়েছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে নির্মিত ইউরোপের প্রথম ইকো-মসজিদে। ২০০৮ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল এবং ২৪ এপ্রিল ২০১৯ সালে তা শেষ হয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
স্থাপত্যশৈলীতে মসজিদটির স্থপতিদের কর্মকুশলতা ও দক্ষতার ছাপ স্পষ্ট। এই বৈপ্লবিক স্থাপত্য নির্মাণে নেতৃত্ব দিয়েছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের লেকচারার টিম উইন্টার। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি আবদুল হাকিম মুরাদ নাম গ্রহণ করেছিলেন। এই নামেই এখন তিনি যুক্তরাজ্যসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে পরিচিত। শায়খ মুরাদ যুক্তরাজ্য, মিসর ও সৌদি আরবে ইসলাম বিষয়ে বিস্তর পড়াশোনা করেন। মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০০ ব্যক্তির একজন তিনি।
কেমব্রিজে ৮ হাজারের বেশি মুসলমান বসবাস করলেও কোনো স্থায়ী মসজিদ ছিল না। এই অভাব পূরণে শায়খ মুরাদ ২০০৮ সালে কেমব্রিজ মসজিদ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন এবং বড় পরিসরে একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেন। শায়খ মুরাদের লক্ষ্য ছিল একটি পরিবেশবান্ধব আধুনিক ইসলামি স্থাপত্য গড়ে তোলা। এর জন্য এক একর জমি কেনা হয় এবং আন্তর্জাতিক মানের নকশা পেতে একটি প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। এতে প্রখ্যাত ব্রিটিশ স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান মার্কস বারফিল্ডের নকশাটি নির্বাচিত হয়।
মসজিদের প্রবেশপথের দুপাশে সবুজ বাগান এবং মাঝখানে তুর্কি মার্বেল পাথর বসানো জ্যামিতিক নকশার উঠোন। উঠোনের মাঝখানে একটি ঝরনা। দুপাশে কাঠের চেয়ার পাতানো। বাইরে থেকেই দেখা যায় বাঁকা কাঠের সমন্বয়ে গঠিত মসজিদের স্তম্ভগুলো। ছাদ থেকে প্রাকৃতিক আলো-বাতাস আসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। রয়েছে পূর্ণাঙ্গ সৌর বিদ্যুতায়িত ব্যবস্থা।
মসজিদে রয়েছে ১ হাজার মুসল্লি ধারণক্ষমতার হলরুম। নারীদের নামাজের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রয়েছে একটি করে রেস্তোরাঁ, ক্লাসরুম, সামাজিক অনুষ্ঠানকক্ষ, প্রদর্শনীকক্ষ, ইমামের কক্ষ এবং চার বেডের দুটি অ্যাপার্টমেন্ট। এ ছাড়া শিশুদের খেলার স্থান এবং কবরের জন্যও আলাদা জায়গা রাখা হয়েছে।
মজবুত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান লার্চ কাঠ দিয়ে কাঠের স্তম্ভগুলো তৈরি করা হয়েছে। ছাদে রয়েছে হিটিং সিস্টেম এবং বৃষ্টির পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা। অজুর পানির পুনর্ব্যবহার হবে বাগানে এবং টয়লেট পরিষ্কার করার কাজে। ছাদে রয়েছে সেডাম মোস নামের উদ্ভিদ, যা পোকামাকড় ও পাখিদের বসবাসের উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করে। রয়েছে স্বয়ংক্রিয় গরম পানির ব্যবস্থা। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে হিট পাম্পিং সিস্টেম। পুরো কমপ্লেক্সে আটটি বাক্সও রয়েছে, যা ব্রিটেনের বিপন্ন প্রজাতির পাখিদের নিরাপদ আবাসস্থল।
এই মসজিদ নির্মাণে ২৬০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়। এতে মুসলিম বিশ্বের বড় বড় ধনকুবেরসহ সাধারণ মুসলমানগণ অংশ নিয়েছেন। কেমব্রিজের সাধারণ লোকজন এই প্রকল্পের প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও আর্থিক সহায়তা করলেও কিছু ডানপন্থী সংগঠন বিরোধিতা করেছিল। তবে তাদের বিরোধিতা ধোপে টেকেনি। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনেই এটি নির্মাণ করা হয়।
মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা শায়খ মুরাদ জানান, শিয়া-সুন্নি বিরোধ এই মসজিদে গৌণ। সবাই এক কাতারে নামাজ পড়েন। এখানে সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদের কোনো স্থান নেই। ইমাম নির্বাচন করা হয় অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই, এটি এমন এক জায়গা হোক, যেখানে সব ধর্মের মানুষ একত্র হবে। কারণ এই মসজিদ শুধু কেমব্রিজের মুসলমানদের নয়, যেকোনো দেশের, যেকোনো ধর্মের, যেকোনো মানুষের প্রিয় ঠিকানা হবে।’
সূত্র: আরব নিউজ
ইজাজুল হক
ইসলামে সবুজ রঙের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এটি পরিবেশ এবং টেকসই জীবনেরও প্রতীক। এ দুটি বিষয় একাকার হয়েছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে নির্মিত ইউরোপের প্রথম ইকো-মসজিদে। ২০০৮ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল এবং ২৪ এপ্রিল ২০১৯ সালে তা শেষ হয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
স্থাপত্যশৈলীতে মসজিদটির স্থপতিদের কর্মকুশলতা ও দক্ষতার ছাপ স্পষ্ট। এই বৈপ্লবিক স্থাপত্য নির্মাণে নেতৃত্ব দিয়েছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের লেকচারার টিম উইন্টার। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি আবদুল হাকিম মুরাদ নাম গ্রহণ করেছিলেন। এই নামেই এখন তিনি যুক্তরাজ্যসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে পরিচিত। শায়খ মুরাদ যুক্তরাজ্য, মিসর ও সৌদি আরবে ইসলাম বিষয়ে বিস্তর পড়াশোনা করেন। মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০০ ব্যক্তির একজন তিনি।
কেমব্রিজে ৮ হাজারের বেশি মুসলমান বসবাস করলেও কোনো স্থায়ী মসজিদ ছিল না। এই অভাব পূরণে শায়খ মুরাদ ২০০৮ সালে কেমব্রিজ মসজিদ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন এবং বড় পরিসরে একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেন। শায়খ মুরাদের লক্ষ্য ছিল একটি পরিবেশবান্ধব আধুনিক ইসলামি স্থাপত্য গড়ে তোলা। এর জন্য এক একর জমি কেনা হয় এবং আন্তর্জাতিক মানের নকশা পেতে একটি প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। এতে প্রখ্যাত ব্রিটিশ স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান মার্কস বারফিল্ডের নকশাটি নির্বাচিত হয়।
মসজিদের প্রবেশপথের দুপাশে সবুজ বাগান এবং মাঝখানে তুর্কি মার্বেল পাথর বসানো জ্যামিতিক নকশার উঠোন। উঠোনের মাঝখানে একটি ঝরনা। দুপাশে কাঠের চেয়ার পাতানো। বাইরে থেকেই দেখা যায় বাঁকা কাঠের সমন্বয়ে গঠিত মসজিদের স্তম্ভগুলো। ছাদ থেকে প্রাকৃতিক আলো-বাতাস আসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। রয়েছে পূর্ণাঙ্গ সৌর বিদ্যুতায়িত ব্যবস্থা।
মসজিদে রয়েছে ১ হাজার মুসল্লি ধারণক্ষমতার হলরুম। নারীদের নামাজের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রয়েছে একটি করে রেস্তোরাঁ, ক্লাসরুম, সামাজিক অনুষ্ঠানকক্ষ, প্রদর্শনীকক্ষ, ইমামের কক্ষ এবং চার বেডের দুটি অ্যাপার্টমেন্ট। এ ছাড়া শিশুদের খেলার স্থান এবং কবরের জন্যও আলাদা জায়গা রাখা হয়েছে।
মজবুত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান লার্চ কাঠ দিয়ে কাঠের স্তম্ভগুলো তৈরি করা হয়েছে। ছাদে রয়েছে হিটিং সিস্টেম এবং বৃষ্টির পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা। অজুর পানির পুনর্ব্যবহার হবে বাগানে এবং টয়লেট পরিষ্কার করার কাজে। ছাদে রয়েছে সেডাম মোস নামের উদ্ভিদ, যা পোকামাকড় ও পাখিদের বসবাসের উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করে। রয়েছে স্বয়ংক্রিয় গরম পানির ব্যবস্থা। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে হিট পাম্পিং সিস্টেম। পুরো কমপ্লেক্সে আটটি বাক্সও রয়েছে, যা ব্রিটেনের বিপন্ন প্রজাতির পাখিদের নিরাপদ আবাসস্থল।
এই মসজিদ নির্মাণে ২৬০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়। এতে মুসলিম বিশ্বের বড় বড় ধনকুবেরসহ সাধারণ মুসলমানগণ অংশ নিয়েছেন। কেমব্রিজের সাধারণ লোকজন এই প্রকল্পের প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও আর্থিক সহায়তা করলেও কিছু ডানপন্থী সংগঠন বিরোধিতা করেছিল। তবে তাদের বিরোধিতা ধোপে টেকেনি। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনেই এটি নির্মাণ করা হয়।
মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা শায়খ মুরাদ জানান, শিয়া-সুন্নি বিরোধ এই মসজিদে গৌণ। সবাই এক কাতারে নামাজ পড়েন। এখানে সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদের কোনো স্থান নেই। ইমাম নির্বাচন করা হয় অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই, এটি এমন এক জায়গা হোক, যেখানে সব ধর্মের মানুষ একত্র হবে। কারণ এই মসজিদ শুধু কেমব্রিজের মুসলমানদের নয়, যেকোনো দেশের, যেকোনো ধর্মের, যেকোনো মানুষের প্রিয় ঠিকানা হবে।’
সূত্র: আরব নিউজ
ইসলামে সবুজ রঙের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এটি পরিবেশ এবং টেকসই জীবনেরও প্রতীক। এ দুটি বিষয় একাকার হয়েছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে নির্মিত ইউরোপের প্রথম ইকো-মসজিদে। ২০০৮ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল এবং ২৪ এপ্রিল ২০১৯ সালে তা শেষ হয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
স্থাপত্যশৈলীতে মসজিদটির স্থপতিদের কর্মকুশলতা ও দক্ষতার ছাপ স্পষ্ট। এই বৈপ্লবিক স্থাপত্য নির্মাণে নেতৃত্ব দিয়েছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের লেকচারার টিম উইন্টার। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি আবদুল হাকিম মুরাদ নাম গ্রহণ করেছিলেন। এই নামেই এখন তিনি যুক্তরাজ্যসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে পরিচিত। শায়খ মুরাদ যুক্তরাজ্য, মিসর ও সৌদি আরবে ইসলাম বিষয়ে বিস্তর পড়াশোনা করেন। মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০০ ব্যক্তির একজন তিনি।
কেমব্রিজে ৮ হাজারের বেশি মুসলমান বসবাস করলেও কোনো স্থায়ী মসজিদ ছিল না। এই অভাব পূরণে শায়খ মুরাদ ২০০৮ সালে কেমব্রিজ মসজিদ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন এবং বড় পরিসরে একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেন। শায়খ মুরাদের লক্ষ্য ছিল একটি পরিবেশবান্ধব আধুনিক ইসলামি স্থাপত্য গড়ে তোলা। এর জন্য এক একর জমি কেনা হয় এবং আন্তর্জাতিক মানের নকশা পেতে একটি প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। এতে প্রখ্যাত ব্রিটিশ স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান মার্কস বারফিল্ডের নকশাটি নির্বাচিত হয়।
মসজিদের প্রবেশপথের দুপাশে সবুজ বাগান এবং মাঝখানে তুর্কি মার্বেল পাথর বসানো জ্যামিতিক নকশার উঠোন। উঠোনের মাঝখানে একটি ঝরনা। দুপাশে কাঠের চেয়ার পাতানো। বাইরে থেকেই দেখা যায় বাঁকা কাঠের সমন্বয়ে গঠিত মসজিদের স্তম্ভগুলো। ছাদ থেকে প্রাকৃতিক আলো-বাতাস আসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। রয়েছে পূর্ণাঙ্গ সৌর বিদ্যুতায়িত ব্যবস্থা।
মসজিদে রয়েছে ১ হাজার মুসল্লি ধারণক্ষমতার হলরুম। নারীদের নামাজের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রয়েছে একটি করে রেস্তোরাঁ, ক্লাসরুম, সামাজিক অনুষ্ঠানকক্ষ, প্রদর্শনীকক্ষ, ইমামের কক্ষ এবং চার বেডের দুটি অ্যাপার্টমেন্ট। এ ছাড়া শিশুদের খেলার স্থান এবং কবরের জন্যও আলাদা জায়গা রাখা হয়েছে।
মজবুত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান লার্চ কাঠ দিয়ে কাঠের স্তম্ভগুলো তৈরি করা হয়েছে। ছাদে রয়েছে হিটিং সিস্টেম এবং বৃষ্টির পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা। অজুর পানির পুনর্ব্যবহার হবে বাগানে এবং টয়লেট পরিষ্কার করার কাজে। ছাদে রয়েছে সেডাম মোস নামের উদ্ভিদ, যা পোকামাকড় ও পাখিদের বসবাসের উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করে। রয়েছে স্বয়ংক্রিয় গরম পানির ব্যবস্থা। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে হিট পাম্পিং সিস্টেম। পুরো কমপ্লেক্সে আটটি বাক্সও রয়েছে, যা ব্রিটেনের বিপন্ন প্রজাতির পাখিদের নিরাপদ আবাসস্থল।
এই মসজিদ নির্মাণে ২৬০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়। এতে মুসলিম বিশ্বের বড় বড় ধনকুবেরসহ সাধারণ মুসলমানগণ অংশ নিয়েছেন। কেমব্রিজের সাধারণ লোকজন এই প্রকল্পের প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও আর্থিক সহায়তা করলেও কিছু ডানপন্থী সংগঠন বিরোধিতা করেছিল। তবে তাদের বিরোধিতা ধোপে টেকেনি। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনেই এটি নির্মাণ করা হয়।
মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা শায়খ মুরাদ জানান, শিয়া-সুন্নি বিরোধ এই মসজিদে গৌণ। সবাই এক কাতারে নামাজ পড়েন। এখানে সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদের কোনো স্থান নেই। ইমাম নির্বাচন করা হয় অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই, এটি এমন এক জায়গা হোক, যেখানে সব ধর্মের মানুষ একত্র হবে। কারণ এই মসজিদ শুধু কেমব্রিজের মুসলমানদের নয়, যেকোনো দেশের, যেকোনো ধর্মের, যেকোনো মানুষের প্রিয় ঠিকানা হবে।’
সূত্র: আরব নিউজ
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
৯ ঘণ্টা আগেচরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
ইসলামে সবুজ রঙের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এটি পরিবেশ এবং টেকসই জীবনেরও প্রতীক। এ দুটি বিষয় একাকার হয়েছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে নির্মিত ইউরোপের প্রথম ইকো-মসজিদে। ২০০৮ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল এবং ২৪ এপ্রিল ২০১৯ সালে তা শেষ হয়।
১৮ আগস্ট ২০২৩এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
৯ ঘণ্টা আগেচরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
বিয়ে মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটি কেবল দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবার, দুটি আত্মা ও দুটি হৃদয়ের পবিত্র বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবনে গড়ে ওঠে পারস্পরিক ভালোবাসা, শান্তি ও মধুর সম্পর্ক।
তাই ইসলাম এই সম্পর্ককে শুধু সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখেনি, বরং একে করেছে ইবাদতের অংশ। এ কারণেই নবীজি (সা.) পুরুষদের স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা হয়। ১. তার সম্পদ, ২. তার বংশমর্যাদা, ৩. তার সৌন্দর্য, ৪. তার দ্বীনদার। অতএব তুমি দ্বীনদারকেই প্রাধান্য দাও। না হলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫০৯০)
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
কারণ, সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী, সম্পদ পরিবর্তনশীল, বংশমর্যাদা বাহ্যিক মর্যাদা মাত্র; কিন্তু দ্বীনদার হলো এমন এক গুণ, যা জীবনকে আখিরাতের সফলতার পথে নিয়ে যায় এবং দাম্পত্যসম্পর্ককে প্রকৃত অর্থে স্থায়ী সুখ-শান্তির নিশ্চয়তা দেয়।
নবীজি (সা.)-এর এ নির্দেশনার মূল কথা হলো, যখনই দ্বীনদার কোনো নারী পাওয়া যাবে, তখন তাকেই সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো গুণসম্পন্নাকে প্রাধান্য দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না।
কারণ দ্বীনদার ছাড়া অন্য সব গুণ একসময় ম্লান হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীনদারের আলো দাম্পত্যজীবনকে চিরভালোবাসা, আস্থা ও সন্তুষ্টিতে ভরিয়ে রাখে।
অতএব, একজন মুসলিম যুবকের জন্য স্ত্রী নির্বাচনকালে সর্বোত্তম নির্দেশনা হলো, এমন নারীকে বেছে নেওয়া, যিনি দ্বীনদার, আল্লাহভীরু ও ইসলামি আদর্শে জীবন পরিচালনা করতে অভ্যস্ত। এর মাধ্যমে সংসার হবে শান্তিময়, জীবন হবে কল্যাণময় এবং আখিরাত হবে সফল।
লেখক: ইবরাহীম আল খলীল, সহকারী শিক্ষাসচিব, মাদ্রাসা আশরাফুল মাদারিস, তেজগাঁও ঢাকা
বিয়ে মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটি কেবল দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবার, দুটি আত্মা ও দুটি হৃদয়ের পবিত্র বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবনে গড়ে ওঠে পারস্পরিক ভালোবাসা, শান্তি ও মধুর সম্পর্ক।
তাই ইসলাম এই সম্পর্ককে শুধু সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখেনি, বরং একে করেছে ইবাদতের অংশ। এ কারণেই নবীজি (সা.) পুরুষদের স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা হয়। ১. তার সম্পদ, ২. তার বংশমর্যাদা, ৩. তার সৌন্দর্য, ৪. তার দ্বীনদার। অতএব তুমি দ্বীনদারকেই প্রাধান্য দাও। না হলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫০৯০)
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
কারণ, সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী, সম্পদ পরিবর্তনশীল, বংশমর্যাদা বাহ্যিক মর্যাদা মাত্র; কিন্তু দ্বীনদার হলো এমন এক গুণ, যা জীবনকে আখিরাতের সফলতার পথে নিয়ে যায় এবং দাম্পত্যসম্পর্ককে প্রকৃত অর্থে স্থায়ী সুখ-শান্তির নিশ্চয়তা দেয়।
নবীজি (সা.)-এর এ নির্দেশনার মূল কথা হলো, যখনই দ্বীনদার কোনো নারী পাওয়া যাবে, তখন তাকেই সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো গুণসম্পন্নাকে প্রাধান্য দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না।
কারণ দ্বীনদার ছাড়া অন্য সব গুণ একসময় ম্লান হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীনদারের আলো দাম্পত্যজীবনকে চিরভালোবাসা, আস্থা ও সন্তুষ্টিতে ভরিয়ে রাখে।
অতএব, একজন মুসলিম যুবকের জন্য স্ত্রী নির্বাচনকালে সর্বোত্তম নির্দেশনা হলো, এমন নারীকে বেছে নেওয়া, যিনি দ্বীনদার, আল্লাহভীরু ও ইসলামি আদর্শে জীবন পরিচালনা করতে অভ্যস্ত। এর মাধ্যমে সংসার হবে শান্তিময়, জীবন হবে কল্যাণময় এবং আখিরাত হবে সফল।
লেখক: ইবরাহীম আল খলীল, সহকারী শিক্ষাসচিব, মাদ্রাসা আশরাফুল মাদারিস, তেজগাঁও ঢাকা
ইসলামে সবুজ রঙের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এটি পরিবেশ এবং টেকসই জীবনেরও প্রতীক। এ দুটি বিষয় একাকার হয়েছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে নির্মিত ইউরোপের প্রথম ইকো-মসজিদে। ২০০৮ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল এবং ২৪ এপ্রিল ২০১৯ সালে তা শেষ হয়।
১৮ আগস্ট ২০২৩নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগেচরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেশাব্বির আহমদ
চরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ। কেউ যখন লজ্জাবোধ হারায়, তার তখন নৈতিক পতনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কেননা কোনো পাপকাজে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে লজ্জাহীন ব্যক্তির আর কোনো দ্বিধা থাকে না।
নবী করিম (সা.) স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, ‘লজ্জা ইমানের একটি বিশেষ শাখা।’ (সহিহ্ বুখারি)। আর এ লজ্জাবোধ মানুষকে ইমান ও স্বচ্ছতার পথে চলতে সহযোগিতা করে। বলা যায়, লজ্জা হলো একটি অভ্যন্তরীণ জবাবদিহির কাঠগড়া, যা মানুষকে পাপ ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। যার মধ্যে লাজুকতা যতটুকু থাকে, সে পাপ ও অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে ততটাই সংকোচবোধ করে।
লজ্জাহীনতা কেন নৈতিক পতনের প্রথম ধাপ? কারণ, যখন লজ্জা চলে যায়, তখন আর কোনো কিছুই নৈতিক মানদণ্ড হিসেবে অবশিষ্ট থাকে না। নবীজি (সা.) চরম লজ্জাহীনতার পরিণতি বোঝাতে গিয়ে বলেন, ‘যখন তুমি নির্লজ্জ হয়ে পড়বে, তখন যা ইচ্ছা তা-ই করো।’ (সহিহ্ বুখারি)। তাঁর এ কথাটি মূলত একটি হুঁশিয়ারি। লজ্জাহীনতা মানুষকে সব ধরনের অন্যায় ও অশ্লীল কাজের দিকে ঠেলে দেয়, যা শেষ পর্যন্ত তাকে ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত করে। পক্ষান্তরে লজ্জাশীলতা মানুষকে জান্নাতের পথে নিয়ে যায়। হাদিসের ভাষায়, ‘লজ্জা ইমানের অঙ্গ, আর ইমানদারের স্থান জান্নাত। লজ্জাহীনতা দুশ্চরিত্রের অঙ্গ, আর দুশ্চরিত্রের স্থান জাহান্নাম।’ (জামে তিরমিজি)
চরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ। কেউ যখন লজ্জাবোধ হারায়, তার তখন নৈতিক পতনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কেননা কোনো পাপকাজে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে লজ্জাহীন ব্যক্তির আর কোনো দ্বিধা থাকে না।
নবী করিম (সা.) স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, ‘লজ্জা ইমানের একটি বিশেষ শাখা।’ (সহিহ্ বুখারি)। আর এ লজ্জাবোধ মানুষকে ইমান ও স্বচ্ছতার পথে চলতে সহযোগিতা করে। বলা যায়, লজ্জা হলো একটি অভ্যন্তরীণ জবাবদিহির কাঠগড়া, যা মানুষকে পাপ ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। যার মধ্যে লাজুকতা যতটুকু থাকে, সে পাপ ও অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে ততটাই সংকোচবোধ করে।
লজ্জাহীনতা কেন নৈতিক পতনের প্রথম ধাপ? কারণ, যখন লজ্জা চলে যায়, তখন আর কোনো কিছুই নৈতিক মানদণ্ড হিসেবে অবশিষ্ট থাকে না। নবীজি (সা.) চরম লজ্জাহীনতার পরিণতি বোঝাতে গিয়ে বলেন, ‘যখন তুমি নির্লজ্জ হয়ে পড়বে, তখন যা ইচ্ছা তা-ই করো।’ (সহিহ্ বুখারি)। তাঁর এ কথাটি মূলত একটি হুঁশিয়ারি। লজ্জাহীনতা মানুষকে সব ধরনের অন্যায় ও অশ্লীল কাজের দিকে ঠেলে দেয়, যা শেষ পর্যন্ত তাকে ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত করে। পক্ষান্তরে লজ্জাশীলতা মানুষকে জান্নাতের পথে নিয়ে যায়। হাদিসের ভাষায়, ‘লজ্জা ইমানের অঙ্গ, আর ইমানদারের স্থান জান্নাত। লজ্জাহীনতা দুশ্চরিত্রের অঙ্গ, আর দুশ্চরিত্রের স্থান জাহান্নাম।’ (জামে তিরমিজি)
ইসলামে সবুজ রঙের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এটি পরিবেশ এবং টেকসই জীবনেরও প্রতীক। এ দুটি বিষয় একাকার হয়েছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে নির্মিত ইউরোপের প্রথম ইকো-মসজিদে। ২০০৮ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল এবং ২৪ এপ্রিল ২০১৯ সালে তা শেষ হয়।
১৮ আগস্ট ২০২৩নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৭ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৬ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৮ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৭ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৬ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৮ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
ইসলামে সবুজ রঙের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এটি পরিবেশ এবং টেকসই জীবনেরও প্রতীক। এ দুটি বিষয় একাকার হয়েছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে নির্মিত ইউরোপের প্রথম ইকো-মসজিদে। ২০০৮ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল এবং ২৪ এপ্রিল ২০১৯ সালে তা শেষ হয়।
১৮ আগস্ট ২০২৩নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
৯ ঘণ্টা আগেচরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ।
১৯ ঘণ্টা আগে