ডাক্তারের পরামর্শ

‘তোমার চোখ এত লাল কেন?’ এ প্রশ্ন শুনে যে কেউ বিব্রত হতে পারেন। সবাই তো আর কবির মতো রসিক নন। অবশ্য লাল চোখের জন্য খুব একটা বিচলিত হওয়ার কারণ না থাকলেও, চোখ লাল হওয়ার কারণ আছে অনেক।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বেড়েছে। এতে আক্রান্ত অধিকাংশ মানুষই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে রোগীরা, এমনকি তাঁদের উপসর্গ মৃদু হলেও, প্রাথমিকভাবে করোনামুক্ত হওয়ার পরও দীর্ঘদিন নানা জটিলতায় ভুগে থাকেন। আবার অনেক সময় রোগের উপসর্গগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয়। মোদ্দাকথা, একজন ব

রিমা আজকাল বিষণ্নতায় ভোগে। পিরিয়ডের দিনগুলোতে তার তলপেটে ভীষণ ব্যথা হয়। চিকিৎসক বলেছেন, নিয়মিত ব্যায়ামে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। কিন্তু মা কিছুতেই ব্যায়াম করতে দেন না। মা বলেন, এ সময় ব্যায়াম করলে জরায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আসলেই কি তাই?

চোখ ওঠা একটি স্পর্শকাতর রোগ। চিকিৎসা পরিভাষায় এটি কনজাংটিভাইটিস বা রেড/পিংক আই নামে পরিচিত। কনজাংটিভা নামে চোখের পর্দায় প্রদাহ হলে তাকে সাধারণত চোখ ওঠা রোগ বলা হয়।

ঠোঁটের কোণে বা কিনারায় অথবা ঠোঁটের আশপাশে যে গুচ্ছ ফুসকুড়ি ওঠে সেগুলোই জ্বরঠোসা বা জসারি। চিকিৎসা পরিভাষায় সেগুলোকে বলে ফিভার ব্লিস্টার। ফুসকুড়ি ওঠার দুই-তিন দিনের মধ্যে ঘা হয়। ঘা হয়ে ব্যথা হয়। অনেক সময় রসও পড়ে। শীতকালে এই জ্বরঠোসা একটু বেশি দেখা যায়।

ইতালিয়ান সোসাইটি অব ইন্টারনাল মেডিসিন কিছু স্বাস্থ্য পরামর্শ দিল আর তা এল এর সভাপতি জিওরগিও সাস্তির মাধ্যমে। আর এ সোসাইটি পৃথিবীর প্রাচীনতম মেডিকেল সোসাইটিও বটে।

বাসার যাবতীয় কাজ নিজেই করতে পছন্দ করেন করিম সাহেব। কিন্তু কিছুদিন ধরে খেয়াল করছেন, ভেজা কাপড় চেপার সময় বা স্ক্রু-ড্রাইভার চালানোর সময় কনুইয়ের বাইরের দিকে চিনচিনে ব্যথা হয়।

কখনো কখনো বসে থাকলে বুকের দিক থেকে একটা চিনচিনে ব্যথা প্রসারিত হয়ে পৌঁছে যায় পায়ের কাছে। আমার বয়স ৫৪। ডায়াবেটিস ও প্রেশার দুটোই আছে। কয়েক দিন থেকে ৩০ মিনিট করে নিয়মিত ব্যায়াম করছি। এ কারণে কি ব্যথা হচ্ছে? 

আমি একজন গৃহিণী। বয়স ২৬ বছর। ইদানীং যে সমস্যাটা হচ্ছে, কোনো কারণে রেগে গেলে উত্তেজনা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। অত্যন্ত চেঁচামেচি করতে থাকি। হাতের কাছের জিনিসপত্র ভাঙচুর করি। কখনো কখনো নিজের শরীরেও আঘাত করি। যখন এসব করি তখন কোনো বোধই কাজ করে না।

আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের খাবারের ধরনেও পরিবর্তন আসে। শীতের বেশির ভাগ সময় মিষ্টি ও চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। অন্যদিকে পর্যাপ্ত তরল বা পানীয় গ্রহণ না করার ফলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয় এবং ত্বক শুষ্ক, মলিন, রুক্ষ হয় ও চুল সতেজতা হারায়। অবশ্য শীত মৌসুমে

‘হ্যালুসিনেশন’ শব্দটির সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। এটি এমন এক মানসিক অবস্থা, যখন কেউ অজান্তে ভ্রান্তির মধ্যে বা অলীক কোনো বস্তু বা বিষয়ের ভেতর বসবাস করে। যেমন ধরুন, কেউ একজন হয়তো দাবি করল, অদৃশ্য কেউ তার কানে কানে কথা বলে যায়, তার মানে ওই ব্যক্তির শ্রবণেন্দ্রিয়ের হ্যালুসিনেশন ঘটে। হ্যালুসিনেশন দে

শিশুদের সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা দেখা দেয় সেটি হলো ডায়াপার বা ন্যাপি র‍্যাশ। দীর্ঘ সময় একই ডায়াপার পরিধানে পায়খানা-প্রস্রাব ত্বকের সংস্পর্শে আসে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় ঘাম। এসব একসঙ্গে তৈরি করে বিভিন্ন রকম সমস্যা। 

অটিজম নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার বলে পরিচিত। এটি মস্তিষ্কের বিকাশজনিত জটিলতা, যেখানে আক্রান্ত শিশু ভাষার দক্ষতা ও সামাজিক মিথস্ক্রিয়া করতে 

কোনো কারণে একটি চোখে বা দুটি চোখেই যদি এই স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ৬/৬-এর কম হয়ে থাকে, তাহলে এই সমস্যাকে বলা হয় ‘লেজি আই’ বা অ্যামব্লায়োপিয়া। অর্থাৎ দুর্বল বা অলস চোখ।

বর্তমানে নারী ও পুরুষ সবার সাধারণ সমস্যা চুল পড়ে যাওয়া। নিয়মিত শ্যাম্পু করা হচ্ছে, নামীদামি তেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করা হচ্ছে চুলে। তবুও কোনোভাবে চুল পড়া কমছে না।

আমাদের শরীরের যে গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী অঙ্গগুলো রয়েছে, তার মধ্যে কিডনি বা বৃক্ক অন্যতম। কিডনি একদিকে যেমন শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো শোষণ করে নেয় ও বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়, তেমনি শরীরের জন্য হরমোন তৈরি বা অম্ল ও ক্ষারের সামঞ্জস্যও বজায় রাখতে কাজ করে।

শরীরে মেদ হলে, বিশেষ করে তলপেটে মেদ হলে তা যেমন দৃষ্টিনন্দন থাকে না, তেমনি নানা রোগ-বালাইও ডেকে এনে হুলুস্থুল কাণ্ড তৈরি হয়।