অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহ্রিয়া
ডায়াবেটিস একটি নিরাময় অযোগ্য রোগ। ইদানীং ডায়াবেটিসকে লাইফস্টাইলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে নিতে বলা হয়। ২০১৯ সালে পুরো পৃথিবীতে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু আশঙ্কার কথা হলো, ২০৪৫ সাল নাগাদ ১০ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবে।
তারও থেকে ভয়ংকর তথ্য হলো, এ মাসের ১০ তারিখের আইডিএফ সদস্যদের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ডায়াবেটিসে ভুগছেন।
এখন প্রশ্ন হলো, এই ভোগান্তি কি শুধুই শারীরিক? উত্তর হলো, এর ব্যাপ্তি মনোদৈহিক।
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ডায়াবেটিক রোগীরা স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় বিষণ্নতায় ভোগেন দুই থেকে তিনগুণ বেশি। কারণ, রক্তে চিনির মাত্রা কম-বেশি হওয়ার ওপর বিষণ্নতার কিছু পরিমাপক নির্ভরশীল। রক্তে বেশি মাত্রায় চিনি থাকলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে স্নায়বিক ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায়। রক্তে বেশি মাত্রায় চিনি ইমোশনাল স্ট্রেস ও মুড সুইং বাড়ায়। কখনো কখনো রোগী নিজেই এমন কিছু করে ফেলেন বা বলে ফেলেন, তারপর মনে করেন, ‘ধুর, আমি এটা কী করলাম!’ পরে দেখা যায় তিনি নিজেই নিজের আচরণের জন্য লজ্জিত বা কুণ্ঠাবোধ করেন।
রক্তে চিনির মাত্রা কম-বেশি হওয়ার সঙ্গে আরেকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস জড়িত, ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বা কনফিউশন সৃষ্টি হওয়া। খেয়াল করে দেখবেন, ডায়াবেটিক রোগীরা অনেক সময় অনেক কিছু মনে রাখতে পারেন না। শুধু তাই নয়, খাওয়ার সময় পরিবর্তিত হলে তারা প্রচণ্ড খিটমিটে আচরণ করেন। আশার কথা হলো, এই বিষণ্নতার চমৎকার কার্যকর চিকিৎসাব্যবস্থা আছে। কিন্তু মুশকিল হলো, বেশির ভাগ রোগী নিজে অথবা পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানেন না।
শুধু বিষণ্নতা নয়, দুশ্চিন্তা, উল্টাপাল্টা খাওয়ার অভ্যাস, যেটাকে ইটিং ডিসঅর্ডার বলে, সেটাও ডায়াবেটিসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ক্ষেত্রবিশেষে সাইকোটিক ডিসঅর্ডার, যেমন সিজোফ্রেনিয়া রোগের সূত্রও খুঁজে পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
ইদানীং বিশ্বে বিল্ডিং বা সামগ্রিক ভালো থাকা নিয়ে ব্যাপক জোর দেওয়া হচ্ছে। সামগ্রিক ভালো থাকা আন্তঃসম্পর্ক থেকে শুরু করে যৌন স্বাস্থ্য পর্যন্ত বিস্তৃত। দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিস যখন যৌন দুর্বলতা ঘটায়, ক্ষেত্রবিশেষে সেটা কিন্তু আন্তঃসম্পর্ককে প্রভাবিত করে। কাজেই সম্পর্ককে আপনি কীভাবে বেঁধে রাখবেন, কীভাবে ছোট ছোট করে সম্পর্কের যত্ন নেবেন, সেটা আপনাকেই ভেবে বের করতে হবে। কারণ সম্পর্কগুলো চারাগাছের মতন। প্রতিদিন পরিচর্যা লাগে।
ডায়াবেটিস মানে জীবন থেমে থাকা নয়। ডায়াবেটিস নিয়েও মানুষ চাইলেই গুণগতমানে সমৃদ্ধ জীবন যাপন করতে পারে। আসল কথা হচ্ছে, আপনি চান কি না। যদি ডায়াবেটিস নিয়েও সুন্দর জীবন যাপন করতে চান, তার জন্য চেষ্টা করুন। একজন ডায়াবেটিক রোগীর সেই চেষ্টায় পুরো পরিবারের সহায়তা প্রয়োজন।
লেখক: চিকিৎসক ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, ঢাকা
ডায়াবেটিস একটি নিরাময় অযোগ্য রোগ। ইদানীং ডায়াবেটিসকে লাইফস্টাইলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে নিতে বলা হয়। ২০১৯ সালে পুরো পৃথিবীতে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু আশঙ্কার কথা হলো, ২০৪৫ সাল নাগাদ ১০ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবে।
তারও থেকে ভয়ংকর তথ্য হলো, এ মাসের ১০ তারিখের আইডিএফ সদস্যদের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ডায়াবেটিসে ভুগছেন।
এখন প্রশ্ন হলো, এই ভোগান্তি কি শুধুই শারীরিক? উত্তর হলো, এর ব্যাপ্তি মনোদৈহিক।
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ডায়াবেটিক রোগীরা স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় বিষণ্নতায় ভোগেন দুই থেকে তিনগুণ বেশি। কারণ, রক্তে চিনির মাত্রা কম-বেশি হওয়ার ওপর বিষণ্নতার কিছু পরিমাপক নির্ভরশীল। রক্তে বেশি মাত্রায় চিনি থাকলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে স্নায়বিক ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায়। রক্তে বেশি মাত্রায় চিনি ইমোশনাল স্ট্রেস ও মুড সুইং বাড়ায়। কখনো কখনো রোগী নিজেই এমন কিছু করে ফেলেন বা বলে ফেলেন, তারপর মনে করেন, ‘ধুর, আমি এটা কী করলাম!’ পরে দেখা যায় তিনি নিজেই নিজের আচরণের জন্য লজ্জিত বা কুণ্ঠাবোধ করেন।
রক্তে চিনির মাত্রা কম-বেশি হওয়ার সঙ্গে আরেকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস জড়িত, ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বা কনফিউশন সৃষ্টি হওয়া। খেয়াল করে দেখবেন, ডায়াবেটিক রোগীরা অনেক সময় অনেক কিছু মনে রাখতে পারেন না। শুধু তাই নয়, খাওয়ার সময় পরিবর্তিত হলে তারা প্রচণ্ড খিটমিটে আচরণ করেন। আশার কথা হলো, এই বিষণ্নতার চমৎকার কার্যকর চিকিৎসাব্যবস্থা আছে। কিন্তু মুশকিল হলো, বেশির ভাগ রোগী নিজে অথবা পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানেন না।
শুধু বিষণ্নতা নয়, দুশ্চিন্তা, উল্টাপাল্টা খাওয়ার অভ্যাস, যেটাকে ইটিং ডিসঅর্ডার বলে, সেটাও ডায়াবেটিসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ক্ষেত্রবিশেষে সাইকোটিক ডিসঅর্ডার, যেমন সিজোফ্রেনিয়া রোগের সূত্রও খুঁজে পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
ইদানীং বিশ্বে বিল্ডিং বা সামগ্রিক ভালো থাকা নিয়ে ব্যাপক জোর দেওয়া হচ্ছে। সামগ্রিক ভালো থাকা আন্তঃসম্পর্ক থেকে শুরু করে যৌন স্বাস্থ্য পর্যন্ত বিস্তৃত। দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিস যখন যৌন দুর্বলতা ঘটায়, ক্ষেত্রবিশেষে সেটা কিন্তু আন্তঃসম্পর্ককে প্রভাবিত করে। কাজেই সম্পর্ককে আপনি কীভাবে বেঁধে রাখবেন, কীভাবে ছোট ছোট করে সম্পর্কের যত্ন নেবেন, সেটা আপনাকেই ভেবে বের করতে হবে। কারণ সম্পর্কগুলো চারাগাছের মতন। প্রতিদিন পরিচর্যা লাগে।
ডায়াবেটিস মানে জীবন থেমে থাকা নয়। ডায়াবেটিস নিয়েও মানুষ চাইলেই গুণগতমানে সমৃদ্ধ জীবন যাপন করতে পারে। আসল কথা হচ্ছে, আপনি চান কি না। যদি ডায়াবেটিস নিয়েও সুন্দর জীবন যাপন করতে চান, তার জন্য চেষ্টা করুন। একজন ডায়াবেটিক রোগীর সেই চেষ্টায় পুরো পরিবারের সহায়তা প্রয়োজন।
লেখক: চিকিৎসক ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, ঢাকা
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ২০২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় তারা ভর্তি হয়েছে। তবে এ সময়ে কোনো ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়নি। আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য...
৮ ঘণ্টা আগেগরিব রোগীদের অনর্থক টেস্ট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিকিৎসকদের উদ্দেশে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, রোগের কথা ভালোভাবে না শুনেই অনেক চিকিৎসক অনর্থক ১৪-১৫টি পরীক্ষা দেন। গরিব রোগীদের প্রতি এই অত্যাচার বন্ধ করুন।
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চিকিৎসকদের পরামর্শপত্রে অপ্রয়োজনীয় রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা দেওয়ার চর্চার কড়া সমালোচনা করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। অনর্থক টেস্ট না দিতে এবং মধ্যস্বত্বভোগীর ভূমিকা না নিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) বাংলাদেশ প্রাইভেট হসপিটাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক
৯ ঘণ্টা আগেসরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) ব্যবস্থাপক ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, স্বাস্থ্য সহকারীদের আন্দোলন চলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে দেরি হয়েছে। তাই টিকাদান কর্মসূচি পিছিয়ে ১২ অক্টোবর ঠিক করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল রোববার নতুন এই সিদ্ধান্ত জানা
১১ ঘণ্টা আগে