ডা. নূরজাহান বেগম

ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র শব্দটির সঙ্গে একসময় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন শুধু বয়স্করা। কিন্তু বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই বড়দের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যেও ডায়াবেটিসের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি নবজাতকও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে।
শিশুদের ডায়াবেটিস সাধারণত টাইপ-১ ও টাইপ-২—এই দুই ধরনের।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস
অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ যখন পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না, তখন খুব অল্প সময়ের মধ্যে টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় শিশু। বলা হয়ে থাকে, একটি শিশু যখন টাইপ-১ ডায়াবেটিসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসে, ততক্ষণে তার অগ্ন্যাশয়ের ৮০ শতাংশ বিটা কোষ নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং এ ধরনের শিশু ইনসুলিন ছাড়া বাঁচতে পারে না। উপসর্গ প্রকাশ পাওয়ার পরপরই রোগ নির্ণয় করে ইনসুলিন দিয়ে চিকিৎসা শুরু না করলে এদের অবস্থা খুব দ্রুত অবনতির দিকে যেতে থাকে।
শরীর যখন ইনসুলিনের অভাবে গ্লুকোজ ব্যবহার করতে পারে না, তখন শক্তির জন্য চর্বি ও আমিষকে ভাঙতে থাকে। এতে বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ, বিশেষ করে অ্যাসিড-জাতীয় বস্তু রক্তে জমতে থাকে। অন্যদিকে আগে থেকেই রক্তে প্রচুর পরিমাণে অব্যবহৃত গ্লুকোজ থাকে। শরীর প্রস্রাবের মাধ্যমে এই গ্লুকোজ ও অ্যাসিড বের করার চেষ্টা করে। সে জন্যই ঘন ঘন পিপাসা লাগে এবং প্রস্রাব হয়। শরীরের ওজন কমতে থাকে। একপর্যায়ে মাত্রাতিরিক্ত অ্যাসিড বের করার জন্য শিশু ঘন ঘন লম্বা শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে থাকে। এতে রক্তচাপ কমে যায় এবং খুব দ্রুত অবস্থার অবনতি হয়। এই পরিস্থিতিকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিস। এটি স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা।
টোএসিডোসিসের প্রথম ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা খুবই জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ। আইসিইউ সাপোর্টসহ আরও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন হয় এ সময়। এর জন্য প্রয়োজন হয় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চিকিৎসক ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা। দেশের জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিসের পরিপূর্ণ চিকিৎসাব্যবস্থাপনা নেই। তাই বেশির ভাগ শিশুকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রেফার করা হয় উন্নত হাসপাতালে, যেটি আরও সময়ক্ষেপণ করে। আবার অনেক শিশুই ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিসের সঙ্গে সঙ্গে কিডনি ফেইলর কিংবা মস্তিষ্কের কোষ ফুলে যাওয়ার মতো জটিলতা নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এইসব জটিলতার মাধ্যমেই প্রকাশ পায়। তাই শিশুদের অতিরিক্ত পানি পান করা, অতিরিক্ত প্রস্রাব করা, রাতে ঘুম থেকে উঠে উঠে প্রস্রাব করা, ওজন কমে যাওয়ার মতো উপসর্গগুলো অবহেলা করা যাবে না। তাহলে শিশুদের এই জটিল ও প্রাণহানির মতো পরিস্থিতি থেকে বাঁচানো সম্ভব।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস
বয়ঃসন্ধির সময়, ওজন বেশি এবং যারা শারীরিক কাজকর্মহীন জীবনে অভ্যস্ত, তাদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বেশি। এ ধরনের শিশুদের গলা, ঘাড় ও বগলের চামড়া কালো ও মোটা হয়ে যায়, যেটি ইনসুলিন কাজ না করার পূর্বলক্ষণ। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে শিশুদের ইনসুলিন তৈরিতে সাধারণত সমস্যা থাকে না। তাই তাদের মুখে খাওয়ার ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা সম্ভব। তবে অনেক ক্ষেত্রে ইনসুলিনেরও প্রয়োজন হয়।
ডায়াবেটিস মানেই জীবন শেষ হয়ে যাওয়া নয়। ইনসুলিন কিংবা মুখের ওষুধ, শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনব্যবস্থা এবং নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার মধ্য দিয়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত একটি শিশু সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে সক্ষম।
লেখক: স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা

ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র শব্দটির সঙ্গে একসময় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন শুধু বয়স্করা। কিন্তু বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই বড়দের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যেও ডায়াবেটিসের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি নবজাতকও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে।
শিশুদের ডায়াবেটিস সাধারণত টাইপ-১ ও টাইপ-২—এই দুই ধরনের।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস
অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ যখন পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না, তখন খুব অল্প সময়ের মধ্যে টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় শিশু। বলা হয়ে থাকে, একটি শিশু যখন টাইপ-১ ডায়াবেটিসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসে, ততক্ষণে তার অগ্ন্যাশয়ের ৮০ শতাংশ বিটা কোষ নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং এ ধরনের শিশু ইনসুলিন ছাড়া বাঁচতে পারে না। উপসর্গ প্রকাশ পাওয়ার পরপরই রোগ নির্ণয় করে ইনসুলিন দিয়ে চিকিৎসা শুরু না করলে এদের অবস্থা খুব দ্রুত অবনতির দিকে যেতে থাকে।
শরীর যখন ইনসুলিনের অভাবে গ্লুকোজ ব্যবহার করতে পারে না, তখন শক্তির জন্য চর্বি ও আমিষকে ভাঙতে থাকে। এতে বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ, বিশেষ করে অ্যাসিড-জাতীয় বস্তু রক্তে জমতে থাকে। অন্যদিকে আগে থেকেই রক্তে প্রচুর পরিমাণে অব্যবহৃত গ্লুকোজ থাকে। শরীর প্রস্রাবের মাধ্যমে এই গ্লুকোজ ও অ্যাসিড বের করার চেষ্টা করে। সে জন্যই ঘন ঘন পিপাসা লাগে এবং প্রস্রাব হয়। শরীরের ওজন কমতে থাকে। একপর্যায়ে মাত্রাতিরিক্ত অ্যাসিড বের করার জন্য শিশু ঘন ঘন লম্বা শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে থাকে। এতে রক্তচাপ কমে যায় এবং খুব দ্রুত অবস্থার অবনতি হয়। এই পরিস্থিতিকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিস। এটি স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা।
টোএসিডোসিসের প্রথম ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা খুবই জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ। আইসিইউ সাপোর্টসহ আরও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন হয় এ সময়। এর জন্য প্রয়োজন হয় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চিকিৎসক ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা। দেশের জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিসের পরিপূর্ণ চিকিৎসাব্যবস্থাপনা নেই। তাই বেশির ভাগ শিশুকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রেফার করা হয় উন্নত হাসপাতালে, যেটি আরও সময়ক্ষেপণ করে। আবার অনেক শিশুই ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিসের সঙ্গে সঙ্গে কিডনি ফেইলর কিংবা মস্তিষ্কের কোষ ফুলে যাওয়ার মতো জটিলতা নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এইসব জটিলতার মাধ্যমেই প্রকাশ পায়। তাই শিশুদের অতিরিক্ত পানি পান করা, অতিরিক্ত প্রস্রাব করা, রাতে ঘুম থেকে উঠে উঠে প্রস্রাব করা, ওজন কমে যাওয়ার মতো উপসর্গগুলো অবহেলা করা যাবে না। তাহলে শিশুদের এই জটিল ও প্রাণহানির মতো পরিস্থিতি থেকে বাঁচানো সম্ভব।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস
বয়ঃসন্ধির সময়, ওজন বেশি এবং যারা শারীরিক কাজকর্মহীন জীবনে অভ্যস্ত, তাদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বেশি। এ ধরনের শিশুদের গলা, ঘাড় ও বগলের চামড়া কালো ও মোটা হয়ে যায়, যেটি ইনসুলিন কাজ না করার পূর্বলক্ষণ। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে শিশুদের ইনসুলিন তৈরিতে সাধারণত সমস্যা থাকে না। তাই তাদের মুখে খাওয়ার ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা সম্ভব। তবে অনেক ক্ষেত্রে ইনসুলিনেরও প্রয়োজন হয়।
ডায়াবেটিস মানেই জীবন শেষ হয়ে যাওয়া নয়। ইনসুলিন কিংবা মুখের ওষুধ, শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনব্যবস্থা এবং নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার মধ্য দিয়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত একটি শিশু সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে সক্ষম।
লেখক: স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা
ডা. নূরজাহান বেগম

ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র শব্দটির সঙ্গে একসময় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন শুধু বয়স্করা। কিন্তু বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই বড়দের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যেও ডায়াবেটিসের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি নবজাতকও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে।
শিশুদের ডায়াবেটিস সাধারণত টাইপ-১ ও টাইপ-২—এই দুই ধরনের।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস
অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ যখন পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না, তখন খুব অল্প সময়ের মধ্যে টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় শিশু। বলা হয়ে থাকে, একটি শিশু যখন টাইপ-১ ডায়াবেটিসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসে, ততক্ষণে তার অগ্ন্যাশয়ের ৮০ শতাংশ বিটা কোষ নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং এ ধরনের শিশু ইনসুলিন ছাড়া বাঁচতে পারে না। উপসর্গ প্রকাশ পাওয়ার পরপরই রোগ নির্ণয় করে ইনসুলিন দিয়ে চিকিৎসা শুরু না করলে এদের অবস্থা খুব দ্রুত অবনতির দিকে যেতে থাকে।
শরীর যখন ইনসুলিনের অভাবে গ্লুকোজ ব্যবহার করতে পারে না, তখন শক্তির জন্য চর্বি ও আমিষকে ভাঙতে থাকে। এতে বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ, বিশেষ করে অ্যাসিড-জাতীয় বস্তু রক্তে জমতে থাকে। অন্যদিকে আগে থেকেই রক্তে প্রচুর পরিমাণে অব্যবহৃত গ্লুকোজ থাকে। শরীর প্রস্রাবের মাধ্যমে এই গ্লুকোজ ও অ্যাসিড বের করার চেষ্টা করে। সে জন্যই ঘন ঘন পিপাসা লাগে এবং প্রস্রাব হয়। শরীরের ওজন কমতে থাকে। একপর্যায়ে মাত্রাতিরিক্ত অ্যাসিড বের করার জন্য শিশু ঘন ঘন লম্বা শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে থাকে। এতে রক্তচাপ কমে যায় এবং খুব দ্রুত অবস্থার অবনতি হয়। এই পরিস্থিতিকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিস। এটি স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা।
টোএসিডোসিসের প্রথম ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা খুবই জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ। আইসিইউ সাপোর্টসহ আরও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন হয় এ সময়। এর জন্য প্রয়োজন হয় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চিকিৎসক ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা। দেশের জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিসের পরিপূর্ণ চিকিৎসাব্যবস্থাপনা নেই। তাই বেশির ভাগ শিশুকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রেফার করা হয় উন্নত হাসপাতালে, যেটি আরও সময়ক্ষেপণ করে। আবার অনেক শিশুই ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিসের সঙ্গে সঙ্গে কিডনি ফেইলর কিংবা মস্তিষ্কের কোষ ফুলে যাওয়ার মতো জটিলতা নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এইসব জটিলতার মাধ্যমেই প্রকাশ পায়। তাই শিশুদের অতিরিক্ত পানি পান করা, অতিরিক্ত প্রস্রাব করা, রাতে ঘুম থেকে উঠে উঠে প্রস্রাব করা, ওজন কমে যাওয়ার মতো উপসর্গগুলো অবহেলা করা যাবে না। তাহলে শিশুদের এই জটিল ও প্রাণহানির মতো পরিস্থিতি থেকে বাঁচানো সম্ভব।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস
বয়ঃসন্ধির সময়, ওজন বেশি এবং যারা শারীরিক কাজকর্মহীন জীবনে অভ্যস্ত, তাদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বেশি। এ ধরনের শিশুদের গলা, ঘাড় ও বগলের চামড়া কালো ও মোটা হয়ে যায়, যেটি ইনসুলিন কাজ না করার পূর্বলক্ষণ। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে শিশুদের ইনসুলিন তৈরিতে সাধারণত সমস্যা থাকে না। তাই তাদের মুখে খাওয়ার ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা সম্ভব। তবে অনেক ক্ষেত্রে ইনসুলিনেরও প্রয়োজন হয়।
ডায়াবেটিস মানেই জীবন শেষ হয়ে যাওয়া নয়। ইনসুলিন কিংবা মুখের ওষুধ, শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনব্যবস্থা এবং নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার মধ্য দিয়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত একটি শিশু সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে সক্ষম।
লেখক: স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা

ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র শব্দটির সঙ্গে একসময় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন শুধু বয়স্করা। কিন্তু বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই বড়দের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যেও ডায়াবেটিসের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি নবজাতকও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে।
শিশুদের ডায়াবেটিস সাধারণত টাইপ-১ ও টাইপ-২—এই দুই ধরনের।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস
অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ যখন পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না, তখন খুব অল্প সময়ের মধ্যে টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় শিশু। বলা হয়ে থাকে, একটি শিশু যখন টাইপ-১ ডায়াবেটিসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসে, ততক্ষণে তার অগ্ন্যাশয়ের ৮০ শতাংশ বিটা কোষ নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং এ ধরনের শিশু ইনসুলিন ছাড়া বাঁচতে পারে না। উপসর্গ প্রকাশ পাওয়ার পরপরই রোগ নির্ণয় করে ইনসুলিন দিয়ে চিকিৎসা শুরু না করলে এদের অবস্থা খুব দ্রুত অবনতির দিকে যেতে থাকে।
শরীর যখন ইনসুলিনের অভাবে গ্লুকোজ ব্যবহার করতে পারে না, তখন শক্তির জন্য চর্বি ও আমিষকে ভাঙতে থাকে। এতে বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ, বিশেষ করে অ্যাসিড-জাতীয় বস্তু রক্তে জমতে থাকে। অন্যদিকে আগে থেকেই রক্তে প্রচুর পরিমাণে অব্যবহৃত গ্লুকোজ থাকে। শরীর প্রস্রাবের মাধ্যমে এই গ্লুকোজ ও অ্যাসিড বের করার চেষ্টা করে। সে জন্যই ঘন ঘন পিপাসা লাগে এবং প্রস্রাব হয়। শরীরের ওজন কমতে থাকে। একপর্যায়ে মাত্রাতিরিক্ত অ্যাসিড বের করার জন্য শিশু ঘন ঘন লম্বা শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে থাকে। এতে রক্তচাপ কমে যায় এবং খুব দ্রুত অবস্থার অবনতি হয়। এই পরিস্থিতিকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিস। এটি স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা।
টোএসিডোসিসের প্রথম ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা খুবই জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ। আইসিইউ সাপোর্টসহ আরও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন হয় এ সময়। এর জন্য প্রয়োজন হয় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চিকিৎসক ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা। দেশের জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিসের পরিপূর্ণ চিকিৎসাব্যবস্থাপনা নেই। তাই বেশির ভাগ শিশুকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রেফার করা হয় উন্নত হাসপাতালে, যেটি আরও সময়ক্ষেপণ করে। আবার অনেক শিশুই ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিসের সঙ্গে সঙ্গে কিডনি ফেইলর কিংবা মস্তিষ্কের কোষ ফুলে যাওয়ার মতো জটিলতা নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এইসব জটিলতার মাধ্যমেই প্রকাশ পায়। তাই শিশুদের অতিরিক্ত পানি পান করা, অতিরিক্ত প্রস্রাব করা, রাতে ঘুম থেকে উঠে উঠে প্রস্রাব করা, ওজন কমে যাওয়ার মতো উপসর্গগুলো অবহেলা করা যাবে না। তাহলে শিশুদের এই জটিল ও প্রাণহানির মতো পরিস্থিতি থেকে বাঁচানো সম্ভব।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস
বয়ঃসন্ধির সময়, ওজন বেশি এবং যারা শারীরিক কাজকর্মহীন জীবনে অভ্যস্ত, তাদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বেশি। এ ধরনের শিশুদের গলা, ঘাড় ও বগলের চামড়া কালো ও মোটা হয়ে যায়, যেটি ইনসুলিন কাজ না করার পূর্বলক্ষণ। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে শিশুদের ইনসুলিন তৈরিতে সাধারণত সমস্যা থাকে না। তাই তাদের মুখে খাওয়ার ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা সম্ভব। তবে অনেক ক্ষেত্রে ইনসুলিনেরও প্রয়োজন হয়।
ডায়াবেটিস মানেই জীবন শেষ হয়ে যাওয়া নয়। ইনসুলিন কিংবা মুখের ওষুধ, শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনব্যবস্থা এবং নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার মধ্য দিয়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত একটি শিশু সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে সক্ষম।
লেখক: স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
১ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪২৯, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭২ হাজার ৮২২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ১৪ বছরের কিশোরী আছে। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৩৫, ২৫, ৩৫, ৫৮ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৪৫২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪২৯, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭২ হাজার ৮২২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ১৪ বছরের কিশোরী আছে। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৩৫, ২৫, ৩৫, ৫৮ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৪৫২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র শব্দটির সঙ্গে একসময় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন শুধু বয়স্করা। কিন্তু বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই বড়দের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যেও ডায়াবেটিসের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি নবজাতকও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
১ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৬২ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪৩৬, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৩, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৭, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৩ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে ১৩ বছরের এক কিশোর আছে। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৫২, ৪২, ২৮ ও ৫০। তাঁদের মধ্যে দুজন নারী আর দুজন পুরুষ রয়েছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে ডিএনসিসিতে একজন, ডিএসসিসিতে তিনজন ও রাজশাহীর হাসপাতালে আরও একজন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৫১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৪১০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৬২ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪৩৬, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৩, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৭, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৩ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে ১৩ বছরের এক কিশোর আছে। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৫২, ৪২, ২৮ ও ৫০। তাঁদের মধ্যে দুজন নারী আর দুজন পুরুষ রয়েছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে ডিএনসিসিতে একজন, ডিএসসিসিতে তিনজন ও রাজশাহীর হাসপাতালে আরও একজন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৫১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৪১০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র শব্দটির সঙ্গে একসময় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন শুধু বয়স্করা। কিন্তু বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই বড়দের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যেও ডায়াবেটিসের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি নবজাতকও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
১ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, ফ্রিজ ভর্তি নীল বাক্স। বাক্সের গায়ে ঝলমলে হোলোগ্রাম, তাতে লেখা ‘মলিকিউল প্লাস।’ বিভিন্ন অনলাইন স্টোরে অর্ডারের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের ‘ওজন কমানোর যাত্রা’ শেয়ার করছে সামাজিক মাধ্যমে।
কিন্তু এর পেছনে আছে ভয়ানক এক ফাঁদ। ২২ বছর বয়সী মারিয়া অনলাইনের এক জনপ্রিয় দোকান থেকে এই পিল কিনেছিলেন। দিনে দুইটা করে খেতেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে তার মুখ শুকিয়ে যায়, খাবারের প্রতি সম্পূর্ণ অনীহা তৈরি হয়। তিনি বলেন, ‘খাওয়ার তো ইচ্ছে হতোই না, পান করতেও চাইতাম না। ভেতরে-ভেতরে অস্থির লাগত, ঠোঁট কামড়াতাম, গাল চিবাতাম।’
এরপর মারিয়া প্রবল উদ্বেগে ভুগতে থাকেন। তাঁর মনে নেতিবাচক চিন্তা ভর করে। তিনি বলেন, ‘এই পিলগুলো আমার মানসিক অবস্থার ওপর ভয়ানক প্রভাব ফেলেছিল।’ সেন্ট পিটার্সবার্গে বসবাসকারী মারিয়া জানান, এমন ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না।

অন্য টিকটক ব্যবহারকারীরাও জানান, পিল খাওয়ার পর তাদের চোখের মণি বড় হয়ে যায়, হাত কাঁপে, ঘুম আসে না। কমপক্ষে তিনজন স্কুলশিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এপ্রিলে সাইবেরিয়ার চিতা শহরের এক স্কুলছাত্রীকে ‘মলিকিউল’-এর অতিরিক্ত সেবনের পর হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সে দ্রুত ওজন কমিয়ে গ্রীষ্মের আগে ছিপছিপে হতে চেয়েছিল।
আরেক স্কুলছাত্রীর মা জানান, তাঁর মেয়েকে আইসিইউতে নিতে হয়েছিল, কারণ সে একসঙ্গে অনেকগুলো পিল খেয়েছিল। মে মাসে সেন্ট পিটার্সবার্গের ১৩ বছর বয়সী এক ছেলেকে হাসপাতালে নিতে হয়, কারণ সে হ্যালুসিনেশন ও আতঙ্কে ভুগছিল। স্কুলে ওজন নিয়ে উপহাস করার হতো তাকে। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সে এক বন্ধুর মাধ্যমে এই পিল কিনেছিল।
মলিকিউল পিলের মোড়কে সাধারণত লেখা থাকে ‘প্রাকৃতিক উপাদান’, যেমন—ড্যান্ডেলিয়ন রুট ও মৌরি বীজের নির্যাস দিয়ে তৈরি। কিন্তু এ বছরের শুরুতে রুশ দৈনিক ইজভেস্তিয়ার সাংবাদিকেরা অনলাইনে কেনা পিল পরীক্ষার জন্য জমা দেন। তাতে পাওয়া যায় ‘সিবিউট্রামিন’ নামের একটি পদার্থ।
এই সিবিউট্রামিন প্রথমে ১৯৮০-এর দশকে অবসাদনাশক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, পরে ক্ষুধা দমনকারী হিসেবে প্রচলিত হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায়, এটি হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, অথচ ওজন কমায় সামান্যই। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীনসহ অনেক দেশেই এখন অবৈধ।

রাশিয়ায় এটি এখনো ওজন কমানোর ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়, তবে কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এবং চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া সিবিউট্রামিন কেনাবেচা অপরাধ। কিন্তু তাতে এই ড্রাগের বিক্রি খুব একটা থামছে না। ব্যক্তিগত বিক্রেতা ও ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে এটি বিক্রি করছে—অনেক সময় বৈধ ওষুধের চেয়েও বেশি মাত্রায় এবং কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই।
এই অবৈধ পিলের দাম প্রায় ৮ থেকে ৯ ডলার, যা ২০ দিনের জন্য যথেষ্ট। অথচ রাশিয়ার বাজারে পরিচিত ওজন কমানোর ইনজেকশন যেমন ‘Ozempic’-এর দাম প্রতি মাসে ৪০ থেকে ১৬০ পাউন্ড (৫০ থেকে ২১০ ডলার)। সেন্ট পিটার্সবার্গের অন্তঃস্রাববিশেষজ্ঞ জেনিয়া সোলোভিয়েভা বলেন, ‘নিজে নিজে এই ওষুধ খাওয়া ভয়ানক বিপজ্জনক’, কারণ এসব তথাকথিত ‘ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট’-এ কত পরিমাণ সক্রিয় উপাদান আছে তা কেউ জানে না।
‘মলিকিউল’ বিক্রির দায়ে রাশিয়ায় নিয়মিত লোকজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকার অবৈধ বিক্রি বন্ধে হিমশিম খাচ্ছে। এপ্রিলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সেফ ইন্টারনেট লিগ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানায়। এরপর কয়েকটি বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস মলিকিউল তাদের কার্ট থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু অচিরেই এটি ফিরে আসে নতুন নামে—‘অ্যাটম।’ প্যাকেজিং প্রায় হুবহু আগের মতো।
সম্প্রতি রাশিয়ায় একটি আইন পাস হয়েছে, যাতে আদালতের আদেশ ছাড়াই ‘অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট বা খাদ্য পরিপূরক বিক্রি করা ওয়েবসাইট’ বন্ধ করা যায়। কিন্তু বিক্রেতারা এখন এসব পণ্যকে ‘স্পোর্টস নিউট্রিশন’ হিসেবে দেখিয়ে বিক্রি করছে।
টিকটকে এখনো এমন বিক্রেতা, যারা ‘মলিকিউল’ বিক্রি করছে। তবে নাম ভিন্ন—কখনো তা ‘মিউসলি’, ‘বিস্কুট’ বা ‘লাইটবাল্ব।’ কিছু বিক্রেতা তো আবার গোপনীয়তার ধারই ধারছেন না। কয়েক সপ্তাহ আগে বিবিসি এক জনপ্রিয় রুশ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ‘মলিকিউল’-এর তালিকা খুঁজে পায়। জানতে চাইলে সংস্থাটি জানায়, তারা দ্রুত সিবিউট্রামিনযুক্ত সব পণ্য সরিয়ে ফেলেছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, যেসব তালিকায় স্পষ্টভাবে ‘সিবিউট্রামিন’ লেখা নেই, সেগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
যদি কেউ কোনোভাবে ‘মলিকিউল’ কিনতে সক্ষম হয়, তবুও বোঝা মুশকিল আসলে কী পাওয়া যাচ্ছে—আর এই পিল কোথায় তৈরি হচ্ছে, তা-ও অনিশ্চিত। বিবিসি কিছু বিক্রেতার কাছে এমন সনদপত্র পেয়েছে, যাতে লেখা আছে চীনের গুয়াংজু ও হেনান প্রদেশের কারখানায় উৎপাদিত। আবার কেউ কেউ দাবি করে, পণ্যটি জার্মানি থেকে আনা।
কিছু প্যাকেটে লেখা থাকে, এটি জার্মানির রেমাগেন শহরে তৈরি। কিন্তু বিবিসি খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ওই ঠিকানায় এমন কোনো কোম্পানি নেই। আর কাজাখস্তানের কয়েকজন বিক্রেতা যারা রাশিয়ায় ‘মলিকিউল’ পাঠায়, তারা বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা পণ্যটি বন্ধুদের কাছ থেকে বা রাজধানী আস্তানার কিছু গুদাম থেকে সংগ্রহ করে থাকে, কিন্তু মূল সরবরাহকারীর নাম জানে না।
এদিকে, অনলাইনে ইটিং ডিসঅর্ডার বা খাওয়ার ব্যাধি সংক্রান্ত অনেক কমিউনিটি এখন ‘মলিকিউল’ নামের ওষুধটি প্রচারের জায়গা হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীরা হ্যাশট্যাগ আর নানা গোপন শব্দ ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মগুলোর নজরদারি এড়িয়ে যাচ্ছে। সোলোভিয়েভা বলেন, যেসব তরুণ-তরুণী আগে থেকেই ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগছে, তাদের জন্য মলিকিউল অত্যন্ত ক্ষতিকর। যারা পুনরায় অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে আছে, তাদের হাতে সহজলভ্য এই ক্ষুধা দমনকারী ওষুধ ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।

রুশ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার আন্না এনিনা নিজেও অতীতে অননুমোদিত ওজন কমানোর ওষুধ ব্যবহার করেছেন। তবে তিনি প্রকাশ্যে তাঁর অনুসারীদের সতর্ক করে বলেন, ‘আমি নিজে ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগেছি…এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। তোমরা এর জন্য দশগুণ অনুতপ্ত হবে।’
মারিয়া সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। অতিরিক্ত মলিকিউল খাওয়ার পর তিনি মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হন এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এখন তিনি বিভিন্ন ওজন কমানোর ফোরামে তরুণী ও মেয়েদের এই বড়ি না খেতে পরামর্শ দেন। এমনকি এক কিশোরীর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরও সতর্ক করেছেন।
তবু মলিকিউল অনলাইনে এখনো জনপ্রিয়। আর মারিয়ার টিকটক ফিডে যখনই নতুন কোনো ভিডিও ভেসে ওঠে, তখন সেটি তাঁকে মনে করিয়ে দেয়—সেই পিলগুলোর কথা, যেগুলো তাঁকে অসুস্থ করে দিয়েছিল।

রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, ফ্রিজ ভর্তি নীল বাক্স। বাক্সের গায়ে ঝলমলে হোলোগ্রাম, তাতে লেখা ‘মলিকিউল প্লাস।’ বিভিন্ন অনলাইন স্টোরে অর্ডারের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের ‘ওজন কমানোর যাত্রা’ শেয়ার করছে সামাজিক মাধ্যমে।
কিন্তু এর পেছনে আছে ভয়ানক এক ফাঁদ। ২২ বছর বয়সী মারিয়া অনলাইনের এক জনপ্রিয় দোকান থেকে এই পিল কিনেছিলেন। দিনে দুইটা করে খেতেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে তার মুখ শুকিয়ে যায়, খাবারের প্রতি সম্পূর্ণ অনীহা তৈরি হয়। তিনি বলেন, ‘খাওয়ার তো ইচ্ছে হতোই না, পান করতেও চাইতাম না। ভেতরে-ভেতরে অস্থির লাগত, ঠোঁট কামড়াতাম, গাল চিবাতাম।’
এরপর মারিয়া প্রবল উদ্বেগে ভুগতে থাকেন। তাঁর মনে নেতিবাচক চিন্তা ভর করে। তিনি বলেন, ‘এই পিলগুলো আমার মানসিক অবস্থার ওপর ভয়ানক প্রভাব ফেলেছিল।’ সেন্ট পিটার্সবার্গে বসবাসকারী মারিয়া জানান, এমন ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না।

অন্য টিকটক ব্যবহারকারীরাও জানান, পিল খাওয়ার পর তাদের চোখের মণি বড় হয়ে যায়, হাত কাঁপে, ঘুম আসে না। কমপক্ষে তিনজন স্কুলশিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এপ্রিলে সাইবেরিয়ার চিতা শহরের এক স্কুলছাত্রীকে ‘মলিকিউল’-এর অতিরিক্ত সেবনের পর হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সে দ্রুত ওজন কমিয়ে গ্রীষ্মের আগে ছিপছিপে হতে চেয়েছিল।
আরেক স্কুলছাত্রীর মা জানান, তাঁর মেয়েকে আইসিইউতে নিতে হয়েছিল, কারণ সে একসঙ্গে অনেকগুলো পিল খেয়েছিল। মে মাসে সেন্ট পিটার্সবার্গের ১৩ বছর বয়সী এক ছেলেকে হাসপাতালে নিতে হয়, কারণ সে হ্যালুসিনেশন ও আতঙ্কে ভুগছিল। স্কুলে ওজন নিয়ে উপহাস করার হতো তাকে। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সে এক বন্ধুর মাধ্যমে এই পিল কিনেছিল।
মলিকিউল পিলের মোড়কে সাধারণত লেখা থাকে ‘প্রাকৃতিক উপাদান’, যেমন—ড্যান্ডেলিয়ন রুট ও মৌরি বীজের নির্যাস দিয়ে তৈরি। কিন্তু এ বছরের শুরুতে রুশ দৈনিক ইজভেস্তিয়ার সাংবাদিকেরা অনলাইনে কেনা পিল পরীক্ষার জন্য জমা দেন। তাতে পাওয়া যায় ‘সিবিউট্রামিন’ নামের একটি পদার্থ।
এই সিবিউট্রামিন প্রথমে ১৯৮০-এর দশকে অবসাদনাশক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, পরে ক্ষুধা দমনকারী হিসেবে প্রচলিত হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায়, এটি হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, অথচ ওজন কমায় সামান্যই। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীনসহ অনেক দেশেই এখন অবৈধ।

রাশিয়ায় এটি এখনো ওজন কমানোর ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়, তবে কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এবং চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া সিবিউট্রামিন কেনাবেচা অপরাধ। কিন্তু তাতে এই ড্রাগের বিক্রি খুব একটা থামছে না। ব্যক্তিগত বিক্রেতা ও ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে এটি বিক্রি করছে—অনেক সময় বৈধ ওষুধের চেয়েও বেশি মাত্রায় এবং কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই।
এই অবৈধ পিলের দাম প্রায় ৮ থেকে ৯ ডলার, যা ২০ দিনের জন্য যথেষ্ট। অথচ রাশিয়ার বাজারে পরিচিত ওজন কমানোর ইনজেকশন যেমন ‘Ozempic’-এর দাম প্রতি মাসে ৪০ থেকে ১৬০ পাউন্ড (৫০ থেকে ২১০ ডলার)। সেন্ট পিটার্সবার্গের অন্তঃস্রাববিশেষজ্ঞ জেনিয়া সোলোভিয়েভা বলেন, ‘নিজে নিজে এই ওষুধ খাওয়া ভয়ানক বিপজ্জনক’, কারণ এসব তথাকথিত ‘ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট’-এ কত পরিমাণ সক্রিয় উপাদান আছে তা কেউ জানে না।
‘মলিকিউল’ বিক্রির দায়ে রাশিয়ায় নিয়মিত লোকজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকার অবৈধ বিক্রি বন্ধে হিমশিম খাচ্ছে। এপ্রিলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সেফ ইন্টারনেট লিগ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানায়। এরপর কয়েকটি বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস মলিকিউল তাদের কার্ট থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু অচিরেই এটি ফিরে আসে নতুন নামে—‘অ্যাটম।’ প্যাকেজিং প্রায় হুবহু আগের মতো।
সম্প্রতি রাশিয়ায় একটি আইন পাস হয়েছে, যাতে আদালতের আদেশ ছাড়াই ‘অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট বা খাদ্য পরিপূরক বিক্রি করা ওয়েবসাইট’ বন্ধ করা যায়। কিন্তু বিক্রেতারা এখন এসব পণ্যকে ‘স্পোর্টস নিউট্রিশন’ হিসেবে দেখিয়ে বিক্রি করছে।
টিকটকে এখনো এমন বিক্রেতা, যারা ‘মলিকিউল’ বিক্রি করছে। তবে নাম ভিন্ন—কখনো তা ‘মিউসলি’, ‘বিস্কুট’ বা ‘লাইটবাল্ব।’ কিছু বিক্রেতা তো আবার গোপনীয়তার ধারই ধারছেন না। কয়েক সপ্তাহ আগে বিবিসি এক জনপ্রিয় রুশ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ‘মলিকিউল’-এর তালিকা খুঁজে পায়। জানতে চাইলে সংস্থাটি জানায়, তারা দ্রুত সিবিউট্রামিনযুক্ত সব পণ্য সরিয়ে ফেলেছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, যেসব তালিকায় স্পষ্টভাবে ‘সিবিউট্রামিন’ লেখা নেই, সেগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
যদি কেউ কোনোভাবে ‘মলিকিউল’ কিনতে সক্ষম হয়, তবুও বোঝা মুশকিল আসলে কী পাওয়া যাচ্ছে—আর এই পিল কোথায় তৈরি হচ্ছে, তা-ও অনিশ্চিত। বিবিসি কিছু বিক্রেতার কাছে এমন সনদপত্র পেয়েছে, যাতে লেখা আছে চীনের গুয়াংজু ও হেনান প্রদেশের কারখানায় উৎপাদিত। আবার কেউ কেউ দাবি করে, পণ্যটি জার্মানি থেকে আনা।
কিছু প্যাকেটে লেখা থাকে, এটি জার্মানির রেমাগেন শহরে তৈরি। কিন্তু বিবিসি খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ওই ঠিকানায় এমন কোনো কোম্পানি নেই। আর কাজাখস্তানের কয়েকজন বিক্রেতা যারা রাশিয়ায় ‘মলিকিউল’ পাঠায়, তারা বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা পণ্যটি বন্ধুদের কাছ থেকে বা রাজধানী আস্তানার কিছু গুদাম থেকে সংগ্রহ করে থাকে, কিন্তু মূল সরবরাহকারীর নাম জানে না।
এদিকে, অনলাইনে ইটিং ডিসঅর্ডার বা খাওয়ার ব্যাধি সংক্রান্ত অনেক কমিউনিটি এখন ‘মলিকিউল’ নামের ওষুধটি প্রচারের জায়গা হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীরা হ্যাশট্যাগ আর নানা গোপন শব্দ ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মগুলোর নজরদারি এড়িয়ে যাচ্ছে। সোলোভিয়েভা বলেন, যেসব তরুণ-তরুণী আগে থেকেই ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগছে, তাদের জন্য মলিকিউল অত্যন্ত ক্ষতিকর। যারা পুনরায় অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে আছে, তাদের হাতে সহজলভ্য এই ক্ষুধা দমনকারী ওষুধ ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।

রুশ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার আন্না এনিনা নিজেও অতীতে অননুমোদিত ওজন কমানোর ওষুধ ব্যবহার করেছেন। তবে তিনি প্রকাশ্যে তাঁর অনুসারীদের সতর্ক করে বলেন, ‘আমি নিজে ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগেছি…এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। তোমরা এর জন্য দশগুণ অনুতপ্ত হবে।’
মারিয়া সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। অতিরিক্ত মলিকিউল খাওয়ার পর তিনি মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হন এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এখন তিনি বিভিন্ন ওজন কমানোর ফোরামে তরুণী ও মেয়েদের এই বড়ি না খেতে পরামর্শ দেন। এমনকি এক কিশোরীর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরও সতর্ক করেছেন।
তবু মলিকিউল অনলাইনে এখনো জনপ্রিয়। আর মারিয়ার টিকটক ফিডে যখনই নতুন কোনো ভিডিও ভেসে ওঠে, তখন সেটি তাঁকে মনে করিয়ে দেয়—সেই পিলগুলোর কথা, যেগুলো তাঁকে অসুস্থ করে দিয়েছিল।

ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র শব্দটির সঙ্গে একসময় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন শুধু বয়স্করা। কিন্তু বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই বড়দের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যেও ডায়াবেটিসের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি নবজাতকও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৩ দিন আগেফিচার ডেস্ক

সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে। কিন্তু যে কারণেই হোক না কেন, এর ফলে পুষ্টির ঘাটতি, পেটের আলসার এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পুষ্টিবিদ ইতি খন্দকার পরামর্শ দিয়েছেন, ‘নাশতা অবশ্যই সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নাশতায় ওটস, ডিম ও সবজি দিয়ে খিচুড়ি করে খেতে পারেন কিংবা লাল আটার মাঝারি আকারের দুটি রুটি, এক বাটি কম মসলাযুক্ত সেদ্ধ সবজি এবং একটি ডিম রাখতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট পর পুদিনাপাতা, লেবুর রস ও টক দই মেশানো এক বাটি খোসাসহ শসার সালাদ খাবেন।
নাশতা না করার স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলো
ক্লান্তি: সকালে খাওয়া নাশতা মস্তিষ্ক এবং শরীরের সঠিক ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও শক্তি সরবরাহ করে। তাই নাশতা বাদ দিলে বিপাকপ্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে ক্লান্তি, অমনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
স্থূলতা: অনেকের ধারণা, সকালে নাশতা না খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। অথচ তা একেবারেই সঠিক নয়। নাশতা বাদ দিলে প্রায়ই ক্ষুধা বেড়ে যায়। ফলে দুপুর বা রাতে বেশি খাওয়া হয়। এ ছাড়া নাশতা না করার কারণে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করা হতে পারে। তবে বিষয়টি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো ওজনও বাড়বে। ইতি খন্দকার পরামর্শ দেন, ট্রান্সফ্যাট, ফার্স্ট ফুড, কোল্ড ড্রিংকস, চিনি, মিষ্টিজাতীয় খাবার ইত্যাদি খাওয়া বাদ দিতে হবে। পাশাপাশি দৈনিক পরিমাণমতো পানি পান করতে হবে।
দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি: সকালে খাওয়া নাশতা বিপাকপ্রক্রিয়া শুরু করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। তবে এটি বাদ দিলে অস্থায়ীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যা ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের জন্য শরীর হরমোন মুক্ত করতে প্ররোচিত করে। রক্তে শর্করার মাত্রার এই ওঠানামা ইনসুলিন প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রধান ঝুঁকির কারণ। এ ছাড়া সকালের নাশতা বাদ দেওয়া, না খেয়ে থাকার সময়কাল দীর্ঘায়িত করে। এতে প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান সাইটোকাইনস অতিরিক্ত নিঃসরণ হতে পারে। ফলে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
পাকস্থলী ও ডিওডেনাল আলসার:
খাবার বাদ দেওয়া হলে পাকস্থলী অ্যাসিড তৈরি করার কাজ চালিয়ে যায়। কিন্তু তা প্রশমিত করার জন্য কোনো খাদ্য থাকে না। এতে পাকস্থলীর আস্তরণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে পাকস্থলী এবং ডিওডেনাল আলসার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সকালের নাশতা বাদ দেওয়া ইসোফেগাস (খাদ্যনালি), পাকস্থলী, কোলন, যকৃৎ, পিত্তনালিসহ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গেও যুক্ত।
পিত্তথলিতে পাথর: খাবার খাওয়ার ফলে পিত্তথলি হজমের জন্য অন্ত্রে পিত্ত নিঃসরণ করে। দীর্ঘ সময়ের জন্য খাবার বাদ দিলে পিত্তথলির নিয়মিত সংকোচন বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে পিত্ত জমাট বাঁধে। আর এই জমাট বাঁধার কারণে কোলেস্টেরল ও পিত্ত লবণ স্ফটিকের আকার ধারণ করে, যা পিত্তথলিতে পাথর তৈরি করে। এ ছাড়া খাবার বাদ দেওয়ায় কারণে অন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে এবং মলের মাধ্যমে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল অপসারণকে ধীর করে দেয়। এ ছাড়া পিত্তথলিতে পাথর গঠনের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি অবদান রাখে।
সকালবেলার নাশতায় অবশ্যই চার ধরনের খাবারের উপস্থিতি থাকা জরুরি। এগুলো হলো, প্রোটিনের মধ্যে ডিম, দুধ, চর্বিহীন মাংস ও শিম। জটিল কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে ওটস, লাল চাল, বাকহুইট, লাল আটার রুটি, মিষ্টিআলু এবং ভুট্টা। স্বাস্থ্যকর চর্বির মধ্যে বাদাম, অ্যাভোকাডো ও জলপাই তেল এবং ফল ও সবজি।

সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে। কিন্তু যে কারণেই হোক না কেন, এর ফলে পুষ্টির ঘাটতি, পেটের আলসার এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পুষ্টিবিদ ইতি খন্দকার পরামর্শ দিয়েছেন, ‘নাশতা অবশ্যই সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নাশতায় ওটস, ডিম ও সবজি দিয়ে খিচুড়ি করে খেতে পারেন কিংবা লাল আটার মাঝারি আকারের দুটি রুটি, এক বাটি কম মসলাযুক্ত সেদ্ধ সবজি এবং একটি ডিম রাখতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট পর পুদিনাপাতা, লেবুর রস ও টক দই মেশানো এক বাটি খোসাসহ শসার সালাদ খাবেন।
নাশতা না করার স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলো
ক্লান্তি: সকালে খাওয়া নাশতা মস্তিষ্ক এবং শরীরের সঠিক ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও শক্তি সরবরাহ করে। তাই নাশতা বাদ দিলে বিপাকপ্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে ক্লান্তি, অমনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
স্থূলতা: অনেকের ধারণা, সকালে নাশতা না খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। অথচ তা একেবারেই সঠিক নয়। নাশতা বাদ দিলে প্রায়ই ক্ষুধা বেড়ে যায়। ফলে দুপুর বা রাতে বেশি খাওয়া হয়। এ ছাড়া নাশতা না করার কারণে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করা হতে পারে। তবে বিষয়টি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো ওজনও বাড়বে। ইতি খন্দকার পরামর্শ দেন, ট্রান্সফ্যাট, ফার্স্ট ফুড, কোল্ড ড্রিংকস, চিনি, মিষ্টিজাতীয় খাবার ইত্যাদি খাওয়া বাদ দিতে হবে। পাশাপাশি দৈনিক পরিমাণমতো পানি পান করতে হবে।
দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি: সকালে খাওয়া নাশতা বিপাকপ্রক্রিয়া শুরু করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। তবে এটি বাদ দিলে অস্থায়ীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যা ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের জন্য শরীর হরমোন মুক্ত করতে প্ররোচিত করে। রক্তে শর্করার মাত্রার এই ওঠানামা ইনসুলিন প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রধান ঝুঁকির কারণ। এ ছাড়া সকালের নাশতা বাদ দেওয়া, না খেয়ে থাকার সময়কাল দীর্ঘায়িত করে। এতে প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান সাইটোকাইনস অতিরিক্ত নিঃসরণ হতে পারে। ফলে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
পাকস্থলী ও ডিওডেনাল আলসার:
খাবার বাদ দেওয়া হলে পাকস্থলী অ্যাসিড তৈরি করার কাজ চালিয়ে যায়। কিন্তু তা প্রশমিত করার জন্য কোনো খাদ্য থাকে না। এতে পাকস্থলীর আস্তরণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে পাকস্থলী এবং ডিওডেনাল আলসার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সকালের নাশতা বাদ দেওয়া ইসোফেগাস (খাদ্যনালি), পাকস্থলী, কোলন, যকৃৎ, পিত্তনালিসহ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গেও যুক্ত।
পিত্তথলিতে পাথর: খাবার খাওয়ার ফলে পিত্তথলি হজমের জন্য অন্ত্রে পিত্ত নিঃসরণ করে। দীর্ঘ সময়ের জন্য খাবার বাদ দিলে পিত্তথলির নিয়মিত সংকোচন বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে পিত্ত জমাট বাঁধে। আর এই জমাট বাঁধার কারণে কোলেস্টেরল ও পিত্ত লবণ স্ফটিকের আকার ধারণ করে, যা পিত্তথলিতে পাথর তৈরি করে। এ ছাড়া খাবার বাদ দেওয়ায় কারণে অন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে এবং মলের মাধ্যমে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল অপসারণকে ধীর করে দেয়। এ ছাড়া পিত্তথলিতে পাথর গঠনের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি অবদান রাখে।
সকালবেলার নাশতায় অবশ্যই চার ধরনের খাবারের উপস্থিতি থাকা জরুরি। এগুলো হলো, প্রোটিনের মধ্যে ডিম, দুধ, চর্বিহীন মাংস ও শিম। জটিল কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে ওটস, লাল চাল, বাকহুইট, লাল আটার রুটি, মিষ্টিআলু এবং ভুট্টা। স্বাস্থ্যকর চর্বির মধ্যে বাদাম, অ্যাভোকাডো ও জলপাই তেল এবং ফল ও সবজি।

ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র শব্দটির সঙ্গে একসময় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন শুধু বয়স্করা। কিন্তু বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই বড়দের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যেও ডায়াবেটিসের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি নবজাতকও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
১ দিন আগে