অগ্নিঝরা মার্চ

স্বপ্নের মতো এসেছিল দিনটি। একটি দিন, একটি ঘোষণা বদলে দিয়েছিল জাতির ইতিহাস। পৃথিবীর মানচিত্রে রক্তের অক্ষরে লেখা হয়েছিল একটি নাম–বাংলাদেশ।  পাকিস্তানের ইয়াহিয়া সরকার ২৫ মার্চ রাতে তাদের খুনি বাহিনী নামিয়ে দিয়েছিল এই ভূখণ্ডে। ঢাকায় তাণ্ডব চালানো হচ্ছিল রাও ফরমান আলীর নেতৃত্বে, ঢাকার বাইরের দানব ছিল খ

আমাদের সুনসান নিস্তরঙ্গ গ্রামীণ জীবনে এক মার্চ এসেছিল ১৯৭১-এ। উন্মাতাল করা উত্তাপ ছিল তার। অনন্য এক বজ্রকণ্ঠের নির্দেশে সে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছিল সাড়ে সাত কোটি মানুষের অন্তরে। অন্তর থেকে বাইরে। জলে-স্থলে-অন্তরিক্ষে। এই মাটির প্রতিটি ধূলিকণায়। তারপর সীমানা পেরিয়ে। দূর থেকে দূরান্তে। দেশ থেকে দেশে। ‍পৃথি

২১ মার্চ, ১৯৭১ শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খানের এক অনির্ধারিত বৈঠক হয়। সেদিন সকালে ঢাকার প্রেসিডেন্ট ভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক প্রায় ৭০ মিনিট স্থায়ী হয়। বৈঠকে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ।

২০ মার্চ প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠক হয় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের সহকর্মীরা। প্রেসিডেন্ট ভবনের সামরিক বেষ্টনীর বাইরে বিপুলসংখ্যক জনতা বৈঠকের ফলাফলের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে। গত চার দিনের মধ্যে সেখানে সবচেয়ে বেশি জ

১৯ মার্চ সেনাবাহিনী জয়দেবপুরে গুলি চালিয়েছিল। ঢাকা থেকে ২০ মাইল দূরে জয়দেবপুর ও তার আশপাশের এলাকায় সেনাবাহিনীর গুলিতে এ দিন ২০ ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে বেসরকারিভাবে জানানো হয়। বহু লোক আহত হয়। স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, এ দিন বেলা আনুমানিক আড়াইটায় সেনাবাহিনীর কোনো কোনো কাজের প্রতিবাদে জয়দেবপুরে প

২ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় কী পরিস্থিতিতে বেসামরিক প্রশাসনের সাহায্যার্থে সামরিক বাহিনী তলব করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে তদন্তের জন্য ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

ইয়াহিয়া খান ও শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠকটি শুরু হয় এই দিনে। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান ও জাতীয় পরিষদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে জাতির ভাগ্য নির্ধারণী আলোচনা