জাহীদ রেজা নূর
ইয়াহিয়া খান ও শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠকটি শুরু হয় এই দিনে। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান ও জাতীয় পরিষদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে জাতির ভাগ্য নির্ধারণী আলোচনা শুরু হয়। আলোচনা প্রায় আড়াই ঘণ্টা প্রলম্বিত হয়। দীর্ঘ আলোচনা শেষে বাইরে আসার পর সমবেত সাংবাদিকেরা শেখ মুজিবকে ঘিরে ধরেন। শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আগামীকাল ১৭ মার্চ সকাল ১০টায় আবার বৈঠক হবে।
ঢাকায় যে বৈঠক শুরু হয়, তাতে প্রেসিডেন্টের ঢাকার বাসভবনের শীর্ষে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়, অন্যদিকে জনগণের প্রদত্ত পার্লামেন্টারি ক্ষমতার অধিকারী শেখ মুজিবের গাড়ির সামনে বাংলার আপামর মানুষের শোকের প্রতীক কালো পতাকা পতপত করে উড়ছিল।
শেখ মুজিব উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অন্যান্য সমস্যা সম্পর্কে তাঁর আলোচনা হয়েছে এবং আরও আলোচনা হবে। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। দুই-এক মিনিটের কাজ নয়। শেখ মুজিবুর রহমান যে কথা বলেছেন, তাতে আলোচনার গতিধারা সম্পর্কে কিছু আঁচ করা সম্ভব হয়নি সাংবাদিকদের পক্ষে।
বেলা ১১টায় কড়া সামরিক প্রহরায় প্রেসিডেন্ট ভবনে জেনারেল ইয়াহিয়া ও শেখ মুজিবের মধ্যে রুদ্ধদ্বার কক্ষে এই বৈঠকটি হয়।
প্রেসিডেন্ট ভবনে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু যখন বাসভবনের চত্বরে এসে উপস্থিত হন, তখন বিপুলসংখ্যক দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও ফটোসাংবাদিক তাঁকে ঘিরে ধরেন। চারদিক থেকে জনতার কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছিল ‘জয় বাংলা’ স্লোগান।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ মুজিব বলেন, ‘এখন কিছু বলার নাই।’ এ কথা বলে তিনি তাঁর সাদা গাড়িতে উঠে বসেন।
প্রেসিডেন্ট হাউসে পৌঁছানোর পরও একদল সাংবাদিক তাঁকে ঘিরে ধরেন। কিছুক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর গাড়িটি প্রেসিডেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে একাকার হয়ে সেখানে তোফায়েল আহমদসহ কয়েকজন জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যও অপেক্ষা করতে থাকেন।
আলোচনা চলাকালে দক্ষিণে কাকরাইল মসজিদ ও উত্তরে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের অদূরবর্তী চৌরাস্তার মোড় পর্যন্ত কড়া প্রহরা ছাউনি থাকায় সাধারণ মানুষের পক্ষে প্রেসিডেন্ট ভবনের ধারে-কাছে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
বিকেলে পূর্ব পাকিস্তান চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকেরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মিছিল বের করেন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এবং মুর্তজা বশীর এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মিছিলটি বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হয়।
সকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সভায় ব্রতচারী আন্দোলনের স্থায়ী অনুশীলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সভায় কলিম শরাফী সভাপতিত্ব করেন। বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষুব্ধ শিল্পীসমাজের পক্ষ থেকে গণমুখী কবিতা পাঠ এবং সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গ্রন্থনা: জাহীদ রেজা নূর
ইয়াহিয়া খান ও শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠকটি শুরু হয় এই দিনে। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান ও জাতীয় পরিষদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে জাতির ভাগ্য নির্ধারণী আলোচনা শুরু হয়। আলোচনা প্রায় আড়াই ঘণ্টা প্রলম্বিত হয়। দীর্ঘ আলোচনা শেষে বাইরে আসার পর সমবেত সাংবাদিকেরা শেখ মুজিবকে ঘিরে ধরেন। শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আগামীকাল ১৭ মার্চ সকাল ১০টায় আবার বৈঠক হবে।
ঢাকায় যে বৈঠক শুরু হয়, তাতে প্রেসিডেন্টের ঢাকার বাসভবনের শীর্ষে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়, অন্যদিকে জনগণের প্রদত্ত পার্লামেন্টারি ক্ষমতার অধিকারী শেখ মুজিবের গাড়ির সামনে বাংলার আপামর মানুষের শোকের প্রতীক কালো পতাকা পতপত করে উড়ছিল।
শেখ মুজিব উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অন্যান্য সমস্যা সম্পর্কে তাঁর আলোচনা হয়েছে এবং আরও আলোচনা হবে। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। দুই-এক মিনিটের কাজ নয়। শেখ মুজিবুর রহমান যে কথা বলেছেন, তাতে আলোচনার গতিধারা সম্পর্কে কিছু আঁচ করা সম্ভব হয়নি সাংবাদিকদের পক্ষে।
বেলা ১১টায় কড়া সামরিক প্রহরায় প্রেসিডেন্ট ভবনে জেনারেল ইয়াহিয়া ও শেখ মুজিবের মধ্যে রুদ্ধদ্বার কক্ষে এই বৈঠকটি হয়।
প্রেসিডেন্ট ভবনে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু যখন বাসভবনের চত্বরে এসে উপস্থিত হন, তখন বিপুলসংখ্যক দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও ফটোসাংবাদিক তাঁকে ঘিরে ধরেন। চারদিক থেকে জনতার কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছিল ‘জয় বাংলা’ স্লোগান।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ মুজিব বলেন, ‘এখন কিছু বলার নাই।’ এ কথা বলে তিনি তাঁর সাদা গাড়িতে উঠে বসেন।
প্রেসিডেন্ট হাউসে পৌঁছানোর পরও একদল সাংবাদিক তাঁকে ঘিরে ধরেন। কিছুক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর গাড়িটি প্রেসিডেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে একাকার হয়ে সেখানে তোফায়েল আহমদসহ কয়েকজন জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যও অপেক্ষা করতে থাকেন।
আলোচনা চলাকালে দক্ষিণে কাকরাইল মসজিদ ও উত্তরে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের অদূরবর্তী চৌরাস্তার মোড় পর্যন্ত কড়া প্রহরা ছাউনি থাকায় সাধারণ মানুষের পক্ষে প্রেসিডেন্ট ভবনের ধারে-কাছে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
বিকেলে পূর্ব পাকিস্তান চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকেরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মিছিল বের করেন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এবং মুর্তজা বশীর এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মিছিলটি বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হয়।
সকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সভায় ব্রতচারী আন্দোলনের স্থায়ী অনুশীলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সভায় কলিম শরাফী সভাপতিত্ব করেন। বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষুব্ধ শিল্পীসমাজের পক্ষ থেকে গণমুখী কবিতা পাঠ এবং সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গ্রন্থনা: জাহীদ রেজা নূর
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪