জাহীদ রেজা নূর
২০ মার্চ প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠক হয় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের সহকর্মীরা। প্রেসিডেন্ট ভবনের সামরিক বেষ্টনীর বাইরে বিপুলসংখ্যক জনতা বৈঠকের ফলাফলের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে। গত চার দিনের মধ্যে সেখানে সবচেয়ে বেশি জনসমাগম হয়। এদিন শুক্রবার জয়দেবপুরে সেনাবাহিনী ও জনতার সংঘর্ষের নয়া পরিপ্রেক্ষিত সম্ভবত অধিকসংখ্যক জনতাকে প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছে টেনে এনেছিল। আলোচনা শেষে প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে বের হয়ে এলে জনতা ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সংবর্ধনা জানায়। এই সময় বঙ্গবন্ধুকে প্রফুল্ল দেখাচ্ছিল।
নিজ বাসভবনে ফিরে এসে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে শেখ মুজিব বলেন, ‘আমাদের আলোচনা চলছে। আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে।’ সোমবার আবার তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন বলে জানান।
বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে কি না এ রকম প্রশ্নের জবাবে শেখ মুজিব বলেন, ‘আলোচনা চলছে। আমরা একটা সমাধানে পৌঁছাবার চেষ্টা করছি।’ ‘জয়দেবপুরের ঘটনার প্রতি প্রেসিডেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কি না এবং এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়া কী’ প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ‘হ্যাঁ, প্রেসিডেন্ট এদিকে দৃষ্টি দেবেন।’ আলোচনায় পশ্চিম পাকিস্তানি নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে শেখ মুজিব বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পৃথক পৃথকভাবে পশ্চিম পাকিস্তানের সকল প্রদেশের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। যদি দরকার হয়, পশ্চিম পাকিস্তানি নেতাদের সঙ্গে আমরা একত্রে বসে আলোচনা করতে পারি।’
এ দিন বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, খন্দকার মোশতাক আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, কামারুজ্জামান, তাজউদ্দীন আহমদ ও ড. কামাল হোসেন। অপর দিকে আলোচনায় প্রেসিডেন্টকে সহায়তা করেন বিচারপতি কর্নেলিয়াস, জেনারেল পীরজাদা ও কর্নেল হাসান।
এ দিনও ঢাকা ছিল মিছিলের শহর। শোভাযাত্রাসহকারে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে যাঁরা যান, তাঁদের মধ্যে ছিলেন ইস্টার্ন ব্যাংকিং করপোরেশনের কর্মচারী, ন্যাশনাল ব্যাংকের কর্মচারী, ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, প্রাদেশিক সরকারের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও প্রাদেশিক সরকারের সেটেলমেন্ট কর্মচারীরা।
জয়দেবপুরে এ দিন সান্ধ্য আইন অব্যাহত থাকে। চৌরাস্তা থেকে জয়দেবপুর বাজার ও ছায়াবীথি পর্যন্ত পুরো এলাকায় বিরামহীনভাবে এই সান্ধ্য আইন বলবৎ থাকে। যার ফলে গরিব জনসাধারণের চরম অসুবিধা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ঢাকার যেসব আঞ্চলিক শাখা প্যারেড অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছে, সেই সব শাখাকে রোববার বিকেল ৪টায় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী (লিয়াকত) হলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২৩ মার্চ প্রতিরোধ দিবসে সকাল ৬টায় বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ও বাসভবনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করার আহ্বান জানানো হয়।এ দিন পাকিস্তান কাউন্সিল মুসলিম লীগের প্রধান মিয়া মোহাম্মদ খান দৌলতানা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন।
গ্রন্থনা: জাহীদ রেজা নূর
২০ মার্চ প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠক হয় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের সহকর্মীরা। প্রেসিডেন্ট ভবনের সামরিক বেষ্টনীর বাইরে বিপুলসংখ্যক জনতা বৈঠকের ফলাফলের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে। গত চার দিনের মধ্যে সেখানে সবচেয়ে বেশি জনসমাগম হয়। এদিন শুক্রবার জয়দেবপুরে সেনাবাহিনী ও জনতার সংঘর্ষের নয়া পরিপ্রেক্ষিত সম্ভবত অধিকসংখ্যক জনতাকে প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছে টেনে এনেছিল। আলোচনা শেষে প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে বের হয়ে এলে জনতা ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সংবর্ধনা জানায়। এই সময় বঙ্গবন্ধুকে প্রফুল্ল দেখাচ্ছিল।
নিজ বাসভবনে ফিরে এসে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে শেখ মুজিব বলেন, ‘আমাদের আলোচনা চলছে। আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে।’ সোমবার আবার তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন বলে জানান।
বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে কি না এ রকম প্রশ্নের জবাবে শেখ মুজিব বলেন, ‘আলোচনা চলছে। আমরা একটা সমাধানে পৌঁছাবার চেষ্টা করছি।’ ‘জয়দেবপুরের ঘটনার প্রতি প্রেসিডেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কি না এবং এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়া কী’ প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ‘হ্যাঁ, প্রেসিডেন্ট এদিকে দৃষ্টি দেবেন।’ আলোচনায় পশ্চিম পাকিস্তানি নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে শেখ মুজিব বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পৃথক পৃথকভাবে পশ্চিম পাকিস্তানের সকল প্রদেশের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। যদি দরকার হয়, পশ্চিম পাকিস্তানি নেতাদের সঙ্গে আমরা একত্রে বসে আলোচনা করতে পারি।’
এ দিন বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, খন্দকার মোশতাক আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, কামারুজ্জামান, তাজউদ্দীন আহমদ ও ড. কামাল হোসেন। অপর দিকে আলোচনায় প্রেসিডেন্টকে সহায়তা করেন বিচারপতি কর্নেলিয়াস, জেনারেল পীরজাদা ও কর্নেল হাসান।
এ দিনও ঢাকা ছিল মিছিলের শহর। শোভাযাত্রাসহকারে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে যাঁরা যান, তাঁদের মধ্যে ছিলেন ইস্টার্ন ব্যাংকিং করপোরেশনের কর্মচারী, ন্যাশনাল ব্যাংকের কর্মচারী, ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, প্রাদেশিক সরকারের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও প্রাদেশিক সরকারের সেটেলমেন্ট কর্মচারীরা।
জয়দেবপুরে এ দিন সান্ধ্য আইন অব্যাহত থাকে। চৌরাস্তা থেকে জয়দেবপুর বাজার ও ছায়াবীথি পর্যন্ত পুরো এলাকায় বিরামহীনভাবে এই সান্ধ্য আইন বলবৎ থাকে। যার ফলে গরিব জনসাধারণের চরম অসুবিধা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ঢাকার যেসব আঞ্চলিক শাখা প্যারেড অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছে, সেই সব শাখাকে রোববার বিকেল ৪টায় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী (লিয়াকত) হলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২৩ মার্চ প্রতিরোধ দিবসে সকাল ৬টায় বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ও বাসভবনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করার আহ্বান জানানো হয়।এ দিন পাকিস্তান কাউন্সিল মুসলিম লীগের প্রধান মিয়া মোহাম্মদ খান দৌলতানা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন।
গ্রন্থনা: জাহীদ রেজা নূর
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪