Ajker Patrika

অনলাইনে অর্থ উপার্জনের ৫টি উপায় 

অনলাইনে অর্থ উপার্জনের ৫টি উপায় 

বিশ্বজুড়ে বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাকরি খুঁজে পাওয়া কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে নিজের বুদ্ধি খাঁটিয়ে ও দক্ষতা ব্যবহার করে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। 

বেশির ভাগ ব্যক্তির কাছে খুব আকর্ষণীয় বিকল্প হলো—অনলাইনে অর্থ উপার্জন। কারণ এর জন্য তেমন মূলধনের প্রয়োজন নেই। নিজের ঘর থেকেই অর্থ উপার্জন করা যায়। 

শুধুমাত্র বেকাররাই অনলাইনে আয় করে সচ্ছল হবেন, বিষয়টি তেমন নয়। যারা নিজের পেশার বাইরেও অতিরিক্ত উপার্জন করতে চান, তারাও অনলাইনে বিভিন্নভাবে আয় করতে পারেন। ফোর্বস ম্যাগাজিন অনুসারে অনলাইনে আয় করার ৫টি উপায় তুলে ধরা হলো—

 ১. অনলাইন ফোকাস গ্রুপ
জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করার আগে কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য কোম্পানিগুলো সব সময় তাদের পণ্য ও সেবাগুলো নিয়ে সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া খুঁজে। তাই কখনো কখনো পণ্য সম্পূর্ণ বাজারে ছাড়ার করার আগে মানুষের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য ফোকাস গ্রুপ তৈরি করে কোম্পানিগুলো। ইউজার টেস্টিং, ইউজার ইন্টারভিউ, ও আইপয়েন্টের মতো মার্কেট রিসার্চ প্ল্যাটফর্মগুলোতে বৈধভাবে প্রোফাইল তৈরি করা যায়। এর মাধ্যমে ফোকাস গ্রুপ ও বাজার গবেষণায় অংশগ্রহণ করা যায়। এসব ফোকাস গ্রুপে অনলাইনে যুক্ত হওয়া যায়। এগুলোর মাধ্যমে কোনো পণ্য বা সেবা ব্যবহার করে অংশগ্রহণকারীরা নিজের, অভিজ্ঞতা, মতামত, বা পরামর্শ জানাতে পারে। এ জন্য কোম্পানিগুলো অংশগ্রহণকারীদের ৫০ থেকে ৩০০ ডলার পর্যন্ত দিতে পারে। 

 ২. ভার্চুয়াল কর্মশালা 
নিজের জ্ঞান ও দক্ষতা অনুযায়ী ভার্চুয়াল অনলাইন কর্মশালা আয়োজন করতে পারেন। বিভিন্ন বিষয়ে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দিতে পারেন। যেমন: ছবি আঁকা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো বা গান শেখানো, কেক তৈরির কোর্স, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক টুল ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ, ভিডিও এডিটিং বা অনলাইন মার্কেটিং কোর্স। এসব কোর্সের জন্য অংশগ্রহণকারীদের প্রয়োজনীয় উপকরণও সরবরাহ করতে হবে। দূরবর্তী ভিডিও-কনফারেন্স সফটওয়্যার যেমন–জুম বা গুগল মিট ব্যবহার করে অনলাইনে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়। এসব কোর্সের জন্য ফি নির্ধারণ করে আয় করা যায়। 

 ৩. পুরোনো জিনিস বিক্রি করে
নিজের জামা–কাপড়, খেলনা ও মূল্যবান জিনিস বিক্রি করেও আয় করা যায়। যেসব পণ্য এখন আর পাওয়া যায় না সেরকম মূল্যবান পুরোনো জিনিস বিক্রি করে আয় করা যাবে। ফেসবুকের মার্কেটপ্লেস বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে এসব পুরোনো জিনিস বিক্রি করতে পারেন। তবে পুরোনো পণ্য বিক্রি করার আগে এগুলো ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে বিজ্ঞাপন দেওয়া উচিত। 

 ৪. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি বিজ্ঞাপনের মডেল, যেখানে কোনো কোম্পানি পণ্য বা সেবা প্রচারের জন্য তৃতীয় পক্ষকে ব্যবহার করে। নিজের পছন্দ অনুযায়ী এমন বিষয় নির্বাচন করুন যার চাহিদা বেশি। এরপর ব্র্যান্ডগুলোর অ্যাফলিয়েশন প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানতে হবে। প্রোগ্রামগুলোতে নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সাইন আপ করতে হবে। তারপর সেই পণ্যের বা সেবাগুলোর অ্যাফিলিয়েটেড লিংক নিজের ব্লগ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট বা ওয়েবসাইটে প্রচার করুন। 

অ্যাফিলিয়েটেড মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এই আয়ের পরিমাণ সীমিত নয়। 

 ৫. দূরবর্তী গ্রাহক সেবা 
অনলাইনে সহজে অর্থ উপার্জন করার আরেকটি উপায় হল—দূরবর্তী গ্রাহক সেবা। কিছু কোম্পানি দ্বিতীয় কোনো কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে নিজেদের কাজ করিয়ে নেয়। এসব চাকরি কোম্পানির ক্যারিয়ার পেজে সরাসরি দেখা যায়। 

কোম্পানিগুলো কল সেন্টার ও কাস্টমার সার্ভিসের মতো অন্য কোনো কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজেদের কাজ করিয়ে নেয়। যারা কোম্পানির পণ্য বা সেবাগুলো কেনেন বা ব্যবহার করেন সেসব গ্রাহকদের সহায়তা এবং পরামর্শ দেয় কল সেন্টার বা কাস্টমার সার্ভিস। এ ছাড়া আপওয়ার্কের মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কাস্টমার সার্ভিস ভিত্তিক কাজগুলো পাওয়া যায়। 

অনলাইনে অর্থোপার্জনের এই পাঁচটি উপায়ই সর্বোচ্চ কয়েক ঘণ্টা বা দিনের মধ্যে সেট আপ করা যায়। তবে শুরুতেই খুব দ্রুত অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন তা আশা করা উচিত হবে না। এর পেছনে অনেক সময় ও শ্রম ব্যয় করতে হবে এবং ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জমকালো দোতলা বাড়িতে দূতাবাস, সামনে সারি সারি কূটনৈতিক গাড়ি—৭ বছর পর জানা গেল ভুয়া

বেনজীরের এক ফ্ল্যাটেই ১৯ ফ্রিজ, আরও বিপুল ব্যবহার সামগ্রী উঠছে নিলামে

অবশেষে রাজি ভারত, ‘জিতেছে বাংলাদেশ’

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাকে শুভেচ্ছা জানাতে বিমানবন্দরে পলাতক আসামি

ই-মেইলে একযোগে ৫৪৭ ব্যাংক কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত, পুনর্বহালের দাবি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত