Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার নির্মাতা এনএসও গ্রুপ

প্রযুক্তি ডেস্ক
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২১, ২২: ৩১
যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার নির্মাতা এনএসও গ্রুপ

ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার নির্মাতা এনএসও গ্রুপকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে বাইডেন প্রশাসন। আজ বুধবার দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার নির্মাতা এনএসও গ্রুপের কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির পরিপন্থী হওয়ায় এবং বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলি কোম্পানির জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে স্পাইওয়্যারের প্রভাব সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। 

এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ‘বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের আজকের এই পদক্ষেপ দমন-পীড়নের জন্য ব্যবহৃত ডিজিটাল টুলের বিস্তার রোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মানবাধিকারের পক্ষে এটি মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির অবস্থান। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য নাগরিকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আরও উন্নত করা।’ 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘নাগরিকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা, সাইবার যুদ্ধ মোকাবিলা এবং বেআইনি নজরদারি ঠেকাতে তদন্তের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ 

কালো তালিকাভুক্ত হওয়ায় বিশেষ লাইসেন্স ছাড়া কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো কিছু কিনতে পারবে না। দেশটিতে তাদের পণ্যও বেচতে পারবে না। তা ছাড়া সারা বিশ্বের তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

এ সম্পর্কিত রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এনএসও গ্রুপের মুখপাত্র এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

এনএসওর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকায় আরও তিন ইসরায়েলি কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করার কথা জানালেও তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। 

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় তিন মাস আগে ফরাসি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘ফরবিডেন স্টোরিজ’ এবং গার্ডিয়ান গেগাসাসের গোপনে আড়িপাতার তথ্য ফাঁস করে। বিশ্বের কয়েকটি দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীর মোবাইল ফোনে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আড়িপাতার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে এনএসও কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েলি সরকার বিষয়টি তদন্ত করছে। 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাইয়ে স্পাইওয়্যার ‘পেগাসাস’ নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। সে সময় শত শত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নির্বাহী, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, একাডেমিক, এনজিও কর্মী, বিভিন্ন দেশের সরকারি কর্মকর্তা, মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ফাঁস করা হয়। ফাঁস হওয়া তথ্যে ১৮০ জন সাংবাদিকের কথা বলা হয়। পেগাসাস দিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর ফোনেও আড়িপাতা হয়েছিল—এমন কথা উঠে আসার পর ফোন বদলে ফেলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‎জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হত্যার ঘটনায় তাঁর ছাত্রী সপরিবারে পুলিশ হেফাজতে

পুরান ঢাকায় বাসার সিঁড়িতে জবি ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ

৪৯তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১২১৯

ফরিদপুরে এ কে আজাদের গণসংযোগে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

ভিডিও কলে ‘বিয়ে’: দেশে ফিরে দেখেন আরেকজনের স্ত্রী, অতঃপর কারাগারে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত