ফেসবুকের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতির কোনো সম্পর্ক নেই বলে অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউশনের (ওআইআই) এক গবেষণায় বলা হয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই জরিপ গবেষণায় ৭২টি দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে মানসিক সুস্থতার পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতির কারণ—সাধারণ এই ধারণার ভিত্তিতে অনেক গবেষক যুক্তি দেন। যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার জন্য আইন নিয়েও আলোচনা চলছে।
নিজস্ব গবেষণায় কিছু ব্যবহারকারীর ওপর ফেসবুকের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ইঙ্গিত রয়েছে—ফাঁস হওয়া এমন তথ্যের কারণে মেটাকে তদন্তের মুখে পড়তে হয়েছিল।
অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউশনের (ওআইআই) এই গবেষণা, শুধু ফেসবুককে নিয়ে করা হয়েছে। মেটা কোম্পানির অন্য প্লাটফর্ম, যেমন–ইনস্টাগ্রাম এতে অন্তর্ভুক্ত নয়।
ওআইআইয়ের অধ্যাপক এন্ড্রু প্রজিবিলস্কি বিবিসিকে বলেন, প্রতিটি দেশ যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সয়লাব, তখন দেশের মানুষের মানসিক অবস্থা কেমন হবে? নিজেই উত্তর দিয়ে বলেন, ‘মানুষের সাধারণ ধারণা—এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। কিন্তু গবেষণায় পাওয়া ডেটা পর্যবেক্ষণ করে এই ধারণার পক্ষে প্রমাণ মেলেনি।
এর আগে ওআইআইয়ের গবেষণায় কিশোরদের প্রযুক্তি ব্যবহারের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির কিছুটা যোগসূত্র মিলে। গবেষণাটি শুধু ফেসবুকের জাতীয় পর্যায়ের প্রভাব নিয়ে করা হয়েছে। তবে পিছিয়ে পড়া (দুর্বল) জনগোষ্ঠী নিয়ে গবেষণার কোনো ফলাফল প্রকাশিত হয়নি।
ফেসবুকে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কনটেন্ট থাকে। যেমন—নিজের ক্ষতি (আত্মহত্যা) করার জন্য প্ররোচনা দেওয়া। কিন্তু গবেষণায় এগুলোর প্রভাব নিয়ে কোনো পর্যবেক্ষণ করা হয়নি।
প্রজিবিলস্কি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব ভালোভাবে বুঝতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে আরও ডেটা প্রয়োজন।
যুক্তরাজ্যের অনলাইন সেফটি বিলটি (ওএসবি) আইনে রূপান্তর হওয়ার শেষ পর্যায়ে রয়েছে। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের অধ্যাপক সোনিয়া লিভিংস্টোনের মতে, এই বিলের সঙ্গে গবেষণার প্রাসঙ্গিকতা কম।
গবেষকদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গবেষণায় স্ক্রিনটাইম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময়ের বিষয়ে উদ্বেগের শক্তিশালী প্রমাণ নেই। এটি এতই সরল যে বর্তমানের কোনো আইন ও বস্তুনিষ্ঠ বিতর্কের ক্ষেত্রে খুবই কম কাজে আসবে।
তিনি আরও বলেন, ওএসবি বিলটি শিশুদের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেয়। কিন্তু গবেষণায় তরুণদের আলাদা গ্রুপে রাখা হয়নি। ফলে শিশুদের ফেসবুকের ব্যবহারের বিষয়টিও আসেনি।
ফেসবুকের দেওয়া ডেটার ভিত্তিতে অধ্যাপক প্রজিবিলস্কি ও সহগবেষক মাটি ভুয়োরের এই গবেষণা করা হয়েছে। দুজন গবেষকই স্বাধীনভাবে গবেষণা করেছেন বলে দাবি করেছেন। কোনো প্রযুক্তিবিষয়ক কোম্পানি এই গবেষণায় অর্থায়ন করেননি।
ফেসবুক গবেষকদের যে ডেটা দিয়েছে, তাতে প্রতিটি দেশে ২০০৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে বলে দেখানো হয়েছে। এই প্রায় ১০ লাখ মানুষের ডেটার ভান্ডার গালআপ ওর্য়াল্ড পোল সার্ভের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছে ওআইআই। সামগ্রিকভাবে গবেষকেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারের কারণে মানসিক সুস্থতার ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব দেখেননি।
বাথ স্পা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান ও যোগাযোগ বিজ্ঞানের অধ্যাপক পিটার ইচেলসের মতে, এই গবেষণায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণ ও প্রভাব নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে প্রযুক্তি কোম্পানির কাছে গবেষকদের এই ডেটা মূল্যবান সম্পদ হয়ে দাঁড়াবে।
ফেসবুকের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতির কোনো সম্পর্ক নেই বলে অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউশনের (ওআইআই) এক গবেষণায় বলা হয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই জরিপ গবেষণায় ৭২টি দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে মানসিক সুস্থতার পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতির কারণ—সাধারণ এই ধারণার ভিত্তিতে অনেক গবেষক যুক্তি দেন। যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার জন্য আইন নিয়েও আলোচনা চলছে।
নিজস্ব গবেষণায় কিছু ব্যবহারকারীর ওপর ফেসবুকের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ইঙ্গিত রয়েছে—ফাঁস হওয়া এমন তথ্যের কারণে মেটাকে তদন্তের মুখে পড়তে হয়েছিল।
অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউশনের (ওআইআই) এই গবেষণা, শুধু ফেসবুককে নিয়ে করা হয়েছে। মেটা কোম্পানির অন্য প্লাটফর্ম, যেমন–ইনস্টাগ্রাম এতে অন্তর্ভুক্ত নয়।
ওআইআইয়ের অধ্যাপক এন্ড্রু প্রজিবিলস্কি বিবিসিকে বলেন, প্রতিটি দেশ যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সয়লাব, তখন দেশের মানুষের মানসিক অবস্থা কেমন হবে? নিজেই উত্তর দিয়ে বলেন, ‘মানুষের সাধারণ ধারণা—এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। কিন্তু গবেষণায় পাওয়া ডেটা পর্যবেক্ষণ করে এই ধারণার পক্ষে প্রমাণ মেলেনি।
এর আগে ওআইআইয়ের গবেষণায় কিশোরদের প্রযুক্তি ব্যবহারের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির কিছুটা যোগসূত্র মিলে। গবেষণাটি শুধু ফেসবুকের জাতীয় পর্যায়ের প্রভাব নিয়ে করা হয়েছে। তবে পিছিয়ে পড়া (দুর্বল) জনগোষ্ঠী নিয়ে গবেষণার কোনো ফলাফল প্রকাশিত হয়নি।
ফেসবুকে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কনটেন্ট থাকে। যেমন—নিজের ক্ষতি (আত্মহত্যা) করার জন্য প্ররোচনা দেওয়া। কিন্তু গবেষণায় এগুলোর প্রভাব নিয়ে কোনো পর্যবেক্ষণ করা হয়নি।
প্রজিবিলস্কি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব ভালোভাবে বুঝতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে আরও ডেটা প্রয়োজন।
যুক্তরাজ্যের অনলাইন সেফটি বিলটি (ওএসবি) আইনে রূপান্তর হওয়ার শেষ পর্যায়ে রয়েছে। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের অধ্যাপক সোনিয়া লিভিংস্টোনের মতে, এই বিলের সঙ্গে গবেষণার প্রাসঙ্গিকতা কম।
গবেষকদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গবেষণায় স্ক্রিনটাইম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময়ের বিষয়ে উদ্বেগের শক্তিশালী প্রমাণ নেই। এটি এতই সরল যে বর্তমানের কোনো আইন ও বস্তুনিষ্ঠ বিতর্কের ক্ষেত্রে খুবই কম কাজে আসবে।
তিনি আরও বলেন, ওএসবি বিলটি শিশুদের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেয়। কিন্তু গবেষণায় তরুণদের আলাদা গ্রুপে রাখা হয়নি। ফলে শিশুদের ফেসবুকের ব্যবহারের বিষয়টিও আসেনি।
ফেসবুকের দেওয়া ডেটার ভিত্তিতে অধ্যাপক প্রজিবিলস্কি ও সহগবেষক মাটি ভুয়োরের এই গবেষণা করা হয়েছে। দুজন গবেষকই স্বাধীনভাবে গবেষণা করেছেন বলে দাবি করেছেন। কোনো প্রযুক্তিবিষয়ক কোম্পানি এই গবেষণায় অর্থায়ন করেননি।
ফেসবুক গবেষকদের যে ডেটা দিয়েছে, তাতে প্রতিটি দেশে ২০০৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে বলে দেখানো হয়েছে। এই প্রায় ১০ লাখ মানুষের ডেটার ভান্ডার গালআপ ওর্য়াল্ড পোল সার্ভের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছে ওআইআই। সামগ্রিকভাবে গবেষকেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারের কারণে মানসিক সুস্থতার ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব দেখেননি।
বাথ স্পা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান ও যোগাযোগ বিজ্ঞানের অধ্যাপক পিটার ইচেলসের মতে, এই গবেষণায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণ ও প্রভাব নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে প্রযুক্তি কোম্পানির কাছে গবেষকদের এই ডেটা মূল্যবান সম্পদ হয়ে দাঁড়াবে।
ফোল্ডেবল ফোনের দৌড়ে যখন স্যামসাং, হুয়াওয়ে বা অপো একে অপরকে টপকে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত, প্রযুক্তির বাজারে ঠিক তখন এক অপ্রত্যাশিত প্রতিদ্বন্দ্বী মাঠে নেমেছে। সেটি হলো—ভাঁজযোগ্য ইবুক রিডার। ই-ইংক প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ই-রিডারে বই পড়ার অভিজ্ঞতা এখন অনেকটাই কাগজের বইয়ের মতো।
২ ঘণ্টা আগেধর্ষণ ও অজাচার (নিকটাত্মীয়ের মধ্যে যৌন সম্পর্ক) উৎসাহিত করার অভিযোগের মুখে পড়েছে ভিডিও গেম ‘নো মার্সি’। সারা বিশ্বে গেমিং কমিউনিটির তীব্র সমালোচনার মুখে অবশেষে স্টিম প্ল্যাটফর্ম থেকে সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বজুড়েই ম্যারাথনে মানুষই দৌড়ায়। তবে চীনে দেখা গেল ভিন্ন দৃশ্য। সেখানে হাফ ম্যারাথনে দৌড়াল রোবট। একটি কিংবা দুটি নয়, ২০টি রোবট দৌড়াল সেই ম্যারাথনে।
১১ ঘণ্টা আগেবর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসার প্রসারে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী ও জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, যেখানে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ সক্রিয় থাকেন। ব্যবসাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও পণ্য বা সেবার ব্যাপারে বিশ্বাস তৈরি করতে ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করা
২০ ঘণ্টা আগে