Ajker Patrika

আবেগ বোঝায় মানুষের চেয়ে এগিয়ে এআই: গবেষণা

অনলাইন ডেস্ক
চ্যাটজিপিটি-৪ সহ ছয়টি এআই মডেল আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা (ইমোশনাল ইন্টেলেজেন্স–এআই) পরীক্ষায় গড়ে ৮২ শতাংশ সঠিক উত্তর দিয়েছে। ছবি: ভিসাগেট টেকনলজিস
চ্যাটজিপিটি-৪ সহ ছয়টি এআই মডেল আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা (ইমোশনাল ইন্টেলেজেন্স–এআই) পরীক্ষায় গড়ে ৮২ শতাংশ সঠিক উত্তর দিয়েছে। ছবি: ভিসাগেট টেকনলজিস

আবেগময় জটিল পরিস্থিতিতে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে মানুষের চেয়েও এগিয়ে যাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। ইউনিভার্সিটি অব জেনেভা ও ইউনিভার্সিটি অব বার্নের এক যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য।

গবেষণায় দেখা গেছে, চ্যাটজিপিটি-৪সহ ছয়টি এআই মডেল আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা (ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স–ইআই) পরীক্ষায় গড়ে ৮২ শতাংশ সঠিক উত্তর দিয়েছে, যেখানে মানুষের গড় সাফল্য মাত্র ৫৬ শতাংশ। এ ছাড়া, চ্যাটজিপিটি-৪ নতুন ইআই টেস্ট তৈরি করেছে, যেগুলোর মান বিশেষজ্ঞদের তৈরি পরীক্ষার সমতুল্য ছিল।

এই গবেষণার ফলাফল সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে কমিউনিকেশন সাইকোলজি সাময়িকীতে।

গবেষক দল ছয়টি জেনারেটিভ এআই—চ্যাটজিপিটি-৪, চ্যাটজিপিটি-ও ১, জেমিনি-১.৫ ফ্ল্যাশ, কোপাইলট ৩৬৫, ক্লদ ৩.৫ হাইকু এবং ডিপসিক ভি৩—এর ওপর মানবিক ইআই পরীক্ষার মডেল প্রয়োগ করে। এগুলো মূলত পাঁচটি টেস্ট ছিল, যা ব্যক্তিগত ও করপোরেট পর্যায়ে ব্যবহার হয়ে থাকে। এই পরীক্ষাগুলো আবেগ বোঝা, নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার ক্ষমতা যাচাই করে।

গবেষণার প্রধান গবেষক ইউনিবার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাটজা শ্লেগেল বলেন, ‘আমরা ইআই পরিমাপে প্রচলিত পাঁচটি বিশ্বস্ত টেস্ট ব্যবহার করেছি। দেখা গেছে, এআই সিস্টেমগুলো মানুষের তুলনায় যথেষ্ট ভালোভাবে আবেগ বোঝে এবং সে অনুযায়ী যুক্তিসংগত আচরণ করতে পারে।’

গবেষণায় ব্যবহৃত একটি পরীক্ষার উদাহরণ হলো—মাইকেল নামের একজন কর্মীর সহকর্মী তার একটি মৌলিক আইডিয়া চুরি করে নিয়েছে এবং সেই চুরি করা আইডিয়ার জন্য অন্যায়ভাবে প্রশংসাও পাচ্ছে। এমন এক আবেগপূর্ণ পরিস্থিতিতে মাইকেলের কী ধরনের প্রতিক্রিয়া সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত হবে, তা মূল্যায়ন করো—

উত্তরের বিকল্প ছিল—

ক) সহকর্মীর সঙ্গে তর্কে জড়ানো।

খ) বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করা।

গ) নিজের মধ্যে রাগ চেপে রাখা।

ঘ) প্রতিশোধ হিসেবে অন্য একটি আইডিয়া চুরি করা।

এই প্রশ্নে সবচেয়ে আবেগনির্ভর ও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া হিসেবে ‘খ’ বিকল্পটিকে (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করা) সবচেয়ে উপযুক্ত উত্তর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

দ্বিতীয় ধাপে, চ্যাটজিপিটি-৪কে বলা হয় ইআই টেস্টের নতুন প্রশ্ন তৈরি করতে। এসব নতুন প্রশ্নপত্র পরে ৪০০ মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয়।

অধ্যাপক শ্লেগেল বলেন, ‘এই নতুন টেস্টগুলো প্রামাণিক টেস্টের মতোই স্পষ্ট, বাস্তবসম্মত ও নির্ভরযোগ্য ছিল। এটি প্রমাণ করে যে লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলগুলো শুধু সঠিক উত্তর দিতে পারে না, বরং নতুন প্রাসঙ্গিক পরিস্থিতি তৈরি করতেও সক্ষম।’

গবেষণার সহলেখক ও ইউনিভার্সিটি অব জেনেভা-বিজ্ঞানী মারচেলো মরতিলারো বলেন, ‘এই ফলাফল প্রমাণ করে, এআই আবেগ ও মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা গড়ে তুলতে পারে এবং সে অনুযায়ী যুক্তিপূর্ণ আচরণও করতে পারে।’

তবে গবেষকেরা বলছেন, শিক্ষা, কোচিং বা দ্বন্দ্ব ব্যবস্থাপনার মতো মানবিক খাতগুলোতে এআই ব্যবহার করা হলেও তা অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে হতে হবে।

তথ্যসূত্র: নিউরোসায়েন্স নিউজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনা যাঁকে ঢাকায় ‘হত্যা করলেন’, তিনি ময়মনসিংহে জীবিত!

চরফ্যাশন থেকে গেটিসবার্গ কলেজ

নগদে স্ত্রীর চাকরি, স্বার্থের সংঘাতে জড়ালেন নাহিদের সাবেক পিএ আতিক মুর্শেদ

জীবিত ভাইকে জুলাই আন্দোলনে নিহত দেখিয়ে মামলায় সাক্ষীও দুই ভাই, নেপথ্যে যা জানা গেল

যুক্তরাষ্ট্রে সি চিন পিংয়ের মেয়েকে বহিষ্কারের দাবি, হঠাৎ কেন এই বিতর্ক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত