অনলাইন ডেস্ক
স্মার্ট টিভি কেনার পর মূলত রিমোট, মোবাইল অ্যাপ আর ইন্টারনেট সংযোগের ওপর ভর করেই সবকিছু চালানো হয়। ফলে টিভির সঙ্গে সরাসরি আর কোনো সংযোগ রাখার প্রয়োজন হয় না বললেই চলে। অথচ, এই আধুনিক প্রযুক্তির মাঝে একটি পুরোনো অথচ অসাধারণ ফিচার থেকে যায় প্রায় অব্যবহৃত। এই অসাধারণ ফিচারটি হলো ইউএসবি পোর্ট।
সাধারণত এইডিএমআই পোর্টের পাশে বসে থাকা এই ইউএসবি ২.০ পোর্ট হয়তো আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে, তবে এতে আছে চমকপ্রদ কিছু ক্ষমতা। বেশির ভাগ স্মার্ট টিভিতে আজকাল এই ইউএসবি পোর্ট থাকছেই। নিচে এমন পাঁচটি কাজ তুলে ধরা হলো, যেগুলো আপনি আপনার টিভির ইউএসবি পোর্ট ব্যবহার করে খুব সহজেই করতে পারেন—
১. টিভিকে বানিয়ে ফেলুন স্লাইডশো বা মিডিয়া প্লেয়ার
আপনার টিভির স্ক্রিন আপনার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের চেয়ে বড়–তাই ছবি বা ভিডিও দেখার জন্য এটি ব্যবহার করা যায়। কারও জন্মদিনে বা পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ ভিডিও বা স্লাইডশো তৈরি করে তা টিভিতে দেখানো যায়। শুধু একটি ইউএসবি ড্রাইভ টিভিতে প্লাগইন করলেই ছবিগুলো স্ক্রিনে হাজির।
টিভিতে কোনো ইউএসবি স্টিক, এক্সটার্নাল হার্ডড্রাইভ বা ফ্ল্যাশ ড্রাইভ সংযুক্ত করলেই সেটি কম্পিউটারের মতোই চিনে নেয় এবং মিডিয়া ফাইল দেখার অপশন দেয়।
বিশেষত, আপনি যদি চান যে টিভি স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্লাইডশো চালিয়ে যাক, তাহলে একটি ফ্ল্যাশ ড্রাইভে সেই মিডিয়া ফাইল রেখে সেটি টিভিতে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে করে টিভির মেমোরিতেও কোনো কিছু আপলোড করতে হবে না।
২. টিভিকে বানিয়ে ফেলুন একটি ওয়ার্কস্টেশন
একই সঙ্গে একাধিক ডকুমেন্ট, স্প্রেডশিট, ভিডিও বা ব্রাউজার চালাতে গিয়ে আপনার কম্পিউটার মনিটর ছোট মনে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনার টিভিকে কাজে লাগাতে পারেন বড় ডিসপ্লে হিসেবে।
৫৫ ইঞ্চি স্ক্রিনের একটি টিভিতে যদি আপনি ব্লুটুথ অ্যাডাপ্টর দিয়ে কিবোর্ড-মাউস কানেক্ট করেন, তাহলে সেটি হয়ে উঠবে আপনার মাল্টিটাস্কিং ওয়ার্কস্পেস। যদিও টিভির রেজল্যুশন কম্পিউটার মনিটরের মতো নয়, তবে বাজেট বাঁচাতে টিভিকে সেকেন্ডারি মনিটর বানানো মোটেই খারাপ আইডিয়া নয়।
৩. পুরোনো টিভিকে স্ট্রিমিং যোগ্য করে তুলুন
পুরোনো টিভি স্মার্ট না হলেও, ইউএসবি পোর্ট ও এইচডিএমআইয়ের মাধ্যমে একটি স্ট্রিমিং ডিভাইস (যেমন—রকু, ফায়ার স্টিক) যুক্ত করে এখনো প্রাইম ভিডিও, এইচবিও ম্যাক্স দেখা যায়। কিছু স্ট্রিমিং ডিভাইস যেমন পুরোনো ক্রমকাস্ট বা ফায়ার স্টিক ইউএসবি পোর্ট থেকে চালা যায়।
তবে খেয়াল রাখতে হবে, এই ডিভাইসগুলোতে নিজস্ব প্রসেসর থাকে বলে ইউএসবি পোর্ট থেকে পাওয়ার নিলে মাঝেমধ্যে গরম হয়ে যাওয়া বা পারফরম্যান্স কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
৪. অন্য ডিভাইস চার্জে
আপনার ফোন, গেমিং কন্ট্রোলার বা অন্য যেকোনো ইউএসবি ডিভাইস টিভির পোর্টে লাগিয়ে চার্জ দিতে পারেন। যদিও টিভির ইউএসবি পোর্ট সাধারণত কম পাওয়ার দিয়ে থাকে এবং চার্জিং ধীর গতির হয়, তবুও জরুরি প্রয়োজনে এটি হতে পারে উপকারী বিকল্প। কম বিদ্যুৎশক্তির প্রয়োজন এমন যন্ত্রপাতি চার্জ দিতে এই অপশনটি মাথায় রাখা যেতে পারে।
৫. সফটওয়্যার আপডেট দিন ইউএসবি দিয়েই
অনেক সময় ইন্টারনেট ছাড়া টিভির সফটওয়্যার আপডেট করা সম্ভব হয় না। তবে আপনি চাইলে ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহার করেও টিভির ফার্মওয়্যার বা সফটওয়্যার আপডেট করতে পারেন।
প্রথমে টিভির ব্র্যান্ড ওয়েবসাইট থেকে আপনার মডেলের সর্বশেষ সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন। এরপর সেটি ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভে কপি করে টিভিতে প্রবেশ করান–টিভি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট অপশন দেখাবে। যেমন—‘স্যামসাং’-এর টিভির জন্য তাদের সাপোর্ট পেজে গিয়ে সফটওয়্যার পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্র: জেড নেট
স্মার্ট টিভি কেনার পর মূলত রিমোট, মোবাইল অ্যাপ আর ইন্টারনেট সংযোগের ওপর ভর করেই সবকিছু চালানো হয়। ফলে টিভির সঙ্গে সরাসরি আর কোনো সংযোগ রাখার প্রয়োজন হয় না বললেই চলে। অথচ, এই আধুনিক প্রযুক্তির মাঝে একটি পুরোনো অথচ অসাধারণ ফিচার থেকে যায় প্রায় অব্যবহৃত। এই অসাধারণ ফিচারটি হলো ইউএসবি পোর্ট।
সাধারণত এইডিএমআই পোর্টের পাশে বসে থাকা এই ইউএসবি ২.০ পোর্ট হয়তো আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে, তবে এতে আছে চমকপ্রদ কিছু ক্ষমতা। বেশির ভাগ স্মার্ট টিভিতে আজকাল এই ইউএসবি পোর্ট থাকছেই। নিচে এমন পাঁচটি কাজ তুলে ধরা হলো, যেগুলো আপনি আপনার টিভির ইউএসবি পোর্ট ব্যবহার করে খুব সহজেই করতে পারেন—
১. টিভিকে বানিয়ে ফেলুন স্লাইডশো বা মিডিয়া প্লেয়ার
আপনার টিভির স্ক্রিন আপনার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের চেয়ে বড়–তাই ছবি বা ভিডিও দেখার জন্য এটি ব্যবহার করা যায়। কারও জন্মদিনে বা পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ ভিডিও বা স্লাইডশো তৈরি করে তা টিভিতে দেখানো যায়। শুধু একটি ইউএসবি ড্রাইভ টিভিতে প্লাগইন করলেই ছবিগুলো স্ক্রিনে হাজির।
টিভিতে কোনো ইউএসবি স্টিক, এক্সটার্নাল হার্ডড্রাইভ বা ফ্ল্যাশ ড্রাইভ সংযুক্ত করলেই সেটি কম্পিউটারের মতোই চিনে নেয় এবং মিডিয়া ফাইল দেখার অপশন দেয়।
বিশেষত, আপনি যদি চান যে টিভি স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্লাইডশো চালিয়ে যাক, তাহলে একটি ফ্ল্যাশ ড্রাইভে সেই মিডিয়া ফাইল রেখে সেটি টিভিতে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে করে টিভির মেমোরিতেও কোনো কিছু আপলোড করতে হবে না।
২. টিভিকে বানিয়ে ফেলুন একটি ওয়ার্কস্টেশন
একই সঙ্গে একাধিক ডকুমেন্ট, স্প্রেডশিট, ভিডিও বা ব্রাউজার চালাতে গিয়ে আপনার কম্পিউটার মনিটর ছোট মনে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনার টিভিকে কাজে লাগাতে পারেন বড় ডিসপ্লে হিসেবে।
৫৫ ইঞ্চি স্ক্রিনের একটি টিভিতে যদি আপনি ব্লুটুথ অ্যাডাপ্টর দিয়ে কিবোর্ড-মাউস কানেক্ট করেন, তাহলে সেটি হয়ে উঠবে আপনার মাল্টিটাস্কিং ওয়ার্কস্পেস। যদিও টিভির রেজল্যুশন কম্পিউটার মনিটরের মতো নয়, তবে বাজেট বাঁচাতে টিভিকে সেকেন্ডারি মনিটর বানানো মোটেই খারাপ আইডিয়া নয়।
৩. পুরোনো টিভিকে স্ট্রিমিং যোগ্য করে তুলুন
পুরোনো টিভি স্মার্ট না হলেও, ইউএসবি পোর্ট ও এইচডিএমআইয়ের মাধ্যমে একটি স্ট্রিমিং ডিভাইস (যেমন—রকু, ফায়ার স্টিক) যুক্ত করে এখনো প্রাইম ভিডিও, এইচবিও ম্যাক্স দেখা যায়। কিছু স্ট্রিমিং ডিভাইস যেমন পুরোনো ক্রমকাস্ট বা ফায়ার স্টিক ইউএসবি পোর্ট থেকে চালা যায়।
তবে খেয়াল রাখতে হবে, এই ডিভাইসগুলোতে নিজস্ব প্রসেসর থাকে বলে ইউএসবি পোর্ট থেকে পাওয়ার নিলে মাঝেমধ্যে গরম হয়ে যাওয়া বা পারফরম্যান্স কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
৪. অন্য ডিভাইস চার্জে
আপনার ফোন, গেমিং কন্ট্রোলার বা অন্য যেকোনো ইউএসবি ডিভাইস টিভির পোর্টে লাগিয়ে চার্জ দিতে পারেন। যদিও টিভির ইউএসবি পোর্ট সাধারণত কম পাওয়ার দিয়ে থাকে এবং চার্জিং ধীর গতির হয়, তবুও জরুরি প্রয়োজনে এটি হতে পারে উপকারী বিকল্প। কম বিদ্যুৎশক্তির প্রয়োজন এমন যন্ত্রপাতি চার্জ দিতে এই অপশনটি মাথায় রাখা যেতে পারে।
৫. সফটওয়্যার আপডেট দিন ইউএসবি দিয়েই
অনেক সময় ইন্টারনেট ছাড়া টিভির সফটওয়্যার আপডেট করা সম্ভব হয় না। তবে আপনি চাইলে ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহার করেও টিভির ফার্মওয়্যার বা সফটওয়্যার আপডেট করতে পারেন।
প্রথমে টিভির ব্র্যান্ড ওয়েবসাইট থেকে আপনার মডেলের সর্বশেষ সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন। এরপর সেটি ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভে কপি করে টিভিতে প্রবেশ করান–টিভি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট অপশন দেখাবে। যেমন—‘স্যামসাং’-এর টিভির জন্য তাদের সাপোর্ট পেজে গিয়ে সফটওয়্যার পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্র: জেড নেট
বিশ্বজুড়ে ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। বিশেষ করে চ্যাটজিপিটির মতো বড় ভাষা মডেল (এলএলএম) মানুষের দৈনন্দিন কথাবার্তার ধরন বদলে দিচ্ছে এবং একঘেয়ে করে তুলছে বলে সতর্ক করেছে জার্মানির এক গবেষক দল।
১৭ ঘণ্টা আগেবিশ্বের ইন্টারনেট গতির নতুন রেকর্ড গড়েছে জাপান। দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজির (এনআইসিটি) গবেষকেরা দাবি করেছে, তাঁরা প্রতি সেকেন্ডে ১ লাখ ২৫ হাজার গিগাবাইট ডেটা স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন, যা প্রায় ১ হাজার ১২০ মাইল (১ হাজার ৮০২ কিলোমিটার) দূরত্ব অতিক্রম...
২০ ঘণ্টা আগেমাইক্রোসফট তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক সহকারী কোপাইলট ভিশনের নতুন আপডেট চালু করেছে, যা এখন ব্যবহারকারীর কম্পিউটারের পুরো স্ক্রিন বা পর্দা স্ক্যান করতে পারবে। আগে এই টুলটি একসঙ্গে দুইটি অ্যাপ দেখতে পারত এবং সে অনুযায়ী বিশ্লেষণ করত। তবে নতুন আপডেটের ফলে এটি এখন সম্পূর্ণ ডেস্কটপ কিংবা নির্দিষ্ট
১ দিন আগেডিজিটাল কনটেন্টের যুগে ইউটিউব কেবল একটি ভিডিও প্ল্যাটফর্ম নয়—এটি এখন এক বড় ক্যারিয়ার অপশন, ব্র্যান্ড তৈরির মাধ্যম, এমনকি অনেকের স্বপ্নপূরণের জায়গা। আপনি যদি ইউটিউবে চ্যানেল খোলার কথা ভাবেন, তবে নিশ্চয়ই অনেক ধরনের আইডিয়া মাথায় ঘুরছে। তবে এতগুলো আইডিয়ার ভিড়ে কোনটা দিয়ে শুরু করবেন, সেটাই সবচেয়ে কঠিন
১ দিন আগে