Ajker Patrika

টিকটকের মালিক বাইটড্যান্সের বাজারমূল্য এখন ৩০০ বিলিয়ন ডলার

অনলাইন ডেস্ক    
Thumbnail image
সম্প্রতি শেয়ারগুলো ফিরে পাওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি ১৮০ দশমিক ৭০ ডলার প্রস্তাব করে বাইটড্যান্স। ছবি: স্ক্রিন র‍্যান্ট

জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটকের মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের বাজারমূল্য এখন ৩০০ বিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি বিনিয়োগকারীদের কাছে নিজেদের শেয়ার কিনে নেওয়ার (বাইব্যাক) প্রস্তাব দেয় বাইটড্যান্স। তাঁদের এই ‘শেয়ার বাইব্যাক’ অফার অনুযায়ী চীনের কোম্পানিটির বাজারমূল্য এখন ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে গত রোববার সংবাদসংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানিয়েছে।

সম্প্রতি শেয়ারগুলো ফিরে পাওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি ১৮০ দশমিক ৭০ ডলার প্রস্তাব করে বাইটড্যান্স। এর আগেও শেয়ার ব্যাকঅফার দেয় কোম্পানিটি। আগের অফারের (১৬০ ডলার) তুলনায় এবার শেয়ার প্রতি ১২ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি মূল্য অফার করেছে কোম্পানিটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রদের একজন জানায়, বাইটড্যান্সের এখনই শেয়ার বাজারে যোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। বরং প্রতিষ্ঠানটিকে তারল্য বাড়ানো বা নগদ অর্থ বাড়ানোই মূল উদ্দেশ্যে। এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো শেয়ার বাইব্যাক প্রোগ্রাম চালু করেছে কোম্পানিটি।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বাইটড্যান্স ৫ বিলিয়ন ডলার বা ৫০০ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দেয় বিনিয়োগকারীদের। শেয়ার প্রতি ১৬০ ডলার হিসেবে তখন কোম্পানিটির বাজারমূল্য ছিল ২৬৮ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালে সর্বপ্রথম বাইব্যাক এর উদ্যোগ নেয় কোম্পানিটি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, বাইটড্যান্স বেশ কিছুদিন ধরেই শেয়ার কিনে নেওয়ার বিষয়ে ভাবছিল। তবে এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের কোনো সম্পর্ক নেই।

বাইটড্যান্সের বৈশ্বিক আয় গত বছর ৩০ শতাংশ বেড়ে ১১০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের মালিকানা জন্য বাইডেন সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছিল।

গত ২৪ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরিত একটি আইন প্রণয়ন করা হয় দেশটিতে। আইন অনুয়ায়ী, বাইটড্যান্সকে টিকটকের মালিকানা ছেড়ে দেওয়ার জন্য ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। টিকটকের শেয়ার বিক্রি করে না দিলে দেশটিতে টিকটককে নিষিদ্ধ করা হবে বলেও আইনে বলা হয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তা প্রসঙ্গ টেনে এই আইন প্রণয়ন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের যে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাঁদের চীন-ভিত্তিক মালিকানা বন্ধের উদ্দেশ্যে এই আইন জারি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত