যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ব্যবসা কিনতে আগ্রহী মার্কিন ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী ফ্রাংক ম্যাককোর্ট। তাঁর এই অধিগ্রহণ প্রচেষ্টায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন রেডিটের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান। ফ্রাংক ম্যাককোর্টের টিকটক কেনার উদ্যোগে কৌশলগত পরামর্শদাতা হিসেবে যুক্ত হয়েছে তিনি।
অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান একজন প্রযুক্তি উদ্ভাবক। তিনি তার ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার রুমমেটের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিট প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক মিডিয়া কোম্পানি কন্ডে নাস্টের কাছে প্ল্যাটফর্মটি বিক্রি করেন তিনি। এরপর ২০১৪ সালে নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে ফিরে এসে রেডিটের নেতৃত্ব দেন ওহানিয়ান। এ ছাড়া তিনি ইনস্টাকার্ট, পেট্রিওন, ওপেনসিসহ একাধিক প্রযুক্তি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন।
ম্যাককোর্ট বলেন, ‘তিনি বিস্তৃত অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছেন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার গতিপথ এবং এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একটি গভীর ধারণা রয়েছে।
ফ্রাংক ম্যাককোর্ট আরও বলেন, ওহানিয়ান তার ‘প্রজেক্ট লিবার্টি’ নামে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা কেনার প্রস্তাব প্রচারে সাহায্য করবেন।
ম্যাককোর্টের এই উদ্যোগ ‘পিপলস বিড’ নামে পরিচিত। কারণ এটি ব্যবহারকারীদের ডেটা ব্যবহারের ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওহানিয়ান জানান, এই প্রকল্পে কাজ করতে এবং মানুষের ডেটার ওপর অধিক নিয়ন্ত্রণ দিতে তিনি অনেক আগ্রহী।
এ ছাড়া, ফ্রাংক ম্যাককোর্ট ও তাঁর সহযোগীরা জানুয়ারির শুরুতে টিকটক কেনার জন্য একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন। গত বছর টিকটককে নিষেধাজ্ঞার নতুন আইন পাস হয়। আইন অনুযায়ী, গত ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্সকে অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোম্পানির কাছে বিক্রি করতে হতো। এই সময়সীমার মধ্যে বিক্রি না করলে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটি নিষিদ্ধ হতো।
তবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অ্যাপটি। পরে গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের সময়সীমা ৭৫ দিন বাড়ান এবং বিক্রির প্রক্রিয়া তদারক করার জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে নিয়োগ দেন।
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির মালিকানা অর্জনের ক্ষেত্রে ব্যাপকসংখ্যক বিনিয়োগকারী, প্রযুক্তি ও বিনোদনজগতের ব্যক্তিত্বদের আকর্ষণ করেছে। অন্যান্য বিডারের মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তি উদ্যোক্তা জেসি টিন্সলির নেতৃত্বাধীন বিনিয়োগকারীদের একটি দল, যার মধ্যে ইউটিউব তারকা মিস্টারবিস্ট (যার আসল নাম জিমি ডোনাল্ডসন) এবং ওয়াইমিংয়ের উদ্যোক্তা রিড রাসনার রয়েছেন।
ম্যাককোর্ট জানান, তিনি তার টিকটক বিডের ব্যাপারে হোয়াইট হাউসে ব্যাপক তথ্য পাঠিয়েছেন, যার মধ্যে তার অর্থায়ন, প্রযুক্তির প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি এবং কীভাবে তার বিড জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুগুলোকে সমাধান করে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বর্তমানে টিকটকের চীনা প্যারেন্ট কোম্পানি বাইটড্যান্স ‘হালকা’ভাবে এই প্রক্রিয়ায় জড়িত রয়েছে এবং তারা এখনো বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট কোনো সম্পদ বা মূল্য নির্ধারণ করেনি। ম্যাককোর্ট জানিয়েছেন, বিক্রি করার চেয়ে টিকটক বন্ধ করারও সিদ্ধান্ত নিতে পারে বাইটড্যান্স।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ব্যবসা কিনতে আগ্রহী মার্কিন ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী ফ্রাংক ম্যাককোর্ট। তাঁর এই অধিগ্রহণ প্রচেষ্টায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন রেডিটের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান। ফ্রাংক ম্যাককোর্টের টিকটক কেনার উদ্যোগে কৌশলগত পরামর্শদাতা হিসেবে যুক্ত হয়েছে তিনি।
অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান একজন প্রযুক্তি উদ্ভাবক। তিনি তার ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার রুমমেটের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিট প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক মিডিয়া কোম্পানি কন্ডে নাস্টের কাছে প্ল্যাটফর্মটি বিক্রি করেন তিনি। এরপর ২০১৪ সালে নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে ফিরে এসে রেডিটের নেতৃত্ব দেন ওহানিয়ান। এ ছাড়া তিনি ইনস্টাকার্ট, পেট্রিওন, ওপেনসিসহ একাধিক প্রযুক্তি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন।
ম্যাককোর্ট বলেন, ‘তিনি বিস্তৃত অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছেন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার গতিপথ এবং এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একটি গভীর ধারণা রয়েছে।
ফ্রাংক ম্যাককোর্ট আরও বলেন, ওহানিয়ান তার ‘প্রজেক্ট লিবার্টি’ নামে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা কেনার প্রস্তাব প্রচারে সাহায্য করবেন।
ম্যাককোর্টের এই উদ্যোগ ‘পিপলস বিড’ নামে পরিচিত। কারণ এটি ব্যবহারকারীদের ডেটা ব্যবহারের ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওহানিয়ান জানান, এই প্রকল্পে কাজ করতে এবং মানুষের ডেটার ওপর অধিক নিয়ন্ত্রণ দিতে তিনি অনেক আগ্রহী।
এ ছাড়া, ফ্রাংক ম্যাককোর্ট ও তাঁর সহযোগীরা জানুয়ারির শুরুতে টিকটক কেনার জন্য একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন। গত বছর টিকটককে নিষেধাজ্ঞার নতুন আইন পাস হয়। আইন অনুযায়ী, গত ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্সকে অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোম্পানির কাছে বিক্রি করতে হতো। এই সময়সীমার মধ্যে বিক্রি না করলে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটি নিষিদ্ধ হতো।
তবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অ্যাপটি। পরে গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের সময়সীমা ৭৫ দিন বাড়ান এবং বিক্রির প্রক্রিয়া তদারক করার জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে নিয়োগ দেন।
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির মালিকানা অর্জনের ক্ষেত্রে ব্যাপকসংখ্যক বিনিয়োগকারী, প্রযুক্তি ও বিনোদনজগতের ব্যক্তিত্বদের আকর্ষণ করেছে। অন্যান্য বিডারের মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তি উদ্যোক্তা জেসি টিন্সলির নেতৃত্বাধীন বিনিয়োগকারীদের একটি দল, যার মধ্যে ইউটিউব তারকা মিস্টারবিস্ট (যার আসল নাম জিমি ডোনাল্ডসন) এবং ওয়াইমিংয়ের উদ্যোক্তা রিড রাসনার রয়েছেন।
ম্যাককোর্ট জানান, তিনি তার টিকটক বিডের ব্যাপারে হোয়াইট হাউসে ব্যাপক তথ্য পাঠিয়েছেন, যার মধ্যে তার অর্থায়ন, প্রযুক্তির প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি এবং কীভাবে তার বিড জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুগুলোকে সমাধান করে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বর্তমানে টিকটকের চীনা প্যারেন্ট কোম্পানি বাইটড্যান্স ‘হালকা’ভাবে এই প্রক্রিয়ায় জড়িত রয়েছে এবং তারা এখনো বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট কোনো সম্পদ বা মূল্য নির্ধারণ করেনি। ম্যাককোর্ট জানিয়েছেন, বিক্রি করার চেয়ে টিকটক বন্ধ করারও সিদ্ধান্ত নিতে পারে বাইটড্যান্স।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
পুরোনো ও কাটডাউট ভার্সন দিয়েই ডিপসিকের মতো এআই অ্যাপ বানিয়েছে চীন। মূলত এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের মনে হয়েছে, কমদামি ও কম সক্ষমতার এসব চিপও আর চীনকে দেওয়া যাবে না এবং যথারীতি চীনে দুর্বল চিপ রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
১৫ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সম্প্রতি ‘টেলিকম খাতে নেটওয়ার্ক ও ব্যবসা পরিচালনার লাইসেন্স পুনর্বিন্যাসের’ জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন সংশোধনের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তাতে আইসিএক্স বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে বাংলাদেশের ডিজিটাল...
১ দিন আগেডিজিটাল যুগে যোগাযোগের অন্যতম সহজ ও দ্রুত মাধ্যম হয়ে উঠেছে মেসেঞ্জারের মতো বিভিন্ন মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন। এই অ্যাপের মাধ্যমে মানুষ খুব সহজেই বার্তা আদান-প্রদান করতে পারেন। অনেক সময় বার্তা পাঠানোর পর বানান ভুল, তথ্যগত ত্রুটি বা ভুল বোঝাবুঝির কারণে পাঠানো বার্তাটি সংশোধনের প্রয়োজন হয়। আগে মেসেঞ্জারে
২ দিন আগেকাজাখস্তানের ২৩ বছর বয়সী তরুণ কেনজেবেক ইসমাইলভ তাঁর মাকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। পথে একটি গাড়ি কোনো কারণ ছাড়াই থেমে গিয়ে এক লেনের রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করে। কিন্তু কেনজেবেকের হাসপাতালে যাওয়ার তাড়া ছিল।
২ দিন আগে