কুহেলী রহমান
‘ট্যাকটিক্যাল রিলোড’ অথবা ‘কিংসম্যান’ সিরিজের সিনেমাগুলো যদি দেখেন, বুঝতে পারবেন ছাতা কতটা স্মার্ট। সেসব ছাতা দিয়ে মারামারি করা যায়, জীবন বাঁচানো যায়, শত্রুদের ঘরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়া যায়! নিদেন পক্ষে নায়িকাকে তো বাঁচানো যায়-ই। বাস্তব জীবনে এতটা না হলেও ছাতাগুলো এখন বেশ স্মার্ট। অন্তত কোথাও রেখে আসলে এখন আর সেগুলো হারাবে না! ছাতা আর কতটা স্মার্ট হতে পারে, তাই ভাবছেন তো?
ধরুন, মাথায় ছাতা মেলে প্রখর রোদে বের হলেন। রোদ থেকে মাথা তো বাঁচল। কিন্তু গরমে ত্রাহি অবস্থা। মন বলছে, ছাতায় যদি একটি ফ্যান লাগানো থাকত! বলে রাখি, ছাতায় ফ্যান থাকার প্রযুক্তি বর্তমানে পুরোনো। ছাতায় নতুন কী কী প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে আপনি হয়তো তা অনুমানই করতে পারছেন না।
বিভিন্ন দেশ নিজেদের আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ছাতাকে প্রযুক্তিনির্ভর করে তুলেছে। ধরুন, আপনি সাইপ্রাসে গিয়ে একটি কাজব্রেলা ছাতা কিনে ঘুরতে বের হলেন।
এমন সময় বৃষ্টি শুরু হলো। ছাতা মেলে ঘুরলেন। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থেমে গেল। বৃষ্টিভেজা ছাতা ভাঁজ করলেন। কিন্তু টপটপ পানি পড়ল না! ছাতাটি উল্টো করে ভাঁজ করা হলো বলে ছাতার পানি ভেতরেই জমা হলো। পরে সুবিধাজনক সময়ে সেই জমে থাকা পানি ফেলে দিলেন কোথাও। অথবা আপনার বাড়ির টবেই দিলেন সে বৃষ্টির পানি।
আবার মরুভূমির কোনো দেশে গিয়ে একটি কাফিয়া ছাতা কিনলে আপনার অভিজ্ঞতা হবে ভিন্ন। সেই ছাতাটি মেলে ধরার পরে দেখলেন মাথার ওপর ঝরছে শিশির বিন্দু!
সৌদি আরবের বিজ্ঞানী মোহাম্মদ বিন হামেদ আস সায়েগ এ ধরনের স্মার্ট ছাতা আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ছাতাটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও স্বস্তি দিতে পারবে। এর ওজন মাত্র ৬৬০ গ্রাম। ফলে এটি খুব সহজে বহনযোগ্য। কাফিয়া ছাতা থেকে শিশির বিন্দুর মতো পানি ঝরে পড়ার জন্য ছাতার হাতলের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় পানির বোতল যুক্ত করা থাকে। ছাতার ওপরে থাকে ফ্যান। সেই ফ্যান বোতলের পানি টেনে ছিটিয়ে দেয় ব্যবহারকারীর মাথায়। ফ্যানটি চালাতে ছাতাটিকে চার্জ দিতে হয়। তা ছাড়া তাতে রয়েছে সোলার সিস্টেম।
ট্যারা কোম্পানি ট্যারাবেলা নামে একটি স্মার্ট ছাতা বাজারে এনেছে, যাতে যুক্ত করা হয়েছে ব্যারোমিটার। এটি বাইরের আবহাওয়ার তথ্য দেয়। সেই সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা, চাপ ইত্যাদি সব তথ্য ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে দিতে পারে ছাতাটি। এতে বাতি যুক্ত থাকার কারণে অন্ধকারে হাঁটার সময় আলো পাওয়া যায়।
ছাতা ব্যবহার করেন আর ছাতা হারায়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া হয়তো দুষ্কর। ছাতা হারানো সেইসব মানুষের জন্যও আছে প্রযুক্তির সদয় দৃষ্টি। উমব্রেলা নামে একটি স্মার্ট ছাতা আছে। আপনি চাইলেও সেই ছাতা কোথাও ফেলে আসতে পারবেন না। কেননা ফেলে যাওয়ার সময় ছাতাটি আপনাকে ‘ফরগেট মি নট’ নোটিফিকেশন দেবে। এই স্মার্ট ছাতাটিও আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে সক্ষম। বড় একটি বিষয়, ঝোড়ো বাতাসে ছাতাটি উল্টে যায় না। ছাতাটি মেলে হাঁটার সময় ফোনে তা নোটিফিকেশন দেয়। কারণ, ব্লুটুথ দিয়ে ছাতার সঙ্গে সেন্সর যুক্ত থাকে।
উমব্রেলার মতো আমেরিকায়ও মেলে এক ধরনের ছাতা। নাম তার দাভেক অ্যালার্ট আমব্রেলা। এই ছাতাটিও আপনি ভুল করে ফেলে যেতে পারবেন না—এটিও অ্যালার্ম দেয়। ছাতাটি ছেড়ে মাত্র ৩০ ফুট গেলেই সেটি ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোনে নোটিফিকেশন পাঠায়। নেদারল্যান্ডসের ডেলফ্ট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির বিশেষজ্ঞরা একটি বিশেষ প্রযুক্তিসমৃদ্ধ স্মার্ট ছাতা তৈরি করেছেন। সেটি বৃষ্টির তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্ণয় করতে পারে। ছাতাটিতে একটি বিশেষ ধরনের সেন্সর যুক্ত আছে। বৃষ্টির ফোঁটা ছাতায় পড়ার পরে যে কম্পন তৈরি হয় তা থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্ণয় করতে পারে এই স্মার্ট ছাতাটি। এ ছাতার মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন জায়গার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্ণয় করা যায়। অতিবৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কা থাকলে সে তথ্যও জানা যায় এই ছাতার মাধ্যমে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান টাইমস, বিজনেস ইনসাইডার, ডিজিটাল ট্রেন্ড।
‘ট্যাকটিক্যাল রিলোড’ অথবা ‘কিংসম্যান’ সিরিজের সিনেমাগুলো যদি দেখেন, বুঝতে পারবেন ছাতা কতটা স্মার্ট। সেসব ছাতা দিয়ে মারামারি করা যায়, জীবন বাঁচানো যায়, শত্রুদের ঘরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়া যায়! নিদেন পক্ষে নায়িকাকে তো বাঁচানো যায়-ই। বাস্তব জীবনে এতটা না হলেও ছাতাগুলো এখন বেশ স্মার্ট। অন্তত কোথাও রেখে আসলে এখন আর সেগুলো হারাবে না! ছাতা আর কতটা স্মার্ট হতে পারে, তাই ভাবছেন তো?
ধরুন, মাথায় ছাতা মেলে প্রখর রোদে বের হলেন। রোদ থেকে মাথা তো বাঁচল। কিন্তু গরমে ত্রাহি অবস্থা। মন বলছে, ছাতায় যদি একটি ফ্যান লাগানো থাকত! বলে রাখি, ছাতায় ফ্যান থাকার প্রযুক্তি বর্তমানে পুরোনো। ছাতায় নতুন কী কী প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে আপনি হয়তো তা অনুমানই করতে পারছেন না।
বিভিন্ন দেশ নিজেদের আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ছাতাকে প্রযুক্তিনির্ভর করে তুলেছে। ধরুন, আপনি সাইপ্রাসে গিয়ে একটি কাজব্রেলা ছাতা কিনে ঘুরতে বের হলেন।
এমন সময় বৃষ্টি শুরু হলো। ছাতা মেলে ঘুরলেন। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থেমে গেল। বৃষ্টিভেজা ছাতা ভাঁজ করলেন। কিন্তু টপটপ পানি পড়ল না! ছাতাটি উল্টো করে ভাঁজ করা হলো বলে ছাতার পানি ভেতরেই জমা হলো। পরে সুবিধাজনক সময়ে সেই জমে থাকা পানি ফেলে দিলেন কোথাও। অথবা আপনার বাড়ির টবেই দিলেন সে বৃষ্টির পানি।
আবার মরুভূমির কোনো দেশে গিয়ে একটি কাফিয়া ছাতা কিনলে আপনার অভিজ্ঞতা হবে ভিন্ন। সেই ছাতাটি মেলে ধরার পরে দেখলেন মাথার ওপর ঝরছে শিশির বিন্দু!
সৌদি আরবের বিজ্ঞানী মোহাম্মদ বিন হামেদ আস সায়েগ এ ধরনের স্মার্ট ছাতা আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ছাতাটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও স্বস্তি দিতে পারবে। এর ওজন মাত্র ৬৬০ গ্রাম। ফলে এটি খুব সহজে বহনযোগ্য। কাফিয়া ছাতা থেকে শিশির বিন্দুর মতো পানি ঝরে পড়ার জন্য ছাতার হাতলের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় পানির বোতল যুক্ত করা থাকে। ছাতার ওপরে থাকে ফ্যান। সেই ফ্যান বোতলের পানি টেনে ছিটিয়ে দেয় ব্যবহারকারীর মাথায়। ফ্যানটি চালাতে ছাতাটিকে চার্জ দিতে হয়। তা ছাড়া তাতে রয়েছে সোলার সিস্টেম।
ট্যারা কোম্পানি ট্যারাবেলা নামে একটি স্মার্ট ছাতা বাজারে এনেছে, যাতে যুক্ত করা হয়েছে ব্যারোমিটার। এটি বাইরের আবহাওয়ার তথ্য দেয়। সেই সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা, চাপ ইত্যাদি সব তথ্য ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে দিতে পারে ছাতাটি। এতে বাতি যুক্ত থাকার কারণে অন্ধকারে হাঁটার সময় আলো পাওয়া যায়।
ছাতা ব্যবহার করেন আর ছাতা হারায়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া হয়তো দুষ্কর। ছাতা হারানো সেইসব মানুষের জন্যও আছে প্রযুক্তির সদয় দৃষ্টি। উমব্রেলা নামে একটি স্মার্ট ছাতা আছে। আপনি চাইলেও সেই ছাতা কোথাও ফেলে আসতে পারবেন না। কেননা ফেলে যাওয়ার সময় ছাতাটি আপনাকে ‘ফরগেট মি নট’ নোটিফিকেশন দেবে। এই স্মার্ট ছাতাটিও আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে সক্ষম। বড় একটি বিষয়, ঝোড়ো বাতাসে ছাতাটি উল্টে যায় না। ছাতাটি মেলে হাঁটার সময় ফোনে তা নোটিফিকেশন দেয়। কারণ, ব্লুটুথ দিয়ে ছাতার সঙ্গে সেন্সর যুক্ত থাকে।
উমব্রেলার মতো আমেরিকায়ও মেলে এক ধরনের ছাতা। নাম তার দাভেক অ্যালার্ট আমব্রেলা। এই ছাতাটিও আপনি ভুল করে ফেলে যেতে পারবেন না—এটিও অ্যালার্ম দেয়। ছাতাটি ছেড়ে মাত্র ৩০ ফুট গেলেই সেটি ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোনে নোটিফিকেশন পাঠায়। নেদারল্যান্ডসের ডেলফ্ট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির বিশেষজ্ঞরা একটি বিশেষ প্রযুক্তিসমৃদ্ধ স্মার্ট ছাতা তৈরি করেছেন। সেটি বৃষ্টির তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্ণয় করতে পারে। ছাতাটিতে একটি বিশেষ ধরনের সেন্সর যুক্ত আছে। বৃষ্টির ফোঁটা ছাতায় পড়ার পরে যে কম্পন তৈরি হয় তা থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্ণয় করতে পারে এই স্মার্ট ছাতাটি। এ ছাতার মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন জায়গার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্ণয় করা যায়। অতিবৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কা থাকলে সে তথ্যও জানা যায় এই ছাতার মাধ্যমে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান টাইমস, বিজনেস ইনসাইডার, ডিজিটাল ট্রেন্ড।
বন্ধুদের সঙ্গে রিলস ভাগাভাগির প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে ‘ব্লেন্ড’ নামের নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হলো ইনস্টাগ্রাম। এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এখন তাঁদের বন্ধু বা গ্রুপ চ্যাটের সদস্যদের সঙ্গে একটি ব্যক্তিগত ও কাস্টমাইজড রিলস ফিড শেয়ার করতে পারবেন। তবে এই ফিচার ব্যবহার করতে হলে বন্ধুদের আমন্ত্রণ...
১২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ওয়েবসাইটে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছেন ইরাকি কিশোর মুনতাধার মোহাম্মদ আহমেদ সালেহ। বাগদাদের আল-তারমিয়া জেলার আল-বায়ারিক উচ্চ বিদ্যালয়ের এই মেধাবী শিক্ষার্থী নিজের অসাধারণ প্রযুক্তি দক্ষতা দিয়ে নাসার বিশেষ প্রশংসা
১৪ ঘণ্টা আগেমানুষের কাজের জগতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের ইঙ্গিত নিয়ে বিশ্বের প্রযুক্তিকেন্দ্র সিলিকন ভ্যালিতে আত্মপ্রকাশ করল বিতর্কিত স্টার্টআপ ‘মেকানাইজ’। বিখ্যাত এআই গবেষক ও প্রতিষ্ঠাতা তামায় বেসিরোগ্লু ঘোষণা দিয়েছেন, এই স্টার্টআপের লক্ষ্য হলো—‘সব ধরনের কাজের পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়করণ’ এবং ‘সম্পূর্ণ অর্থনীতির...
১৪ ঘণ্টা আগেফোল্ডেবল ফোনের দৌড়ে যখন স্যামসাং, হুয়াওয়ে বা অপো একে অপরকে টপকে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত, প্রযুক্তির বাজারে ঠিক তখন এক অপ্রত্যাশিত প্রতিদ্বন্দ্বী মাঠে নেমেছে। সেটি হলো—ভাঁজযোগ্য ইবুক রিডার। ই-ইংক প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ই-রিডারে বই পড়ার অভিজ্ঞতা এখন অনেকটাই কাগজের বইয়ের মতো।
১৭ ঘণ্টা আগে