নওরোজ চৌধুরী
২০ নভেম্বর কাতারে শুরু হতে যাচ্ছে ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর, বিশ্বকাপ ফুটবল। কাতার বিশ্বকাপ ঘিরে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে উন্মাদনা। ক্রীড়াপ্রেমীরা যেমন খেলা নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত, তেমনি প্রযুক্তিপ্রেমী ও প্রযুক্তি বিশারদদের মধ্যেও কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে আছে বিস্তর আলোচনা। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, কাতার বিশ্বকাপ প্রযুক্তিরও বিরাট প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে।
শীতলীকরণ প্রযুক্তি
কাতার এমন এক দেশ, যেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। খেলোয়াড় ও দর্শকদের কথা বিবেচনায় রেখে এই প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন প্রযুক্তিবিদেরা। তাঁরা কাজ করেছেন তাপমাত্রাকে ২৬ ডিগ্রিতে রাখতে। আর সেটা করতে গিয়ে তাঁদের প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো গরম বাতাস বের করে দেওয়া। তাই স্ট্যান্ডে ফুটবল দর্শকদের প্রত্যেকের আসনের নিচে ভেন্টিলেটর বসিয়ে সেখান দিয়ে হাওয়া চালিয়ে আসন শীতল রাখা হবে। শাওয়ারের ঝারিমুখ দিয়ে যেমন পানির ধারা পড়ে, তেমনিভাবে সূক্ষ্ম ঝারি দিয়ে ঠান্ডা বাতাস ছাড়া হবে, যা দর্শকদের চারপাশ থেকে ঘিরে রাখবে। বাতাসের এই প্রবাহ হবে খুবই মৃদু।
আজকের প্রতিটি ফুটবলার একটি ম্যাচে প্রায় ১০ কিলোমিটার দৌড়ান। ফলে তাঁদের শরীর থেকে তিন লিটার পর্যন্ত ঘাম ঝরে। কাজেই তাঁদের শরীর ঠান্ডা করার এবং শরীরে পানির প্রয়োজন হয়। তাই কাতার বিশ্বকাপের সময় মাঠে শীতল আস্তরণ তৈরিতে সাহায্য করতে বড় বড় ঝারিমুখ দিয়ে স্টেডিয়ামে ঠান্ডা বাতাস সঞ্চালন করা হবে। ভেন্টগুলো যে কোণা থেকে বসানো হয়েছে এবং তার ফলে ঠান্ডা বাতাস যেভাবে ও যেখানে গিয়ে জমা হচ্ছে, তাতে খেলোয়াড়েরা বুঝতেই পারবেন না যে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
এই শীতলীকরণ প্রযুক্তি সাধারণ শীতলীকরণ প্রযুক্তির চেয়ে ৪০ শতাংশের বেশি টেকসই ও এনার্জি-এফিসিয়েন্ট। এই ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেছেন ড. সাউদ আবদুল গানি। আর পুরো শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটি চালানো হবে কাতারের রাজধানী দোহার কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে সম্প্রতি তৈরি একটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত জ্বালানি ব্যবহার করে।
কার্বন-নিউট্রল বিশ্বকাপ
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কাতার বিশ্বকাপের ব্যবহার হবে বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। বিষাক্ত কার্বনের পরিমাণ কমাতে সব গাড়িই বিদ্যুৎ শক্তিতে চলবে। বিপুল পরিমাণ পর্যটক ও দর্শকদের জন্য থাকবে সোলার বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ি। আয়োজকেরা যতটা সম্ভব খনিজ শক্তিকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন। কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এই ইভেন্টের কার্বন ফুটপ্রিন্ট মুছে ফেলতে গ্রিন প্রজেক্ট গ্রহণ করা হয়েছে।
স্টেডিয়াম ৯৭৪
৯৭৪টি শিপিং কনটেইনার দিয়ে এ স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এখানে। ফলে কোনো কুলিং টেকেরও প্রয়োজন নেই। বিশ্বকাপের পর এটি ভেঙে ফেলা হবে। এটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম স্টেডিয়াম, যা তৈরিই করা হয়েছে ভেঙে ফেলার জন্য।
স্মার্ট ওয়াই-ফাই ও চার্জিং স্টেশন
অ্যাডভারটাইজিং, মিস্ট কুলিং, সার্ভেল্যান্স ক্যামেরা, লাইটিং ও স্পিকার যেমন ইআইপিএএলএমের অংশ, তেমনি এটি ওয়াই-ফাই হটস্পট হিসেবেও ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে। ইআইপিএএলএম শেডিং ওয়াইন্ড টার্বাইন সোলার প্যানেল এবং বাইফেসিয়াল ফটোভোল্টেক প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এর ছায়ায় বসে ফোন ওয়্যারলেস বা ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে চার্জ করা যাবে।
রিয়েল-টাইম ন্যাভিগেশন
কাস্টম মেড স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে ট্রাফিক, ট্যাক্সি, পার্কিং, নতুন মেট্রো সিস্টেম এবং ভেন্যুতে প্রবেশ ও বের হওয়ার তথ্য পাওয়া যাবে। দোহার আশপাশে কানেকটেড সেন্সর বসানো হয়েছে। এর দ্বারা কাতারের আশপাশে সহজে চলাচল করা যাবে। মেট্রো, টেক্সি, পার্কিং, এন্ট্রান্স ও এক্সিট পয়েন্ট ইত্যাদি তথ্য প্রদানে সাহায্য করবে এসব সেন্সর। ফলে রিয়েল টাইম তথ্য ব্যবহার করে সেরা রাউট খুঁজে বের করা যাবে।
এলইডি লাইটিং
স্টেডিয়ামে এলইডি লাইটিং নতুন কিছু নয়। কিন্তু কাতার এই সামান্য বিষয়টিকেও অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। ব্যবহৃত লাইট এনার্জি-এফিসিয়েন্ট, নন-টক্সিক এবং সাধারণ লাইটের চেয়ে ছয় গুণ বেশি সময় ধরে কাজ করবে।
ওয়েরেবল ইলেকট্রনিকস
শরীরের কাপড়ে থাকা সেন্সরের মাধ্যমে হৃৎস্পন্দন বা শরীরে পানির ভারসাম্য পরিমাপের প্রযুক্তির পাশাপাশি আরও অনেক ধরনের পরিধানযোগ্য ইলেকট্রনিকস ব্যবহারের সুযোগ পেতে পারেন কাতার বিশ্বকাপে ফ্যানরা।
ফুড টেকনোলজি
থাকছে না কোনো ধরনের অর্ডার লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা কিংবা খেলার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত মিস করার আশঙ্কা। নিজেদের সিটে বসে স্মার্টফোন অ্যাপ বা অ্যাস অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করতে পারবেন দর্শক। অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করার পর এক্সপ্রেস কিউর মাধ্যমে খাবার সিটে পৌঁছে যাবে।
ম্যাচ বলে সেন্সর
সেমি-অটোমেটেড প্রযুক্তিতে বলের ভেতর একটি সেন্সর লাগানো থাকবে। সে সেন্সরটি প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ বার তথ্য পাঠাতে পারবে। অন্যদিকে স্টেডিয়ামের ছাদের নিচে থাকবে ১২টি ক্যামেরা। ফলে কোনো খেলোয়াড় যদি অফসাইড পজিশনে থাকেন, তাহলে দ্রুত তথ্য পাঠিয়ে প্রযুক্তিটি রেফারিদের সাহায্য করবে।
রোবট রেফারি
কাতার বিশ্বকাপে আরও নিখুঁতভাবে অফসাইড ধরতে ইতিমধ্যে রোবট দিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে ফিফা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বিশ্বকাপে খেলার মাঠে দেখা মিলবে এসব রোবট লাইনসম্যানের। ফিফার টেকনোলজি ডিরেক্টর জোহান্নেস হোলজমুলার জানিয়েছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন প্রকল্পে সহকারী রেফারিদের পরিবর্তে কম্পিউটার টেকনোলজির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অফসাইড সিদ্ধান্ত
দেওয়া হবে।
তথ্যসূত্র: ফিফা, গোল, আউটলুক, বিবিসি
২০ নভেম্বর কাতারে শুরু হতে যাচ্ছে ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর, বিশ্বকাপ ফুটবল। কাতার বিশ্বকাপ ঘিরে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে উন্মাদনা। ক্রীড়াপ্রেমীরা যেমন খেলা নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত, তেমনি প্রযুক্তিপ্রেমী ও প্রযুক্তি বিশারদদের মধ্যেও কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে আছে বিস্তর আলোচনা। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, কাতার বিশ্বকাপ প্রযুক্তিরও বিরাট প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে।
শীতলীকরণ প্রযুক্তি
কাতার এমন এক দেশ, যেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। খেলোয়াড় ও দর্শকদের কথা বিবেচনায় রেখে এই প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন প্রযুক্তিবিদেরা। তাঁরা কাজ করেছেন তাপমাত্রাকে ২৬ ডিগ্রিতে রাখতে। আর সেটা করতে গিয়ে তাঁদের প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো গরম বাতাস বের করে দেওয়া। তাই স্ট্যান্ডে ফুটবল দর্শকদের প্রত্যেকের আসনের নিচে ভেন্টিলেটর বসিয়ে সেখান দিয়ে হাওয়া চালিয়ে আসন শীতল রাখা হবে। শাওয়ারের ঝারিমুখ দিয়ে যেমন পানির ধারা পড়ে, তেমনিভাবে সূক্ষ্ম ঝারি দিয়ে ঠান্ডা বাতাস ছাড়া হবে, যা দর্শকদের চারপাশ থেকে ঘিরে রাখবে। বাতাসের এই প্রবাহ হবে খুবই মৃদু।
আজকের প্রতিটি ফুটবলার একটি ম্যাচে প্রায় ১০ কিলোমিটার দৌড়ান। ফলে তাঁদের শরীর থেকে তিন লিটার পর্যন্ত ঘাম ঝরে। কাজেই তাঁদের শরীর ঠান্ডা করার এবং শরীরে পানির প্রয়োজন হয়। তাই কাতার বিশ্বকাপের সময় মাঠে শীতল আস্তরণ তৈরিতে সাহায্য করতে বড় বড় ঝারিমুখ দিয়ে স্টেডিয়ামে ঠান্ডা বাতাস সঞ্চালন করা হবে। ভেন্টগুলো যে কোণা থেকে বসানো হয়েছে এবং তার ফলে ঠান্ডা বাতাস যেভাবে ও যেখানে গিয়ে জমা হচ্ছে, তাতে খেলোয়াড়েরা বুঝতেই পারবেন না যে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
এই শীতলীকরণ প্রযুক্তি সাধারণ শীতলীকরণ প্রযুক্তির চেয়ে ৪০ শতাংশের বেশি টেকসই ও এনার্জি-এফিসিয়েন্ট। এই ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেছেন ড. সাউদ আবদুল গানি। আর পুরো শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটি চালানো হবে কাতারের রাজধানী দোহার কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে সম্প্রতি তৈরি একটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত জ্বালানি ব্যবহার করে।
কার্বন-নিউট্রল বিশ্বকাপ
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কাতার বিশ্বকাপের ব্যবহার হবে বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। বিষাক্ত কার্বনের পরিমাণ কমাতে সব গাড়িই বিদ্যুৎ শক্তিতে চলবে। বিপুল পরিমাণ পর্যটক ও দর্শকদের জন্য থাকবে সোলার বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ি। আয়োজকেরা যতটা সম্ভব খনিজ শক্তিকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন। কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এই ইভেন্টের কার্বন ফুটপ্রিন্ট মুছে ফেলতে গ্রিন প্রজেক্ট গ্রহণ করা হয়েছে।
স্টেডিয়াম ৯৭৪
৯৭৪টি শিপিং কনটেইনার দিয়ে এ স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এখানে। ফলে কোনো কুলিং টেকেরও প্রয়োজন নেই। বিশ্বকাপের পর এটি ভেঙে ফেলা হবে। এটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম স্টেডিয়াম, যা তৈরিই করা হয়েছে ভেঙে ফেলার জন্য।
স্মার্ট ওয়াই-ফাই ও চার্জিং স্টেশন
অ্যাডভারটাইজিং, মিস্ট কুলিং, সার্ভেল্যান্স ক্যামেরা, লাইটিং ও স্পিকার যেমন ইআইপিএএলএমের অংশ, তেমনি এটি ওয়াই-ফাই হটস্পট হিসেবেও ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে। ইআইপিএএলএম শেডিং ওয়াইন্ড টার্বাইন সোলার প্যানেল এবং বাইফেসিয়াল ফটোভোল্টেক প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এর ছায়ায় বসে ফোন ওয়্যারলেস বা ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে চার্জ করা যাবে।
রিয়েল-টাইম ন্যাভিগেশন
কাস্টম মেড স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে ট্রাফিক, ট্যাক্সি, পার্কিং, নতুন মেট্রো সিস্টেম এবং ভেন্যুতে প্রবেশ ও বের হওয়ার তথ্য পাওয়া যাবে। দোহার আশপাশে কানেকটেড সেন্সর বসানো হয়েছে। এর দ্বারা কাতারের আশপাশে সহজে চলাচল করা যাবে। মেট্রো, টেক্সি, পার্কিং, এন্ট্রান্স ও এক্সিট পয়েন্ট ইত্যাদি তথ্য প্রদানে সাহায্য করবে এসব সেন্সর। ফলে রিয়েল টাইম তথ্য ব্যবহার করে সেরা রাউট খুঁজে বের করা যাবে।
এলইডি লাইটিং
স্টেডিয়ামে এলইডি লাইটিং নতুন কিছু নয়। কিন্তু কাতার এই সামান্য বিষয়টিকেও অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। ব্যবহৃত লাইট এনার্জি-এফিসিয়েন্ট, নন-টক্সিক এবং সাধারণ লাইটের চেয়ে ছয় গুণ বেশি সময় ধরে কাজ করবে।
ওয়েরেবল ইলেকট্রনিকস
শরীরের কাপড়ে থাকা সেন্সরের মাধ্যমে হৃৎস্পন্দন বা শরীরে পানির ভারসাম্য পরিমাপের প্রযুক্তির পাশাপাশি আরও অনেক ধরনের পরিধানযোগ্য ইলেকট্রনিকস ব্যবহারের সুযোগ পেতে পারেন কাতার বিশ্বকাপে ফ্যানরা।
ফুড টেকনোলজি
থাকছে না কোনো ধরনের অর্ডার লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা কিংবা খেলার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত মিস করার আশঙ্কা। নিজেদের সিটে বসে স্মার্টফোন অ্যাপ বা অ্যাস অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করতে পারবেন দর্শক। অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করার পর এক্সপ্রেস কিউর মাধ্যমে খাবার সিটে পৌঁছে যাবে।
ম্যাচ বলে সেন্সর
সেমি-অটোমেটেড প্রযুক্তিতে বলের ভেতর একটি সেন্সর লাগানো থাকবে। সে সেন্সরটি প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ বার তথ্য পাঠাতে পারবে। অন্যদিকে স্টেডিয়ামের ছাদের নিচে থাকবে ১২টি ক্যামেরা। ফলে কোনো খেলোয়াড় যদি অফসাইড পজিশনে থাকেন, তাহলে দ্রুত তথ্য পাঠিয়ে প্রযুক্তিটি রেফারিদের সাহায্য করবে।
রোবট রেফারি
কাতার বিশ্বকাপে আরও নিখুঁতভাবে অফসাইড ধরতে ইতিমধ্যে রোবট দিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে ফিফা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বিশ্বকাপে খেলার মাঠে দেখা মিলবে এসব রোবট লাইনসম্যানের। ফিফার টেকনোলজি ডিরেক্টর জোহান্নেস হোলজমুলার জানিয়েছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন প্রকল্পে সহকারী রেফারিদের পরিবর্তে কম্পিউটার টেকনোলজির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অফসাইড সিদ্ধান্ত
দেওয়া হবে।
তথ্যসূত্র: ফিফা, গোল, আউটলুক, বিবিসি
বন্ধুদের সঙ্গে রিলস ভাগাভাগির প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে ‘ব্লেন্ড’ নামের নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হলো ইনস্টাগ্রাম। এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এখন তাঁদের বন্ধু বা গ্রুপ চ্যাটের সদস্যদের সঙ্গে একটি ব্যক্তিগত ও কাস্টমাইজড রিলস ফিড শেয়ার করতে পারবেন। তবে এই ফিচার ব্যবহার করতে হলে বন্ধুদের আমন্ত্রণ...
১২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ওয়েবসাইটে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছেন ইরাকি কিশোর মুনতাধার মোহাম্মদ আহমেদ সালেহ। বাগদাদের আল-তারমিয়া জেলার আল-বায়ারিক উচ্চ বিদ্যালয়ের এই মেধাবী শিক্ষার্থী নিজের অসাধারণ প্রযুক্তি দক্ষতা দিয়ে নাসার বিশেষ প্রশংসা
১৪ ঘণ্টা আগেমানুষের কাজের জগতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের ইঙ্গিত নিয়ে বিশ্বের প্রযুক্তিকেন্দ্র সিলিকন ভ্যালিতে আত্মপ্রকাশ করল বিতর্কিত স্টার্টআপ ‘মেকানাইজ’। বিখ্যাত এআই গবেষক ও প্রতিষ্ঠাতা তামায় বেসিরোগ্লু ঘোষণা দিয়েছেন, এই স্টার্টআপের লক্ষ্য হলো—‘সব ধরনের কাজের পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়করণ’ এবং ‘সম্পূর্ণ অর্থনীতির...
১৪ ঘণ্টা আগেফোল্ডেবল ফোনের দৌড়ে যখন স্যামসাং, হুয়াওয়ে বা অপো একে অপরকে টপকে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত, প্রযুক্তির বাজারে ঠিক তখন এক অপ্রত্যাশিত প্রতিদ্বন্দ্বী মাঠে নেমেছে। সেটি হলো—ভাঁজযোগ্য ইবুক রিডার। ই-ইংক প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ই-রিডারে বই পড়ার অভিজ্ঞতা এখন অনেকটাই কাগজের বইয়ের মতো।
১৭ ঘণ্টা আগে