ফিচার ডেস্ক
গত কয়েক বছরে প্রযুক্তির সবচেয়ে আলোচিত পরিবর্তন এআই। ব্যক্তিগত কাজ থেকে অফিসের কাজ—সবখানে ছড়িয়েছে এ প্রযুক্তি। এর সুফল যেমন বলে শেষ করা যায় না, তেমনি এর আশঙ্কারও শেষ নেই। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের বয়ান তেমন কথাই বলছে। প্রশ্ন হলো, আশঙ্কার দিকটি কি এরই মধ্যে শুরু হয়েছে? খোদ জায়ান্ট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের প্রতিবাদের কারণে এই প্রশ্ন এখন সবার মধ্যে। জানা যাচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নামের এই প্রযুক্তি এখন যুদ্ধক্ষেত্রের অন্যতম বড় হাতিয়ার। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রকাশ করছে, ইসরায়েল কীভাবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফিলিস্তিন বা অন্য দেশগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।
এসব ঘটনা প্রকাশের পর প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে আঙুল উঠছে। সেটি শুধু বাইরে থেকে নয়, প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরাও দিন দিন প্রতিবাদ করছেন নিজেদের প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এমন এক ঘটনা সংবাদের শিরোনামে এসেছে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাইক্রোসফট এবং ওপেনএআইয়ের এআই মডেল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা ও লেবাননে বোমা হামলায় ব্যবহার করেছে। আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজায় বোমা হামলা চালাতে মাইক্রোসফটের এআই মডেল ব্যবহার করছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। সম্প্রতি মাইক্রোসফটের ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে প্রতিবাদ করেন এক কর্মী।
৫ এপ্রিল মাইক্রোসফটের এআই সিইও মুস্তাফা সুলেমান প্রতিষ্ঠানটির এআই সহকারী ‘কোপাইলট’-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তখন ইবতিহাল আবুসাদ নামে প্রতিষ্ঠানটির এক নারী কর্মী মঞ্চের দিকে এগিয়ে গিয়ে চিৎকার করে বলেন, ‘মুস্তাফা, আপনার লজ্জা হওয়া উচিত। আপনি দাবি করেন, এআই মানবকল্যাণে ব্যবহার করা হবে। কিন্তু মাইক্রোসফট ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে এআই অস্ত্র বিক্রি করছে। আর মাইক্রোসফট এ গণহত্যাকে সমর্থন করছে।’
এমন প্রতিবাদে মঞ্চে দাঁড়িয়ে সুলেমান উত্তর দেন, ‘আপনার প্রতিবাদ শুনলাম এবং ধন্যবাদ।’ এরপর আবুসাদ আবারও চিৎকার করে বলেন, ‘সুলেমান এবং পুরো মাইক্রোসফটের হাতে রক্ত লেগে রয়েছে।’ এরপর তিনি মঞ্চে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনের প্রতীক কেফিয়াহ স্কার্ফ ছুড়ে মারেন। এরপর ইবতিহালকে অনুষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া হয়। মাইক্রোসফটের কর্মীদের এমন প্রতিবাদের ঘটনা এটি প্রথম নয়।
৫০ বছর উদ্যাপন অনুষ্ঠানের আরেক অংশে বিল গেটস, স্টিভ বালমার ও বর্তমান সিইও সত্য নাদেলার উপস্থিতিতে ভানিয়া আগরওয়াল নামে মাইক্রোসফটের আরেক কর্মীও বিক্ষোভ করেন।
এ ছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির বিরুদ্ধে নাদেলার সামনে প্রতিবাদ করায় এক সভা থেকে পাঁচ কর্মীকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।
এসব প্রসঙ্গে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা সবাইকে তাঁদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দিই। তবে সেটি যেন ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত না ঘটায়।’
এদিকে গাজায় হামলায় নিহত ও আহতের সংখ্যা চরমে পৌঁছেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৬০৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৩ জন আহত হয়েছে। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া হাজারো মানুষসহ মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। এই হতাহতের পেছনে এআই প্রযুক্তি ঠিক কতটা দায়ী, তা বলা সম্ভব না হলেও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের প্রতিবাদ আমাদের আতঙ্কিত করে।
মানবকল্যাণে প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলা হয়। আমাদের কাজ ও জীবনকে দিন দিন আরও সহজ করছে প্রযুক্তির ব্যবহার। কিন্তু মুদ্রার এক পিঠে যখন এসব সফলতার ছবি দেখা যায়, একই সঙ্গে অন্য পিঠের চিত্র দিন দিন আরও ঘোলাটে হচ্ছে। যদিও এসব বিষয় নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত টেক প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সূত্র: আল জাজিরা
গত কয়েক বছরে প্রযুক্তির সবচেয়ে আলোচিত পরিবর্তন এআই। ব্যক্তিগত কাজ থেকে অফিসের কাজ—সবখানে ছড়িয়েছে এ প্রযুক্তি। এর সুফল যেমন বলে শেষ করা যায় না, তেমনি এর আশঙ্কারও শেষ নেই। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের বয়ান তেমন কথাই বলছে। প্রশ্ন হলো, আশঙ্কার দিকটি কি এরই মধ্যে শুরু হয়েছে? খোদ জায়ান্ট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের প্রতিবাদের কারণে এই প্রশ্ন এখন সবার মধ্যে। জানা যাচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নামের এই প্রযুক্তি এখন যুদ্ধক্ষেত্রের অন্যতম বড় হাতিয়ার। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রকাশ করছে, ইসরায়েল কীভাবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফিলিস্তিন বা অন্য দেশগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।
এসব ঘটনা প্রকাশের পর প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে আঙুল উঠছে। সেটি শুধু বাইরে থেকে নয়, প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরাও দিন দিন প্রতিবাদ করছেন নিজেদের প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এমন এক ঘটনা সংবাদের শিরোনামে এসেছে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাইক্রোসফট এবং ওপেনএআইয়ের এআই মডেল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা ও লেবাননে বোমা হামলায় ব্যবহার করেছে। আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজায় বোমা হামলা চালাতে মাইক্রোসফটের এআই মডেল ব্যবহার করছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। সম্প্রতি মাইক্রোসফটের ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে প্রতিবাদ করেন এক কর্মী।
৫ এপ্রিল মাইক্রোসফটের এআই সিইও মুস্তাফা সুলেমান প্রতিষ্ঠানটির এআই সহকারী ‘কোপাইলট’-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তখন ইবতিহাল আবুসাদ নামে প্রতিষ্ঠানটির এক নারী কর্মী মঞ্চের দিকে এগিয়ে গিয়ে চিৎকার করে বলেন, ‘মুস্তাফা, আপনার লজ্জা হওয়া উচিত। আপনি দাবি করেন, এআই মানবকল্যাণে ব্যবহার করা হবে। কিন্তু মাইক্রোসফট ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে এআই অস্ত্র বিক্রি করছে। আর মাইক্রোসফট এ গণহত্যাকে সমর্থন করছে।’
এমন প্রতিবাদে মঞ্চে দাঁড়িয়ে সুলেমান উত্তর দেন, ‘আপনার প্রতিবাদ শুনলাম এবং ধন্যবাদ।’ এরপর আবুসাদ আবারও চিৎকার করে বলেন, ‘সুলেমান এবং পুরো মাইক্রোসফটের হাতে রক্ত লেগে রয়েছে।’ এরপর তিনি মঞ্চে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনের প্রতীক কেফিয়াহ স্কার্ফ ছুড়ে মারেন। এরপর ইবতিহালকে অনুষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া হয়। মাইক্রোসফটের কর্মীদের এমন প্রতিবাদের ঘটনা এটি প্রথম নয়।
৫০ বছর উদ্যাপন অনুষ্ঠানের আরেক অংশে বিল গেটস, স্টিভ বালমার ও বর্তমান সিইও সত্য নাদেলার উপস্থিতিতে ভানিয়া আগরওয়াল নামে মাইক্রোসফটের আরেক কর্মীও বিক্ষোভ করেন।
এ ছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির বিরুদ্ধে নাদেলার সামনে প্রতিবাদ করায় এক সভা থেকে পাঁচ কর্মীকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।
এসব প্রসঙ্গে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা সবাইকে তাঁদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দিই। তবে সেটি যেন ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত না ঘটায়।’
এদিকে গাজায় হামলায় নিহত ও আহতের সংখ্যা চরমে পৌঁছেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৬০৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৩ জন আহত হয়েছে। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া হাজারো মানুষসহ মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। এই হতাহতের পেছনে এআই প্রযুক্তি ঠিক কতটা দায়ী, তা বলা সম্ভব না হলেও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের প্রতিবাদ আমাদের আতঙ্কিত করে।
মানবকল্যাণে প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলা হয়। আমাদের কাজ ও জীবনকে দিন দিন আরও সহজ করছে প্রযুক্তির ব্যবহার। কিন্তু মুদ্রার এক পিঠে যখন এসব সফলতার ছবি দেখা যায়, একই সঙ্গে অন্য পিঠের চিত্র দিন দিন আরও ঘোলাটে হচ্ছে। যদিও এসব বিষয় নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত টেক প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সূত্র: আল জাজিরা
রিয়েলমি আবারও নতুন চমক নিয়ে আসছে। রিয়েলমি ‘সি ৭৫’ লাইনআপের আরও আধুনিক একটি ডিভাইস রিয়েলমি ‘সি ৭৫ এক্স’ দেশের বাজারে আসছে শিগগির।
৭ ঘণ্টা আগেবৈশ্বিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে তাদের বহুল প্রতীক্ষিত নোট ৫০ সিরিজ। এই সিরিজে তিনটি মডেল—নোট ৫০, নোট ৫০ প্রো এবং নোট ৫০ প্রো প্লাস—বিশেষভাবে তরুণ প্রজন্মের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে প্রযুক্তি বিশ্বে একসময় একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ফেসবুকের। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর প্রাসঙ্গিকতা কমছে বলেই মনে করছেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ। তবে ২০২২ সালে ফেসবুকের ব্যবহার বাড়াতে তিনি এক ‘উদ্ভট’ ধারণা দিয়েছিলেন—সবার বন্ধুতালিকা মুছে ফেলা!
১১ ঘণ্টা আগেবহুল প্রতীক্ষিত জিফোর্স আরটিএক্স ৫০৬০ সিরিজের গ্রাফিকস কার্ড বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে এনভিডিয়া। এই সিরিজে তিনটি আলাদা মডেল আসছে, যার মধ্যে আরটিএক্স ৫০৬০ টিআই-এর ১৬ জিবি ও ৮ জিবি সংস্করণ আজ থেকেই বিক্রি করা হবে। অন্যদিকে তুলনামূলক সস্তা আরটিএক্স ৫০৬০ (নন-টিআই) মডেলটি আগামী মে মাসে বাজারে আসবে
১২ ঘণ্টা আগে