Ajker Patrika

মানব মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে এআই: নতুন পোপ

অনলাইন ডেস্ক
গত শনিবার কার্ডিনালদের উদ্দেশে প্রথমবারের মতো ভাষণ দেন ইতিহাসের প্রথম আমেরিকান পোপ লিও চতুর্দশ।  ছবি: এএফপি
গত শনিবার কার্ডিনালদের উদ্দেশে প্রথমবারের মতো ভাষণ দেন ইতিহাসের প্রথম আমেরিকান পোপ লিও চতুর্দশ। ছবি: এএফপি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব গোটা বিশ্বের মতো এবার ক্যাথলিক চার্চকেও ভাবিয়ে তুলেছে। এই প্রেক্ষাপটেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে কথা বললেন নবনির্বাচিত পোপ লিও চতুর্দশ।

পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর গত শনিবার কার্ডিনালদের উদ্দেশে প্রথমবারের মতো ভাষণ দেন ইতিহাসের প্রথম আমেরিকান পোপ। তিনি জানান, পোপ হিসেবে নিজের নাম বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বর্তমান প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের প্রসঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

তিনি বলেন, ‘পোপ লিও ত্রয়োদশের মতো নিজেকে এই একই পথে চলতে বাধ্য হতে দেখে, আমি লিও চতুর্দশ নামটি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তিনি তাঁর বিখ্যাত এনসাইক্লিকাল (পোপ কর্তৃক লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি বা বার্তা) ‘রিরাম নোভারাম’ প্রথম শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন সামাজিক প্রশ্ন তুলে ধরেছিলেন। আমাদের সময়েও আমরা এক নতুন শিল্পবিপ্লবের মুখোমুখি, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানব মর্যাদা, ন্যায়বিচার ও শ্রমের প্রশ্নে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে চার্চ তার সামাজিক শিক্ষার ভান্ডার সবার জন্য উন্মুক্ত করছে।’

তবে লিও চতুর্দশ একা নন, এআই নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তাঁর পূর্বসূরি পোপ ফ্রান্সিসও।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মানব বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক বিশদ নথি প্রকাশ করে ক্যাথলিক চার্চের শীর্ষ প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান ‘হলি সি’। তাতে বলা হয়, ‘বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্প এবং অন্যান্য মানবিক প্রচেষ্টাকে ক্যাথলিক চার্চ উৎসাহিত করে, তবে এআই নিয়ে উদ্ভূত নৃতাত্ত্বিক ও নৈতিক প্রশ্নগুলোর জবাব খোঁজা এখন সময়ের দাবি। কারণ, এ প্রযুক্তির একটি মূল লক্ষ্যই হচ্ছে মানব বুদ্ধিমত্তার অনুকরণ।

এ ছাড়া ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত এক বার্তায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘এই যুগে নানা বিস্ময়কর নতুন প্রযুক্তি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, যেগুলো কীভাবে কাজ করে বা কতটা ক্ষমতা রাখে—তা আমাদের বেশির ভাগের পক্ষে বোঝা বা পুরোপুরি উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। এসব উদ্ভাবন একদিকে যেমন রোমাঞ্চকর, অন্যদিকে অনেককে বিভ্রান্তও করে দিচ্ছে। এতে করে মানব অস্তিত্ব, আমাদের স্বাতন্ত্র্য এবং এই প্রজাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। এই বড় পরিবর্তনের মাঝেও আমরা কীভাবে সত্যিকার অর্থে মানুষ হিসেবে টিকে থাকব এবং পুরো পরিবর্তনটাকে ভালো কোনো উদ্দেশ্যে কাজে লাগাব, তা-ই মূল বিষয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই সময়টা প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হলেও মানবিকতায় যেন দরিদ্র না হয়ে পড়ে। সে জন্য আমাদের চিন্তাভাবনা শুরু হোক মানব হৃদয় থেকে।’

তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: ফেসবুকে বাকের মজুমদার

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

যুক্তরাষ্ট্র-চীন সমঝোতায় এক দিনে ১০০ ডলার কমল সোনার দাম

যুদ্ধ বলিউডের সিনেমা নয়: ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত