অনলাইন ডেস্ক
ইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট গ্রোক আবারও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। গত সপ্তাহে ব্যবহারকারীর প্রশ্নের জবাবে অপ্রাসঙ্গিকভাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ জনগণের ওপর কথিত নিপীড়ন নিয়ে ডানপন্থী প্রচারণামূলক বক্তব্য দিতে শুরু করে চ্যাটবটটি। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে গ্রোকের নির্মাতা এক্সএআই জানায়—একটি ‘অননুমোদিত পরিবর্তনের’ ফলে ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর ও বিতর্কিত মন্তব্য করে চ্যাটবটটি।
মাস্কের মালিকানাধীন স্টার্টআপটি জানায়, এই অননুমোদিত নির্দেশনার ফলে গ্রোক দক্ষিণ আফ্রিকায় তথাকথিত ‘শ্বেতাঙ্গ জনগণের নিধন’ নিয়ে একাধিক ব্যবহারকারীর প্রশ্নের জবাবে ডানপন্থী প্রচারমূলক বক্তব্য দেওয়া শুরু করে।
একজন ব্যবহারকারী এক্সে (পূর্বের টুইটার) গ্রোককে প্রশ্ন করেন, ‘এইচবিও কতবার তাদের নাম পরিবর্তন করেছে?’ জবাবে গ্রোক প্রথমে এইচবিও সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত উত্তর দেয়, তবে পরে অপ্রাসঙ্গিকভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’ ও বর্ণবাদবিরোধী স্লোগান ‘কিল দ্য বোয়ার’ উল্লেখ করে। এই স্লোগান দক্ষিণ আফ্রিকার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে খুব সংবেদনশীল ও বিভাজনমূলক একটি বক্তব্য।
এমনকি এক ব্যবহারকারী যখন প্রশ্ন করেন, ‘গ্রোক এ বিষয়ে এত আগ্রহী কেন?’ তখন চ্যাটবটটি উত্তর দেয়, ‘আমার নির্মাতারা আমাকে এ বিষয়ে কথা বলতে বলেছে।’
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মাস্ক পূর্বেও দাবি করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার শাসকেরা ‘খোলাখুলিভাবে শ্বেতাঙ্গ জনগণের মধ্যে গণহত্যা উসকে দিচ্ছেন।’
এক বিবৃতিতে এক্সএআই জানিয়েছে, গ্রোকের ভেতরে আনা একটি ‘অননুমোদিত পরিবর্তন’-এর মাধ্যমে চ্যাটবটকে একটি নির্দিষ্ট ধরনের উত্তর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা এক্সএআইয়ের নিজস্ব নীতিমালা ও মূল মূল্যবোধের পরিপন্থী ছিল।। তারা জানায়, ঘটনার ‘বিস্তৃত তদন্ত’ শেষে, গ্রোকের সিস্টেম প্রম্পট জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা, পর্যালোচনার প্রক্রিয়া বদলানো এবং ২৪/ ৭ মনিটরিং দল গঠনের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ার পর গ্রোক স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিতর্কিত প্রতিক্রিয়াগুলো মুছে দিতে শুরু করে। এ বিষয়ে এক ব্যবহারকারী প্রশ্ন করলে গ্রোক জবাবে জানায়, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই প্রতিক্রিয়াগুলো মুছে ফেলা হচ্ছে, সম্ভবত এক্সের মডারেশন নীতিমালাই এর পেছনে কারণ।’
গ্রোক আরও জানায়, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা নিয়ে আলোচনায় ভুল তথ্য বা বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য থাকার ঝুঁকি থাকে, যা প্ল্যাটফর্মের নিয়ম লঙ্ঘন করে।’
এ ঘটনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট পরিচালনার চ্যালেঞ্জকে সামনে নিয়ে এসেছে, যেখানে তথ্য বিকৃতি এবং ইন্টারনেটের বিভ্রান্তিকর পরিবেশ এআইকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকক্রাঞ্চ জানায়, ‘গ্রোকের এই অদ্ভুত ও প্রসঙ্গহীন প্রতিক্রিয়াগুলো মনে করিয়ে দেয়, এআই চ্যাটবট এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র না-ও হতে পারে।’
২০২৩ সালে লঞ্চের সময় গ্রোককে ‘সত্যবাদী ও বিদ্রোহী’ হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন মাস্ক। তবে লঞ্চের পর থেকেই গ্রোক বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে।
চলতি মার্চে এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মটি ৩৩ বিলিয়ন ডলারে অধিগ্রহণ করে এক্সএআই, যার ফলে তার এক্সের তথ্য নিয়ে গ্রোককে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করে।
সম্প্রতি গবেষণাভিত্তিক সংস্থা বেলিংক্যাট জানায়, গ্রোক ব্যবহার করে এক্সে পোস্ট করা নারীদের ছবি নগ্ন ছবিতে রূপান্তরিত করা হচ্ছে।
গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি রাজ্য ইলন মাস্ককে একটি খোলা চিঠি দেয়, যেখানে তারা গ্রোকের মাধ্যমে ছড়ানো নির্বাচনী বিভ্রান্তি বন্ধের আহ্বান জানায়।
বর্তমানে এক্সের অনেক ব্যবহারকারী তথ্য যাচাইয়ের জন্য গ্রোকের ওপর নির্ভর করছেন। তবে গবেষণা সংস্থা নিউজগার্ড জানিয়েছে, গ্রোক একাধিকবার রাশিয়ার ভুয়া প্রচারণাকে সত্য তথ্য হিসেবে তুলে ধরেছে, যা এআই-নির্ভর ফ্যাক্টচেকিংয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
ইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট গ্রোক আবারও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। গত সপ্তাহে ব্যবহারকারীর প্রশ্নের জবাবে অপ্রাসঙ্গিকভাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ জনগণের ওপর কথিত নিপীড়ন নিয়ে ডানপন্থী প্রচারণামূলক বক্তব্য দিতে শুরু করে চ্যাটবটটি। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে গ্রোকের নির্মাতা এক্সএআই জানায়—একটি ‘অননুমোদিত পরিবর্তনের’ ফলে ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর ও বিতর্কিত মন্তব্য করে চ্যাটবটটি।
মাস্কের মালিকানাধীন স্টার্টআপটি জানায়, এই অননুমোদিত নির্দেশনার ফলে গ্রোক দক্ষিণ আফ্রিকায় তথাকথিত ‘শ্বেতাঙ্গ জনগণের নিধন’ নিয়ে একাধিক ব্যবহারকারীর প্রশ্নের জবাবে ডানপন্থী প্রচারমূলক বক্তব্য দেওয়া শুরু করে।
একজন ব্যবহারকারী এক্সে (পূর্বের টুইটার) গ্রোককে প্রশ্ন করেন, ‘এইচবিও কতবার তাদের নাম পরিবর্তন করেছে?’ জবাবে গ্রোক প্রথমে এইচবিও সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত উত্তর দেয়, তবে পরে অপ্রাসঙ্গিকভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’ ও বর্ণবাদবিরোধী স্লোগান ‘কিল দ্য বোয়ার’ উল্লেখ করে। এই স্লোগান দক্ষিণ আফ্রিকার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে খুব সংবেদনশীল ও বিভাজনমূলক একটি বক্তব্য।
এমনকি এক ব্যবহারকারী যখন প্রশ্ন করেন, ‘গ্রোক এ বিষয়ে এত আগ্রহী কেন?’ তখন চ্যাটবটটি উত্তর দেয়, ‘আমার নির্মাতারা আমাকে এ বিষয়ে কথা বলতে বলেছে।’
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মাস্ক পূর্বেও দাবি করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার শাসকেরা ‘খোলাখুলিভাবে শ্বেতাঙ্গ জনগণের মধ্যে গণহত্যা উসকে দিচ্ছেন।’
এক বিবৃতিতে এক্সএআই জানিয়েছে, গ্রোকের ভেতরে আনা একটি ‘অননুমোদিত পরিবর্তন’-এর মাধ্যমে চ্যাটবটকে একটি নির্দিষ্ট ধরনের উত্তর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা এক্সএআইয়ের নিজস্ব নীতিমালা ও মূল মূল্যবোধের পরিপন্থী ছিল।। তারা জানায়, ঘটনার ‘বিস্তৃত তদন্ত’ শেষে, গ্রোকের সিস্টেম প্রম্পট জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা, পর্যালোচনার প্রক্রিয়া বদলানো এবং ২৪/ ৭ মনিটরিং দল গঠনের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ার পর গ্রোক স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিতর্কিত প্রতিক্রিয়াগুলো মুছে দিতে শুরু করে। এ বিষয়ে এক ব্যবহারকারী প্রশ্ন করলে গ্রোক জবাবে জানায়, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই প্রতিক্রিয়াগুলো মুছে ফেলা হচ্ছে, সম্ভবত এক্সের মডারেশন নীতিমালাই এর পেছনে কারণ।’
গ্রোক আরও জানায়, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা নিয়ে আলোচনায় ভুল তথ্য বা বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য থাকার ঝুঁকি থাকে, যা প্ল্যাটফর্মের নিয়ম লঙ্ঘন করে।’
এ ঘটনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট পরিচালনার চ্যালেঞ্জকে সামনে নিয়ে এসেছে, যেখানে তথ্য বিকৃতি এবং ইন্টারনেটের বিভ্রান্তিকর পরিবেশ এআইকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকক্রাঞ্চ জানায়, ‘গ্রোকের এই অদ্ভুত ও প্রসঙ্গহীন প্রতিক্রিয়াগুলো মনে করিয়ে দেয়, এআই চ্যাটবট এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র না-ও হতে পারে।’
২০২৩ সালে লঞ্চের সময় গ্রোককে ‘সত্যবাদী ও বিদ্রোহী’ হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন মাস্ক। তবে লঞ্চের পর থেকেই গ্রোক বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে।
চলতি মার্চে এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মটি ৩৩ বিলিয়ন ডলারে অধিগ্রহণ করে এক্সএআই, যার ফলে তার এক্সের তথ্য নিয়ে গ্রোককে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করে।
সম্প্রতি গবেষণাভিত্তিক সংস্থা বেলিংক্যাট জানায়, গ্রোক ব্যবহার করে এক্সে পোস্ট করা নারীদের ছবি নগ্ন ছবিতে রূপান্তরিত করা হচ্ছে।
গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি রাজ্য ইলন মাস্ককে একটি খোলা চিঠি দেয়, যেখানে তারা গ্রোকের মাধ্যমে ছড়ানো নির্বাচনী বিভ্রান্তি বন্ধের আহ্বান জানায়।
বর্তমানে এক্সের অনেক ব্যবহারকারী তথ্য যাচাইয়ের জন্য গ্রোকের ওপর নির্ভর করছেন। তবে গবেষণা সংস্থা নিউজগার্ড জানিয়েছে, গ্রোক একাধিকবার রাশিয়ার ভুয়া প্রচারণাকে সত্য তথ্য হিসেবে তুলে ধরেছে, যা এআই-নির্ভর ফ্যাক্টচেকিংয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা ওপেনএআই তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী এআই কোডিং এজেন্ট ‘কোডেক্স’ পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করেছে। গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেয় কোম্পানিটি। এই এজেন্টটি কোডেক্স–১ নামে মডেলের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
৭ ঘণ্টা আগেযাঁদের প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নেই, তাঁদের জন্য ইউটিউব ব্যবহার মানেই মাঝেমধ্যে বিরক্তিকর বিজ্ঞাপনের মুখোমুখি হওয়া। তবে সামনের দিনগুলোতে বিজ্ঞাপন দেখার এই অভিজ্ঞতা আরও বিরক্তিকর হতে পারে।
১০ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিখ্যাত মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাইতে সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে শত শত ভুয়া পডকাস্ট, যেগুলোর মূল উদ্দেশ্য হল—মাদক বিক্রি। যুক্তরাষ্ট্রে কড়া নজরদারির মধ্যে এ ঘটনাটি প্রযুক্তি জগতের জন্য উদ্বেগজনক বার্তা বহন করছে।
১১ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় ভিডিও গেম ‘ফোর্টনাইট’ এখন আর আইফোন বা আইপ্যাডে খেলা যাচ্ছে না। বিশ্বের সব দেশের আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য গেমটি বল্ক হয়ে গেছে। গেমটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইপিক গেমস গতকাল শুক্রবার এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে