চিপ তৈরির কাঁচামাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চীনকে আটকাতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু চোখে ধুলা দিয়ে উন্নত চিপ ব্যবহার করে ৫জি স্মার্টফোন তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে। এতে টনক নড়েছে ওয়াশিংটনের। এই চিপ প্রযুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিস্তারিত জানতে চায় বলে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানিয়েছেন।
সুলিভানকে উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে বলেছে, হুয়াওয়ের মেট ৬০ প্রো স্মার্ট ফোনে ব্যবহৃত প্রসেসরের সুনির্দিষ্ট গঠন জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ।
গত সপ্তাহে মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো চীন সফরের সময় হুয়াওয়ে হঠাৎ ফোনটি বাজারে ছাড়ে। এতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আমেরিকার প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টায় একে ‘যুগান্তকারী অগ্রগতি’ বলছে চীনের গণমাধ্যম। চীনা জাতীয়তাবাদকে উসকে দেওয়া এই খবর ওয়াশিংটনকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে নতুন চিন্তা করতে বাধ্য করছে।
গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে সুলিভান বলেন, চিপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য না জেনে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। চিপ নিয়ে যতটুক তথ্যই থাকুক, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
চীনের এসএমআইসি ও হুয়াওয়ের ওপরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর ফলে কোম্পানিগুলো অত্যাধুনিক চিপ বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাচ্ছে না। এই প্রযুক্তি চীনের সেনাবাহিনীকে সাহায্য করবে বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে।
হুয়াওয়ের মেট ৬০ প্রো ফোনটিতে ৭ ন্যানোমিটার কিরিন ৯০০০ এস প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য বেইজিংয়ের প্রাথমিক প্রচেষ্টা।
প্রযুক্তিবিষয়ক বিশ্লেষকেরা বলছেন, হুয়াওয়ে ফোনটি যদি বেশি পরিমাণে বানাতে পারে, তাহলে চীনে আইফোনের বিক্রি কমে যাবে।
অফিশিয়াল লঞ্চ ইভেন্ট ছাড়াই এই ফ্ল্যাগশিপ ফোন বাজারে ছেড়েছে হুয়াওয়ে। ফোনটির খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে যায়। নেটওয়ার্ক, চিপ ও দ্রুতগতির ওয়্যারলেস ক্ষমতার মতো বিভিন্ন কারণে ফোনটি আলোড়ন তুলছে।
প্রযুক্তিবিষয়ক বিশ্লেষক জেফারি এডিসন বলেন, হুয়াওয়ের মেট ৬০ প্রো বেশি করে উৎপাদন হলে আইফোনের বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এতে অ্যাপলের বিক্রি ৩৮ শতাংশ কমিয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতি ও সামরিক শক্তির মধ্যে উত্তেজনা হ্রাসের জন্য বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করছে। এমন সময়ে বেইজিং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র রাইমন্ডো ও সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মতো সিনিয়র কর্মকর্তাদের বেইজিংয়ে পাঠিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে এর ফলে দুই দেশের সম্পর্কে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি।
ন্যাশনাল তাইওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক লিন সুং-নান বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে হুয়াওয়ে মনে করবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এসএমআইসি কোম্পানি যা করবে, অন্যান্য সরবরাহকারী তা-ই অনুসরণ করবে এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলো ভেঙে যাবে।
চিপ তৈরির কাঁচামাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চীনকে আটকাতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু চোখে ধুলা দিয়ে উন্নত চিপ ব্যবহার করে ৫জি স্মার্টফোন তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে। এতে টনক নড়েছে ওয়াশিংটনের। এই চিপ প্রযুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিস্তারিত জানতে চায় বলে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানিয়েছেন।
সুলিভানকে উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে বলেছে, হুয়াওয়ের মেট ৬০ প্রো স্মার্ট ফোনে ব্যবহৃত প্রসেসরের সুনির্দিষ্ট গঠন জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ।
গত সপ্তাহে মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো চীন সফরের সময় হুয়াওয়ে হঠাৎ ফোনটি বাজারে ছাড়ে। এতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আমেরিকার প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টায় একে ‘যুগান্তকারী অগ্রগতি’ বলছে চীনের গণমাধ্যম। চীনা জাতীয়তাবাদকে উসকে দেওয়া এই খবর ওয়াশিংটনকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে নতুন চিন্তা করতে বাধ্য করছে।
গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে সুলিভান বলেন, চিপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য না জেনে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। চিপ নিয়ে যতটুক তথ্যই থাকুক, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
চীনের এসএমআইসি ও হুয়াওয়ের ওপরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর ফলে কোম্পানিগুলো অত্যাধুনিক চিপ বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাচ্ছে না। এই প্রযুক্তি চীনের সেনাবাহিনীকে সাহায্য করবে বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে।
হুয়াওয়ের মেট ৬০ প্রো ফোনটিতে ৭ ন্যানোমিটার কিরিন ৯০০০ এস প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য বেইজিংয়ের প্রাথমিক প্রচেষ্টা।
প্রযুক্তিবিষয়ক বিশ্লেষকেরা বলছেন, হুয়াওয়ে ফোনটি যদি বেশি পরিমাণে বানাতে পারে, তাহলে চীনে আইফোনের বিক্রি কমে যাবে।
অফিশিয়াল লঞ্চ ইভেন্ট ছাড়াই এই ফ্ল্যাগশিপ ফোন বাজারে ছেড়েছে হুয়াওয়ে। ফোনটির খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে যায়। নেটওয়ার্ক, চিপ ও দ্রুতগতির ওয়্যারলেস ক্ষমতার মতো বিভিন্ন কারণে ফোনটি আলোড়ন তুলছে।
প্রযুক্তিবিষয়ক বিশ্লেষক জেফারি এডিসন বলেন, হুয়াওয়ের মেট ৬০ প্রো বেশি করে উৎপাদন হলে আইফোনের বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এতে অ্যাপলের বিক্রি ৩৮ শতাংশ কমিয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতি ও সামরিক শক্তির মধ্যে উত্তেজনা হ্রাসের জন্য বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করছে। এমন সময়ে বেইজিং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র রাইমন্ডো ও সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মতো সিনিয়র কর্মকর্তাদের বেইজিংয়ে পাঠিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে এর ফলে দুই দেশের সম্পর্কে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি।
ন্যাশনাল তাইওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক লিন সুং-নান বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে হুয়াওয়ে মনে করবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এসএমআইসি কোম্পানি যা করবে, অন্যান্য সরবরাহকারী তা-ই অনুসরণ করবে এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলো ভেঙে যাবে।
বিশ্বজুড়ে ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। বিশেষ করে চ্যাটজিপিটির মতো বড় ভাষা মডেল (এলএলএম) মানুষের দৈনন্দিন কথাবার্তার ধরন বদলে দিচ্ছে এবং একঘেয়ে করে তুলছে বলে সতর্ক করেছে জার্মানির এক গবেষক দল।
১ দিন আগেবিশ্বের ইন্টারনেট গতির নতুন রেকর্ড গড়েছে জাপান। দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজির (এনআইসিটি) গবেষকেরা দাবি করেছে, তাঁরা প্রতি সেকেন্ডে ১ লাখ ২৫ হাজার গিগাবাইট ডেটা স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন, যা প্রায় ১ হাজার ১২০ মাইল (১ হাজার ৮০২ কিলোমিটার) দূরত্ব অতিক্রম...
১ দিন আগেমাইক্রোসফট তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক সহকারী কোপাইলট ভিশনের নতুন আপডেট চালু করেছে, যা এখন ব্যবহারকারীর কম্পিউটারের পুরো স্ক্রিন বা পর্দা স্ক্যান করতে পারবে। আগে এই টুলটি একসঙ্গে দুইটি অ্যাপ দেখতে পারত এবং সে অনুযায়ী বিশ্লেষণ করত। তবে নতুন আপডেটের ফলে এটি এখন সম্পূর্ণ ডেস্কটপ কিংবা নির্দিষ্ট
১ দিন আগেডিজিটাল কনটেন্টের যুগে ইউটিউব কেবল একটি ভিডিও প্ল্যাটফর্ম নয়—এটি এখন এক বড় ক্যারিয়ার অপশন, ব্র্যান্ড তৈরির মাধ্যম, এমনকি অনেকের স্বপ্নপূরণের জায়গা। আপনি যদি ইউটিউবে চ্যানেল খোলার কথা ভাবেন, তবে নিশ্চয়ই অনেক ধরনের আইডিয়া মাথায় ঘুরছে। তবে এতগুলো আইডিয়ার ভিড়ে কোনটা দিয়ে শুরু করবেন, সেটাই সবচেয়ে কঠিন
১ দিন আগে