নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের প্রবেশপথে কয়েকটি আন্তজেলা বাসের কাউন্টার। সেসব কাউন্টারে মানুষের আনাগোনা নিত্যদিনের। রাস্তার দুপাশ আবার হকারদের দখলে। সেখানেও ক্রেতাদের ভিড়। তবু ভিড় এড়িয়ে কারও কারও চোখ হয়তো পড়বে হকি স্টেডিয়ামের দোতলায় বসানো ছোট এক বোর্ডের ওপর।
লোহার তৈরি সেই বোর্ড দেখেই মানুষের জেনে যাওয়ার কথা, মাঠে আজকে কোন খেলা, আগামীকালই-বা কোন ম্যাচ। কিন্তু গতকাল প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগের শেষ দিন পর্যন্তও সেই বোর্ডে কোনো পরিবর্তন নেই। অর্থাৎ একদিনও আজকের কিংবা আগামীকালের ম্যাচের তথ্য দেওয়া হয়নি বোর্ডে। দেওয়া গেলে হয়তো সাধারণ কোনো মানুষের মনে খেলা দেখার আগ্রহ জন্ম নিলেও নিতে পারত। কিন্তু বোর্ডে মাঠের সূচি হালনাগাদ করা হয় না। লোহার বোর্ড বৃষ্টির পানিতে ভিজে, রোদে পুড়ে এখন মরিচায় আচ্ছন্ন। ঢাকার নবাব পরিবারদের পৃষ্ঠপোষকতায় শুরু হওয়া হকির বর্তমান গরিবি হালের প্রতীকী চিত্র যেন মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের এই বোর্ড।
হকি স্টেডিয়ামে কবে এই বোর্ড বসেছে, শেষ কবে হালনাগাদ হয়েছে, সেটা স্বয়ং হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তাদেরও অজানা। ফেডারেশনের দীর্ঘদিনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়নকে জিজ্ঞেস করার পরও সঠিক তথ্য দিতে পারলেন না। বোর্ডে লেখা অনুযায়ী ২০০০ সালের কোনো এক বছর সিনিয়র ডিভিশন হকি লিগের খেলার সূচি হালনাগাদ হয়েছিল সেই বোর্ডে। এরপর থেকে এর প্রয়োজন ফুরিয়েছে, যেভাবে হারিয়েছে প্রতিবছর মাঠে খেলা রাখার তাগিদও। দু-তিন বছর পর একবার করে লিগ হয় বলে পেশাদার হকি খেলোয়াড়েরা প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগের নাম দিয়েছেন ‘ঢাকা অলিম্পিক’!
বোর্ডের জন্মসূত্র জানতে ধরনা দিতে হলো হকির অভিজ্ঞ সংগঠক ইউসুফ আলীর কাছে। প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতেই অভিমান নিয়ে তিনি বললেন, ‘হকি লিগ এখন বিদেশি দিয়ে ভরা। তৃতীয় কোয়ার্টারের খেলা শেষ হয় চতুর্থ কোয়ার্টারে গিয়ে। বিদেশি আম্পায়ার দিয়ে খেলা পরিচালনা করা হচ্ছে, তাহলে আমাদের আম্পায়ারদের ভবিষ্যৎ কী; এসব নিয়ে কেউ প্রতিবেদন করে না। বোর্ডের খবরে কী হবে!’
বলতে বলতে স্মৃতির অতলে ডুব দিলেন ইউসুফ আলী। শোনালেন গল্প, ‘১৯৯৭ সালে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে হকি শুরু হয়। এর আগে পল্টনের আউটারে হকির খেলা হতো। তখন সেখানেও এমন একটা বোর্ড ছিল। আজকের খেলা, আগামীকালের খেলা কাদের, সে সম্পর্কে লেখা থাকত। তখন দেখেছি, রিকশাওয়ালারাও সময় পেলে মাঠে খেলা দেখতে বসে যেতেন। বিকেলে একটু সময় পেলে মানুষ খেলা দেখতে আসত। অল্প কিছু বসার জায়গায় অনেক মানুষ বসত। এখন সবাই ভিআইপিতে গিয়ে খেলা দেখতে চায়। গ্যালারি থাকে ফাঁকা। কেউ জানেও না কবে কোন খেলা হচ্ছে।’
ক্রিকেটের উত্থানের আগে ফুটবলের পর হকিকে বলা হতো বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ১৯৮৫ সালে এশিয়া কাপে আউটারে ১০ হাজারেরও বেশি দর্শক এসেছিলেন, হাজার হাজার দর্শক মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন বলে শোনা যায়। জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল যে গাছের ডাল কেটে হকির প্রচলন শুরু হয়েছিল গ্রামে-গঞ্জে। জনপ্রিয়তায় উৎকর্ষ সাধিত হয়েছিল যাদের দিয়ে, সেই পুরান ঢাকার দর্শকেরাও এখন হকিবিমুখ। দুই ঐতিহ্যবাহী দল আবাহনী-মোহামেডান কিংবা মেরিনার্স-ঊষার খেলা নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ জাগায় না। অব্যবস্থাপনা আর অন্তর্দ্বন্দ্বে হকির জনপ্রিয়তা সবচেয়ে তলানিতে। সূচির সেই বোর্ড নিয়ে জানতে চাইলে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদের উত্তর, ‘আমি আর একা কত করব। একার পক্ষে সব কি করা সম্ভব!’
১৯৩৪ সালে ঢাকায় এসেছিলেন উপমহাদেশের ‘ফাদার অব হকি’ মেজর ধ্যানচাঁদ। এসে বলেছিলেন, ‘বাঙ্গাল হকি, চাঙা হ্যায়!’ সেই চাঙা হকিকে দেশের সংগঠকেরা হাতের মুঠোয় পুরে ডোবাতে বসেছেন। আর ডুবতে থাকা হকির অন্তিম সাক্ষী যেন স্টেডিয়ামের সেই মরচে পড়া বোর্ড!

মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের প্রবেশপথে কয়েকটি আন্তজেলা বাসের কাউন্টার। সেসব কাউন্টারে মানুষের আনাগোনা নিত্যদিনের। রাস্তার দুপাশ আবার হকারদের দখলে। সেখানেও ক্রেতাদের ভিড়। তবু ভিড় এড়িয়ে কারও কারও চোখ হয়তো পড়বে হকি স্টেডিয়ামের দোতলায় বসানো ছোট এক বোর্ডের ওপর।
লোহার তৈরি সেই বোর্ড দেখেই মানুষের জেনে যাওয়ার কথা, মাঠে আজকে কোন খেলা, আগামীকালই-বা কোন ম্যাচ। কিন্তু গতকাল প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগের শেষ দিন পর্যন্তও সেই বোর্ডে কোনো পরিবর্তন নেই। অর্থাৎ একদিনও আজকের কিংবা আগামীকালের ম্যাচের তথ্য দেওয়া হয়নি বোর্ডে। দেওয়া গেলে হয়তো সাধারণ কোনো মানুষের মনে খেলা দেখার আগ্রহ জন্ম নিলেও নিতে পারত। কিন্তু বোর্ডে মাঠের সূচি হালনাগাদ করা হয় না। লোহার বোর্ড বৃষ্টির পানিতে ভিজে, রোদে পুড়ে এখন মরিচায় আচ্ছন্ন। ঢাকার নবাব পরিবারদের পৃষ্ঠপোষকতায় শুরু হওয়া হকির বর্তমান গরিবি হালের প্রতীকী চিত্র যেন মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের এই বোর্ড।
হকি স্টেডিয়ামে কবে এই বোর্ড বসেছে, শেষ কবে হালনাগাদ হয়েছে, সেটা স্বয়ং হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তাদেরও অজানা। ফেডারেশনের দীর্ঘদিনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়নকে জিজ্ঞেস করার পরও সঠিক তথ্য দিতে পারলেন না। বোর্ডে লেখা অনুযায়ী ২০০০ সালের কোনো এক বছর সিনিয়র ডিভিশন হকি লিগের খেলার সূচি হালনাগাদ হয়েছিল সেই বোর্ডে। এরপর থেকে এর প্রয়োজন ফুরিয়েছে, যেভাবে হারিয়েছে প্রতিবছর মাঠে খেলা রাখার তাগিদও। দু-তিন বছর পর একবার করে লিগ হয় বলে পেশাদার হকি খেলোয়াড়েরা প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগের নাম দিয়েছেন ‘ঢাকা অলিম্পিক’!
বোর্ডের জন্মসূত্র জানতে ধরনা দিতে হলো হকির অভিজ্ঞ সংগঠক ইউসুফ আলীর কাছে। প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতেই অভিমান নিয়ে তিনি বললেন, ‘হকি লিগ এখন বিদেশি দিয়ে ভরা। তৃতীয় কোয়ার্টারের খেলা শেষ হয় চতুর্থ কোয়ার্টারে গিয়ে। বিদেশি আম্পায়ার দিয়ে খেলা পরিচালনা করা হচ্ছে, তাহলে আমাদের আম্পায়ারদের ভবিষ্যৎ কী; এসব নিয়ে কেউ প্রতিবেদন করে না। বোর্ডের খবরে কী হবে!’
বলতে বলতে স্মৃতির অতলে ডুব দিলেন ইউসুফ আলী। শোনালেন গল্প, ‘১৯৯৭ সালে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে হকি শুরু হয়। এর আগে পল্টনের আউটারে হকির খেলা হতো। তখন সেখানেও এমন একটা বোর্ড ছিল। আজকের খেলা, আগামীকালের খেলা কাদের, সে সম্পর্কে লেখা থাকত। তখন দেখেছি, রিকশাওয়ালারাও সময় পেলে মাঠে খেলা দেখতে বসে যেতেন। বিকেলে একটু সময় পেলে মানুষ খেলা দেখতে আসত। অল্প কিছু বসার জায়গায় অনেক মানুষ বসত। এখন সবাই ভিআইপিতে গিয়ে খেলা দেখতে চায়। গ্যালারি থাকে ফাঁকা। কেউ জানেও না কবে কোন খেলা হচ্ছে।’
ক্রিকেটের উত্থানের আগে ফুটবলের পর হকিকে বলা হতো বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ১৯৮৫ সালে এশিয়া কাপে আউটারে ১০ হাজারেরও বেশি দর্শক এসেছিলেন, হাজার হাজার দর্শক মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন বলে শোনা যায়। জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল যে গাছের ডাল কেটে হকির প্রচলন শুরু হয়েছিল গ্রামে-গঞ্জে। জনপ্রিয়তায় উৎকর্ষ সাধিত হয়েছিল যাদের দিয়ে, সেই পুরান ঢাকার দর্শকেরাও এখন হকিবিমুখ। দুই ঐতিহ্যবাহী দল আবাহনী-মোহামেডান কিংবা মেরিনার্স-ঊষার খেলা নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ জাগায় না। অব্যবস্থাপনা আর অন্তর্দ্বন্দ্বে হকির জনপ্রিয়তা সবচেয়ে তলানিতে। সূচির সেই বোর্ড নিয়ে জানতে চাইলে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদের উত্তর, ‘আমি আর একা কত করব। একার পক্ষে সব কি করা সম্ভব!’
১৯৩৪ সালে ঢাকায় এসেছিলেন উপমহাদেশের ‘ফাদার অব হকি’ মেজর ধ্যানচাঁদ। এসে বলেছিলেন, ‘বাঙ্গাল হকি, চাঙা হ্যায়!’ সেই চাঙা হকিকে দেশের সংগঠকেরা হাতের মুঠোয় পুরে ডোবাতে বসেছেন। আর ডুবতে থাকা হকির অন্তিম সাক্ষী যেন স্টেডিয়ামের সেই মরচে পড়া বোর্ড!

ক্রিকেট নিয়ে গত দুই দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে নব্বইয়ের দশকে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল নিয়ে জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে থাকতে হতো তটস্থ।
৮ ঘণ্টা আগে
রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
৯ ঘণ্টা আগে
শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
৯ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চার আসর মিলিয়ে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্রিকেট নিয়ে গত দুই দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে নব্বইয়ের দশকে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল নিয়ে জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে থাকতে হতো তটস্থ।
কালের বিবর্তনে বাংলাদেশের ফুটবলে নিয়ে তুমুল উন্মাদনায় নেমেছিল ধস। তবে হামজা চৌধুরী, শমিত শোমদের মতো প্রবাসী ফুটবলারদের আগমনে গত কয়েক মাসে দেশের ফুটবলে জোয়ার উঠেছে। যে উন্মাদনা এখন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের, সেটা কেবল জাতীয় দলকে ঘিরেই। বাংলাদেশ-ভুটান, বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশ-হংকং—ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সাম্প্রতিক সময়ে এই তিনটি ম্যাচে গ্যালারিতে দর্শকদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। এমনকি হামজাদের ম্যাচ দেখতে গেট ভেঙে দর্শকদের স্টেডিয়ামে ঢোকার মতো ঘটনা ঘটেছে।
বিকেলে আজ ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা একটা প্রীতি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দাবি করেছেন, নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা তাঁরা ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন। সাংবাদিকদের ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আসলে ফুটবল যে পর্যায়ে ছিল, সেখান থেকে এক বছরে খুব বেশি যাচাই করার সুযোগ নেই। কারণ, এক বছর আগে আমরা কোথায় ছিলাম আর এক বছর পরে কোথায় আছি, সেটাই যদি আপনারা একটু পর্যালোচনা করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন। আসলে বাফুফে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে ফুটবলে আমরা নব্বই দশকের উন্মাদনা, সেটা আমরা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এখন গ্যালারিভর্তি মানুষ থাকেন। বাইরেও থাকেন, ঢুকতে পারেন না এমন। দর্শকদের এই ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।’
জাতীয় স্টেডিয়ামে ৯ অক্টোবর ১৩ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে অসাধারণ এক ক্রসে বাংলাদেশকে শুরুতেই লিড এনে দিয়েছিলেন হামজা। তাঁর এই গোলের পর গ্যালারিতে দেখা গিয়েছিল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। কিন্তু এএফসি এশিয়ান বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডের এই ম্যাচে হংকং দ্রুত তিন গোল দিয়ে বসলে ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। শেষ দিকে শেখ মোরসালিন, শমিত শোমের গোলে সমতায় ফিরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অন্তিম মুহূর্তে রাফায়েল মার্কিস গোল করে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল স্বাগতিকেরা।
আসিফ মাহমুদের মতে বাংলাদেশের ফুটবলে অনেক উন্নতি হলেও সাফল্য পেতে ধৈর্য ধরতে হবে। সাংবাদিকদের আজ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই খেলা অনেক উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশে উইং থেকে ক্রস এটা আমরা দেখিনি আমাদের শৈশবের পরে। আবার নতুন করে দেখতে পাচ্ছি। আমাদের খেলার উন্নয়ন হয়েছে। তবে সাফল্য আসতে সময়ের প্রয়োজন।পৃথিবীতে যেসব দেশ ভালো ফুটবল খেলে, ১০-১৫-২০ বছর ধরে তাদের অবকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে। ফুটবলারদের উন্নত মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ ৪ ম্যাচ খেলে দুটি করে ম্যাচ ড্র করেছে ও হেরেছে। হামজা-শমিতদের পয়েন্ট ২। চার দলের মধ্যে পয়েন্ট টেবিলের তিনে অবস্থান করছে হাভিয়ের কাবরেরার বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে আর খেলা হচ্ছে না হামজা-শমিতের দলের। সমান ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের এক ও দুইয়ে হংকং ও সিঙ্গাপুর।

ক্রিকেট নিয়ে গত দুই দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে নব্বইয়ের দশকে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল নিয়ে জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে থাকতে হতো তটস্থ।
কালের বিবর্তনে বাংলাদেশের ফুটবলে নিয়ে তুমুল উন্মাদনায় নেমেছিল ধস। তবে হামজা চৌধুরী, শমিত শোমদের মতো প্রবাসী ফুটবলারদের আগমনে গত কয়েক মাসে দেশের ফুটবলে জোয়ার উঠেছে। যে উন্মাদনা এখন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের, সেটা কেবল জাতীয় দলকে ঘিরেই। বাংলাদেশ-ভুটান, বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশ-হংকং—ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সাম্প্রতিক সময়ে এই তিনটি ম্যাচে গ্যালারিতে দর্শকদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। এমনকি হামজাদের ম্যাচ দেখতে গেট ভেঙে দর্শকদের স্টেডিয়ামে ঢোকার মতো ঘটনা ঘটেছে।
বিকেলে আজ ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা একটা প্রীতি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দাবি করেছেন, নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা তাঁরা ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন। সাংবাদিকদের ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আসলে ফুটবল যে পর্যায়ে ছিল, সেখান থেকে এক বছরে খুব বেশি যাচাই করার সুযোগ নেই। কারণ, এক বছর আগে আমরা কোথায় ছিলাম আর এক বছর পরে কোথায় আছি, সেটাই যদি আপনারা একটু পর্যালোচনা করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন। আসলে বাফুফে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে ফুটবলে আমরা নব্বই দশকের উন্মাদনা, সেটা আমরা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এখন গ্যালারিভর্তি মানুষ থাকেন। বাইরেও থাকেন, ঢুকতে পারেন না এমন। দর্শকদের এই ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।’
জাতীয় স্টেডিয়ামে ৯ অক্টোবর ১৩ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে অসাধারণ এক ক্রসে বাংলাদেশকে শুরুতেই লিড এনে দিয়েছিলেন হামজা। তাঁর এই গোলের পর গ্যালারিতে দেখা গিয়েছিল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। কিন্তু এএফসি এশিয়ান বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডের এই ম্যাচে হংকং দ্রুত তিন গোল দিয়ে বসলে ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। শেষ দিকে শেখ মোরসালিন, শমিত শোমের গোলে সমতায় ফিরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অন্তিম মুহূর্তে রাফায়েল মার্কিস গোল করে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল স্বাগতিকেরা।
আসিফ মাহমুদের মতে বাংলাদেশের ফুটবলে অনেক উন্নতি হলেও সাফল্য পেতে ধৈর্য ধরতে হবে। সাংবাদিকদের আজ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই খেলা অনেক উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশে উইং থেকে ক্রস এটা আমরা দেখিনি আমাদের শৈশবের পরে। আবার নতুন করে দেখতে পাচ্ছি। আমাদের খেলার উন্নয়ন হয়েছে। তবে সাফল্য আসতে সময়ের প্রয়োজন।পৃথিবীতে যেসব দেশ ভালো ফুটবল খেলে, ১০-১৫-২০ বছর ধরে তাদের অবকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে। ফুটবলারদের উন্নত মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ ৪ ম্যাচ খেলে দুটি করে ম্যাচ ড্র করেছে ও হেরেছে। হামজা-শমিতদের পয়েন্ট ২। চার দলের মধ্যে পয়েন্ট টেবিলের তিনে অবস্থান করছে হাভিয়ের কাবরেরার বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে আর খেলা হচ্ছে না হামজা-শমিতের দলের। সমান ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের এক ও দুইয়ে হংকং ও সিঙ্গাপুর।

মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের প্রবেশপথে কয়েকটি আন্তজেলা বাসের কাউন্টার। সেসব কাউন্টারে মানুষের আনাগোনা নিত্যদিনের। রাস্তার দুপাশ আবার হকারদের দখলে। সেখানেও ক্রেতাদের ভিড়। তবু ভিড় এড়িয়ে কারও কারও চোখ হয়তো পড়বে হকি স্টেডিয়ামের দোতলায় বসানো ছোট এক বোর্ডের ওপর।
২০ এপ্রিল ২০২৪
রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
৯ ঘণ্টা আগে
শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
৯ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চার আসর মিলিয়ে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
কুয়েতের জাবের আল-মুবারক আল-সাবাহ স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে গোলের মুখ থেকে ফিরে যায় কিংস। দোরিয়েলতনের ফ্লিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান আল সিব গোলরক্ষক আহমেদ আলরাওয়াহি। বিপদ কাটিয়ে ৭ মিনিটে এগিয়ে যায় আল সিব। আরশাদ আলআলাওয়ির লং পাস বুকে থামিয়ে বসুন্ধরার গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের পাশ দিয়ে নিখুঁতভাবে জালে বল পাঠান নাসের আলরাওয়াহি।
গোল হজমের পরও বসুন্ধরা মনোবল হারায়নি। ১৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দোরিয়েলতনের শট ঠেকিয়ে দেন আলরাওয়াহি। ৪১ মিনিটে অবশেষে সফল হয় কিংস। রাফায়েল অগুস্তোর গোলে ফেরা য় সমতা। সাদ উদ্দিনের রিবাউন্ড শট বক্সে নিখুঁতভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ঠান্ডা মাথায় জালে পাঠান অগুস্তো।
বিরতির পর আরও জমে উঠে ম্যাচ। ৫৩ মিনিটে রাকিবের গোলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে কিংস। দোরিয়েলতনের পাস ধরে ডান দিক দিয়ে এগিয়ে যান রাকিব। এরপর দূরপাল্লার অসাধারণ এক শটে পরাস্ত করেন আলরাওয়াহিকে। আল সিব গোলরক্ষক ডাইভ দিয়েও বলের নাগাল পাননি।
সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি কিংস। ৬০ মিনিটে হোসেন আল আজমির ক্রসে নিচু শটে আল সিবকে সমতায় ফেরান জহির আল আঘবারি। ৭৭ মিনিটে আবারও আল আজমির ক্রস থেকেই আসে আল সিবের জয়সূচক গোল। দারুণ ভলিতে জাল কাঁপান আব্দুলআজিজ আল মাকবালি।
বুধবার একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে লেবাননের আল আনসার এফসির মুখোমুখি হবে কিংস।
কিক অফের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পেতে পারত বসুন্ধরা কিংস। সানডের দারুণ কাটব্যাক থেকে দরিয়েলতন গোমেজের স্লাইড লাফিয়ে ফিরিয়ে দেন আল সিবের গোলকিপার। অষ্টম মিনিটে নাসের আল রাওয়াহির গোলে এগিয়ে যায় আল সিব। বক্সে লং বল পেয়ে বুক থেকে পায়ে নামিয়ে টোকায় শ্রাবণকে কাটিয়ে জালে বল ঠেলে দেন এই ফরোয়ার্ড।
পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে থাকা বসুন্ধরা কিংস সেভাবে কার্যকরী কোনো আক্রমণ শানাতে পারছিল না। ১৭ মিনিটে দরিয়েলতন গোমেজের দুর্বল শট অনায়েসে গ্লাভসবন্দী করেন আল সিব গোলকিপার।
২৫ মিনিটে দরিয়েলতনের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বা প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন সানডে। কিন্তু বক্সের অনেকটা দূর থেকে তড়িঘড়ি করে শট নেন।
প্রথম আধা ঘন্টা পর খেলায় ছন্দ খুজে পায় বসুন্ধরা কিংস। বিরতির তিন মিনিট আগে রাফায়েল আগুস্তর গোলে ১-১ সমতায় ফেরে মারিও গোমেজের দল। ম্যাচে পাওয়া প্রথম কর্নার প্রতিপক্ষের রক্ষণ বাঁধায় ফিরে আসলে ফিরতি বলে মাটি কামরানো শট নেন সাদ উদ্দিন। গোলমুখের সামনে আগুস্তর পায়ে ভমবল লেগে উপরে ভেসে ওঠে, এরপর সামনে থাকা গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে আলতো টোকায় কাজ সারেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর রাকিবের দৃষ্টিনন্দন গোলে দ্রুতই লিড নেয় বসুন্ধরা কিংস। মাঝ মাঠে দরিয়েলতনের কাছ থেকে বল নিয়ে আল সিব মিডফিল্ডার বালুসিকে কাটান। বক্সের বাইরে থেকে বা পায়ের আড়াআড়ি শটে জালে বল জড়ান। সিবের গোলকিপার আল রাওয়াহি ডান দিকে ঝাপিয়ে বলের নাগাল পাননি।
৬০ মিনিটে জাহির আল আগবারির গোলে জয় ২-২ সমতা টানে ওমানের ক্লাবটি। ১০ মিনিট পর বদরি হিসেবে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও সিনিয়র সোহেল রানাকে মাঠে নামান কোচ মারিও গোমেজ।
৭৭ মিনিটে কিংসের বক্সে ফাহিম, তাজ আর এমানুয়েল টনির সামনে আল বুসাইদির সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে ভলিতে জালে বল পাঠান আব্দুল আজিজ মুকবালি। ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ওমানের লিগ চ্যাম্পিয়নরা

রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
কুয়েতের জাবের আল-মুবারক আল-সাবাহ স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে গোলের মুখ থেকে ফিরে যায় কিংস। দোরিয়েলতনের ফ্লিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান আল সিব গোলরক্ষক আহমেদ আলরাওয়াহি। বিপদ কাটিয়ে ৭ মিনিটে এগিয়ে যায় আল সিব। আরশাদ আলআলাওয়ির লং পাস বুকে থামিয়ে বসুন্ধরার গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের পাশ দিয়ে নিখুঁতভাবে জালে বল পাঠান নাসের আলরাওয়াহি।
গোল হজমের পরও বসুন্ধরা মনোবল হারায়নি। ১৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দোরিয়েলতনের শট ঠেকিয়ে দেন আলরাওয়াহি। ৪১ মিনিটে অবশেষে সফল হয় কিংস। রাফায়েল অগুস্তোর গোলে ফেরা য় সমতা। সাদ উদ্দিনের রিবাউন্ড শট বক্সে নিখুঁতভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ঠান্ডা মাথায় জালে পাঠান অগুস্তো।
বিরতির পর আরও জমে উঠে ম্যাচ। ৫৩ মিনিটে রাকিবের গোলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে কিংস। দোরিয়েলতনের পাস ধরে ডান দিক দিয়ে এগিয়ে যান রাকিব। এরপর দূরপাল্লার অসাধারণ এক শটে পরাস্ত করেন আলরাওয়াহিকে। আল সিব গোলরক্ষক ডাইভ দিয়েও বলের নাগাল পাননি।
সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি কিংস। ৬০ মিনিটে হোসেন আল আজমির ক্রসে নিচু শটে আল সিবকে সমতায় ফেরান জহির আল আঘবারি। ৭৭ মিনিটে আবারও আল আজমির ক্রস থেকেই আসে আল সিবের জয়সূচক গোল। দারুণ ভলিতে জাল কাঁপান আব্দুলআজিজ আল মাকবালি।
বুধবার একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে লেবাননের আল আনসার এফসির মুখোমুখি হবে কিংস।
কিক অফের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পেতে পারত বসুন্ধরা কিংস। সানডের দারুণ কাটব্যাক থেকে দরিয়েলতন গোমেজের স্লাইড লাফিয়ে ফিরিয়ে দেন আল সিবের গোলকিপার। অষ্টম মিনিটে নাসের আল রাওয়াহির গোলে এগিয়ে যায় আল সিব। বক্সে লং বল পেয়ে বুক থেকে পায়ে নামিয়ে টোকায় শ্রাবণকে কাটিয়ে জালে বল ঠেলে দেন এই ফরোয়ার্ড।
পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে থাকা বসুন্ধরা কিংস সেভাবে কার্যকরী কোনো আক্রমণ শানাতে পারছিল না। ১৭ মিনিটে দরিয়েলতন গোমেজের দুর্বল শট অনায়েসে গ্লাভসবন্দী করেন আল সিব গোলকিপার।
২৫ মিনিটে দরিয়েলতনের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বা প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন সানডে। কিন্তু বক্সের অনেকটা দূর থেকে তড়িঘড়ি করে শট নেন।
প্রথম আধা ঘন্টা পর খেলায় ছন্দ খুজে পায় বসুন্ধরা কিংস। বিরতির তিন মিনিট আগে রাফায়েল আগুস্তর গোলে ১-১ সমতায় ফেরে মারিও গোমেজের দল। ম্যাচে পাওয়া প্রথম কর্নার প্রতিপক্ষের রক্ষণ বাঁধায় ফিরে আসলে ফিরতি বলে মাটি কামরানো শট নেন সাদ উদ্দিন। গোলমুখের সামনে আগুস্তর পায়ে ভমবল লেগে উপরে ভেসে ওঠে, এরপর সামনে থাকা গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে আলতো টোকায় কাজ সারেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর রাকিবের দৃষ্টিনন্দন গোলে দ্রুতই লিড নেয় বসুন্ধরা কিংস। মাঝ মাঠে দরিয়েলতনের কাছ থেকে বল নিয়ে আল সিব মিডফিল্ডার বালুসিকে কাটান। বক্সের বাইরে থেকে বা পায়ের আড়াআড়ি শটে জালে বল জড়ান। সিবের গোলকিপার আল রাওয়াহি ডান দিকে ঝাপিয়ে বলের নাগাল পাননি।
৬০ মিনিটে জাহির আল আগবারির গোলে জয় ২-২ সমতা টানে ওমানের ক্লাবটি। ১০ মিনিট পর বদরি হিসেবে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও সিনিয়র সোহেল রানাকে মাঠে নামান কোচ মারিও গোমেজ।
৭৭ মিনিটে কিংসের বক্সে ফাহিম, তাজ আর এমানুয়েল টনির সামনে আল বুসাইদির সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে ভলিতে জালে বল পাঠান আব্দুল আজিজ মুকবালি। ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ওমানের লিগ চ্যাম্পিয়নরা

মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের প্রবেশপথে কয়েকটি আন্তজেলা বাসের কাউন্টার। সেসব কাউন্টারে মানুষের আনাগোনা নিত্যদিনের। রাস্তার দুপাশ আবার হকারদের দখলে। সেখানেও ক্রেতাদের ভিড়। তবু ভিড় এড়িয়ে কারও কারও চোখ হয়তো পড়বে হকি স্টেডিয়ামের দোতলায় বসানো ছোট এক বোর্ডের ওপর।
২০ এপ্রিল ২০২৪
ক্রিকেট নিয়ে গত দুই দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে নব্বইয়ের দশকে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল নিয়ে জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে থাকতে হতো তটস্থ।
৮ ঘণ্টা আগে
শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
৯ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চার আসর মিলিয়ে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৯ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে সোবহানা মোস্তারি এলে তাঁর কাছে এসেছে শ্রীলঙ্কা ম্যাচের প্রসঙ্গ। এই স্টেডিয়ামে গত সোমবার বাংলাদেশ জিতলে এখন সেমিতে ওঠার নানা সমীকরণ। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে শেষ ১২ বলে ১২ রানের সহজ সমীকরণ না মেলানোর দুঃখ তো অত সহজে ভোলা যায় না। মুম্বাইয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে মোস্তারি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর অনেক কঠিন সময় গেছে। গত চার দিন আমরা ঘুমাতে পারিনি। আমাদের ম্যানেজমেন্টও কোনো নেতিবাচক কথা বলছেন না। তারা সব সময়ই ইতিবাচক কথা বলে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বসে নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে এখন বাংলাদেশ ৮ দলের মধ্যে ৮ নম্বরে অবস্থান করছে। যে পাঁচ ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ, সেগুলোর মধ্যে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কাকে হারালে এখন দৃশ্যপট অন্যরকম হতো। ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়ে শেষ হচ্ছে লিগ পর্ব। এখন সেটা শুধুই আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ। অতীতে যা হয়ে গেছে, সেগুলো নিয়ে এখন আর ভাবতে চান না মোস্তারি। ২৩ বছর বয়সী বাংলাদেশের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমাদের ভুলে ম্যাচ হেরে বসি। কেবল এক ম্যাচ জিতেছি। খুবই হতাশাজনক। তবে আগামীকাল আমাদের ম্যাচ। সবাই ইতিবাচক থাকতে চাচ্ছি।’
ভারতের বিপক্ষে ভালো করলে বা ভারতকে হারালে আইপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সুযোগ পাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে কাঁপিয়ে দেওয়া মোস্তাফিজ আইপিএলে নিয়মিতই খেলছেন। আগামীকাল যেহেতু বাংলাদেশের মেয়েরা ভারতের বিপক্ষে নামবে, সেক্ষেত্রে নারী প্রিমিয়ার লিগে (ডব্লিউপিএল) দল পাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশকে কতটুকু অনুপ্রাণিত করে—এই প্রশ্নের উত্তরে মোস্তারি বলেন,‘ডব্লিউপিএল একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। প্রত্যেকবার আমাদের নাম পাঠাই। কিন্তু কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার নেয় না। ভারতের এই কন্ডিশনে মারুফা অনেক ভালো করছে। রাবেয়াও দুর্দান্ত খেলছে। নতুন মৌসুমে দল পাওয়া যাবে বলে মনে করি।’
৩৩১ ও ৩০৮ রান করে সিরিজে সর্বোচ্চ দুই রানসংগ্রাহক ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও প্রতীকা রাওয়াল। অস্ট্রেলিয়ার অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের (১৫) পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ উইকেট ভারতের দীপ্তি শার্মার। ব্যাটিং, ফিল্ডিং খারাপ হলেও টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বোলিং দারুণ হয়েছে। লেগস্পিনার রাবেয়া খান নিয়েছেন ৭ উইকেট। ছয়টি করে উইকেট নিয়েছেন স্বর্ণা আক্তার, মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তার। বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড স্বর্ণা এই বিশ্বকাপেই করেছেন।
এদিকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লাইনআপ আজ ঠিক হয়ে গেছে। ২৯ অক্টোবর গুয়াহাটিতে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৩০ অক্টোবর ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় সেমিফাইনাল।

শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে সোবহানা মোস্তারি এলে তাঁর কাছে এসেছে শ্রীলঙ্কা ম্যাচের প্রসঙ্গ। এই স্টেডিয়ামে গত সোমবার বাংলাদেশ জিতলে এখন সেমিতে ওঠার নানা সমীকরণ। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে শেষ ১২ বলে ১২ রানের সহজ সমীকরণ না মেলানোর দুঃখ তো অত সহজে ভোলা যায় না। মুম্বাইয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে মোস্তারি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর অনেক কঠিন সময় গেছে। গত চার দিন আমরা ঘুমাতে পারিনি। আমাদের ম্যানেজমেন্টও কোনো নেতিবাচক কথা বলছেন না। তারা সব সময়ই ইতিবাচক কথা বলে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বসে নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে এখন বাংলাদেশ ৮ দলের মধ্যে ৮ নম্বরে অবস্থান করছে। যে পাঁচ ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ, সেগুলোর মধ্যে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কাকে হারালে এখন দৃশ্যপট অন্যরকম হতো। ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়ে শেষ হচ্ছে লিগ পর্ব। এখন সেটা শুধুই আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ। অতীতে যা হয়ে গেছে, সেগুলো নিয়ে এখন আর ভাবতে চান না মোস্তারি। ২৩ বছর বয়সী বাংলাদেশের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমাদের ভুলে ম্যাচ হেরে বসি। কেবল এক ম্যাচ জিতেছি। খুবই হতাশাজনক। তবে আগামীকাল আমাদের ম্যাচ। সবাই ইতিবাচক থাকতে চাচ্ছি।’
ভারতের বিপক্ষে ভালো করলে বা ভারতকে হারালে আইপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সুযোগ পাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে কাঁপিয়ে দেওয়া মোস্তাফিজ আইপিএলে নিয়মিতই খেলছেন। আগামীকাল যেহেতু বাংলাদেশের মেয়েরা ভারতের বিপক্ষে নামবে, সেক্ষেত্রে নারী প্রিমিয়ার লিগে (ডব্লিউপিএল) দল পাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশকে কতটুকু অনুপ্রাণিত করে—এই প্রশ্নের উত্তরে মোস্তারি বলেন,‘ডব্লিউপিএল একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। প্রত্যেকবার আমাদের নাম পাঠাই। কিন্তু কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার নেয় না। ভারতের এই কন্ডিশনে মারুফা অনেক ভালো করছে। রাবেয়াও দুর্দান্ত খেলছে। নতুন মৌসুমে দল পাওয়া যাবে বলে মনে করি।’
৩৩১ ও ৩০৮ রান করে সিরিজে সর্বোচ্চ দুই রানসংগ্রাহক ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও প্রতীকা রাওয়াল। অস্ট্রেলিয়ার অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের (১৫) পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ উইকেট ভারতের দীপ্তি শার্মার। ব্যাটিং, ফিল্ডিং খারাপ হলেও টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বোলিং দারুণ হয়েছে। লেগস্পিনার রাবেয়া খান নিয়েছেন ৭ উইকেট। ছয়টি করে উইকেট নিয়েছেন স্বর্ণা আক্তার, মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তার। বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড স্বর্ণা এই বিশ্বকাপেই করেছেন।
এদিকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লাইনআপ আজ ঠিক হয়ে গেছে। ২৯ অক্টোবর গুয়াহাটিতে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৩০ অক্টোবর ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় সেমিফাইনাল।

মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের প্রবেশপথে কয়েকটি আন্তজেলা বাসের কাউন্টার। সেসব কাউন্টারে মানুষের আনাগোনা নিত্যদিনের। রাস্তার দুপাশ আবার হকারদের দখলে। সেখানেও ক্রেতাদের ভিড়। তবু ভিড় এড়িয়ে কারও কারও চোখ হয়তো পড়বে হকি স্টেডিয়ামের দোতলায় বসানো ছোট এক বোর্ডের ওপর।
২০ এপ্রিল ২০২৪
ক্রিকেট নিয়ে গত দুই দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে নব্বইয়ের দশকে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল নিয়ে জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে থাকতে হতো তটস্থ।
৮ ঘণ্টা আগে
রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
৯ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চার আসর মিলিয়ে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চতুর্থ আসরে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৩৯.৯৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে এই ইভেন্টে সোনা জিতেছে শ্রীলঙ্কা। রুপা জেতা ভারত ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করে ৪০.৬৫ সেকেন্ডে। যদিও ২০০ মিটার পর্যন্ত ভারতের চেয়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। শেষের ২০০ মিটারে আর পেরে উঠেননি মোতালেব ও ইসমাইল। মেয়েদের ৪ গুণিতক ১০০ মিটার রিলেতে চতুর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।
১১০ মিটার হার্ডলস, ৪০০ মিটার স্প্রিন্ট ও ডিসকাস থ্রোয়ে পদক এনে দিতে পারেননি অ্যাথলেটরা। গতকাল প্রথম দিনও কেটেছে শূন্য হাতে।

ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চতুর্থ আসরে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৩৯.৯৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে এই ইভেন্টে সোনা জিতেছে শ্রীলঙ্কা। রুপা জেতা ভারত ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করে ৪০.৬৫ সেকেন্ডে। যদিও ২০০ মিটার পর্যন্ত ভারতের চেয়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। শেষের ২০০ মিটারে আর পেরে উঠেননি মোতালেব ও ইসমাইল। মেয়েদের ৪ গুণিতক ১০০ মিটার রিলেতে চতুর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।
১১০ মিটার হার্ডলস, ৪০০ মিটার স্প্রিন্ট ও ডিসকাস থ্রোয়ে পদক এনে দিতে পারেননি অ্যাথলেটরা। গতকাল প্রথম দিনও কেটেছে শূন্য হাতে।

মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের প্রবেশপথে কয়েকটি আন্তজেলা বাসের কাউন্টার। সেসব কাউন্টারে মানুষের আনাগোনা নিত্যদিনের। রাস্তার দুপাশ আবার হকারদের দখলে। সেখানেও ক্রেতাদের ভিড়। তবু ভিড় এড়িয়ে কারও কারও চোখ হয়তো পড়বে হকি স্টেডিয়ামের দোতলায় বসানো ছোট এক বোর্ডের ওপর।
২০ এপ্রিল ২০২৪
ক্রিকেট নিয়ে গত দুই দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে নব্বইয়ের দশকে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল নিয়ে জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে থাকতে হতো তটস্থ।
৮ ঘণ্টা আগে
রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
৯ ঘণ্টা আগে
শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
৯ ঘণ্টা আগে