Ajker Patrika

নারী পাচারকারীর সঙ্গে ব্রিটেনে আসা ফারাহর নাগরিকত্ব যাচ্ছে না

আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২২, ২০: ১৫
নারী পাচারকারীর সঙ্গে ব্রিটেনে আসা ফারাহর নাগরিকত্ব যাচ্ছে না

অলিম্পিকে চারটি ও বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে ছয়টি সোনা জিতে ম্যারাথনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সোনাজয়ী অ্যাথলেটের নাম মো ফারাহ। সেই ফারাহ এবার তাঁর জীবনের সত্যিকারের কাহিনি বলেছেন বিবিসির প্রামাণ্যচিত্র ‘দ্য রিয়েল মো ফারাহ’তে। 

জীবনের সত্য প্রকাশের পর ফারাহ আশঙ্কায় ছিলেন ব্রিটেন সরকার তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করে কি না। তবে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল হচ্ছে না। এ বিষয়ে কোনো তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে না। 

‘দ্য রিয়েল মো ফারাহ’তে জীবনের প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরেছেন ফারাহ। তিনি সোমালিয়া থেকে কীভাবে ব্রিটেনে এসেছেন, তাঁর আসল নাম কীভাবে বদলে গেছে, কীভাবে দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আছে বিবিসির প্রামাণ্যচিত্রে। ব্রিটেনের আইনে আছে, কেউ যদি বেআইনিভাবে নাগরিকত্ব নিয়ে ধরা পড়েন তাহলে তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতা রাখে সরকার। 

আইন অনুযায়ী ফারাহর নাগরিকত্বও বাতিল করতে পারত যুক্তরাজ্য সরকার। তবে চারবারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিবে না বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এটা জানার পর ফারাহ বলেছেন, ‘খবরটা আমাকে শান্তি দিচ্ছে। এটাই আমার দেশ। স্কুলের শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক অ্যালান ওয়াটকিনসনসহ যাঁরা আমাকে এ পর্যায়ে আসতে সহায়তা করেছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে আমার স্ত্রী তানিয়া নেলের কাছে। সে সব সময় আমাকে সাহস জুগিয়েছে।’ 

নিজের মিথ্যা পরিচয়টা আর বয়ে বেড়াতে পারছিলেন না ফারাহ। তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপনের উদ্দেশে তাঁর জীবনের গল্প জানিয়েছেন। তাঁর জীবনের প্রকৃত গল্প জানার পর সাধারণ মানুষও কিংবদন্তির পাশে দাঁড়িয়েছেন। ৩৯ বছর বয়সী অ্যাথলেট উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেছেন, ‘আমার জীবনের সত্যটা সব সময়ই আমার থাকবে। একটা সময় ছিল পরিবারের সঙ্গেও এসব কথা বলতে অস্বস্তি লাগত। আর প্রকাশ্যে আনার কথা তো ভাবতেই পারতাম না। সবকিছু বলতে পেরে আমি খুশি। মানুষের জানা উচিত, শৈশবে আমার সঙ্গে সঙ্গে কী কী ঘটেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত