Ajker Patrika

ইউরোপে কেন খাবি খান বাংলাদেশি আর্চাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইউরোপে কেন খাবি খান বাংলাদেশি আর্চাররা

ঢাকা: বাংলাদেশের আর্চারদের সামনে একের পর এক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের তাড়া। তবে বাস্তবতা হচ্ছে দেশের বাইরে গেলে বিশেষ করে ইউরোপে গেলেই হিমশিম খান বাংলাদেশের তিরন্দাজেরা।

সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স। এরপর তুরস্ক হয়ে যুক্তরাষ্ট্র। ভাগ্য সহায় থাকলে মাঝে টোকিও অলিম্পিক। প্রথম দুই দেশে বিশ্বকাপ। তুরস্কে ইসলামি সলিডারিটি গেমস। আর মার্কিন মুলুকে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ। সবগুলো দেশেই লড়তে হবে আর্চারদের। আর এই ব্যস্ততার শুরুটা সুইজারল্যান্ডে।

টোকিও অলিম্পিকে খেলতে হলে সুইজারল্যান্ড-ফ্রান্স বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে হবে রিকার্ভ আর্চারদের। অলিম্পিকে আর্চারি বলতে শুধু রিকার্ভ ইভেন্টকেই বোঝায়। দলগত ও মিক্স ইভেন্টে সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলতে পারলে সুযোগ থাকবে সরাসরি কোয়ালিফাই করার। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারলে সুযোগ থাকবে ‘ওয়াইল্ড কার্ড’ পাওয়ার। একক ইভেন্টে কেবল রোমান সানাই সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়েছেন টোকিও অলিম্পিকে।

বিশ্বকাপে খেললেও অলিম্পিকে যাওয়ার সুযোগ নেই বাংলাদেশ গেমসে কম্পাউন্ড ইভেন্টে রেকর্ডধারী অসীম কুমার দাসের। এই ইভেন্টে বাংলাদেশ থেকে শুধু তিনিই খেলবেন সুইজারল্যান্ড-ফ্রান্স বিশ্বকাপে। ৭০৪ স্কোরে দেশে রেকর্ড গড়লেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে এই ফল দিয়ে পদক জেতা একপ্রকার অসম্ভব, বলছেন অসীম নিজেই। ‘গুয়েতেমালা সিটিতে এখন একটা বিশ্বকাপ চলছে। কম্পাউন্ড ইভেন্টে যিনি সোনা জিতেছেন তাঁর স্কোর ৭১১। যিনি রূপা জিতেছেন তাঁর অতীতে ৭১৭ পর্যন্ত স্কোর গড়ার কীর্তি আছে। সত্যিটা হচ্ছে, আমাদের জন্য ইউরোপে ভালো করা বেশ কঠিন। বিশেষ করে সুইজারল্যান্ডে।’

কিন্তু কেন সুইজারল্যান্ডে কঠিন? অসীম সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে, ‘সেখানকার বাতাস আমাদের দেশের চেয়ে চার গুণ বেশি। হুটহাট ঠান্ডা পড়ে। আর আমরা যেখানে অনুশীলন করি (টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম) সেখানে বাতাস নেই বললেই চলে। রিকার্ভ-কম্পাউন্ড, সব ক্ষেত্রেই তাই ইউরোপে ভালো করা কঠিন।’

বিষয়:

অন্য খেলা
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত