হাবিবুল বাশার সুমন
আগের রাতে আচমকা ওয়ানডে থেকে অবসরের পর সকালে মোহামেডানের হয়ে ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলতে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম। বিকেলে ম্যাচ শেষে জাতীয় দলে নিজের প্রথম অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনকে নিয়ে কেক কেটেছেন মুশফিক। ২০০৫ সালের সেই কিশোর মুশফিক শেষ করলেন ৫০ ওভারের ক্রিকেটের দীর্ঘ এক যাত্রা। নির্বাচক হয়েও খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে মুশিকে। মুশফিকের ওয়ানডে-জার্নি নিয়েই সুমনের লেখা—
তিন বছর আগে টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নিয়েছে মুশফিকুর রহিম। এখন নিল ওয়ানডে থেকে। বাংলাদেশের হয়ে পুরোপুরি সাদা বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছে, তবে এখনো তাকে বাংলাদেশ দলের সাবেক ক্রিকেটার বলার সুযোগ নেই। মুশফিক এখনো টেস্ট চালিয়ে যাচ্ছে। ৯৪ টেস্ট খেলা মুশফিকের স্বপ্ন ১০০ টেস্ট খেলা। এক বছর নিয়মিত খেলতে পারলে এই স্বপ্ন পূরণ সম্ভব। যখন সে টেস্ট ছাড়বে তখন ওকে সাবেক ক্রিকেটার বলা যাবে। টেস্ট যেহেতু সামনে খেলবে, এখনো সে জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। আমার কাছে ওর ক্যারিয়ার দীর্ঘ ও সাফল্যে ভরা মনে হয়েছে।
২০০৫ সালে লর্ডস টেস্টে যখন মুশফিকের অভিষেক হয়, তখন বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে ছিলাম আমি। দলে ছোটখাটো গড়নের ‘বেবি ফেসে’র এক ক্রিকেটার জায়গা পেল। তাকেই লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ফাস্ট বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে খেলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলো। সেই কিশোর থেকে আজকের মুশফিকুর রহিম হয়ে ওঠার যাত্রা সহজ ছিল না। কঠোর পরিশ্রম আর আত্মনিবেদন নিজেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল পারফরমারে পরিণত করেছে।
মুশফিক এমন একজন ক্রিকেটার, যে সবকিছুর ঊর্ধ্বে দলকে রেখেছে। খেলার প্রতি তার নিষ্ঠা অনুকরণীয়। নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের কাছে সে এক উজ্জ্বল উদাহরণ। মুশফিক সব সময় দলের হয়ে পারফর্ম করার চেষ্টা করেছে, নিজের শতভাগ উজাড় করে দিয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে হাতে গোনা যে কয়েকজন ক্রিকেটার দীর্ঘ সময় ধরে ধারাবাহিক ভালো খেলেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম মুশফিক।
মুশফিক খেলাটার অন্তঃপ্রাণ এক মানুষ। খেলার প্রতি তার নিবেদন প্রশ্নাতীত। ক্রিকেটের বাইরে তাকে কল্পনাই করা যায় না। মাঠে তার প্রবেশ ও প্রস্থানে, প্রতিটি পদক্ষেপে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে তার কঠোর পরিশ্রম ও আত্মোন্নতির নিরন্তর প্রচেষ্টা। শুরুর দিকে হয়তো সে অতটা ধারাবাহিক ছিল না, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে গড়ে তুলেছে, পরিণত হয়েছে এক নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার হিসেবে।
ক্যারিয়ারে খারাপ সময় এসেছে, কিন্তু কখনো মুশফিক হাল ছাড়েনি। কঠোর পরিশ্রম ও লড়াকু মানসিকতা দিয়ে বারবার ফিরে এসেছে। এটাই প্রকৃত একজন লড়াকু ক্রিকেটারের বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশ ক্রিকেটে মুশফিকের অবদান অপরিসীম। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পোর্ট অব স্পেনে খেলা হাফসেঞ্চুরি বিশ্ব ক্রিকেটে তাকে প্রথম পরিচিত করেছিল। এরপর আরও অসংখ্য সেরা ইনিংস খেলেছে সে। সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে, বাংলাদেশ ক্রিকেটের নির্ভরতার প্রতীকে পরিণত হয়েছে মুশফিকুর রহিম।
এত বছরের একসঙ্গে পথচলা, মাঠের ভেতরে-বাইরে কতশত স্মৃতি! ওয়ানডেতে তোমার রেকর্ডই তোমার হয়ে সাক্ষ্য দেবে অনেক কিছুর। রেকর্ড বইয়ে লেখা থাকবে না, কতটা নিবেদন আর নিষ্ঠায় তুমি ক্যারিয়ার গড়েছিলে। তোমার পরিশ্রম, প্রতিজ্ঞা আর ত্যাগের গল্প বাংলাদেশের ক্রিকেটে প্রজন্মের পর প্রজন্মে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
আগের রাতে আচমকা ওয়ানডে থেকে অবসরের পর সকালে মোহামেডানের হয়ে ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলতে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম। বিকেলে ম্যাচ শেষে জাতীয় দলে নিজের প্রথম অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনকে নিয়ে কেক কেটেছেন মুশফিক। ২০০৫ সালের সেই কিশোর মুশফিক শেষ করলেন ৫০ ওভারের ক্রিকেটের দীর্ঘ এক যাত্রা। নির্বাচক হয়েও খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে মুশিকে। মুশফিকের ওয়ানডে-জার্নি নিয়েই সুমনের লেখা—
তিন বছর আগে টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নিয়েছে মুশফিকুর রহিম। এখন নিল ওয়ানডে থেকে। বাংলাদেশের হয়ে পুরোপুরি সাদা বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছে, তবে এখনো তাকে বাংলাদেশ দলের সাবেক ক্রিকেটার বলার সুযোগ নেই। মুশফিক এখনো টেস্ট চালিয়ে যাচ্ছে। ৯৪ টেস্ট খেলা মুশফিকের স্বপ্ন ১০০ টেস্ট খেলা। এক বছর নিয়মিত খেলতে পারলে এই স্বপ্ন পূরণ সম্ভব। যখন সে টেস্ট ছাড়বে তখন ওকে সাবেক ক্রিকেটার বলা যাবে। টেস্ট যেহেতু সামনে খেলবে, এখনো সে জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। আমার কাছে ওর ক্যারিয়ার দীর্ঘ ও সাফল্যে ভরা মনে হয়েছে।
২০০৫ সালে লর্ডস টেস্টে যখন মুশফিকের অভিষেক হয়, তখন বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে ছিলাম আমি। দলে ছোটখাটো গড়নের ‘বেবি ফেসে’র এক ক্রিকেটার জায়গা পেল। তাকেই লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ফাস্ট বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে খেলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলো। সেই কিশোর থেকে আজকের মুশফিকুর রহিম হয়ে ওঠার যাত্রা সহজ ছিল না। কঠোর পরিশ্রম আর আত্মনিবেদন নিজেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল পারফরমারে পরিণত করেছে।
মুশফিক এমন একজন ক্রিকেটার, যে সবকিছুর ঊর্ধ্বে দলকে রেখেছে। খেলার প্রতি তার নিষ্ঠা অনুকরণীয়। নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের কাছে সে এক উজ্জ্বল উদাহরণ। মুশফিক সব সময় দলের হয়ে পারফর্ম করার চেষ্টা করেছে, নিজের শতভাগ উজাড় করে দিয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে হাতে গোনা যে কয়েকজন ক্রিকেটার দীর্ঘ সময় ধরে ধারাবাহিক ভালো খেলেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম মুশফিক।
মুশফিক খেলাটার অন্তঃপ্রাণ এক মানুষ। খেলার প্রতি তার নিবেদন প্রশ্নাতীত। ক্রিকেটের বাইরে তাকে কল্পনাই করা যায় না। মাঠে তার প্রবেশ ও প্রস্থানে, প্রতিটি পদক্ষেপে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে তার কঠোর পরিশ্রম ও আত্মোন্নতির নিরন্তর প্রচেষ্টা। শুরুর দিকে হয়তো সে অতটা ধারাবাহিক ছিল না, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে গড়ে তুলেছে, পরিণত হয়েছে এক নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার হিসেবে।
ক্যারিয়ারে খারাপ সময় এসেছে, কিন্তু কখনো মুশফিক হাল ছাড়েনি। কঠোর পরিশ্রম ও লড়াকু মানসিকতা দিয়ে বারবার ফিরে এসেছে। এটাই প্রকৃত একজন লড়াকু ক্রিকেটারের বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশ ক্রিকেটে মুশফিকের অবদান অপরিসীম। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পোর্ট অব স্পেনে খেলা হাফসেঞ্চুরি বিশ্ব ক্রিকেটে তাকে প্রথম পরিচিত করেছিল। এরপর আরও অসংখ্য সেরা ইনিংস খেলেছে সে। সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে, বাংলাদেশ ক্রিকেটের নির্ভরতার প্রতীকে পরিণত হয়েছে মুশফিকুর রহিম।
এত বছরের একসঙ্গে পথচলা, মাঠের ভেতরে-বাইরে কতশত স্মৃতি! ওয়ানডেতে তোমার রেকর্ডই তোমার হয়ে সাক্ষ্য দেবে অনেক কিছুর। রেকর্ড বইয়ে লেখা থাকবে না, কতটা নিবেদন আর নিষ্ঠায় তুমি ক্যারিয়ার গড়েছিলে। তোমার পরিশ্রম, প্রতিজ্ঞা আর ত্যাগের গল্প বাংলাদেশের ক্রিকেটে প্রজন্মের পর প্রজন্মে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাজে সময় পার করছে সুইডেন। সেই বাজে সময়কে আরও দীর্ঘ করে সবশেষ ম্যাচে কসোভোর কাছে ১–০ গোলে হেরেছে সুইডিশরা। এই হারে কপাল পুড়ল দলটির প্রধান কোচ ইয়ন ডাল টমাসনের।
২০ মিনিট আগেরাকিব হোসেন গোল পেয়েই যাবেন, এমন আভাস মিলছিল। হংকং তখন ১০ জন নিয়ে খেলছে। বাংলাদেশের আক্রমণের সামনে কোনোভাবে দাঁড়াতে পারছিল না হংকং। একের পর এক চাপে শেষ পর্যন্ত ভেঙে যায় তাদের রক্ষণ। ৮৫ মিনিটে ফাহামিদুল ইসলামের অ্যাসিস্ট থেকে বল জালে ফেলতে আর কোনো ভুল করেননি রাকিব। বিজ্ঞাপন বোর্ডের ওপর বসে ফাহামিদুলক
২৪ মিনিট আগেহংকংয়ের বিপক্ষে ড্রয়ের পরপরই বাংলাদেশের চোখ চলে যায় ভারত-সিঙ্গাপুর ম্যাচের দিকে। ভারত জিতলেই মূলপর্বে যাওয়ার লড়াইয়ে টিকে থাকত। ঘরের মাঠে ভারত এগিয়েও যায়। কিন্তু সেই আশা চিরতরে নিভিয়ে দেয় সিঙ্গাপুর। গোয়ার ফাতোর্দা স্টেডিয়ামে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। সেই সঙ্গে ভারতের পাশাপাশি বিদায় ঘণ্টা বেজে
৩০ মিনিট আগেইব্রাহিম জাদরান ও রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল আফগানিস্তান। মাঝের ওভারে ধাক্কা খেলেও সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সামনে ২৯৩ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করিয়েছে হাশমতউল্লাহ শাহিদির দল। অর্থাৎ সিরিজ জিততে বাংলাদেশের দরকার ২৯৪ রান।
২ ঘণ্টা আগে