শ্রীলঙ্কায় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ওয়ানডে সিরিজে ব্যাট হাতে ঝলক দেখিয়েছেন জাওয়াদ আবরার। দুটি সেঞ্চুরিসহ সিরিজে সর্বোচ্চ ৩০২ রান করেছেন। হয়েছেন সিরিজসেরাও। মাত্রই শেষ হওয়া এই সিরিজে সাফল্যের গল্প, নিজেকে গড়ে তোলার পেছনে অধ্যবসায় আর সামনে এগিয়ে চলার প্রত্যয়ের কথা তুলে ধরেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্ত আলাপে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
আহমেদ রিয়াদ
প্রশ্ন: শ্রীলঙ্কায় যুব সিরিজে দুটি সেঞ্চুরিতে আলো ছড়িয়েছেন। দুটি ম্যাচে ম্যাচসেরা এবং সিরিজসেরার পুরস্কার জিতেছেন। এমন পারফরম্যান্সে তো আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকার কথা...
জাওয়াদ আবরার: হ্যাঁ, এই সিরিজটা আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলছিলাম, যদিও সিরিজের জন্য শেষ করতে পারিনি। তবে ডিপিএলের শেষ দিকে যে ছন্দটা পেয়েছিলাম, সেটাই এই সিরিজের শুরু থেকে কাজে লেগেছে। দুটি সেঞ্চুরি করতে পেরেছি; ভালো লাগছে, অবশ্যই। তবে আমার কাছে সেঞ্চুরি বড় কিছু নয়; দল জিতেছে, এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।
প্রশ্ন: সিরিজের আগে প্রস্তুতিতে বিশেষ কোনো অনুশীলন করেছিলেন?
জাওয়াদ: বিশেষভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার খুব একটা সুযোগ ছিল না। ডিপিএল চলছিল, সেখান থেকেই ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে দলের কোচিং স্টাফের সঙ্গে ব্যাটিং টেম্পো ও শট নির্বাচন নিয়ে কাজ করেছি। আমার মূল লক্ষ্য ছিল ইনিংস গড়া, শুধু দ্রুত রান নয়। ইনিংসটা যেন বড় হয়, সেদিকে মনোযোগ দিয়েছি।
প্রশ্ন: দুই সেঞ্চুরির কোনটি আপনার কাছে স্পেশাল?
জাওয়াদ: আমার কাছে দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচের সেঞ্চুরিটি একটু আলাদা। প্রথম ম্যাচে রান পাইনি, দল হেরেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো খেলতে পারায় দল জিতেছে। ওখান থেকেই মনে হয়েছে, আমরা সিরিজে ফিরতে পারব। সেই আত্মবিশ্বাসটাই অনেক দূর নিয়ে গেছে।
প্রশ্ন: বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের দলে ছিলেন, কিন্তু ম্যাচ খেলার সুযোগ মেলেনি। হতাশা কাজ করেছিল?
জাওয়াদ: একটু হতাশা তো ছিলই, যেহেতু খেলতে পারিনি। তবে ম্যাচ খেলা না খেলা আমার হাতে ছিল না। এটিকে আমি শেখার সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। সিনিয়রদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করেছি, অনেক কিছু শিখেছি। মনে হয়েছে, সামনে সুযোগ পেলে সেটা যেন কাজে লাগাতে পারি, সে জন্য আমাকে আরও প্রস্তুত থাকতে হবে।
প্রশ্ন: প্রিমিয়ার লিগে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। তরুণদের নিয়ে গড়া দলের হয়ে এই অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
জাওয়াদ: এটা আমার প্রথম প্রিমিয়ার লিগ। শুরুতে একটু চাপ ছিল, তবে চাপ কাটিয়ে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। এই লিগ থেকেই শিখেছি, কীভাবে চাপের মধ্যে স্থির থাকতে হয়।
প্রশ্ন: শ্রীলঙ্কায় গিয়ে সিরিজ জয় এবং ভালো খেলার অভিজ্ঞতা কেমন?
জাওয়াদ: বিদেশে গিয়ে জেতা সব সময়ই বিশেষ কিছু। কন্ডিশন একেবারেই আলাদা ছিল, আর্দ্রতা বেশি ছিল, বল ঘুরছিল। এজন্য প্রথম ম্যাচে আমরা তেমন কিছু করতে পারিনি। তবে পরের ম্যাচ থেকে ধৈর্য ধরে খেলেছি। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই রান করতে পেরেছি।
প্রশ্ন: ব্যাটিংয়ের কোন দিকটাকে নিজের শক্তি বলে মনে করেন? কোথায় উন্নতি করা দরকার?
জাওয়াদ: ইনিংস গড়ে খেলার সক্ষমতাকে নিজের শক্তি মনে করি। লো স্কোরেও চেষ্টা করি ম্যাচে টিকে থাকার। তবে মিডল ওভারে রোটেশন এবং স্পিনারদের বিপক্ষে আরও আগ্রাসী হওয়া নিয়ে এখনো কাজ করছি।
প্রশ্ন: ভবিষ্যতে নিজেকে কেমন ব্যাটার হিসেবে দেখতে চান?
জাওয়াদ: ভারসাম্য রাখতে চাই। পরিস্থিতি অনুযায়ী ধরে খেলা, আবার শেষ দিকে দলের প্রয়োজনে পাওয়ার হিটার হিসেবেও নিজেকে প্রস্তুত রাখতে চাই।
প্রশ্ন: আগামী এক-দুই বছরে লক্ষ্য কী?
জাওয়াদ: আপাতত লক্ষ্য অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ধারাবাহিক পারফর্ম করা। সামনে বিশ্বকাপ আছে, সেখানে ভালো খেলতে চাই। জাতীয় দলে সুযোগ অবশ্যই চাই, তবে ধাপে ধাপে এগোতে চাই।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপে দলগত লক্ষ্য কী?
জাওয়াদ: আমাদের সামনে বেশ কিছু সিরিজ আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেখানে ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। আমরা বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামব। আমাদের দলে এখন অনেক সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার। যদি নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারি, ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু সম্ভব।
প্রশ্ন: ফিটনেস ও মানসিকভাবে নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করেন?
জাওয়াদ: নিয়ম মেনে জিম, কার্ডিও ব্যায়াম করি। মানসিকভাবে ফোকাসড থাকতে চেষ্টা করি। অনুশীলনে ম্যাচের পরিস্থিতি তৈরি করি, যেন মাঠে সহজ মনে হয়।
প্রশ্ন: শ্রীলঙ্কায় যুব সিরিজে দুটি সেঞ্চুরিতে আলো ছড়িয়েছেন। দুটি ম্যাচে ম্যাচসেরা এবং সিরিজসেরার পুরস্কার জিতেছেন। এমন পারফরম্যান্সে তো আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকার কথা...
জাওয়াদ আবরার: হ্যাঁ, এই সিরিজটা আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলছিলাম, যদিও সিরিজের জন্য শেষ করতে পারিনি। তবে ডিপিএলের শেষ দিকে যে ছন্দটা পেয়েছিলাম, সেটাই এই সিরিজের শুরু থেকে কাজে লেগেছে। দুটি সেঞ্চুরি করতে পেরেছি; ভালো লাগছে, অবশ্যই। তবে আমার কাছে সেঞ্চুরি বড় কিছু নয়; দল জিতেছে, এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।
প্রশ্ন: সিরিজের আগে প্রস্তুতিতে বিশেষ কোনো অনুশীলন করেছিলেন?
জাওয়াদ: বিশেষভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার খুব একটা সুযোগ ছিল না। ডিপিএল চলছিল, সেখান থেকেই ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে দলের কোচিং স্টাফের সঙ্গে ব্যাটিং টেম্পো ও শট নির্বাচন নিয়ে কাজ করেছি। আমার মূল লক্ষ্য ছিল ইনিংস গড়া, শুধু দ্রুত রান নয়। ইনিংসটা যেন বড় হয়, সেদিকে মনোযোগ দিয়েছি।
প্রশ্ন: দুই সেঞ্চুরির কোনটি আপনার কাছে স্পেশাল?
জাওয়াদ: আমার কাছে দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচের সেঞ্চুরিটি একটু আলাদা। প্রথম ম্যাচে রান পাইনি, দল হেরেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো খেলতে পারায় দল জিতেছে। ওখান থেকেই মনে হয়েছে, আমরা সিরিজে ফিরতে পারব। সেই আত্মবিশ্বাসটাই অনেক দূর নিয়ে গেছে।
প্রশ্ন: বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের দলে ছিলেন, কিন্তু ম্যাচ খেলার সুযোগ মেলেনি। হতাশা কাজ করেছিল?
জাওয়াদ: একটু হতাশা তো ছিলই, যেহেতু খেলতে পারিনি। তবে ম্যাচ খেলা না খেলা আমার হাতে ছিল না। এটিকে আমি শেখার সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। সিনিয়রদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করেছি, অনেক কিছু শিখেছি। মনে হয়েছে, সামনে সুযোগ পেলে সেটা যেন কাজে লাগাতে পারি, সে জন্য আমাকে আরও প্রস্তুত থাকতে হবে।
প্রশ্ন: প্রিমিয়ার লিগে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। তরুণদের নিয়ে গড়া দলের হয়ে এই অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
জাওয়াদ: এটা আমার প্রথম প্রিমিয়ার লিগ। শুরুতে একটু চাপ ছিল, তবে চাপ কাটিয়ে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। এই লিগ থেকেই শিখেছি, কীভাবে চাপের মধ্যে স্থির থাকতে হয়।
প্রশ্ন: শ্রীলঙ্কায় গিয়ে সিরিজ জয় এবং ভালো খেলার অভিজ্ঞতা কেমন?
জাওয়াদ: বিদেশে গিয়ে জেতা সব সময়ই বিশেষ কিছু। কন্ডিশন একেবারেই আলাদা ছিল, আর্দ্রতা বেশি ছিল, বল ঘুরছিল। এজন্য প্রথম ম্যাচে আমরা তেমন কিছু করতে পারিনি। তবে পরের ম্যাচ থেকে ধৈর্য ধরে খেলেছি। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই রান করতে পেরেছি।
প্রশ্ন: ব্যাটিংয়ের কোন দিকটাকে নিজের শক্তি বলে মনে করেন? কোথায় উন্নতি করা দরকার?
জাওয়াদ: ইনিংস গড়ে খেলার সক্ষমতাকে নিজের শক্তি মনে করি। লো স্কোরেও চেষ্টা করি ম্যাচে টিকে থাকার। তবে মিডল ওভারে রোটেশন এবং স্পিনারদের বিপক্ষে আরও আগ্রাসী হওয়া নিয়ে এখনো কাজ করছি।
প্রশ্ন: ভবিষ্যতে নিজেকে কেমন ব্যাটার হিসেবে দেখতে চান?
জাওয়াদ: ভারসাম্য রাখতে চাই। পরিস্থিতি অনুযায়ী ধরে খেলা, আবার শেষ দিকে দলের প্রয়োজনে পাওয়ার হিটার হিসেবেও নিজেকে প্রস্তুত রাখতে চাই।
প্রশ্ন: আগামী এক-দুই বছরে লক্ষ্য কী?
জাওয়াদ: আপাতত লক্ষ্য অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ধারাবাহিক পারফর্ম করা। সামনে বিশ্বকাপ আছে, সেখানে ভালো খেলতে চাই। জাতীয় দলে সুযোগ অবশ্যই চাই, তবে ধাপে ধাপে এগোতে চাই।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপে দলগত লক্ষ্য কী?
জাওয়াদ: আমাদের সামনে বেশ কিছু সিরিজ আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেখানে ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। আমরা বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামব। আমাদের দলে এখন অনেক সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার। যদি নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারি, ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু সম্ভব।
প্রশ্ন: ফিটনেস ও মানসিকভাবে নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করেন?
জাওয়াদ: নিয়ম মেনে জিম, কার্ডিও ব্যায়াম করি। মানসিকভাবে ফোকাসড থাকতে চেষ্টা করি। অনুশীলনে ম্যাচের পরিস্থিতি তৈরি করি, যেন মাঠে সহজ মনে হয়।
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সংঘাতের প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটেও। আপাতত এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত রয়েছে আইপিএল। তবে ফের কবে খেলা মাঠে গড়াবে সেই ব্যাপারে এখনো কিছু জানায়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ক্রিকেট ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, এ মাসেই আইপিএল আবার শুরু করার চেষ্টা করছে টুর্নামেন্
৪২ মিনিট আগেসিরিজ আগের ম্যাচেই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সিলেটের একাডেমি মাঠে আজ লক্ষ্য ছিল নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলকে ধবলধোলাই করার। কিন্তু সেই স্বাদ দিতে পারেননি নুরুল হাসান সোহানরা। উল্টো হেরেই শেষ করতে হয় সিরিজ।
২ ঘণ্টা আগেভারতীয় ক্রিকেট তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটও তোলপাড় বইয়ে দিলেন বিরাট কোহলি। টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি এই ব্যাটার। তবে খবরটি এল রোহিত শর্মা অবসর নেওয়ার ঠিক তিন দিন পর।
৩ ঘণ্টা আগেআগামী বছর ৪৮ দল নিয়ে হবে ছেলেদের ২০২৬ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ। সবশেষ কাতার বিশ্বকাপও হয়েছিল ৩২ দল নিয়ে। আলোচনা হচ্ছিল, মেয়েদের বিশ্বকাপেও দল বাড়ানোর। অবশেষে সেটির চূড়ান্ত ঘোষণা এসে গেল। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, উইমেন্স বিশ্বকাপেও বাড়ল দলের সংখ্যা।
৩ ঘণ্টা আগে