নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা আর দীর্ঘ সময় মাঠে খেলা না থাকা—দিনে দিনে হতাশা জেঁকে বসেছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবলারদের মধ্যে। গত শুক্রবার ফুটবল থেকে অবসর নেন সাফজয়ী ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্না। বাংলাদেশ ছেড়ে চীন চলে যাচ্ছেন তারকা ডিফেন্ডার আঁখি খাতুনও। তবে বাফুফেকে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দিয়ে গেছে সাফজয়ী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের পদত্যাগ।
যেসব কারণে হতাশায় ডুবে আছেন নারী ফুটবলাররা, তার অন্যতম একটি কারণ ছিল সময়মতো নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট ‘উইমেন্স সুপার লিগ’ বা ডব্লিউএসএল আয়োজন না করা। ঘরের মাঠে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলবেন বলে ভারতের লিগ খেলার ডাকে সাড়া দেননি নারী ফুটবলাররা। খেলতে না পারা আর আর্থিক অনিশ্চয়তায় ফুটবলকে বিদায়ের হিড়িক পড়ে যায় নারী ফুটবলে। নারী ফুটবলে টালমাটাল পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই তাড়াহুড়ো করে ডব্লিউএসএল আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে বাফুফে।
আজ রাতে জরুরি ভিত্তিতে কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে। গত কয়েক দিনে একের পর এক ঘটনার পর ভাবা হচ্ছিল কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ও নারী ফুটবল নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ফেডারেশনটি। শেষ পর্যন্ত একটি সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছে বাফুফে এবং সেটি ডব্লিউএসএল নিয়ে।
কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শেষে আজ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটাই আলোচ্যসূচি ছিল—উইমেন্স ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। এই লিগ সবার চাহিদা, মেয়েদের কাছে, আপনারাও সবাই চান—এটা যেন হয়। আমরা আজকে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জুনের ১০ তারিখ থেকে এটি শুরু হবে। ১২ দিনে হবে ১৩টি ম্যাচ। এটা এখনই করার কারণ হচ্ছে, এটা এখন না করলে ফিফা উইন্ডো থাকবে, বিদেশি খেলোয়াড়েরা আসতে পারবে না। দল আগের মতোই চারটি।’
চার দল নিয়ে ১৫ মে শুরু হওয়ার কথা ছিল ডব্লিউএসএল। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি আর খেলার মাঠ ঠিক না হওয়ায় ঝুলে পড়েছিল ডব্লিউএসএলের ভবিষ্যৎ। চার দলের কথা বলা হলেও কারা সম্মতি দিয়েছে ডব্লিউএসএলে খেলতে সেই বিষয়ে বাফুফে নিজেও অন্ধকারে। ১০ জুন টুর্নামেন্ট শুরু হলে আয়োজক কে-স্পোর্টসের হাতে সময় আছে ১০ দিনেরও কম সময়। এই সময়ের মধ্যে দল আর বিদেশি খেলোয়াড় এবং কীভাবে খেলোয়াড়দের ড্রাফট হবে সেই সিদ্ধান্ত কে-স্পোর্টসের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছেন কাজী সালাউদ্দিন। ডব্লিউএসএলের প্রথম টুর্নামেন্ট হিসেবেই দেখছেন বাফুফে সভাপতি, ‘আমরা তাদের যে অনুমতি দিয়েছিলাম, সেটা দীর্ঘ মেয়াদে নয়। এক বছরের জন্য, ট্রায়ালভিত্তিক। যদি আমরা দেখি লিগটা সফলভাবে হচ্ছে, দর্শক এবং খেলোয়াড়দের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে, তখন আমরা যে টেন্ডার করব, সেটা ৫ থেকে ১০ বছরের জন্য। এখন এটা যৌথভাবে ট্রায়ালভিত্তিক করা হচ্ছে।’
ডব্লিউএসএলের বিনিময়ে কে-স্পোর্টসের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা পাবে বাফুফে। এই ২০ লাখ টাকা অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দলকে দিতে চায় বাফুফে।
নারী ফুটবলার ও কোচের বিদায়ে খানিকটা হলেও কোণঠাসা বাফুফে। সেই চাপ কমাতে তাড়াহুড়ো করে ডব্লিউএসএল আয়োজন করা হচ্ছে কি না—সেই প্রশ্নের জবাবে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘এটা কোনো প্রেশার রিলিজ করার জন্য নয়। আমি ফুটবল খেলেছি বছরের পর বছর ধরে। এখানে রিলিজের কিছু নেই। মেয়েরা যাচ্ছে (অবসর নিচ্ছে), আসবে, এটা তো পৃথিবীর নিয়ম। ম্যারাডোনা (ডিয়েগো) নাই, মেসি (লিওনেল) এসেছে, মেসি ক্লাব ছেড়ে চলে যাবে, রোনালদো (ক্রিস্টিয়ানো) সৌদি আরবে চলে গেছে, এই তো আসা-যাওয়ার প্রক্রিয়া। মেয়েরা যারা অবসর নিয়েছে, তাদের ব্যক্তিগত কারণও তো আছে, তারা সেটা প্রকাশ করতে চায়নি। বিষয়গুলো আসলে এটাই।’
ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা আর দীর্ঘ সময় মাঠে খেলা না থাকা—দিনে দিনে হতাশা জেঁকে বসেছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবলারদের মধ্যে। গত শুক্রবার ফুটবল থেকে অবসর নেন সাফজয়ী ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্না। বাংলাদেশ ছেড়ে চীন চলে যাচ্ছেন তারকা ডিফেন্ডার আঁখি খাতুনও। তবে বাফুফেকে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দিয়ে গেছে সাফজয়ী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের পদত্যাগ।
যেসব কারণে হতাশায় ডুবে আছেন নারী ফুটবলাররা, তার অন্যতম একটি কারণ ছিল সময়মতো নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট ‘উইমেন্স সুপার লিগ’ বা ডব্লিউএসএল আয়োজন না করা। ঘরের মাঠে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলবেন বলে ভারতের লিগ খেলার ডাকে সাড়া দেননি নারী ফুটবলাররা। খেলতে না পারা আর আর্থিক অনিশ্চয়তায় ফুটবলকে বিদায়ের হিড়িক পড়ে যায় নারী ফুটবলে। নারী ফুটবলে টালমাটাল পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই তাড়াহুড়ো করে ডব্লিউএসএল আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে বাফুফে।
আজ রাতে জরুরি ভিত্তিতে কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে। গত কয়েক দিনে একের পর এক ঘটনার পর ভাবা হচ্ছিল কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ও নারী ফুটবল নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ফেডারেশনটি। শেষ পর্যন্ত একটি সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছে বাফুফে এবং সেটি ডব্লিউএসএল নিয়ে।
কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শেষে আজ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটাই আলোচ্যসূচি ছিল—উইমেন্স ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। এই লিগ সবার চাহিদা, মেয়েদের কাছে, আপনারাও সবাই চান—এটা যেন হয়। আমরা আজকে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জুনের ১০ তারিখ থেকে এটি শুরু হবে। ১২ দিনে হবে ১৩টি ম্যাচ। এটা এখনই করার কারণ হচ্ছে, এটা এখন না করলে ফিফা উইন্ডো থাকবে, বিদেশি খেলোয়াড়েরা আসতে পারবে না। দল আগের মতোই চারটি।’
চার দল নিয়ে ১৫ মে শুরু হওয়ার কথা ছিল ডব্লিউএসএল। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি আর খেলার মাঠ ঠিক না হওয়ায় ঝুলে পড়েছিল ডব্লিউএসএলের ভবিষ্যৎ। চার দলের কথা বলা হলেও কারা সম্মতি দিয়েছে ডব্লিউএসএলে খেলতে সেই বিষয়ে বাফুফে নিজেও অন্ধকারে। ১০ জুন টুর্নামেন্ট শুরু হলে আয়োজক কে-স্পোর্টসের হাতে সময় আছে ১০ দিনেরও কম সময়। এই সময়ের মধ্যে দল আর বিদেশি খেলোয়াড় এবং কীভাবে খেলোয়াড়দের ড্রাফট হবে সেই সিদ্ধান্ত কে-স্পোর্টসের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছেন কাজী সালাউদ্দিন। ডব্লিউএসএলের প্রথম টুর্নামেন্ট হিসেবেই দেখছেন বাফুফে সভাপতি, ‘আমরা তাদের যে অনুমতি দিয়েছিলাম, সেটা দীর্ঘ মেয়াদে নয়। এক বছরের জন্য, ট্রায়ালভিত্তিক। যদি আমরা দেখি লিগটা সফলভাবে হচ্ছে, দর্শক এবং খেলোয়াড়দের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে, তখন আমরা যে টেন্ডার করব, সেটা ৫ থেকে ১০ বছরের জন্য। এখন এটা যৌথভাবে ট্রায়ালভিত্তিক করা হচ্ছে।’
ডব্লিউএসএলের বিনিময়ে কে-স্পোর্টসের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা পাবে বাফুফে। এই ২০ লাখ টাকা অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দলকে দিতে চায় বাফুফে।
নারী ফুটবলার ও কোচের বিদায়ে খানিকটা হলেও কোণঠাসা বাফুফে। সেই চাপ কমাতে তাড়াহুড়ো করে ডব্লিউএসএল আয়োজন করা হচ্ছে কি না—সেই প্রশ্নের জবাবে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘এটা কোনো প্রেশার রিলিজ করার জন্য নয়। আমি ফুটবল খেলেছি বছরের পর বছর ধরে। এখানে রিলিজের কিছু নেই। মেয়েরা যাচ্ছে (অবসর নিচ্ছে), আসবে, এটা তো পৃথিবীর নিয়ম। ম্যারাডোনা (ডিয়েগো) নাই, মেসি (লিওনেল) এসেছে, মেসি ক্লাব ছেড়ে চলে যাবে, রোনালদো (ক্রিস্টিয়ানো) সৌদি আরবে চলে গেছে, এই তো আসা-যাওয়ার প্রক্রিয়া। মেয়েরা যারা অবসর নিয়েছে, তাদের ব্যক্তিগত কারণও তো আছে, তারা সেটা প্রকাশ করতে চায়নি। বিষয়গুলো আসলে এটাই।’
ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ে পার করছে দুঃসময়। কিন্তু প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ হলে তারাও যেন হালে পানি পায়। সিলেট টেস্টে প্রথম দুই দিনই দাপট দেখিয়েছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে লিড নেয় তারা ৮২ রানের। দ্বিতীয় দিন শেষে ৫৭ রানে ১ উইকেট বাংলাদেশের।
৪ ঘণ্টা আগেসিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষে কিছুটা স্বস্তি বাংলাদেশ শিবিরে। যদিও এখনো পিছিয়ে আছে ২৫ রানে। ৮২ রানের লিড মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই মাত্র ১৩ রানে কাটা পড়েছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তবে দিন শেষে মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হকের ব্যাটে অপরাজিত ৪৪ রানের জুটিতে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ দল।
৫ ঘণ্টা আগেটেস্টে প্রথম দিনটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সিলেট টেস্টে প্রথম দিনটাই ভালো যায়নি বাংলাদেশের। ফলে আজ দ্বিতীয় দিনও তারা শেষ করেছে পিছিয়ে থেকে। তবে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ঘূর্ণি জাদু ও শেষ বিকেলে মাহমুদুল হাসান জয়-মুমিনুল হকের ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছে স্বাগতিকেরা।
৬ ঘণ্টা আগেসিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ২৫ রানে পিছিয়ে থেকে কাল আবারও ব্যাটিংয়ে নামবে স্বাগতিকেরা। মুমিনুল হক ১৫ ও মাহমুদুল হাসান জয় ২৮ রানে অপরাজিত আছেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও ওপেনিং জুটি বড় হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দলীয় ১৩ রানে ফেরেন সাদমান
৭ ঘণ্টা আগে