
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সুপারক্লাসিকো ম্যাচ বলে কথা। দুই প্রতিবেশী দেশের মাঠের রুদ্ধশ্বাস লড়াই দেখার অপেক্ষায় মারাকানায় আজ এসেছিলেন হাজার হাজার দর্শক। এই ম্যাচে আর্জেন্টিনা জয়ও পেয়েছে। তবে ম্যাচ ছাপিয়ে মাঠে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিই হয়ে উঠেছে মূল বিষয়বস্তু।
বাংলাদেশ সময় আজ ভোর সাড়ে ৬টায় মারাকানায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে দুই দলের ফুটবলাররা মাঠে নামার আগেই শুরু হয়ে যায় গন্ডগোল। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা দুয়ো দিলে তাঁদের মারতে শুরু করেন ব্রাজিলের সমর্থকেরা। গ্যালারিতে তখন শুরু হয় দাঙ্গা। আর দাঙ্গা থামাতে গিয়ে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ওপর লাঠিপেটা করেছেন পুলিশ। তাতে ৩০ মিনিট দেরিতে শুরু হয় সুপারক্লাসিকো।
আধা ঘণ্টা দেরিতে শুরু হলেও পুরো ম্যাচ জুড়ে শারীরিক শক্তি দেখাতেই যেন ব্যস্ত ছিলেন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। ম্যাচে ব্রাজিল ফাউল করেছে ২৬টি ও ১৬টি ফাউল করেছে আর্জেন্টিনা। ৩টি হলুদ কার্ড ও ১টি লাল কার্ড-সব কার্ডই হজম করেছে ব্রাজিল। যেখানে বাজে আচরণের জন্য ৮১ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন ব্রাজিলের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার জোয়েলিংটন। ম্যাচে ৬৩ মিনিটে নিকোলাস ওতামেন্দির একমাত্র গোলে আর্জেন্টিনা জিতেছে ১-০ গোলে। আর্জেন্টিনা জিতলেও মারাকানায় এমন সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ ঝেরেছেন লিওনেল মেসি। ইনস্টাগ্রামে আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফুটবলার লিখেছেন, ‘এই দল ইতিহাস গড়েই চলেছে। মারাকানায় দারুণ এক জয় পেয়েছি। তবে আরও একবার ব্রাজিলে আর্জেন্টাইনরা অত্যাচারিত হয়েছে। এটা সহ্য করা যায় না। এর শেষ হওয়া দরকার।’
আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ওপর ব্রাজিলের এমন উগ্র আচরণের ঘটনা এবারই নতুন নয়। ৪ নভেম্বর মারাকানাতেই কোপা লিবার্তোদোরেসের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স ও আর্জেন্টিনার বোকা জুনিয়রস। সেই ফাইনালের আগে বোকা জুনিয়রসের ভক্ত-সমর্থকেরা রিওর কোপাকাবানা সৈকতে সময় কাটাচ্ছিলেন। তাদের ওপর আচমকা হামলা করেন ফ্লুমিনেন্সের ভক্ত-সমর্থকেরা। ব্রাজিলিয়ান পুলিশরাও ফ্লুমিনেন্সের ভক্ত-সমর্থকদের প্রশ্রয় দিয়েছেন। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচের দিন এমন হামলার ঘটনা নিয়ে আজ ম্যাচ শেষে পুরোনো ঘটনার কথাও বলেছেন মেসি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, ‘অবশ্যই এটা খারাপ হলো। তারা (পুলিশ) কীভাবে লোকেদের মেরেছে আমরা দেখেছি। লিবার্তোদোরেসের ফাইনালেও এমনটি হয়েছিল। খেলোয়াড়দের পরিবার সেখানে (গ্যালারি) ছিল। ম্যাচের চেয়ে বিষয়টি নিয়ে আমরা বেশি চিন্তিত ছিলাম। আমরা ড্রেসিং রুমে গিয়েছিলাম কারণ এটি ছিল সবকিছু শান্ত করার সর্বোত্তম উপায়।’

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সুপারক্লাসিকো ম্যাচ বলে কথা। দুই প্রতিবেশী দেশের মাঠের রুদ্ধশ্বাস লড়াই দেখার অপেক্ষায় মারাকানায় আজ এসেছিলেন হাজার হাজার দর্শক। এই ম্যাচে আর্জেন্টিনা জয়ও পেয়েছে। তবে ম্যাচ ছাপিয়ে মাঠে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিই হয়ে উঠেছে মূল বিষয়বস্তু।
বাংলাদেশ সময় আজ ভোর সাড়ে ৬টায় মারাকানায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে দুই দলের ফুটবলাররা মাঠে নামার আগেই শুরু হয়ে যায় গন্ডগোল। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা দুয়ো দিলে তাঁদের মারতে শুরু করেন ব্রাজিলের সমর্থকেরা। গ্যালারিতে তখন শুরু হয় দাঙ্গা। আর দাঙ্গা থামাতে গিয়ে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ওপর লাঠিপেটা করেছেন পুলিশ। তাতে ৩০ মিনিট দেরিতে শুরু হয় সুপারক্লাসিকো।
আধা ঘণ্টা দেরিতে শুরু হলেও পুরো ম্যাচ জুড়ে শারীরিক শক্তি দেখাতেই যেন ব্যস্ত ছিলেন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। ম্যাচে ব্রাজিল ফাউল করেছে ২৬টি ও ১৬টি ফাউল করেছে আর্জেন্টিনা। ৩টি হলুদ কার্ড ও ১টি লাল কার্ড-সব কার্ডই হজম করেছে ব্রাজিল। যেখানে বাজে আচরণের জন্য ৮১ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন ব্রাজিলের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার জোয়েলিংটন। ম্যাচে ৬৩ মিনিটে নিকোলাস ওতামেন্দির একমাত্র গোলে আর্জেন্টিনা জিতেছে ১-০ গোলে। আর্জেন্টিনা জিতলেও মারাকানায় এমন সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ ঝেরেছেন লিওনেল মেসি। ইনস্টাগ্রামে আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফুটবলার লিখেছেন, ‘এই দল ইতিহাস গড়েই চলেছে। মারাকানায় দারুণ এক জয় পেয়েছি। তবে আরও একবার ব্রাজিলে আর্জেন্টাইনরা অত্যাচারিত হয়েছে। এটা সহ্য করা যায় না। এর শেষ হওয়া দরকার।’
আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ওপর ব্রাজিলের এমন উগ্র আচরণের ঘটনা এবারই নতুন নয়। ৪ নভেম্বর মারাকানাতেই কোপা লিবার্তোদোরেসের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স ও আর্জেন্টিনার বোকা জুনিয়রস। সেই ফাইনালের আগে বোকা জুনিয়রসের ভক্ত-সমর্থকেরা রিওর কোপাকাবানা সৈকতে সময় কাটাচ্ছিলেন। তাদের ওপর আচমকা হামলা করেন ফ্লুমিনেন্সের ভক্ত-সমর্থকেরা। ব্রাজিলিয়ান পুলিশরাও ফ্লুমিনেন্সের ভক্ত-সমর্থকদের প্রশ্রয় দিয়েছেন। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচের দিন এমন হামলার ঘটনা নিয়ে আজ ম্যাচ শেষে পুরোনো ঘটনার কথাও বলেছেন মেসি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, ‘অবশ্যই এটা খারাপ হলো। তারা (পুলিশ) কীভাবে লোকেদের মেরেছে আমরা দেখেছি। লিবার্তোদোরেসের ফাইনালেও এমনটি হয়েছিল। খেলোয়াড়দের পরিবার সেখানে (গ্যালারি) ছিল। ম্যাচের চেয়ে বিষয়টি নিয়ে আমরা বেশি চিন্তিত ছিলাম। আমরা ড্রেসিং রুমে গিয়েছিলাম কারণ এটি ছিল সবকিছু শান্ত করার সর্বোত্তম উপায়।’

অ্যানফিল্ড ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের কাছে একেবারে অপরিচিত নয়। ২০১৬ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৯ বছরের ক্যারিয়ারে লিভারপুলের জার্সিতে এই ভেন্যুতে কত ম্যাচ খেলেছেন, সেটার হিসাব হয়তো তাঁর নিজেরও জানা নেই। কিন্তু পরিচিত এই ভেন্যুতে গত রাতে ফিরলেন ‘অচেনা’ হয়ে।
৯ মিনিট আগে
এককালে ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে থাকা পাকিস্তানে ক্রিকেট চলছে দারুণভাবে। দেশটির বিভিন্ন ভেন্যুতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) হচ্ছে হরহামেশাই। বিদেশি ক্রিকেটাররা এসে খেলে যাচ্ছেন। কিন্তু ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়াম যেন একরকম ব্রাত্য হয়ে পড়েছিল।
২৪ মিনিট আগে
এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার এক মাস পেরোলেও সেটার রেশ যে এখনো কাটেনি। বিশেষ করে, মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টজুড়েই ছিল ভারত-পাকিস্তানকে নিয়ে আলোচনা। মাঠের পারফরম্যান্সের চেয়ে বাইরের ঘটনায় বেশি উত্তপ্ত হয়েছে। এবার সেই টুর্নামেন্টে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য সূর্যকুমার যাদব, জসপ্রীত বুমরা, হারিস রউফদের
১ ঘণ্টা আগে
৫ আগস্টের পর আশা করেছিলাম, নতুন ধারার মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ রাজনীতিকরণ, দলীয়করণ থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমে যাঁরা মাঠের ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন, সেই মানুষগুলো ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব নিয়ে নতুনভাবে ঢেলে সাজাবেন। স্বৈরাচার সরকার ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি সেক্টরে
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

অ্যানফিল্ড ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের কাছে একেবারে অপরিচিত নয়। ২০১৬ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৯ বছরের ক্যারিয়ারে লিভারপুলের জার্সিতে এই ভেন্যুতে কত ম্যাচ খেলেছেন, সেটার হিসাব হয়তো তাঁর নিজেরও জানা নেই। কিন্তু পরিচিত এই ভেন্যুতে গত রাতে ফিরলেন ‘অচেনা’ হয়ে।
চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে গত রাতে অ্যানফিল্ডে মুখোমুখি হয়েছে লিভারপুল-রিয়াল মাদ্রিদ। ৯ বছর লিভারপুলের জার্সিতে খেলা এই ফুটবলার এবার তাদেরই শত্রু বনে গেলেন। লিভারপুলের সঙ্গে চুক্তি শেষে তিনি যোগ দিয়েছেন রিয়ালে। ম্যাচ শুরুর আগে আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের ম্যুরাল বিকৃত করা হয়। ৮১ মিনিটে তিনি যখন মাঠে নামেন, দর্শকদের দুয়োধ্বনি শুনেছেন। রিয়াল কোচ জাবি আলোনসোর মতে আর্নল্ডের জন্য পরিবেশটা যে এমন প্রতিকূল হবে, সেটা তো জানা কথাই। ম্যাচ শেষে আলোনসো বলেন, ‘এমন প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিতই ছিল। সে পেশাদার ও পরিপক্ব ফুটবলার। এমন কিছুর জন্য সে প্রস্তুত ছিল।’
রিয়ালের বিপক্ষে লিভারপুলের ১-০ গোলে জয়ের ফল ছাপিয়ে গিয়েছিল দুই দলের খেলার ধরন। শরীর নির্ভর ফুটবল খেলাতেই যেন গত রাতে ব্যস্ত ছিলেন রিয়াল-লিভারপুলের ফুটবলাররা। চ্যাম্পিয়নস লিগের এই ম্যাচে ১৪ ও ১৩ ফাউল করে লিভারপুল ও রিয়াল। আলোনসোর কাছে রিয়াল-লিভারপুল ম্যাচটা রোমাঞ্চকর মনে হয়েছে। ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ বলেন, ‘খুব দারুণ এক খেলা হয়েছে। অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের সময় পরিবেশ সব সময় এমনই থাকে।’
৮১ মিনিটে আলেক্সান্ডার আর্নল্ডকে নামানো হয়েছে আর্দা গুলারের পরিবর্তে। বদলি হিসেবে নেমেও আর্নল্ড তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। পাশাপাশি দর্শকদের দুয়োধ্বনি তো ছিলই। তবু শিষ্য আর্নল্ডকে আগলে রাখছেন আলোনসো, ‘ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের থেকে এমন খেলা অবশ্যই দরকার ছিল। উইং থেকে সে হুমকি হিসেবে কাজ করছিল।’ ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন লিভারপুল মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। ৬১ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে ডমিনিক সোবোসলাইয়ের পাস রিসিভ করে হেডে লক্ষ্য ভেদ করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। লিভারপুলের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনিই দেখেছেন হলুদ কার্ড। ৭৮ মিনিটে তাঁর পরিবর্তে কুর্তিস জোনসকে মাঠে নামায় লিভারপুল।

অ্যানফিল্ড ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের কাছে একেবারে অপরিচিত নয়। ২০১৬ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৯ বছরের ক্যারিয়ারে লিভারপুলের জার্সিতে এই ভেন্যুতে কত ম্যাচ খেলেছেন, সেটার হিসাব হয়তো তাঁর নিজেরও জানা নেই। কিন্তু পরিচিত এই ভেন্যুতে গত রাতে ফিরলেন ‘অচেনা’ হয়ে।
চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে গত রাতে অ্যানফিল্ডে মুখোমুখি হয়েছে লিভারপুল-রিয়াল মাদ্রিদ। ৯ বছর লিভারপুলের জার্সিতে খেলা এই ফুটবলার এবার তাদেরই শত্রু বনে গেলেন। লিভারপুলের সঙ্গে চুক্তি শেষে তিনি যোগ দিয়েছেন রিয়ালে। ম্যাচ শুরুর আগে আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের ম্যুরাল বিকৃত করা হয়। ৮১ মিনিটে তিনি যখন মাঠে নামেন, দর্শকদের দুয়োধ্বনি শুনেছেন। রিয়াল কোচ জাবি আলোনসোর মতে আর্নল্ডের জন্য পরিবেশটা যে এমন প্রতিকূল হবে, সেটা তো জানা কথাই। ম্যাচ শেষে আলোনসো বলেন, ‘এমন প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিতই ছিল। সে পেশাদার ও পরিপক্ব ফুটবলার। এমন কিছুর জন্য সে প্রস্তুত ছিল।’
রিয়ালের বিপক্ষে লিভারপুলের ১-০ গোলে জয়ের ফল ছাপিয়ে গিয়েছিল দুই দলের খেলার ধরন। শরীর নির্ভর ফুটবল খেলাতেই যেন গত রাতে ব্যস্ত ছিলেন রিয়াল-লিভারপুলের ফুটবলাররা। চ্যাম্পিয়নস লিগের এই ম্যাচে ১৪ ও ১৩ ফাউল করে লিভারপুল ও রিয়াল। আলোনসোর কাছে রিয়াল-লিভারপুল ম্যাচটা রোমাঞ্চকর মনে হয়েছে। ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ বলেন, ‘খুব দারুণ এক খেলা হয়েছে। অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের সময় পরিবেশ সব সময় এমনই থাকে।’
৮১ মিনিটে আলেক্সান্ডার আর্নল্ডকে নামানো হয়েছে আর্দা গুলারের পরিবর্তে। বদলি হিসেবে নেমেও আর্নল্ড তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। পাশাপাশি দর্শকদের দুয়োধ্বনি তো ছিলই। তবু শিষ্য আর্নল্ডকে আগলে রাখছেন আলোনসো, ‘ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের থেকে এমন খেলা অবশ্যই দরকার ছিল। উইং থেকে সে হুমকি হিসেবে কাজ করছিল।’ ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন লিভারপুল মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। ৬১ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে ডমিনিক সোবোসলাইয়ের পাস রিসিভ করে হেডে লক্ষ্য ভেদ করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। লিভারপুলের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনিই দেখেছেন হলুদ কার্ড। ৭৮ মিনিটে তাঁর পরিবর্তে কুর্তিস জোনসকে মাঠে নামায় লিভারপুল।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সুপারক্লাসিকো ম্যাচ বলে কথা। দুই প্রতিবেশী দেশের মাঠের রুদ্ধশ্বাস লড়াই দেখার অপেক্ষায় মারাকানায় আজ এসেছিলেন হাজার হাজার দর্শক। এই ম্যাচে আর্জেন্টিনা জয়ও পেয়েছে। তবে ম্যাচ ছাপিয়ে মাঠে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিই হয়ে উঠেছে মূল বিষয়বস্তু।
২২ নভেম্বর ২০২৩
এককালে ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে থাকা পাকিস্তানে ক্রিকেট চলছে দারুণভাবে। দেশটির বিভিন্ন ভেন্যুতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) হচ্ছে হরহামেশাই। বিদেশি ক্রিকেটাররা এসে খেলে যাচ্ছেন। কিন্তু ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়াম যেন একরকম ব্রাত্য হয়ে পড়েছিল।
২৪ মিনিট আগে
এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার এক মাস পেরোলেও সেটার রেশ যে এখনো কাটেনি। বিশেষ করে, মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টজুড়েই ছিল ভারত-পাকিস্তানকে নিয়ে আলোচনা। মাঠের পারফরম্যান্সের চেয়ে বাইরের ঘটনায় বেশি উত্তপ্ত হয়েছে। এবার সেই টুর্নামেন্টে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য সূর্যকুমার যাদব, জসপ্রীত বুমরা, হারিস রউফদের
১ ঘণ্টা আগে
৫ আগস্টের পর আশা করেছিলাম, নতুন ধারার মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ রাজনীতিকরণ, দলীয়করণ থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমে যাঁরা মাঠের ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন, সেই মানুষগুলো ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব নিয়ে নতুনভাবে ঢেলে সাজাবেন। স্বৈরাচার সরকার ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি সেক্টরে
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

এককালে ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে থাকা পাকিস্তানে ক্রিকেট চলছে দারুণভাবে। দেশটির বিভিন্ন ভেন্যুতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) হচ্ছে হরহামেশাই। বিদেশি ক্রিকেটাররা এসে খেলে যাচ্ছেন। কিন্তু ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়াম যেন একরকম ব্রাত্য হয়ে পড়েছিল।
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওয়ানডে দিয়ে গতকাল ফয়সালাবাদের ১৭ বছরের অপেক্ষা ফুরিয়েছে। এর আগে এই ভেন্যুতে সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছিল ২০০৮ সালে। সেবার ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান। গতকাল ১৭ বছর পর ফয়সালাবাদে ক্রিকেট ফেরার দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকল শাহিন শাহ আফ্রিদি-সালমান আলী আঘাদের কাছেও। ওয়ানডেতে প্রথম অভিষেকের ম্যাচে আফ্রিদি জিতলেন। শুধু জেতেননি, ফয়সালাবাদে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে রেকর্ডটা নতুন করে গড়ল পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ২৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতে এই মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ল শাহিনের পাকিস্তান। এর আগের রেকর্ডটা পাকিস্তানেরই ছিল। ২০০৮ সালে ফয়সালাবাদে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে পাকিস্তান জিতেছিল ৭ উইকেটে।
১৭ বছর পর ফয়সালাবাদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার রাতে দর্শক সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। ইকবাল স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে প্রায় ১৭ হাজার দর্শক দেখেছেন পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওয়ানডে। শেষ পর্যন্ত ভক্ত-সমর্থকেরা জয় দেখে মাঠ ছেড়েছেন। ২ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের জয়ে পাকিস্তানের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক শাহিনের শুরুটাও হলো মনে রাখার মতো। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি বাঁহাতি পেসার বলেন, ‘ফয়সালাবাদের দর্শকদের ধন্যবাদ। এই মাঠে অনেক দিন পর ক্রিকেট ফিরেছে। আপনারা এত দর্শক খেলা দেখতে এসেছেন। সেজন্য ধন্যবাদ।’
২ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় পেলেও পাকিস্তানের জয়টা হতে পারত আরও সহজ। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে শেষ ২৬ বলে স্বাগতিকদের দরকার ছিল ২৩ রান। সালমান ও তালাত ৫৫ ও ২২ ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু যে পাকিস্তানের নামের পাশে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তকমা, তাদের খেলায় নাটক না হলে কি চলে! হঠাৎ শুরু হওয়া নাটকীয়তার ম্যাচে ৫০তম ওভারের চতুর্থ বলে করবিন বশের বলে সিঙ্গেল নিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন নাসিম শাহ। প্রোটিয়া পেসার বশ এলবিডব্লিউর আবেদন করলেও আম্পায়ার সাড়া দেননি। সফরকারীরা আর রিভিউ না নেওয়ায় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক শাহিন বলেন, ‘এমনটা সব সময় হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করব আর যেন এমনটা না হয়।’
৭১ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৬২ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন সালমান। ফিফটি করেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ানও (৫৫)। পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডেও হবে ফয়সালাবাদে। ৬ ও ৮ নভেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডে। সব ম্যাচই বাংলাদেশ সময় বেলা ৪টায় শুরু হবে।

এককালে ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে থাকা পাকিস্তানে ক্রিকেট চলছে দারুণভাবে। দেশটির বিভিন্ন ভেন্যুতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) হচ্ছে হরহামেশাই। বিদেশি ক্রিকেটাররা এসে খেলে যাচ্ছেন। কিন্তু ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়াম যেন একরকম ব্রাত্য হয়ে পড়েছিল।
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওয়ানডে দিয়ে গতকাল ফয়সালাবাদের ১৭ বছরের অপেক্ষা ফুরিয়েছে। এর আগে এই ভেন্যুতে সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছিল ২০০৮ সালে। সেবার ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান। গতকাল ১৭ বছর পর ফয়সালাবাদে ক্রিকেট ফেরার দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকল শাহিন শাহ আফ্রিদি-সালমান আলী আঘাদের কাছেও। ওয়ানডেতে প্রথম অভিষেকের ম্যাচে আফ্রিদি জিতলেন। শুধু জেতেননি, ফয়সালাবাদে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে রেকর্ডটা নতুন করে গড়ল পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ২৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতে এই মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ল শাহিনের পাকিস্তান। এর আগের রেকর্ডটা পাকিস্তানেরই ছিল। ২০০৮ সালে ফয়সালাবাদে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে পাকিস্তান জিতেছিল ৭ উইকেটে।
১৭ বছর পর ফয়সালাবাদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার রাতে দর্শক সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। ইকবাল স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে প্রায় ১৭ হাজার দর্শক দেখেছেন পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওয়ানডে। শেষ পর্যন্ত ভক্ত-সমর্থকেরা জয় দেখে মাঠ ছেড়েছেন। ২ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের জয়ে পাকিস্তানের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক শাহিনের শুরুটাও হলো মনে রাখার মতো। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি বাঁহাতি পেসার বলেন, ‘ফয়সালাবাদের দর্শকদের ধন্যবাদ। এই মাঠে অনেক দিন পর ক্রিকেট ফিরেছে। আপনারা এত দর্শক খেলা দেখতে এসেছেন। সেজন্য ধন্যবাদ।’
২ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় পেলেও পাকিস্তানের জয়টা হতে পারত আরও সহজ। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে শেষ ২৬ বলে স্বাগতিকদের দরকার ছিল ২৩ রান। সালমান ও তালাত ৫৫ ও ২২ ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু যে পাকিস্তানের নামের পাশে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তকমা, তাদের খেলায় নাটক না হলে কি চলে! হঠাৎ শুরু হওয়া নাটকীয়তার ম্যাচে ৫০তম ওভারের চতুর্থ বলে করবিন বশের বলে সিঙ্গেল নিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন নাসিম শাহ। প্রোটিয়া পেসার বশ এলবিডব্লিউর আবেদন করলেও আম্পায়ার সাড়া দেননি। সফরকারীরা আর রিভিউ না নেওয়ায় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক শাহিন বলেন, ‘এমনটা সব সময় হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করব আর যেন এমনটা না হয়।’
৭১ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৬২ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন সালমান। ফিফটি করেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ানও (৫৫)। পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডেও হবে ফয়সালাবাদে। ৬ ও ৮ নভেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডে। সব ম্যাচই বাংলাদেশ সময় বেলা ৪টায় শুরু হবে।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সুপারক্লাসিকো ম্যাচ বলে কথা। দুই প্রতিবেশী দেশের মাঠের রুদ্ধশ্বাস লড়াই দেখার অপেক্ষায় মারাকানায় আজ এসেছিলেন হাজার হাজার দর্শক। এই ম্যাচে আর্জেন্টিনা জয়ও পেয়েছে। তবে ম্যাচ ছাপিয়ে মাঠে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিই হয়ে উঠেছে মূল বিষয়বস্তু।
২২ নভেম্বর ২০২৩
অ্যানফিল্ড ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের কাছে একেবারে অপরিচিত নয়। ২০১৬ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৯ বছরের ক্যারিয়ারে লিভারপুলের জার্সিতে এই ভেন্যুতে কত ম্যাচ খেলেছেন, সেটার হিসাব হয়তো তাঁর নিজেরও জানা নেই। কিন্তু পরিচিত এই ভেন্যুতে গত রাতে ফিরলেন ‘অচেনা’ হয়ে।
৯ মিনিট আগে
এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার এক মাস পেরোলেও সেটার রেশ যে এখনো কাটেনি। বিশেষ করে, মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টজুড়েই ছিল ভারত-পাকিস্তানকে নিয়ে আলোচনা। মাঠের পারফরম্যান্সের চেয়ে বাইরের ঘটনায় বেশি উত্তপ্ত হয়েছে। এবার সেই টুর্নামেন্টে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য সূর্যকুমার যাদব, জসপ্রীত বুমরা, হারিস রউফদের
১ ঘণ্টা আগে
৫ আগস্টের পর আশা করেছিলাম, নতুন ধারার মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ রাজনীতিকরণ, দলীয়করণ থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমে যাঁরা মাঠের ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন, সেই মানুষগুলো ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব নিয়ে নতুনভাবে ঢেলে সাজাবেন। স্বৈরাচার সরকার ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি সেক্টরে
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার এক মাস পেরোলেও সেটার রেশ যে এখনো কাটেনি। বিশেষ করে, মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টজুড়েই ছিল ভারত-পাকিস্তানকে নিয়ে আলোচনা। মাঠের পারফরম্যান্সের চেয়ে বাইরের ঘটনায় বেশি উত্তপ্ত হয়েছে। এবার সেই টুর্নামেন্টে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য সূর্যকুমার যাদব, জসপ্রীত বুমরা, হারিস রউফদের শাস্তি দিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)।
আইসিসি গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের শাস্তির কথা নিশ্চিত করেছে। রউফ ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন। ফয়সালাবাদে গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে রউফ একাদশে ছিলে না। নিষেধাজ্ঞার কারণে সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডে ম্যাচও তিনি খেলতে পারবেন না। বুমরা পেয়েছেন এক ডিমেরিট পয়েন্ট। সূর্যকুমার যাদব পেয়েছেন দুই ডিমেরিট পয়েন্ট। আগে তো তাঁর ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা রয়েছে।
রউফের শাস্তি
২১ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরে বিমান ভূপাতিত করার ভঙ্গিতে দর্শকদের দিকে ৬ আঙুল দেখিয়েছিলেন। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছিল এবং নামের পাশে জুটেছিল দুই ডিমেরিট পয়েন্ট। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর ফাইনালের পর আইসিসি ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসনের শুনানিতে ফের রউফের বিরুদ্ধে আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। নামের পাশে আরও দুই ডিমেরিট পয়েন্ট জোটে।
বুমরার শাস্তি
বুমরার বিরুদ্ধে আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে সতর্ক করার পাশাপাশি এক ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে। শাস্তি মেনে নেওয়ায় আর শুনানির প্রয়োজন হয়নি। তিনি ২৮ সেপ্টেম্বর ফাইনালে রউফকে আউট করার পর তাঁর উদযাপনের পাল্টা (বিমান ভূপাতিত করার উদযাপন) দিয়েছিলেন বুমরা।
সূর্যকুমারের শাস্তি
ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমারের বিরুদ্ধেও আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানার পাশাপাশি দুই ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে জয়ের পর ভারতের সামরিক বাহিনীকে উৎসর্গ করেছিলেন তিনি। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে মে মাসে রাষ্ট্রীয় সংঘাত নিয়ে মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে খেলার মাঠে রাজনীতি টেনে আনার অভিযোগ করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ মূলত খেলার ভাবমূতি নষ্টের অভিযোগ। পাকিস্তানি ব্যাটার সাহিবজাদা ফারহানের বিরুদ্ধেও ওঠে এমন অভিযোগ। তাঁকে সতর্ক করার পাশাপাশি একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে আইসিসি। তিনি ২১ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরে ফিফটি করার পর গুলি ছোড়ার মতো করে উদযাপন করেছিলেন। যা ‘একে-৪৭ উদযাপন’ নামে পরিচিতি পেয়েছিল। আর ভারতীয় বাঁহাতি পেসার আর্শদীপ সিংয়ের বিরুদ্ধে অশালীন ইঙ্গিতের অভিযোগ উঠলেও আইসিসির তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন।
ঘটনাবহুল এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে তিন বার। ২৮ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে নবমবারের মতো মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট জেতে ভারত। তবে মহসিন নাকভির কাছ থেকে সেই রাতে ট্রফি নেয়নি সূর্যকুমারের দল। ভারতীয় ক্রিকেটাররা শিরোপা ছাড়া উদযাপন করে বিরল এক ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন।

এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার এক মাস পেরোলেও সেটার রেশ যে এখনো কাটেনি। বিশেষ করে, মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টজুড়েই ছিল ভারত-পাকিস্তানকে নিয়ে আলোচনা। মাঠের পারফরম্যান্সের চেয়ে বাইরের ঘটনায় বেশি উত্তপ্ত হয়েছে। এবার সেই টুর্নামেন্টে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য সূর্যকুমার যাদব, জসপ্রীত বুমরা, হারিস রউফদের শাস্তি দিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)।
আইসিসি গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের শাস্তির কথা নিশ্চিত করেছে। রউফ ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন। ফয়সালাবাদে গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে রউফ একাদশে ছিলে না। নিষেধাজ্ঞার কারণে সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডে ম্যাচও তিনি খেলতে পারবেন না। বুমরা পেয়েছেন এক ডিমেরিট পয়েন্ট। সূর্যকুমার যাদব পেয়েছেন দুই ডিমেরিট পয়েন্ট। আগে তো তাঁর ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা রয়েছে।
রউফের শাস্তি
২১ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরে বিমান ভূপাতিত করার ভঙ্গিতে দর্শকদের দিকে ৬ আঙুল দেখিয়েছিলেন। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছিল এবং নামের পাশে জুটেছিল দুই ডিমেরিট পয়েন্ট। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর ফাইনালের পর আইসিসি ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসনের শুনানিতে ফের রউফের বিরুদ্ধে আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। নামের পাশে আরও দুই ডিমেরিট পয়েন্ট জোটে।
বুমরার শাস্তি
বুমরার বিরুদ্ধে আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে সতর্ক করার পাশাপাশি এক ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে। শাস্তি মেনে নেওয়ায় আর শুনানির প্রয়োজন হয়নি। তিনি ২৮ সেপ্টেম্বর ফাইনালে রউফকে আউট করার পর তাঁর উদযাপনের পাল্টা (বিমান ভূপাতিত করার উদযাপন) দিয়েছিলেন বুমরা।
সূর্যকুমারের শাস্তি
ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমারের বিরুদ্ধেও আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানার পাশাপাশি দুই ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে জয়ের পর ভারতের সামরিক বাহিনীকে উৎসর্গ করেছিলেন তিনি। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে মে মাসে রাষ্ট্রীয় সংঘাত নিয়ে মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে খেলার মাঠে রাজনীতি টেনে আনার অভিযোগ করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ মূলত খেলার ভাবমূতি নষ্টের অভিযোগ। পাকিস্তানি ব্যাটার সাহিবজাদা ফারহানের বিরুদ্ধেও ওঠে এমন অভিযোগ। তাঁকে সতর্ক করার পাশাপাশি একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে আইসিসি। তিনি ২১ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরে ফিফটি করার পর গুলি ছোড়ার মতো করে উদযাপন করেছিলেন। যা ‘একে-৪৭ উদযাপন’ নামে পরিচিতি পেয়েছিল। আর ভারতীয় বাঁহাতি পেসার আর্শদীপ সিংয়ের বিরুদ্ধে অশালীন ইঙ্গিতের অভিযোগ উঠলেও আইসিসির তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন।
ঘটনাবহুল এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে তিন বার। ২৮ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে নবমবারের মতো মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট জেতে ভারত। তবে মহসিন নাকভির কাছ থেকে সেই রাতে ট্রফি নেয়নি সূর্যকুমারের দল। ভারতীয় ক্রিকেটাররা শিরোপা ছাড়া উদযাপন করে বিরল এক ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সুপারক্লাসিকো ম্যাচ বলে কথা। দুই প্রতিবেশী দেশের মাঠের রুদ্ধশ্বাস লড়াই দেখার অপেক্ষায় মারাকানায় আজ এসেছিলেন হাজার হাজার দর্শক। এই ম্যাচে আর্জেন্টিনা জয়ও পেয়েছে। তবে ম্যাচ ছাপিয়ে মাঠে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিই হয়ে উঠেছে মূল বিষয়বস্তু।
২২ নভেম্বর ২০২৩
অ্যানফিল্ড ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের কাছে একেবারে অপরিচিত নয়। ২০১৬ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৯ বছরের ক্যারিয়ারে লিভারপুলের জার্সিতে এই ভেন্যুতে কত ম্যাচ খেলেছেন, সেটার হিসাব হয়তো তাঁর নিজেরও জানা নেই। কিন্তু পরিচিত এই ভেন্যুতে গত রাতে ফিরলেন ‘অচেনা’ হয়ে।
৯ মিনিট আগে
এককালে ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে থাকা পাকিস্তানে ক্রিকেট চলছে দারুণভাবে। দেশটির বিভিন্ন ভেন্যুতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) হচ্ছে হরহামেশাই। বিদেশি ক্রিকেটাররা এসে খেলে যাচ্ছেন। কিন্তু ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়াম যেন একরকম ব্রাত্য হয়ে পড়েছিল।
২৪ মিনিট আগে
৫ আগস্টের পর আশা করেছিলাম, নতুন ধারার মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ রাজনীতিকরণ, দলীয়করণ থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমে যাঁরা মাঠের ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন, সেই মানুষগুলো ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব নিয়ে নতুনভাবে ঢেলে সাজাবেন। স্বৈরাচার সরকার ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি সেক্টরে
২ ঘণ্টা আগে
আমিনুল হক সাবেক অধিনায়ক, দেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক। খেলোয়াড়ি পরিচয় ছাপিয়ে আমিনুল হকের রাজনৈতিক পরিচয়টাই এখন বেশি সামনে আসছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এরই মধ্যে ঢাকা-১৬ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী। পরশু সকালে মিরপুরে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আমিনুল হক ফিরে দেখলেন ৫ আগস্ট-পরবর্তী ক্রীড়াঙ্গন, তুলে ধরলেন নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার হেড অব স্পোর্টস রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: গত বছরের ৫ আগস্টের পর ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কার নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
আমিনুল হক: ৫ আগস্টের পর আশা করেছিলাম, নতুন ধারার মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ রাজনীতিকরণ, দলীয়করণ থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমে যাঁরা মাঠের ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন, সেই মানুষগুলো ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব নিয়ে নতুনভাবে ঢেলে সাজাবেন। স্বৈরাচার সরকার ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি সেক্টরে দলীয়করণ করেছে, রাজনীতিকরণ করেছে। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে আমরা আশা করেছিলাম, ক্রীড়াঙ্গনটা নতুনভাবে ঢেলে সাজাব। আমার সঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টার কথাও হয়েছিল। আপনারা জানেন, তিনি সার্চ কমিটি করেছেন। যে অ্যাডহক কমিটিগুলো করা হয়েছে, ক্রীড়া পরিষদে নিজস্ব একটা সেটআপ তৈরি করে সারা দেশের যে জেলা, বিভাগীয় অ্যাডহক কমিটিগুলো করা হয়েছে, সেখানে তিনি শতভাগ তাঁর নিজের মতো করার চেষ্টা করেছেন। তিনি যদি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতেন, তাহলে মাঠের যাঁরা ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা যোগ্য ছিলেন, তাঁরা উঠে আসতেন। কিন্তু তিনি যখন পক্ষপাতের দিকে চলে গেছেন, তখন আসলে ক্রীড়াঙ্গনের সেই নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে। গত এক বছরের মূল্যায়ন যদি বলেন, খুব বেশি পরিবর্তন আমাদের চোখে পড়েনি; বরং ক্রিকেট বোর্ডের যে নির্বাচনটা আমরা দেখলাম, একেবারে নিজের মতো করে করার চেষ্টা করেছেন এবং তিনি এখানে কাউকে কোনো সুযোগ দেননি। তিনি একদম অগণতান্ত্রিকভাবে ক্রিকেট বোর্ডটা নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। এটা আসলে আমরা একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে বাংলাদেশের যাঁরা ক্রীড়া সংগঠক রয়েছেন, ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ক্রীড়া সংগঠক যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা কখনোই এটাকে ভালোভাবে নেননি।
প্রশ্ন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে তামিম ইকবালকে কীভাবে কাজে লাগাতে চান?
আমিনুল: বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ দলীয়করণমুক্ত, রাজনীতিকরণমুক্ত রাখতে চাই। এটা আজ বলছি। ভবিষ্যতেও বলব একই কথা। সে ক্ষেত্রে তামিম ইকবাল যে আমাদের বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছে, বিষয়টি এ রকম নয়। এখানে তামিম ইকবালসহ যাঁরা কাজ করেছেন বা ভবিষ্যতে ক্রিকেট বোর্ডে আসতে চান, আমরা চেয়েছি যাতে বিষয়টা অবাধ, সুষ্ঠু হয়। যাতে একেবারে নিরপেক্ষভাবে ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনটা হয়। সেই চিন্তা থেকে একজন ক্রিকেটার হিসেবে যেহেতু তামিম ইকবাল একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার এবং তাঁর সঙ্গে আমাদের বুলবুল ভাই থেকে শুরু করে যাঁরাই ছিলেন, আমরা চেয়েছি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্রিকেট বোর্ডটা গঠিত হোক। কিন্তু এটাকে একটি মহল রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যেটা আমরা আসলে কখনোই আশা করিনি। ভবিষ্যতে ক্রিকেট বোর্ড কীভাবে গঠিত হবে বা বর্তমানে যেহেতু ক্রিকেট বোর্ড গঠিত হয়েছে, সেটা আসলে আমরা ভবিষ্যতের ওপরই ছেড়ে দেব। ক্রিকেট বোর্ড যেহেতু চার বছরের জন্য। কিন্তু এখানে অনেক প্রশ্ন আছে। ক্রিকেট বোর্ডের এই নির্বাচন ঘিরে মামলাও রয়েছে কিছু। এগুলো চলবে আইন অনুযায়ী। আমরা সেটার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে চাই।
প্রশ্ন: বিএনপি যদি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে, ক্রীড়াঙ্গনের কোথায় দ্রুত পরিবর্তন আনতে চাইবেন?
আমিনুল: প্রথম পরিবর্তনটা করতে চাই স্কুল পর্যায়ে। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণি থেকে খেলাধুলাকে বাধ্যতামূলক করতে চাই। সেটা বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রমের অন্তর্ভুক্ত করব। খেলাধুলা একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে সারা দেশে আমরা মাঠগুলো সংরক্ষণ করতে চাই। আমাদের ‘নতুন কুঁড়ি’ নামের কর্মসূচি শুরু করব। সেই নতুন কুঁড়ির মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় যারা রয়েছে, তাদের ভবিষ্যতে সরকারিভাবে খেলাধুলা, পড়াশোনা—সব দায়দায়িত্ব নেব। খেলাকে কেউ কিন্তু এখন পর্যন্ত পেশা হিসেবে বেছে নেয়নি। আমরা সেই জায়গা নিয়েও কাজ করতে চাই; যাতে ভবিষ্যতে একজন ফুটবলার নিজেকে ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে। একেবারে তৃণমূল থেকে ভবিষ্যতে যেন খেলাকে পেশা হিসেবে নিতে পারে, সেই পেশার নিশ্চয়তা আমরা দিতে চাই।
প্রশ্ন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আপনাদের অবস্থান কী হবে? তাঁকে কি দেশে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে?
আমিনুল: একজন সাবেক জাতীয় ফুটবলার, সাবেক জাতীয় অধিনায়ক হিসেবে যেটা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করেছি, আমাকে প্রতি মুহূর্তে মামলা-হামলায় জর্জরিত করেছে। শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছি। আমাকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছি। এই ধরনের পরিস্থিতি যেন কোনোভাবে খেলোয়াড়ের সঙ্গে না হয়, এটা আমি কখনোই চাই না এবং সমর্থনও করি না। একজন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হচ্ছে, ভিন্নমত থাকতে পারে। আমি আমার মতামত দিয়ে আমার কাজ যদি সফলভাবে শেষ করতে পারি, এটা আমার যোগ্যতা অনুযায়ী করব। কিন্তু ভিন্নমতের কারণে যে আমার ওপরে বা অন্য কারও ওপরে জুলুম-নির্যাতন হবে, সেটাকে কখনোই সমর্থন করি না এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো জুলুম নির্যাতন হবে না। আপনি যে বিষয়টি বলছেন, তা হচ্ছে, যেহেতু সাকিবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে মামলা হয়েছে, সেটা কিন্তু অবৈধ সরকারের ৩০০ জনের একজন এমপি হওয়ায় সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে যখন ওই স্বৈরাচার সরকার মানুষকে যেভাবে হত্যা করেছে, যেভাবে গুম করেছে, এটার দায়ভার ৩০০ জনের একজনকে নিতে হবে। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তবে এটার সিদ্ধান্ত রাষ্ট্র নেবে।
প্রশ্ন: অনেক জটিল বিষয়ে কথা হলো, এবার ফুটবলে আসি। বাংলাদেশের ফুটবলে হামজা আসার পর যে আশা তৈরি হয়েছে, সেটা শুধুই জাতীয় দলকেন্দ্রিক। ক্লাব ফুটবল আঁধারেই আছে।
আমিনুল: হামজা চৌধুরী, শমিত শোম বা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যে খেলোয়াড়েরা রয়েছে, তাদের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশের ফুটবলে একটা জাগরণ তৈরি হয়েছে। সেই জাগরণকে অবশ্যই আমরা ইতিবাচকভাবে নিচ্ছি এবং এই হাইপটা ধরে রাখতে পারলে আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল অনেক এগিয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়। তৃণমূল পর্যায় মানে আমাদের তেমন কোনো খেলা কিন্তু গত এক বছরে দৃশ্যমান দেখিনি। আমাদের ঘরোয়া ফুটবলের সেই জৌলুশ কিন্তু আমরা এখনো দেখিনি। শুধু দু-চারটি ক্লাবের ওপর বাংলাদেশের ফুটবল নির্ভর করে না। আমাদের উপজেলা বা জেলা পর্যায়ের যে ফুটবল খেলা দরকার কিংবা যে ধরনের লিগ দরকার, আমরা যখন খেলেছি শেরেবাংলা কাপ, সোহরাওয়ার্দী কাপের মাধ্যমে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অনেক ভালো ভালো ফুটবলার বের হয়ে আসত। এই পাইপলাইনটা কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ। এখন হামজা চৌধুরীকে কেন্দ্র করে বা বাংলাদেশের ফুটবল জাতীয় পর্যায়ে হয়তো এগিয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের যে বিকল্প দরকার, তৃণমূল পর্যায় থেকে যে শুরু করা দরকার বা যে স্কুল ফুটবল শুরু করা দরকার, এই জায়গাগুলোতে আমরা অনেকাংশে পিছিয়ে আছি। এটা কখনোই রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। সময় দিতে হবে। পরিকল্পনা করতে হবে। পেশাদারি মনোভাব আনতে হবে সব পর্যায়ে। শুধু খেলোয়াড়েরা পেশাদারি আচরণ করবে আর কর্মকর্তারা করবেন না, তা হলে তো হবে না। মাঠের সংকট নিয়েও আমাদের কাজ করতে হবে। সেটা অবশ্যই সরকারি পর্যায় থেকে হওয়া উচিত এবং পাশাপাশি আমাদের ক্লাব পর্যায়গুলো ক্লাবের যে সুযোগ-সুবিধা দরকার, আসলে তা অপ্রতুল। সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়, হামজা চৌধুরীকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ফুটবলে নবজাগরণ তৈরি হয়েছে। এটা ধরে রেখে আমরা যদি তৃণমূল পর্যায়ে এগিয়ে আসতে পারি এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা যায়, তাহলে হয়তো ভালো কিছু করতে পারব।
প্রশ্ন: কদিন পর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ, বাংলাদেশ কি পারবে হারাতে?
আমিনুল: ভারতের ফুটবল আর বাংলাদেশের ফুটবলে কিন্তু খুব বেশি পার্থক্য নেই। হামজা চৌধুরীর আসার কারণে বাংলাদেশের ফুটবলে এবং খেলোয়াড়দের ভেতরে একটি নতুন উন্মাদনা বা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। সেই আত্মবিশ্বাসের জায়গা থেকে বলি, যেহেতু আমাদের ঘরের মাঠে খেলা, আমরা যদি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।
প্রশ্ন: গত বছরের ৫ আগস্টের পর ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কার নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
আমিনুল হক: ৫ আগস্টের পর আশা করেছিলাম, নতুন ধারার মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ রাজনীতিকরণ, দলীয়করণ থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমে যাঁরা মাঠের ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন, সেই মানুষগুলো ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব নিয়ে নতুনভাবে ঢেলে সাজাবেন। স্বৈরাচার সরকার ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি সেক্টরে দলীয়করণ করেছে, রাজনীতিকরণ করেছে। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে আমরা আশা করেছিলাম, ক্রীড়াঙ্গনটা নতুনভাবে ঢেলে সাজাব। আমার সঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টার কথাও হয়েছিল। আপনারা জানেন, তিনি সার্চ কমিটি করেছেন। যে অ্যাডহক কমিটিগুলো করা হয়েছে, ক্রীড়া পরিষদে নিজস্ব একটা সেটআপ তৈরি করে সারা দেশের যে জেলা, বিভাগীয় অ্যাডহক কমিটিগুলো করা হয়েছে, সেখানে তিনি শতভাগ তাঁর নিজের মতো করার চেষ্টা করেছেন। তিনি যদি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতেন, তাহলে মাঠের যাঁরা ক্রীড়া সংগঠক, যাঁরা যোগ্য ছিলেন, তাঁরা উঠে আসতেন। কিন্তু তিনি যখন পক্ষপাতের দিকে চলে গেছেন, তখন আসলে ক্রীড়াঙ্গনের সেই নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে। গত এক বছরের মূল্যায়ন যদি বলেন, খুব বেশি পরিবর্তন আমাদের চোখে পড়েনি; বরং ক্রিকেট বোর্ডের যে নির্বাচনটা আমরা দেখলাম, একেবারে নিজের মতো করে করার চেষ্টা করেছেন এবং তিনি এখানে কাউকে কোনো সুযোগ দেননি। তিনি একদম অগণতান্ত্রিকভাবে ক্রিকেট বোর্ডটা নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। এটা আসলে আমরা একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে বাংলাদেশের যাঁরা ক্রীড়া সংগঠক রয়েছেন, ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ক্রীড়া সংগঠক যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা কখনোই এটাকে ভালোভাবে নেননি।
প্রশ্ন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে তামিম ইকবালকে কীভাবে কাজে লাগাতে চান?
আমিনুল: বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ দলীয়করণমুক্ত, রাজনীতিকরণমুক্ত রাখতে চাই। এটা আজ বলছি। ভবিষ্যতেও বলব একই কথা। সে ক্ষেত্রে তামিম ইকবাল যে আমাদের বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছে, বিষয়টি এ রকম নয়। এখানে তামিম ইকবালসহ যাঁরা কাজ করেছেন বা ভবিষ্যতে ক্রিকেট বোর্ডে আসতে চান, আমরা চেয়েছি যাতে বিষয়টা অবাধ, সুষ্ঠু হয়। যাতে একেবারে নিরপেক্ষভাবে ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনটা হয়। সেই চিন্তা থেকে একজন ক্রিকেটার হিসেবে যেহেতু তামিম ইকবাল একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার এবং তাঁর সঙ্গে আমাদের বুলবুল ভাই থেকে শুরু করে যাঁরাই ছিলেন, আমরা চেয়েছি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্রিকেট বোর্ডটা গঠিত হোক। কিন্তু এটাকে একটি মহল রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যেটা আমরা আসলে কখনোই আশা করিনি। ভবিষ্যতে ক্রিকেট বোর্ড কীভাবে গঠিত হবে বা বর্তমানে যেহেতু ক্রিকেট বোর্ড গঠিত হয়েছে, সেটা আসলে আমরা ভবিষ্যতের ওপরই ছেড়ে দেব। ক্রিকেট বোর্ড যেহেতু চার বছরের জন্য। কিন্তু এখানে অনেক প্রশ্ন আছে। ক্রিকেট বোর্ডের এই নির্বাচন ঘিরে মামলাও রয়েছে কিছু। এগুলো চলবে আইন অনুযায়ী। আমরা সেটার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে চাই।
প্রশ্ন: বিএনপি যদি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে, ক্রীড়াঙ্গনের কোথায় দ্রুত পরিবর্তন আনতে চাইবেন?
আমিনুল: প্রথম পরিবর্তনটা করতে চাই স্কুল পর্যায়ে। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণি থেকে খেলাধুলাকে বাধ্যতামূলক করতে চাই। সেটা বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রমের অন্তর্ভুক্ত করব। খেলাধুলা একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে সারা দেশে আমরা মাঠগুলো সংরক্ষণ করতে চাই। আমাদের ‘নতুন কুঁড়ি’ নামের কর্মসূচি শুরু করব। সেই নতুন কুঁড়ির মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় যারা রয়েছে, তাদের ভবিষ্যতে সরকারিভাবে খেলাধুলা, পড়াশোনা—সব দায়দায়িত্ব নেব। খেলাকে কেউ কিন্তু এখন পর্যন্ত পেশা হিসেবে বেছে নেয়নি। আমরা সেই জায়গা নিয়েও কাজ করতে চাই; যাতে ভবিষ্যতে একজন ফুটবলার নিজেকে ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে। একেবারে তৃণমূল থেকে ভবিষ্যতে যেন খেলাকে পেশা হিসেবে নিতে পারে, সেই পেশার নিশ্চয়তা আমরা দিতে চাই।
প্রশ্ন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আপনাদের অবস্থান কী হবে? তাঁকে কি দেশে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে?
আমিনুল: একজন সাবেক জাতীয় ফুটবলার, সাবেক জাতীয় অধিনায়ক হিসেবে যেটা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করেছি, আমাকে প্রতি মুহূর্তে মামলা-হামলায় জর্জরিত করেছে। শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছি। আমাকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছি। এই ধরনের পরিস্থিতি যেন কোনোভাবে খেলোয়াড়ের সঙ্গে না হয়, এটা আমি কখনোই চাই না এবং সমর্থনও করি না। একজন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হচ্ছে, ভিন্নমত থাকতে পারে। আমি আমার মতামত দিয়ে আমার কাজ যদি সফলভাবে শেষ করতে পারি, এটা আমার যোগ্যতা অনুযায়ী করব। কিন্তু ভিন্নমতের কারণে যে আমার ওপরে বা অন্য কারও ওপরে জুলুম-নির্যাতন হবে, সেটাকে কখনোই সমর্থন করি না এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো জুলুম নির্যাতন হবে না। আপনি যে বিষয়টি বলছেন, তা হচ্ছে, যেহেতু সাকিবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে মামলা হয়েছে, সেটা কিন্তু অবৈধ সরকারের ৩০০ জনের একজন এমপি হওয়ায় সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে যখন ওই স্বৈরাচার সরকার মানুষকে যেভাবে হত্যা করেছে, যেভাবে গুম করেছে, এটার দায়ভার ৩০০ জনের একজনকে নিতে হবে। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তবে এটার সিদ্ধান্ত রাষ্ট্র নেবে।
প্রশ্ন: অনেক জটিল বিষয়ে কথা হলো, এবার ফুটবলে আসি। বাংলাদেশের ফুটবলে হামজা আসার পর যে আশা তৈরি হয়েছে, সেটা শুধুই জাতীয় দলকেন্দ্রিক। ক্লাব ফুটবল আঁধারেই আছে।
আমিনুল: হামজা চৌধুরী, শমিত শোম বা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যে খেলোয়াড়েরা রয়েছে, তাদের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশের ফুটবলে একটা জাগরণ তৈরি হয়েছে। সেই জাগরণকে অবশ্যই আমরা ইতিবাচকভাবে নিচ্ছি এবং এই হাইপটা ধরে রাখতে পারলে আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল অনেক এগিয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়। তৃণমূল পর্যায় মানে আমাদের তেমন কোনো খেলা কিন্তু গত এক বছরে দৃশ্যমান দেখিনি। আমাদের ঘরোয়া ফুটবলের সেই জৌলুশ কিন্তু আমরা এখনো দেখিনি। শুধু দু-চারটি ক্লাবের ওপর বাংলাদেশের ফুটবল নির্ভর করে না। আমাদের উপজেলা বা জেলা পর্যায়ের যে ফুটবল খেলা দরকার কিংবা যে ধরনের লিগ দরকার, আমরা যখন খেলেছি শেরেবাংলা কাপ, সোহরাওয়ার্দী কাপের মাধ্যমে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অনেক ভালো ভালো ফুটবলার বের হয়ে আসত। এই পাইপলাইনটা কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ। এখন হামজা চৌধুরীকে কেন্দ্র করে বা বাংলাদেশের ফুটবল জাতীয় পর্যায়ে হয়তো এগিয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের যে বিকল্প দরকার, তৃণমূল পর্যায় থেকে যে শুরু করা দরকার বা যে স্কুল ফুটবল শুরু করা দরকার, এই জায়গাগুলোতে আমরা অনেকাংশে পিছিয়ে আছি। এটা কখনোই রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। সময় দিতে হবে। পরিকল্পনা করতে হবে। পেশাদারি মনোভাব আনতে হবে সব পর্যায়ে। শুধু খেলোয়াড়েরা পেশাদারি আচরণ করবে আর কর্মকর্তারা করবেন না, তা হলে তো হবে না। মাঠের সংকট নিয়েও আমাদের কাজ করতে হবে। সেটা অবশ্যই সরকারি পর্যায় থেকে হওয়া উচিত এবং পাশাপাশি আমাদের ক্লাব পর্যায়গুলো ক্লাবের যে সুযোগ-সুবিধা দরকার, আসলে তা অপ্রতুল। সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়, হামজা চৌধুরীকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ফুটবলে নবজাগরণ তৈরি হয়েছে। এটা ধরে রেখে আমরা যদি তৃণমূল পর্যায়ে এগিয়ে আসতে পারি এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা যায়, তাহলে হয়তো ভালো কিছু করতে পারব।
প্রশ্ন: কদিন পর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ, বাংলাদেশ কি পারবে হারাতে?
আমিনুল: ভারতের ফুটবল আর বাংলাদেশের ফুটবলে কিন্তু খুব বেশি পার্থক্য নেই। হামজা চৌধুরীর আসার কারণে বাংলাদেশের ফুটবলে এবং খেলোয়াড়দের ভেতরে একটি নতুন উন্মাদনা বা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। সেই আত্মবিশ্বাসের জায়গা থেকে বলি, যেহেতু আমাদের ঘরের মাঠে খেলা, আমরা যদি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সুপারক্লাসিকো ম্যাচ বলে কথা। দুই প্রতিবেশী দেশের মাঠের রুদ্ধশ্বাস লড়াই দেখার অপেক্ষায় মারাকানায় আজ এসেছিলেন হাজার হাজার দর্শক। এই ম্যাচে আর্জেন্টিনা জয়ও পেয়েছে। তবে ম্যাচ ছাপিয়ে মাঠে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিই হয়ে উঠেছে মূল বিষয়বস্তু।
২২ নভেম্বর ২০২৩
অ্যানফিল্ড ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের কাছে একেবারে অপরিচিত নয়। ২০১৬ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৯ বছরের ক্যারিয়ারে লিভারপুলের জার্সিতে এই ভেন্যুতে কত ম্যাচ খেলেছেন, সেটার হিসাব হয়তো তাঁর নিজেরও জানা নেই। কিন্তু পরিচিত এই ভেন্যুতে গত রাতে ফিরলেন ‘অচেনা’ হয়ে।
৯ মিনিট আগে
এককালে ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে থাকা পাকিস্তানে ক্রিকেট চলছে দারুণভাবে। দেশটির বিভিন্ন ভেন্যুতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) হচ্ছে হরহামেশাই। বিদেশি ক্রিকেটাররা এসে খেলে যাচ্ছেন। কিন্তু ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়াম যেন একরকম ব্রাত্য হয়ে পড়েছিল।
২৪ মিনিট আগে
এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার এক মাস পেরোলেও সেটার রেশ যে এখনো কাটেনি। বিশেষ করে, মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টজুড়েই ছিল ভারত-পাকিস্তানকে নিয়ে আলোচনা। মাঠের পারফরম্যান্সের চেয়ে বাইরের ঘটনায় বেশি উত্তপ্ত হয়েছে। এবার সেই টুর্নামেন্টে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য সূর্যকুমার যাদব, জসপ্রীত বুমরা, হারিস রউফদের
১ ঘণ্টা আগে