নাজিম আল শমষের
ঢাকা: ডেনমার্কে প্রিয়জনদের ছেড়ে ১১ বছর আগে বাংলাদেশে এসেছিলেন জামাল ভূঁইয়া। বাপ–দাদার ভিটা হলেও দেশটা তাঁর কাছে ছিল অনেকটাই অচেনা। গত এক দশকে অনেক কঠিনেরে জয় করেই জামাল এখন দেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জামাল বললেন তাঁর যাত্রা, দল আর সামনে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের লক্ষ্য নিয়ে—
প্রশ্ন: ২০১৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আপনার বাংলাদেশ দলের হয়ে অভিষেক। আট বছর আগে ভেবেছিলেন, চ্যালেঞ্জ জিতে একজন তারকা হবেন, বাংলাদেশের অধিনায়ক হবেন?
জামাল ভূঁইয়া: আসলে তারকাখ্যাতি নিয়ে চিন্তা করি না। শুধু ফুটবল আর পরিবার নিয়েই চিন্তা। এত দূর আসব, ভাবিনি। নিজে সুখী থাকলে সবকিছুই হবে। মন খারাপ থাকলে কোনো কিছুতেই পূর্ণ মনোযোগ রাখা যায় না।
প্রশ্ন: ডেনমার্কে ৫০ লাখ মানুষ, বাংলাদেশে সেখানে ১৬ কোটি। ফুটবলে দুই দেশের অবস্থানেও আকাশ-পাতাল পার্থক্য। দেশে এত বড় জনশক্তি, সমস্যাটা কোথায় যে অন্তত দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল শক্তি হওয়ার সামর্থ্য নেই বাংলাদেশের?
জামাল: সবচেয়ে বড় পার্থক্য হচ্ছে সুযোগ-সুবিধায়। অবকাঠামোগত পার্থক্য আছে। একজন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে আসা এই দেশে বেশ কঠিন। ডেনমার্কের কথা যদি বলেন, সেখানে মানুষ কম কিন্তু প্রতিটি ক্লাবের যুব দল আছে। অনূর্ধ্ব-৯ থেকে ১৮, ১৯ পর্যন্ত ওদের দল আছে। সবাই প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলে। বাংলাদেশে এই সুবিধাটা তো তরুণ ফুটবলাররা পাচ্ছে না। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত মাঠেরও অভাব। সবাই জানি সমস্যাটা কোথায়, কিন্তু সমাধান নেই।
প্রশ্ন: গত আট বছরে আপনি আট কোচের অধীনে খেলেছেন। কেবল জেমি ডে–ই লম্বা সময়, চার বছর বাংলাদেশ দলে কাজ করছেন। তাঁর সঙ্গে আপনার বা আপনাদের বোঝাপড়াটা কতটুকু? বাকি কোচদের সঙ্গে জেমির পার্থক্য কোথায়?
জামাল: জেমি ডের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া এমনিতেই ভালো। পার্থক্যটা হচ্ছে, তিনি চার বছর ধরে বাংলাদেশের কোচ। সব খেলোয়াড়কেই বেশ ভালো জানেন। জেমি ব্যক্তিগতভাবে জাতীয় দলের সব খেলোয়াড়কে নিয়মিত বার্তা পাঠান। খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত, পারিবারিক সমস্যার বিষয়গুলো নিয়েও ভাবেন। খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁর বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তবে তাঁর সঙ্গে আমার বেশি কথা হয় ক্যাম্প শুরু হলে। তিনি জানেন, ব্যক্তিগত জীবন আছে। তাই ক্লাবে থাকা অবস্থায় খুব বেশি যোগাযোগ হয় না।
প্রশ্ন: আপনার দেখানো পথে হেঁটে তারিক কাজী বাংলাদেশ দলে খেলছেন। আরও কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলার জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখছেন। সংখ্যাটা যদি বাড়ে, জাতীয় দলের চেহারাটা কি পুরোপুরি বদলে যেতে পারে?
জামাল: আমি মনে করি এটা দেশের, দলের, ফুটবলের জন্য ভালো। ফ্রান্স দলকে দেখুন, তাঁদের বেশির ভাগ ফুটবলার অভিবাসী। এমনকি ইংল্যান্ডের রাহিম স্টার্লিংও অন্য দেশের। আফগানিস্তানের দলেও তা–ই। এ ধরনের খেলোয়াড় নিয়ে বেলজিয়াম এখন র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। প্রবাসীরা এলে যদি দলের অবস্থান ভালো হয়, তাহলে আমরা কেন চাইব না?
প্রশ্ন: এখন মাঠে আপনাকে অনেক আক্রমণাত্মক দেখা যায়। নেপালের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে আক্রমণাত্মক ছিলেন, ভারতের ম্যাচেও মেজাজ হারিয়েছেন। এটা কি আবেগ না ম্যাচের চাপ থেকে?
জামাল: নেপাল ম্যাচে আমি ৯৪ মিনিটে ট্যাকল করেছিলাম। দেখলাম, দল হারছে অথচ কেউ এগিয়ে আসছে না। প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ করছে না। আক্রমণাত্মকভাবে এগিয়ে আসছে না। ভারত ম্যাচেও তা–ই। ৭৮ মিনিটে গোল খেলাম। অথচ দলের বাকিদের মধ্যে তেমন প্রতিক্রিয়া নেই। তখন দলের বাকিদের জাগাতে চেষ্টা করলাম। দলকে বোঝাতে চাইলাম যে মনোবল হারানো চলবে না। খেলা তখনো কিন্তু শেষ হয়নি। ফিরে আসা যেত। বাধ্য হয়ে তখন কড়া ট্যাকল করলাম। সতীর্থদের বোঝাতে চেয়েছিলাম, প্রতিপক্ষকে আমাদের দুর্বলতা বুঝতে দেওয়া যাবে না। আসলে তখন আমরা শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব তো শেষ। এবার সামনে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব। এখন বাংলাদেশের লক্ষ্য কী থাকবে?
জামাল: অবশ্যই চাইব মূল পর্বে জায়গা করে নিতে। সুযোগ অবশ্যই আছে। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের দলগুলো বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দলগুলো থেকে খানিকটা কম শক্তিমত্তার। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমাদের ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে, সময় নিয়ে ক্যাম্প করতে হবে। এরপর ম্যাচ খেলতে হবে। এ বিষয়গুলোই বেশি করে চাই।
ঢাকা: ডেনমার্কে প্রিয়জনদের ছেড়ে ১১ বছর আগে বাংলাদেশে এসেছিলেন জামাল ভূঁইয়া। বাপ–দাদার ভিটা হলেও দেশটা তাঁর কাছে ছিল অনেকটাই অচেনা। গত এক দশকে অনেক কঠিনেরে জয় করেই জামাল এখন দেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জামাল বললেন তাঁর যাত্রা, দল আর সামনে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের লক্ষ্য নিয়ে—
প্রশ্ন: ২০১৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আপনার বাংলাদেশ দলের হয়ে অভিষেক। আট বছর আগে ভেবেছিলেন, চ্যালেঞ্জ জিতে একজন তারকা হবেন, বাংলাদেশের অধিনায়ক হবেন?
জামাল ভূঁইয়া: আসলে তারকাখ্যাতি নিয়ে চিন্তা করি না। শুধু ফুটবল আর পরিবার নিয়েই চিন্তা। এত দূর আসব, ভাবিনি। নিজে সুখী থাকলে সবকিছুই হবে। মন খারাপ থাকলে কোনো কিছুতেই পূর্ণ মনোযোগ রাখা যায় না।
প্রশ্ন: ডেনমার্কে ৫০ লাখ মানুষ, বাংলাদেশে সেখানে ১৬ কোটি। ফুটবলে দুই দেশের অবস্থানেও আকাশ-পাতাল পার্থক্য। দেশে এত বড় জনশক্তি, সমস্যাটা কোথায় যে অন্তত দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল শক্তি হওয়ার সামর্থ্য নেই বাংলাদেশের?
জামাল: সবচেয়ে বড় পার্থক্য হচ্ছে সুযোগ-সুবিধায়। অবকাঠামোগত পার্থক্য আছে। একজন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে আসা এই দেশে বেশ কঠিন। ডেনমার্কের কথা যদি বলেন, সেখানে মানুষ কম কিন্তু প্রতিটি ক্লাবের যুব দল আছে। অনূর্ধ্ব-৯ থেকে ১৮, ১৯ পর্যন্ত ওদের দল আছে। সবাই প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলে। বাংলাদেশে এই সুবিধাটা তো তরুণ ফুটবলাররা পাচ্ছে না। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত মাঠেরও অভাব। সবাই জানি সমস্যাটা কোথায়, কিন্তু সমাধান নেই।
প্রশ্ন: গত আট বছরে আপনি আট কোচের অধীনে খেলেছেন। কেবল জেমি ডে–ই লম্বা সময়, চার বছর বাংলাদেশ দলে কাজ করছেন। তাঁর সঙ্গে আপনার বা আপনাদের বোঝাপড়াটা কতটুকু? বাকি কোচদের সঙ্গে জেমির পার্থক্য কোথায়?
জামাল: জেমি ডের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া এমনিতেই ভালো। পার্থক্যটা হচ্ছে, তিনি চার বছর ধরে বাংলাদেশের কোচ। সব খেলোয়াড়কেই বেশ ভালো জানেন। জেমি ব্যক্তিগতভাবে জাতীয় দলের সব খেলোয়াড়কে নিয়মিত বার্তা পাঠান। খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত, পারিবারিক সমস্যার বিষয়গুলো নিয়েও ভাবেন। খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁর বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তবে তাঁর সঙ্গে আমার বেশি কথা হয় ক্যাম্প শুরু হলে। তিনি জানেন, ব্যক্তিগত জীবন আছে। তাই ক্লাবে থাকা অবস্থায় খুব বেশি যোগাযোগ হয় না।
প্রশ্ন: আপনার দেখানো পথে হেঁটে তারিক কাজী বাংলাদেশ দলে খেলছেন। আরও কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলার জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখছেন। সংখ্যাটা যদি বাড়ে, জাতীয় দলের চেহারাটা কি পুরোপুরি বদলে যেতে পারে?
জামাল: আমি মনে করি এটা দেশের, দলের, ফুটবলের জন্য ভালো। ফ্রান্স দলকে দেখুন, তাঁদের বেশির ভাগ ফুটবলার অভিবাসী। এমনকি ইংল্যান্ডের রাহিম স্টার্লিংও অন্য দেশের। আফগানিস্তানের দলেও তা–ই। এ ধরনের খেলোয়াড় নিয়ে বেলজিয়াম এখন র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। প্রবাসীরা এলে যদি দলের অবস্থান ভালো হয়, তাহলে আমরা কেন চাইব না?
প্রশ্ন: এখন মাঠে আপনাকে অনেক আক্রমণাত্মক দেখা যায়। নেপালের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে আক্রমণাত্মক ছিলেন, ভারতের ম্যাচেও মেজাজ হারিয়েছেন। এটা কি আবেগ না ম্যাচের চাপ থেকে?
জামাল: নেপাল ম্যাচে আমি ৯৪ মিনিটে ট্যাকল করেছিলাম। দেখলাম, দল হারছে অথচ কেউ এগিয়ে আসছে না। প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ করছে না। আক্রমণাত্মকভাবে এগিয়ে আসছে না। ভারত ম্যাচেও তা–ই। ৭৮ মিনিটে গোল খেলাম। অথচ দলের বাকিদের মধ্যে তেমন প্রতিক্রিয়া নেই। তখন দলের বাকিদের জাগাতে চেষ্টা করলাম। দলকে বোঝাতে চাইলাম যে মনোবল হারানো চলবে না। খেলা তখনো কিন্তু শেষ হয়নি। ফিরে আসা যেত। বাধ্য হয়ে তখন কড়া ট্যাকল করলাম। সতীর্থদের বোঝাতে চেয়েছিলাম, প্রতিপক্ষকে আমাদের দুর্বলতা বুঝতে দেওয়া যাবে না। আসলে তখন আমরা শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব তো শেষ। এবার সামনে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব। এখন বাংলাদেশের লক্ষ্য কী থাকবে?
জামাল: অবশ্যই চাইব মূল পর্বে জায়গা করে নিতে। সুযোগ অবশ্যই আছে। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের দলগুলো বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দলগুলো থেকে খানিকটা কম শক্তিমত্তার। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমাদের ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে, সময় নিয়ে ক্যাম্প করতে হবে। এরপর ম্যাচ খেলতে হবে। এ বিষয়গুলোই বেশি করে চাই।
৪৩ তম জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলা। ৩ দিনের ম্যাচে কুমিল্লা জেলাকে ১৮৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে তারা।
৫ ঘণ্টা আগেভিনিসিয়ুস জুনিয়র-রাফিনিয়া-নেইমারদের নতুন কোচ কে? এই প্রশ্নে শেষ হয়ে আসছে অপেক্ষার পালা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহে নাম ঘোষণা করতে পারে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)।
৬ ঘণ্টা আগেপাসপোর্ট হাতে পাওয়ার মাত্র একদিনের ভেতরই ফিফা প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদন পেয়ে গেলেন সমিত সোম। তাই বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে আর বাধা নেই তাঁর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুনে এএফসি এশিয়া কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অভিষেক হওয়ার
৬ ঘণ্টা আগেকানাডা সকার অ্যাসোসিয়েশনের ছাড়পত্র পাওয়ার পর বাংলাদেশের পাসপোর্টও হাতে পেয়েছেন সোমিত সোম। বাকি রইল শুধু ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির ছাড়পত্র। সেটি পেলে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আর কোনো বাধা থাকবে না তাঁর। এর মধ্যেই সোমিত পেয়েছেন আরেকটি সুখবর। কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সপ্তাহের সেরা দলে জায়গা করে নিয়
৭ ঘণ্টা আগে