Ajker Patrika

দারুণ লড়াইয়ের পরও ঘানার কাছে হেরে গেল কোরিয়া

দারুণ লড়াইয়ের পরও ঘানার কাছে হেরে গেল কোরিয়া

ম্যাচ শেষে চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারলেন কোরিয়ান সমর্থকেরা। বিশ্বকাপে পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে দরকার ছিল একটি পয়েন্ট। ১০০ মিনিটের খেলায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রচণ্ড আক্রমণ গড়েও হেরে যাওয়া দলের নাম দক্ষিণ কোরিয়া। আগের ম্যাচে পর্তুগালের বিপক্ষে দুর্ভাগ্যে হেরে যাওয়া ঘানা পেল মহামূল্যবান ৩ পয়েন্ট। 

আগের ম্যাচে আফ্রিকারই আরেক দল ক্যামেরুনের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করেছিল ইউরোপের দল সার্বিয়া। এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে মন ভরানো এক ম্যাচ উপহার দিল ঘানা-দক্ষিণ কোরিয়া। পিছিয়ে পরে ম্যাচে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত কোরিয়া হেরেছে ৩-২ গোলে। 

প্রথম ম্যাচে পর্তুগালের কাছে হেরে গিয়েছিল ঘানা। কোরিয়া ঠেকিয়ে দিয়েছিল উরুগুয়েকে। ঘানাকে হারাতে পারলে দ্বিতীয় রাউন্ডের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতো এশিয়ান পরাশক্তিদের। নকআউটে যেতে হলে শেষ ম্যাচে পর্তুগালকে হারাতেই হবে কোরিয়াকে। কোরিয়াকে হারিয়ে ঘানার পয়েন্ট এখন ৩। কোরিয়ার পয়েন্ট ১। 

আগের ম্যাচে জিততে না পারায় জয়টা বড় দরকার ছিল কোরিয়ার। ঘানার বিপক্ষে এশিয়ান পরাশক্তির দলটা শুরু থেকেই খেলেছে ‘অলআউট অ্যাটাক’ ফরমেশনে। প্রথম ২০ মিনিটে সাতবার কর্নার পেয়েও গোল পায়নি পাওলো বেন্তোর দল। 

জয়টা দরকার ছিল ঘানারও। আক্রমণে কোরিয়া ব্যর্থ হলেও নিজেদের প্রথম সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে ঘানা। ২৪ মিনিটে আন্দ্রে আইয়ুর ফ্রি-কিকে জটলা হয়েছিল কোরিয়ান রক্ষণে। সেই জটলা থেকেই গোল করেন মোহামেদ সালিসু। ভিএআর দিয়ে পরীক্ষার পরও ঘানার গোল উৎসব থামাতে পারেননি রেফারি। 

ঠিক ১০ মিনিট পরেই কোরিয়াকে চমকে দেন মোহাম্মদ কুদুস। এবার জর্ডান আইয়ুর বাতাসে ভাসানো বলে মাথা ছুঁয়ে ঘানা সমর্থকদের উল্লাসে ভাসান কুদুস। 

পিছিয়ে পরে কোরিয়া যে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করবে সেটা জানাই ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে তাই দুই দলই খেলেছে তীব্র গতির খেলা। আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে ৫৩ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ এসেছিল কোরিয়ার সামনে। সতীর্থের বাড়ানো বলে দুর্দান্ত এক হেড করেছিলেন চো গে-সুং। তবে সতর্কই ছিলেন ঘানা গোলরক্ষক লরেন্স আর্টি-জিগি। তাঁর সেভ ছিল চোখে লেগে থাকার মতো। 

তবে পাঁচ মিনিট পর আর চোকে ঠেকাতে পারেননি আর্টি-জিগি। ৫৮ মিনিটে লি ক্যাং-ইনের মাপা ক্রস খুঁজে নেয় চোকে। শরীরকে সামনে ঝুঁকে এমন একই হেডই নিয়েছেন কোরিয়ান ফরোয়ার্ড, ঠেকানোর সাধ্যই ছিল না ঘানা গোলরক্ষক। 

তিন মিনিট পরে আবারও চো গে-সুং জাদু। এবারও গোল সেই হেড থেকেই। সং হিউং-মিনের পাস থেকে বল মাঠ ছাড়ার কাট ব্যাক করেন কিম জিন-সু। গায়ে লেগে থাকা মার্কার গিডিওন মেনসাহর মাথার ওপর দিয়ে হেড কোরিয়া শিবিরে স্বস্তি ফেরান চো। 

তবে কোরিয়াকে বেশিক্ষণ স্বস্তিতে থাকতে না দিয়ে ৬৮ মিনিটে আবারও ব্যবধান বাড়ায় ঘানা। বাঁ প্রান্ত থেকে মেনসাহর পাস থেকে ইনাকি উইলিয়ামস শট নিতে ব্যর্থ হলে ডান প্রান্তে বল পান ফাঁকায় দাঁড়ানো মোহাম্মদ কুদুস। ঠান্ডা মাথায় কোনাকুনি শটে বলকে জালে ঠেলে দেন ঘানা ফরোয়ার্ড। 

 ৭৫ মিনিটে কোরিয়াকে সমতায় ফিরতে দেননি আর্টি-জিগি। ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া লি ক্যাং-ইনের ফ্রি-কিক ঠেকান ঘানা গোলরক্ষক। ৭৭ মিনিটে কিম জুন-সুর শট গোল লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন মোহামেদ সালিসু। 

সমতা ফেরানোর তাগিদে শেষ দিকে একের পর এক চেষ্টা চালিয়ে গেছে কোরিয়া। মাটি কামড়ে কোরিয়ানদের আক্রমণ ঠেকিয়ে গেছে ঘানার রক্ষণ যোগ করা সময়ে চো গে-সুংয়ের অসাধারণ এক শট ফেরান ঘানা গোলরক্ষক। শেষ পাঁচ মিনিটে তীব্র আক্রমণেও ঘানার গোলমুখ আর খুলতে পারেনি কোরিয়া। ম্যাচ শেষে কর্নার না না দেওয়ায় রেফারির সঙ্গে তর্ক করে লাল কার্ড দেখেন কোরিয়ান কোচ পাওলো বেন্তো। এই জয়ে ১২ বছর বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেল ঘানা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিপর্যয় সামলে মিচেল–ব্রেসওয়েলের ব্যাটে জিতল নিউজিল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হারল ইংল্যান্ড। ছবি: ক্রিকইনফো (জিতেছে নিউজিল্যান্ড)
ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হারল ইংল্যান্ড। ছবি: ক্রিকইনফো (জিতেছে নিউজিল্যান্ড)

ব্রাইডন কার্সের করা ১২ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে টম লাথাম এলবিডব্লু হয়ে ফিরলে ৬৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ম্যাচে ইংল্যান্ডের প্রাপ্তি বলতে ওই ওতটুকুই। এরপর সফরকারী বোলারদের হতাশা উপহার দেন ড্যারেল মিচেল ও মাইকেল ব্রেসওয়েল। এই দুজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কিউইরা।

মাউন্ট মঙ্গাননুইয়ের বে ওভালে এদিন বোলারাই নিউজিল্যান্ডের জয়ের ভীত গেড় দেন। জাকারি ফোকস, জ্যাকব ডাফিদের বোলিং তোপে পড়ে ৩৫.২ ওভারে ২২৩ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮০ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় মিচেল সান্টনারের দল। দ্বিতীয় ম্যাচে আগামী ২৯ অক্টোবর মাঠে নামবে দুই দল।

সহজ লক্ষ্যের পেছনে ছুঁটতে গিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। ১২ রানে উইল ইয়ং ও কেইন উইলিয়ামসনকে হারায় স্বাগতিকরা। সাড়ে সাত মাস পর খেলতে নেমে রানের খাতা খুলতে পারেননি সাবেক অধিনায়ক। দলীয় ২৪ রানে ফেরেন রাচিন রবীন্দ্র। চতুর্থ উইকেটে লাথামকে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মিচেল।

তবে ব্রেসওয়েল ও সান্টনারকে নিয়ে দুটি জুটি গড়ে শঙ্কা উড়িয়ে দলকে জয় এন দেন মিচেল। ৯২ রান যোগ করে ফেরেন ব্রেসওয়েল। ৫১ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে সান্টনারের (২৭) সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন মিচেল। শেষ পর্যন্ত ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার। তাঁর ৯১ বলের ইনিংস সাজানো ৭ চার ও ২ ছয়ে। ইংল্যান্ডের হয়ে ৪৫ রানে ৩ উইকেট নেন কার্স।

এর আগে ইংল্যান্ডের ইনিংসে একাই ১৩৫ রান এনে দেন হ্যারি ব্রুক। সফরকারীদের অধিনায়কের ১০১ বল ও ১৩৩.৬৬ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজানো ৯ চার ও ১১ ছয়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন জেমি ওভারটন। বাকিদের মধ্যে আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। ইংল্যান্ডকে হাতের নাগালে রাখার কাজটা সামনে থেকে করেছেন ফোকস। ৪১ রানে তাঁর শিকার ৪ উইকেট। ৫৫ রানে ৩ ব্যাটারকে ফেরান ডাফি। ম্যাট হেনরি নেন ২ উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এমন বাজে সময় আশা করেননি লিভারপুল কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক    
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা চার ম্যাচ হেরে গেছে লিভারপুল। ছবি: এক্স
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা চার ম্যাচ হেরে গেছে লিভারপুল। ছবি: এক্স

লিভারপুলের শুরুটা হয়েছিল এককথায় দুর্দান্ত। এরপর হঠাৎই ছন্দপতন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা চার ম্যাচে হেরে নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে অলরেডরা। যেটা মেনে নিতে পারছেন না দলটির কোচ আর্নে স্লট। হারের দুষ্টচক্রে আটকে হতাশায় পুড়ছেন তিনি।

লিগে সবশেষ ব্রেন্টফোর্ডের মাঠ জিটেক কমিউনিটি স্টেডিয়াম থেকে ৩–২ গোলের হার নিয়ে ফিরেছে লিভারপুল। এই হারে টেবিলের ছয়ে নেমে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। তাদের সংগ্রহ ১৫ পয়েন্ট। শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার পর গত মৌসুমে চার ম্যাচ হেরে যায় লিভারপুল। এবার প্রথম ৯ ম্যাচেই পেল সমান হারের দেখা। তাতে শিরোপা ধরে রাখার পথটা কঠিন হয়ে গেল জায়ান্টদের। লিভারপুলের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আর্সেনাল।

গত গ্রীষ্মকালীন দলবদলে স্কোয়াডের শক্তি বাড়াতে বেশকিছু ফুটবলার টেনেছে লিভারপুল। নতুনরা দলে এসে এখনো নিজেদের সেরাটা দিতে পারছেন না। যেটাকে টানা হারের একটা কারণ বলে মনে করছেন স্লট। টিএনটি স্পোর্টসকে তিনি বলেন, ‘দলবদলে স্কোয়াডে বেশকিছু নতুন খেলোয়াড় যোগ করলে মাঠের পারফরম্যান্স সেটার প্রভাব পড়ে। তাই বলে আমি আশা করিনি যে পরপর চারটি ম্যাচ হেরে যাব।’

ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হার সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছে স্লটকে, ‘সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো টানা চার ম্যাচে হেরে যাওয়া। আপনি টানা চারবার হেরেছেন। ফলাফলটাই তো আসল। এরপর পারফরম্যান্স নিয়ে বিচার করা যেতে পারে। আমার মতে, আমাদের চারটি হারের মধ্যে ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হারটি সবচেয়ে খারাপ ছিল।’

বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও ব্রেন্টফোর্ডের ফুটবলাররা লিভারপুলের চেয়ে ভালো খেলেছে বলেই মনে করেন স্লট, ‘মাঠে ছেলেরা নিজেদের মৌলিক বিষয়গুলো সঠিকভাবে করতে পারেনি। এটা দুই অর্ধের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সেই সুযোগে প্রতিপক্ষ দল আমাদের সঙ্গে বলেই লড়াইয়ে জিতেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কবে ও কোথায় পাওয়া যাবে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকিট

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ০৯
বাছাইপর্বের পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। ছবি: এক্স
বাছাইপর্বের পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। ছবি: এক্স

এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে ওঠা হচ্ছে না বাংলাদেশের। বাছাইপর্বে প্রথম ৪ ম্যাচের একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি হাভিয়ের কাবরেরার দল। পরবর্তী ম্যাচে আগামী ১৮ নভেম্বর নিজেদের মাঠে ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। মূল পর্বে ওঠার আশা না থাকলেও আসন্ন ম্যাচকে ঘিরে উন্মাদনার কমতি নেই ভক্তদের মধ্যে।

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচের ভেন্যু ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে। দুই প্রতিবেশী দেশের ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ৯ নভেম্বর দুপুর ২ টা থেকে। টিকিট পাওয়া যাবে অনলাইন মাধ্যম কুইকেটে।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গত মার্চে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব শুরু করে বাংলাদেশ। শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ১-১ গোল ড্র করে সফরকারী দল। এরপর ঘরের মাঠে টানা দুই ম্যাচে সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের কাছে হেরে যায় তারা। সর্বশেষ ম্যাচে হংকংয়ের মাঠ থেকে পয়েন্ট ভাগ করে ফেরে বাংলাদেশ। এই ড্র ছিল অতিথিদের জন্য জয় সমতুল্য। পিছিয়ে পড়ার পর শেষ দিকে রাকিবের গোলে হার এড়ায় দলটি।

হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, ফাহামিদুল ইসলামদের মতো খেলোয়াড়দের আগমনে জেগে উঠেছে দেশের ফুটবল। এদের পেয়ে শক্তি বেড়েছে বাংলাদেশ দলের। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের প্রতি ম্যাচে লড়াকু পারফরম্যান্স তারই প্রমাণ। প্রবাসী খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্তিতে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন ফুটবলপ্রেমীরা। বাংলাদেশের ম্যাচ দেখতে প্রতি ম্যাচেই জাতীয় স্টেডিয়ামে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। জয় উপহার দিতে না পারলেও মাঠের পারফরম্যান্সে হতাশ করেননি হামজা, জামাল, রাকিবরা।

বাছাইপর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হলেও ভারত ম্যাচকে হালকাভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ। নিজেদের সেরাটা দিয়ে ভারতকে হারাতে মুখিয়ে আছেন হামজারা। হংকংয়ের বিপক্ষে ড্রয়ের পর ভারত ম্যাচ নিয়ে নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন ফুটবলাররা। এবার মাঠের লড়াইয়ের অপেক্ষা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্রুক দেখালেন কীভাবে একলা চলতে হয়

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ২১
বাকিদের ব্যর্থতার দিনে ১৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ব্রুক। ছবি: এক্স
বাকিদের ব্যর্থতার দিনে ১৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ব্রুক। ছবি: এক্স

‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই গানটির সঙ্গে হ্যারি ব্রুকের পরিচিতি থাকার কথা না। এই গান না শুনলেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে একাই চললেন তারকা ব্যাটার। ব্যাট হাতে অসামান্য দৃঢ়তায় দলকে এনে দিলেন সম্মানজনক পুঁজি।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভার টিকতে পারেনি ইংল্যান্ড। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৩৫.২ ওভারে ২২৩ রানে অলআউট হয়েছে ইংলিশরা। এর মধ্যে ব্রুক একাই করেছেন ১৩৫ রান। টস হারা সফরকারী দল শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। দলীয় ৩৩ রানেই তাদের ইনিংসের অর্ধেক সাজঘরে হাঁটে।

জেমি স্মিথ, বেন ডাকেট, জো রুট, জ্যাকব বেথেল, জস বাটলার–দলকে বিপদে রেখে একে একে বিদায় নেন সবাই। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে একপ্রান্ত আগলে রাখেন ব্রুক। সতীর্থদের ব্যর্থতার দিনে শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাট করেন ইংলিশ দলপতি। ৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেন অর্ধশতক করেও থামেননি। ৮২ বলে তিন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান। ১৩৫ রানের ইনিংসে ১০১ বল খেলেন তিনি।

ব্রুকের ১৩৩.৬৬ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজানো ৯ চার ও ১১ ছয়ে। নিউজিল্যান্ডের মাঠে সফরকারীদের ব্যাটারদের মধ্যে এক ইনিংসে এর চেয়ে বেশি ছয় আছেন কেবল থিসারা পেরেরারা। ২০১৯ সালে ১৪০ রানের ইনিংস খেলার পথে ১৩ বার বলকে উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করেন এই লঙ্কান ক্রিকেটার। ব্রুকের সমান এক ইনিংসে ১১টি ছয় মেরেছেন মার্কাস স্টয়নিস।

মিচেল সান্টনারের বলে নাথান স্মিথের হাতে ধরা পড়ে শেষ ব্যাটার হিসেবে প্যাভিলিয়নে হাঁটেন ব্রুক। সেঞ্চুরি করার পথে এই সংস্করণে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। সপ্তম উইকেটে জিমে ওভারটনকে নিয়ে যোগ করেন মূল্যবান ৮৭ রান। ওভারটনের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান। বাকিদের মধ্যে আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত