Ajker Patrika

লাওসকে হারাতে চায় বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১০: ৩৩
অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে লাওসের মুখোমুখি হওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার । গতকাল লাওসে। ছবি: ফেসবুক
অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে লাওসের মুখোমুখি হওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার । গতকাল লাওসে। ছবি: ফেসবুক

অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ জয়ের স্মৃতি এখনো তাজা। প্রতি ম্যাচে ভিন্ন একাদশ নিয়েও বাংলাদেশ শিরোপা জেতে অপরাজিত থেকে। গত মাসে ১১ দিনের ব্যস্ত সূচিতে ছয় ম্যাচে সব ফুটবলারকে পরখ করে দেখেন কোচ পিটার বাটলার। কারণ, তাঁর চোখ ছিল অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে।

জাতীয় দলকে প্রথমবার এশিয়ান কাপের মঞ্চে নিয়ে যাওয়া বাটলার স্বপ্ন দেখেন আরও একটি এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেওয়ার। তবে পথটা একটু কঠিনই বলা যায়। কারণ, গ্রুপে যে রয়েছে এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল দক্ষিণ কোরিয়া। সেই মিশনের শুরুটা হচ্ছে আজ। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লাওসের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। লাওসের জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার (১৯) মতো লাওসও (১০৭) র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১২৮) চেয়ে এগিয়ে। ব্যবধানটা অবশ্য বেশি নয়। আর এমনিতে মাঠের খেলায় র‍্যাঙ্কিং যে খুব একটা প্রভাব ফেলে না, এর প্রমাণ বাংলাদেশের মেয়েরা দিয়েছেন গত মাসেই। এশিয়ান কাপ বাছাই র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা মিয়ানমার ও বাহরাইনকে হারায় জাতীয় দল। সেই দলের অনেকে আছেন অনূর্ধ্ব-২০ দলে। অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারও তাই পাচ্ছেন অনুপ্রেরণা, ‘আমরা এখানে এসেছি এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করার জন্য। সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আমরা যেন ভালো খেলতে পারি প্রতিটি ম্যাচে।’

সাফ ছিল বাটলারের কাছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার টুর্নামেন্ট। দলের কতটুকু উন্নতি হয়েছে সেটা তিনি বুঝতে চান এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে। মাঠে নামবেন জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আত্মবিশ্বাস নিয়ে। তিনি বলেন, ‘লাওসের বিপক্ষে আমরা জিততে চাই। মাঠে নিজেদের প্রভাব রাখাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’

আগামী বছর থাইল্যান্ডে মূল পর্বে খেলতে হলে চ্যাম্পিয়ন হতে হবে বাংলাদেশের। রানার্সআপ হলেও সুযোগ আছে। সে ক্ষেত্রে সেরা তিন রানার্সআপ দলের মধ্যে থাকতে হবে। বাটলারের চোখে, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পেশাদারত্ব ও খেলোয়াড়দের মানের দিক থেকে কোরিয়ার চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি এবং এটা আমরা জানি। আমরা আমাদের পথচলা নতুন করে শুরু করেছি এবং মার্চে সিনিয়রদের এশিয়ান কাপে জায়গা করার মধ্য দিয়ে আমরা একটি লক্ষ্য পূরণ করেছি। তবে আমাদের অনূর্ধ্ব-২০ দলের ডেভেলপমেন্ট কোথায় দাঁড়িয়ে আছে, তা যাচাই করতে এই প্রতিযোগিতা অবশ্যই আমাদের জন্য খুব, খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে আটকাতে প্রস্তুত লাওস। দলটির কোরিয়ান কোচ জং সং সন বলেন, ‘যদিও খুব অল্প সময়ের প্রস্তুতি। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার জন্য আমাদের খেলোয়াড়েরা শারীরিক, মানসিক, ব্যক্তিগত, টেকনিক্যাল, টেকটিক্যালসহ সবদিক থেকে প্রস্তুত।’

বাংলাদেশের মতো লাওসও দল গড়েছে জাতীয় দলের ফুটবলারদের নিয়ে। তাদের নিয়ে তাই বেশ ইতিবাচক সন, ‘মূল দলের অনেকে এই স্কোয়াডে আছে। যারা গত মাসে উজবেকিস্তানে সিনিয়র এশিয়ান কাপ বাছাই খেলে এসেছে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শক্তির ভিত্তি হলো ইতিবাচকতা, আশা ও সম্ভাবনা। যেহেতু টুর্নামেন্টটি কোয়ালিফাই করার জন্য, আমাদের লক্ষ্যও তাই। অবশ্য সব দলেরই একই লক্ষ্য।’

জিততে হলে দরকার গোল। সেখানে বাংলাদেশের বড় ভরসা মোসাম্মৎ সাগরিকা। ৩ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাফে শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ৪ গোল করে বড় বার্তা দিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। বাটলার তাই মুখিয়ে আছেন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সাগরিকার দিকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে এনসিপির শীর্ষ ৫ নেতা হঠাৎ কক্সবাজারে কেন

জাপায় নতুন মোড়: আনিসুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বহিষ্কৃতদের পুনর্বহাল

জুলাই ঘোষণাপত্র: গণ-অভ্যুত্থানের দলিলে যা যা রয়েছে

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের শুল্ক অনেক বাড়িয়ে দেব: ট্রাম্পের হুমকি

আফগানিস্তানে তালেবানের শাসন: বাস্তবতা বনাম প্রচারণা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত