Ajker Patrika

সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এই দেশে থাকবই না!

জামাল ভূঁইয়া
সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এই দেশে থাকবই না!

ঢাকা: ১১ বছর আগের কথা—ডেনমার্ক থেকে বাংলাদেশে এসে দেখি দুই দেশের অনেক পার্থক্য! ডেনমার্কের জনসংখ্যা টেনেটুনে ৫০ লাখ। বাংলাদেশে প্রায় ২০ কোটি মানুষ। এসে বেশ ঘাবড়েই গেলাম! এত মানুষ আমি জীবনেও দেখিনি! এর ওপর সবকিছুই তখন নতুন। মানুষ নতুন, আবহাওয়া নতুন, খাবার নতুন। যানজট, জীবনে তখন আমার প্রথম এমন দৃশ্য দেখা।

আমি যখন অনুশীলন করছিলাম, নিজে থেকে মনে হচ্ছে সবকিছু ঠিক আছে। তবে এর ভেতরেও অনেক ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল। দলের সঙ্গে প্রথম প্রথম অনুশীলনের পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এই দেশে থাকবই না! ডেনমার্কে ফিরেও গেলাম।

ডেনমার্কে চলে যাওয়ার ২০ মাস পর জাতীয় দলের কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ আমাকে ফোন করলেন। বললেন, তোমাকে জাতীয় দলে নিতে চাই। চলে এসো। আমি বললাম, কোচ এখানে খেলতে চাই না। আমার এখানে টিকে থাকা কঠিন। পাঁচ দিন পর কোচ আবারও আমাকে ফোন দিয়ে আসতে বললেন। তখন ভাবলাম তিনি যখন বলছেন, সুযোগটা আমি নিই না কেন? আমার বাবা-মা একটু উদ্বিগ্ন ছিলেন, আমার বয়স তো কম ছিল। আমার অসংখ্য সমস্যা ছিল। ধীরে ধীরে মানিয়ে নিলাম।

জাতীয় সংগীতের সুরে নিজেকে উজ্জীবিত করতে ভালোবাসেন জামাললাল–সবুজ জার্সিতে আমার অভিষেক ২০১৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। কোচ আমাকে বললেন, তুমি শুরুর একাদশে খেলছ। আমি বললাম, মাত্রই তো এলাম, মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে। কোচ সেটা শুনতেই চাইলেন না। রাজি হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।

২০১৩ সালের ৩১ আগস্ট নেপালের বিপক্ষে আমার প্রথম ম্যাচ। গ্যালারিতে কমপক্ষে ২৫ হাজার মানুষ। যখন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত শুনলাম, তখনই মনে একটা সাহস চলে এল। ভাবলাম, পাঁচ দিন আগেও আমি ডেনমার্ক ছিলাম। আর এখন আমি বাংলাদেশের জাতীয় দলে। বিষয়টা অনেক গর্বের ছিল। ম্যাচ শুরুর আগে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। খেলা শুরুর পর সব ভুলে গেলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত