Ajker Patrika

সবার আগে দ্বিতীয় রাউন্ডে ‘অভিশাপমুক্ত’ ফ্রান্স 

সবার আগে দ্বিতীয় রাউন্ডে ‘অভিশাপমুক্ত’ ফ্রান্স 

আগের আসরে শিরোপাধারী দল পরের বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকেই-২০০২ সালে ফ্রান্সকে দিয়েই শুরু হয়েছিল এই অভিশাপ। টানা ২০ বছর ও পাঁচ আসরে শিরোপাধারীদের বিদায় করে দেওয়া এই অভিশাপের কাটাতে এগিয়ে আসতে হলো সেই ফ্রান্সকেই। 

দ্বিতীয় রাউন্ডে কী যেতে পারবে ফ্রান্স?-কাতার বিশ্বকাপের আগে অসংখ্যবার উচ্চারিত হয়েছে এই কথা। দল ভর্তি তারকা নিয়েও যেমন ২০০২ সালে প্রথম রাউন্ডের বাধা পেরোতে পারেননি জিনেদিন জিদানরা, এবারও তাই ঘটার শঙ্কা ছিল। সব আশঙ্কার মেঘ উড়িয়ে দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাঁর জোড়া গোলে ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে ৩২ দলের ভেতর সবার আগে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেছে শিরোপাধারী ফ্রান্স। ‘ডি’ গ্রুপে টানা দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট দলটির। 

হারলেও ফ্রান্সকে বেশ ভুগিয়েছে ডেনমার্ক। বিশ্বকাপের আগে উয়েফা নেশনস লিগে সবশেষ দুই দেখায় ডেনমার্কের কাছে দুইবার হেরেছিল বিশ্বজয়ী দলটি। আজও প্রথমার্ধে ডেনমার্কের দাপট দেখেছে দিদিয়ের দেশমের দল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধেই পাল্টে যায় সব হিসেব-নিকেশ। 

আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে কাতার বিশ্বকাপে দারুণ শুরু হয়েছিল ফ্রান্সের। আর নিজেদের প্রথম ম্যাচে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল ডেনমার্ক। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পর চোটে পড়েন লেফটব্যাক লুকাস হার্নান্দেজ। তাঁর জায়গায় আজ শুরুর একাদশে খেলেছেন ম্যানইউ ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানে। বেঞ্জামিন পাভার্দের জায়গায় রাইট ব্যাক পজিশনে খেলেছেন জুলস কুন্দে। 

স্টেডিয়াম ৯৭৪’ এ প্রথম ৩০ মিনিটে ফ্রান্স-ডেনমার্কের লড়াইটা সমানে সমান হলেও এই সময়ে সেরা সুযোগটা পেয়েছিল ফ্রান্স। ২২ মিনিটে উসমানে দেম্বেলের ক্রসে ভালো একটা হেডই করেছিলেন আদ্রিয়াঁ রাবিও। তবে সতর্কই ছিলেন ডেনমার্ক গোলরক্ষক কাসপার স্মাইকেল। ঠেকিয়ে দেন রাবিওর হেড। 

প্রতি আক্রমণে ৩৬ মিনিটে সুযোগ এসেছিল ডেনমার্কের সামনেও। সতীর্থের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে ফ্রান্সের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন আন্দ্রেয়াস কর্নেলিয়াস। শটে গতি থাকলেও লক্ষ্য বুঝে শট নিতে পারেননি ডেনমার্ক ফরোয়ার্ড। 

দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপ্পেকে গোল পেতে দেননি স্মাইকেল। ৫৭ মিনিটে নেওয়া এমবাপ্পের শট ঠেকান ডেনমার্ক গোলরক্ষক। 

তবে ৬১ মিনিটে আর এমবাপ্পেকে আটকাতে পারেননি স্মাইকেল। থিও হার্নান্দেজের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে ডেনমার্ক ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপ্পে। এই হার্নান্দেজের পাস থেকে আলতো টোকায় ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন পিএসজি তারকা। 

এগিয়ে থাকার স্বস্তিতে ফ্রান্সকে বেশিক্ষণ ভুগতে দেননি আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টিনসেন। ৬৮ মিনিটে কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে জোরের সঙ্গে হেড নিয়ে ডেনমার্ককে সমতায় ফেরান এই ডিফেন্ডার। 

 ৭৩ মিনিটে ফ্রান্সকে বড় বাঁচা বাঁচিয়েছেন গোলরক্ষক হুগো লরিস। বক্সের ৬ গজের ভেতর জেসপার লিন্ডস্ট্রমের আগুনে গোলা শট ঠেকিয়ে দেন অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষক। ৮১ মিনিটে মার্টিন ব্র্যাথওয়েটের শট ইঞ্চি ব্যবধানে হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট। 

ডেনমার্ক যখন আক্রমণে ব্যস্ত তখনই ম্যাচের ফল পাল্টে দেন এমবাপ্পে। ৮৬ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে গ্রিজমানের বাতাসে ভাসানো বলে ঊরুর স্পর্শে বলে জালে জড়ান ২০১৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে শিরোপা জেতান নায়ক। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত