Ajker Patrika

৪ গোলের রোমাঞ্চে বসুন্ধরার ড্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৯: ৫৬
৪ গোলের রোমাঞ্চে বসুন্ধরার ড্র

ম্যাচটা খেলার জন্য মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময় আগে ভুবনেশ্বরে পৌঁছেছিল বসুন্ধরা কিংস। ছিল না কোনো অনুশীলন সেশনও। ভিসা জটিলতা, ভ্রমণক্লান্তি সামলে ম্যাচে দুবার মোহনবাগানের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়া। প্রতিবারই পিছিয়ে পড়ে জয়ের সমান এক ড্র পেয়েছে বাংলাদেশের সেরা বসুন্ধরা কিংস। 

এক বছর আগে সল্ট লেক স্টেডিয়ামে মোহনবাগানের কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল বসুন্ধরা। আজ ভুবনেশ্বরে একই দলের বিপক্ষে ২-২ গোলের রোমাঞ্চকর এক ড্র তুলে নিয়েছে অস্কার ব্রুজোনের দল। দুবার বল লাগল ক্রসবারে, না হলে হয়তো ম্যাচটা জিততেও পারত বসুন্ধরা। 

দর্শকহীন কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে মোহনবাগানের মুখোমুখি হয়েছিল বসুন্ধরা। একই মাঠে প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের মাজিয়া ক্লাবের বিপক্ষে ৬-১ গোলের জয় পেয়েছে স্বাগতিক ওডিশা এফসি। দ্বিতীয় ম্যাচে কোনো দর্শকই হলো না। তাতে একদিক দিয়ে বরং সুবিধাই হয়েছে বাংলাদেশের ক্লাবটির। দুর্গাপূজার ব্যস্ততায় নিজেদের সমর্থকদের সমর্থন পায়নি পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী দল মোহনবাগান। 

সমর্থনহীন মোহনবাগানকে শুরুতে ভালোই চাপে রেখেছিল বসুন্ধরা। এর পরও ২৮ মিনিটে গোলটা হজম করতেই হয়েছে বাংলাদেশের দলটাকে। ডান দিকে দিয়ে আক্রমণে ওঠা হুগো বোমোস অনেকটা এগিয়ে বক্সে বল বাড়ান। তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় কাটব্যাক করেন জ্যাসন কামিন্স; নিখুঁত শটে বাকি কাজ সারেন অজি ফরোয়ার্ড দিমিত্রি পেট্রাতোস। 

বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি। ৩৩তম মিনিটে স্বদেশি ব্রাজিলিয়ান রবসন রবিনহোর  থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা হেক্টর ক্যান্টনের প্রতিরোধ ভেঙে দারুণ শটে সমতা ফেরান দরিয়েলতন গোমেজ ।

দুই মিনিট পরই এগিয়ে যেতে পারত বসুন্ধরা। কিন্তু বক্সের একটু বাইরে থেকে রবসনের জায়গা করে নিয়ে জোরালো শট আটকে যায় ক্রসবারে। 

বিরতি থেকে ফিরে আবারও একই  দুর্ভাগ্য। এবার মাথায় হাত দরিয়েলতনের। মোহনবাগান গোলরক্ষককে একা পেয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের শট আটকায়  ক্রসবারে লেগে। 

বসুন্ধরা না পারলেও মোহনবাগান নিজেদের সুযোগ কাজে লাগিয়ে আবারও এগিয়ে যায় ৫৪ মিনিটে। বসুন্ধরার রক্ষণের ভুলে দিমিত্রি পেট্রাতোসের বাড়ানো বলে বাঁ প্রান্ত থেকে জোরালো শটে বসুন্ধরা গোলরক্ষক শ্রাবণের মাথার ওপর দিয়ে ব্যবধান বাড়ান আশিস রাই। 

সেই আশিস রাই ৬৯ মিনিটে পেনাল্টি উপহার দিলেন বসুন্ধরাকে। বল পায়ে বক্সে ঢোকা রবসনকে ফেলে দেন আশিস। রেফারির বাঁশি পেনাল্টির। পরের মিনিটে নিজেই শট নিয়ে বসুন্ধরাকে সমতায় ফেরান ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক। 

এরপর আর কোনো দল গোল পায়নি। তাতে বসুন্ধরা পেয়েছে স্বস্তির এক পয়েন্ট।  এই ড্রয়ে তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্টে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে বসুন্ধরা। সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্টে শীর্ষে মোহনবাগান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শতভাগ ফিট হয়ে নির্বাচকেদের দিকে তাকিয়ে খাজা

ক্রীড়া ডেস্ক    
উসমান খাজা। ছবি: এক্স
উসমান খাজা। ছবি: এক্স

পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।

পার্থ টেস্টে ফিল্ডিংয়ের শেষের দিকে মাঠের বাইরে ছিলেন খাজা। এজন্য ওপেনিংয়ে নামতে পারেননি। ব্যাট করতে নামেন ৪ নম্বরে। মাত্র ২ রান করে ফেরেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে ওপেনিং করতে নেমে ১২৩ রানের ইনিংস খেলেন হেড।

ব্রিজবেনের গোলাপি টেস্টেও ওপেনিং করতে নামেন তিনি। এ যাত্রায় দুই ইনিংসে এই মারকুটে ব্যাটার করেন ৩৩ ও ২২ রান। অ্যাডিলেড টেস্টের আগে সুস্থ হওয়ায় ওপেনিংয়ে ফেরার সুযোগ থাকছে খাজার। তবে সেটা নির্ভর করছে নির্বাচক এবং ম্যানেজমেন্টের ওপর।

খাজা বলেন, ‘আমি একাদশে ফিরতে চাই। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমি জানি না কী হবে। এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বুঝেছি—কোন বিষয়গুলো আমার নিয়ন্ত্রণে, আর কোনগুলো নয়। ফিটনেসের দিক থেকে আমি বর্তমানে খুব ভালো অনুভব করছি। আমি খেলার জন্য প্রস্তুত। এছাড়া আর আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই দেখা যাক কী হয়।’

সুস্থ হওয়ার জন্য গত সপ্তাহে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন খাজা, ‘আমি এখন খেলার জন্য শতভাগ ফিট আছি। পার্থ টেস্টের আগেও আমি নিজেকে শতভাগই মনে করেছিলাম। কিছু বিষয় এমনই হয়। ফিট হওয়ার জন্য যা করা দরকার আমি ঠিক তাই করেছি। গত এক সপ্তাহ কঠোর পরিশ্রম করেছি। আসলে তখন শুধু রিহ্যাবই করতে হয়েছে। এটা আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়। কারণ ইনজুরিতে পড়লে কাজটা আরও বেশি করতে হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জয়ে ফিরল আবাহনী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জয়ে ফিরেছে আবাহনী। ছবি: বাফুফে
জয়ে ফিরেছে আবাহনী। ছবি: বাফুফে

এই ভালো, এই খারাপ। ঘরোয়া ফুটবলে এমনই সময় কাটছে আবাহনী লিমিটেডের। আজ ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে ৫-০ গোলে হারিয়ে লিগে জয়ে ফিরেছে তারা। জোড়া গোল করেছেন সুলেমান দিয়াবাতে।

কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই ৩ গোল আদায় করে আবাহনী। ৩২ মিনিটে কাজেম শাহর পাস থেকে দলকে এগিয়ে দেন দিয়াবাতে। ৪১ মিনিটে মিরাজুল  মিরাজুল ইসলামের সহায়তায় এক ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁক দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই ফরোয়ার্।

প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে মিরাজুল নিজেও নাম লেখান গোলের খাতায়। তাঁর সাইড ভলিতে গতি না থাকলেও ফকিরেরপুল গোলরক্ষক সঞ্জু আহমেদ বলকে জালে যাওয়া থেকে আটকাতে পারেননি।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে অবশ্য বেশি সময় অপেক্ষা করা লাগে আকাশি-নীল সমর্থকদের। ৭৯ মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন শেখ মোরসালিন। বক্সে ঢুকে নিচু শটে জাল কাঁপান তিনি। ৮৬ মিনিটে ফকিরেরপুলের কফিনে শেষ পেরেকটি মারেন আল আমিন।

বড় জয়ে ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এসেছে আবাহনী। পেছনে ফেলেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। ৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে সাদা কালোরা। আর ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বসুন্ধরা কিংস।

দিনের অপর ম্যাচে মাঠে নিয়েই যত আলোচনা। বাংলাদেশ পুলিশ ও পিডব্লিউডি’র মধ্যকার খেলা হওয়ার কথা ছিল গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে। দুই দলেরই এটি হোম ভেন্যু। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভেন্যু বদলে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় হয়েছে ম্যাচটি। যদিও গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দুই দল। এই ড্রয়ে পুলিশ ৭ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে। পিডব্লিউডি ৬ পয়েন্ট নিয়ে আটে উঠে এসেছে।

ভেন্যু বদলের কারণ হিসেবে লিগ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ম্যাচের নির্ধারিত ভেন্যু ছিল গাজীপুর। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক কাজ রয়েছে। আমরা অনুরোধ করেছিলাম খেলার সময় প্রয়োজনে এগিয়ে, দ্রুত মাঠ ছেড়ে দেয়ার। জেলা প্রশাসন আমাদের মাঠ দিতে পারেনি এজন্য ভেন্যু পরিবর্তন হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ১৬
মেসির সঙ্গে শতদ্রু দত্ত। ছবি: এক্স
মেসির সঙ্গে শতদ্রু দত্ত। ছবি: এক্স

লিওনেল মেসিকে ভারতে নিয়ে আসার পেছনে মূল উদ্যোক্তা যিনি, সেই শতদ্রু দত্তকে বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে পুলিশ। মেসির মতো বড় তারকাকে কলকাতায় নিয়ে আসলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত আয়োজন ছিল না। আর ছিল না বলেই মেসিকে ঘিরে সব আয়োজনের প্রস্তুতি ভেস্তে গেছে।

হোটল থেকে মেসিকে যুব ভারতী স্টেডিয়ামে নেওয়ার পরই গন্ডগোলের শুরু। একদল লোক মেসিকে ঘিরে রাখলে গ্যালারির দর্শকদের আড়াল হয়ে যান তিনি। টাকা দিয়ে টিকিট কেটে মেসিকে এক নজর দেখতে না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দর্শকেরা। মাঠের ফেন্সিং টপকে মাঠে ঢুকে পড়ে দর্শকেরা। দর্শকদের লুট-তারাজ, ভাঙচুরের শিকার হয় যুব ভারতী। এই অরাজকতার জন্য দায়ী করা হচ্ছে মেসির ভারত সফরের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে। তাঁকে আটকের জানিয়েছে ভারতের পত্রপত্রিকা।

বিমানবন্দরে মেসিদের বিদায় দিতে গিয়েছিলেন শতদ্রু। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

যাঁরা টিকিট কেটে মাঠে ঢুকেছেন কিন্তু মেসিকে দেখতে পাননি, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে মুচলেকা দিয়েছেন শতদ্রু দত্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মেসির কাছে ক্ষমা চাইলেন মমতা

ক্রীড়া ডেস্ক    
মেসি ও মমতা। ফাইল ছবি
মেসি ও মমতা। ফাইল ছবি

লিওনেল মেসির উপস্থিতি এক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল কলকাতাবাসীর জন্য। নানা অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের অনুষ্ঠানকে ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্সে দেওয়া বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘সল্টলেক স্টেডিয়াম শনিবার যে অব্যবস্থা দেখা গেল, তাতে আমি বিচলিত এবং স্তম্ভিত। এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য আমি লিওনেল মেসি, সকল ক্রীড়াপ্রেমী এবং তাঁর ভক্তদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’

পূর্ব নির্ধারিত আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যুবভারতী স্টেডিয়ামে যান মেসি। সেখানেই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। মেসি গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন সাবেক ফুটবলার এবং সেলিব্রেটিরা। ভিড়ে পড়ে বেশ বিরক্ত ছিলেন মেসি এবং তাঁর দুই সতীর্থ দি পল ও সুয়ারেজ। এমন ভিড়ের কারণে গ্যালারি থেকে মেসিকে দেখতে পাননি ভক্তরা। চড়া দামে টিকিট কিনে বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলারকে না দেখতে পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সবাই। শুরু হয় ‘উই ওয়ান্ট মেসি’ স্লোগান।

পরিস্থিতি খারাপ দেখে ১২টার কিছুক্ষণ আগে মেসিকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গ্যালারি থেকে একের পর এক বোতল ছোড়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় গ্যালারির চেয়ার। বোতলের মতো ভাঙা চেয়ারও ছোড়া হয় মাঠে। কয়েকজন আগুন ধরানোর চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটা করেন পুলিশ সদস্যরা। তাতে অবশ্য কোনো কাজ হয়নি।

গ্যালারির সীমানা ভাঙেন উত্তেজিত ভক্তরা। একপর্যায়ে মাঠে ঢুকে পড়েন দুই-আড়াই হাজার মানুষ। কয়েকজন ছিঁড়ে ফেলেন গোল পোস্টের জাল। ভেঙে ফেলেন সাজঘরে যাওয়ার ট্যানেলের ছাউনি। মাঠের পাশে রাখা সোফা পোড়ানো হয়। উপড়ে ফেলা হয় তাঁবুসহ একাধিক জিনিস। এককথায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় যুবভারতী। অনেকে তো মাঠের কার্পেট, ফুলের টবসহ অন্যান্য জিনিস নিয়ে স্টেডিয়াম থেকে বের হন। সব মিলিয়ে বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল ভেন্যুটির।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত