জহির উদ্দিন মিশু, ঢাকা
ফেডারেশনগুলোকে গত ১৫ বছরে নিজেদের দলীয় নেতা-কর্মীদের ভোগদখলের আঙিনা বানিয়ে ফেলেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। হাতে গোনা কয়েকটি বাদে ৫৫ ফেডারেশনের প্রায় সব কটিতেই হয়েছিল দলীয়করণ। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দুই পদে রাজনৈতিক নেতা, দলীয় পদ পাওয়া লোকজন, আমলা এমনকি পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্তাদের বসিয়ে ইচ্ছেমতো নিয়ন্ত্রণ করা হতো। যে কারণে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কখনো হস্তক্ষেপের সুযোগ পায়নি। ক্ষমতার পালাবদলে এবার সেসব ফেডারেশনে চলছে কাটছাঁট। কিন্তু এত দিন যাঁরা ছড়ি ঘুরিয়েছেন, তাঁদের সরিয়ে যাঁদের দায়িত্বে বসানো হবে, তাঁরাই-বা কতটুকু বদলাতে পারবেন! দৃশ্যমান পরিবর্তন না দেখা গেলে সংস্কার নিয়েই পরে প্রশ্ন উঠবে।
ভোগদখল বা রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার কমাতে ফেডারেশন/ অ্যাসোসিয়েশনগুলোয় খেলার মানুষদেরই ফিরিয়ে আনা উচিত বলে মনে করেন ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সব খেলোয়াড়ই ভালো সংগঠক হবেন, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সে জন্য যেসব খেলোয়াড় নিজেরা কোনো সংগঠনে জড়িত, বা যাঁদের সাংগঠনিক গুণ রয়েছে, কেবল তাঁদেরই ফেডারেশনগুলোয় সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। যেমনটা মনে করছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক কামরুন নাহার ডানা। বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলছেন, ‘২০০৮ সালে ফুটবলে যে কমিটি ছিল, সেখানে ২১ জনের মধ্যে ১০-১২ জন জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছিলেন। সেই কমিটিও কিন্তু ফেল করেছে। তাই আমি বলব, কেবল খেলোয়াড় নিলে হবে না; যাঁদের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা আছে, তাঁদেরকেই নিয়ে আসতে হবে।’
রাজনৈতিক নেতার দরকার না হলেও ফেডারেশনের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সম্পৃক্ততার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন জাতীয় ব্যাডমিন্টনের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ডানা, ‘ফেডারেশনগুলোয় রাজনৈতিক লোকদের একদম দরকার নেই। তবে ব্যবসায়ীদের দরকার আছে। সাবেক খেলোয়াড় যাঁরা সংগঠক হওয়ার যোগ্য, তাঁরাই বিভিন্ন ফেডারেশনে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের অংশীদার হতে পারেন। এমপিকে সভাপতি, মন্ত্রীকে মহাসচিব, আবার সচিবকে ফেডারেশনের প্রধান করে কখনোই কাঙ্ক্ষিত ফল আশা করা যায় না। না তাঁরা ফেডারেশনকে সময় দিতে পারেন, ফেডারেশনের প্রতি না থাকে তাঁদের ভালোবাসা।’
ফেডারেশনগুলোয় সংস্কারে যে সার্চ কমিটি কাজ করছে, তাদের নিয়েও একটা মহল উদ্বিগ্ন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, পদ পেতে অনেকে এই বিশেষ কমিটির সঙ্গে তদবির-লবি করছেন। যদিও সার্চ কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানা বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন।
ফেডারেশনের শূন্য পদগুলোয় আসীন হতে আওয়ামী লীগের বাইরের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িতরাও কোমর বেঁধে নেমেছেন বলে কয়েকটি ফেডারেশন সূত্রের খবর। তাঁদের কেউ কেউ নিজেদের লোকজন নিয়ে কমিটি গঠন করে সার্চ কমিটির হাতে জমাও দিয়েছেন। এমনটা যদি হয়, তাহলে এই সংস্কার কতটা সুফল পাবে, তা নিয়েও ভাবার অবকাশ আছে। সাবেক তারকা ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম দুঃখ করেই বললেন, ‘কেউ যদি ভাবে, এত দিন তারা বঞ্চিত, কোনো কিছুর ভাগ পায়নি, এখন লুটে খাবে; তাহলে ক্রীড়াঙ্গনে আর কখনোই সুবাতাস বইবে না।’
সৎ, যোগ্য, পরিশ্রমী আর খেলার মানুষদেরই ফেডারেশনগুলোয় আসা উচিত বলে মনে করেন আসলাম। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শংকর হাজরার চাওয়া, নতুন যাঁরা আসবেন, তাঁরা যাতে ফেডারেশনের সংজ্ঞাটা বুঝেই দায়িত্ব নেন। তাঁর ভাষায়, ‘এত দিন এই ফেডারেশনগুলো চালিয়েছে একটা ক্ষমতাশালী গ্রুপ। তারা কখনো খেলোয়াড় বা ক্রীড়াঙ্গনের ভালো চায়নি। আবার এখন যারা আসতে চাচ্ছে, আমি বলব, তাদের আগে বোঝাতে হবে, ফেডারেশন মানেটা কী। ফেডারেশন মানে যে সারা দেশের খেলা পরিচালনার দায়দায়িত্ব তাদের, এটা আগে বুঝতে হবে।’
ফেডারেশনগুলোকে গত ১৫ বছরে নিজেদের দলীয় নেতা-কর্মীদের ভোগদখলের আঙিনা বানিয়ে ফেলেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। হাতে গোনা কয়েকটি বাদে ৫৫ ফেডারেশনের প্রায় সব কটিতেই হয়েছিল দলীয়করণ। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দুই পদে রাজনৈতিক নেতা, দলীয় পদ পাওয়া লোকজন, আমলা এমনকি পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্তাদের বসিয়ে ইচ্ছেমতো নিয়ন্ত্রণ করা হতো। যে কারণে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কখনো হস্তক্ষেপের সুযোগ পায়নি। ক্ষমতার পালাবদলে এবার সেসব ফেডারেশনে চলছে কাটছাঁট। কিন্তু এত দিন যাঁরা ছড়ি ঘুরিয়েছেন, তাঁদের সরিয়ে যাঁদের দায়িত্বে বসানো হবে, তাঁরাই-বা কতটুকু বদলাতে পারবেন! দৃশ্যমান পরিবর্তন না দেখা গেলে সংস্কার নিয়েই পরে প্রশ্ন উঠবে।
ভোগদখল বা রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার কমাতে ফেডারেশন/ অ্যাসোসিয়েশনগুলোয় খেলার মানুষদেরই ফিরিয়ে আনা উচিত বলে মনে করেন ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সব খেলোয়াড়ই ভালো সংগঠক হবেন, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সে জন্য যেসব খেলোয়াড় নিজেরা কোনো সংগঠনে জড়িত, বা যাঁদের সাংগঠনিক গুণ রয়েছে, কেবল তাঁদেরই ফেডারেশনগুলোয় সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। যেমনটা মনে করছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক কামরুন নাহার ডানা। বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলছেন, ‘২০০৮ সালে ফুটবলে যে কমিটি ছিল, সেখানে ২১ জনের মধ্যে ১০-১২ জন জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছিলেন। সেই কমিটিও কিন্তু ফেল করেছে। তাই আমি বলব, কেবল খেলোয়াড় নিলে হবে না; যাঁদের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা আছে, তাঁদেরকেই নিয়ে আসতে হবে।’
রাজনৈতিক নেতার দরকার না হলেও ফেডারেশনের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সম্পৃক্ততার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন জাতীয় ব্যাডমিন্টনের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ডানা, ‘ফেডারেশনগুলোয় রাজনৈতিক লোকদের একদম দরকার নেই। তবে ব্যবসায়ীদের দরকার আছে। সাবেক খেলোয়াড় যাঁরা সংগঠক হওয়ার যোগ্য, তাঁরাই বিভিন্ন ফেডারেশনে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের অংশীদার হতে পারেন। এমপিকে সভাপতি, মন্ত্রীকে মহাসচিব, আবার সচিবকে ফেডারেশনের প্রধান করে কখনোই কাঙ্ক্ষিত ফল আশা করা যায় না। না তাঁরা ফেডারেশনকে সময় দিতে পারেন, ফেডারেশনের প্রতি না থাকে তাঁদের ভালোবাসা।’
ফেডারেশনগুলোয় সংস্কারে যে সার্চ কমিটি কাজ করছে, তাদের নিয়েও একটা মহল উদ্বিগ্ন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, পদ পেতে অনেকে এই বিশেষ কমিটির সঙ্গে তদবির-লবি করছেন। যদিও সার্চ কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানা বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন।
ফেডারেশনের শূন্য পদগুলোয় আসীন হতে আওয়ামী লীগের বাইরের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িতরাও কোমর বেঁধে নেমেছেন বলে কয়েকটি ফেডারেশন সূত্রের খবর। তাঁদের কেউ কেউ নিজেদের লোকজন নিয়ে কমিটি গঠন করে সার্চ কমিটির হাতে জমাও দিয়েছেন। এমনটা যদি হয়, তাহলে এই সংস্কার কতটা সুফল পাবে, তা নিয়েও ভাবার অবকাশ আছে। সাবেক তারকা ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম দুঃখ করেই বললেন, ‘কেউ যদি ভাবে, এত দিন তারা বঞ্চিত, কোনো কিছুর ভাগ পায়নি, এখন লুটে খাবে; তাহলে ক্রীড়াঙ্গনে আর কখনোই সুবাতাস বইবে না।’
সৎ, যোগ্য, পরিশ্রমী আর খেলার মানুষদেরই ফেডারেশনগুলোয় আসা উচিত বলে মনে করেন আসলাম। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শংকর হাজরার চাওয়া, নতুন যাঁরা আসবেন, তাঁরা যাতে ফেডারেশনের সংজ্ঞাটা বুঝেই দায়িত্ব নেন। তাঁর ভাষায়, ‘এত দিন এই ফেডারেশনগুলো চালিয়েছে একটা ক্ষমতাশালী গ্রুপ। তারা কখনো খেলোয়াড় বা ক্রীড়াঙ্গনের ভালো চায়নি। আবার এখন যারা আসতে চাচ্ছে, আমি বলব, তাদের আগে বোঝাতে হবে, ফেডারেশন মানেটা কী। ফেডারেশন মানে যে সারা দেশের খেলা পরিচালনার দায়দায়িত্ব তাদের, এটা আগে বুঝতে হবে।’
২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করেছে আয়োজক পাকিস্তান। তবে শেষ মুহূর্তে সাইম আইয়ুবকে ছাড়াই ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আইসিসির নির্দেশনা অনুযায়ী টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত স্কোয়াড ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেগলে আজ তৃতীয় দিনে খেলেছে শুধু বৃষ্টি। এতটাই বৃষ্টির দাপট ছিল যে শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে খেলা হয়েছে কেবল ২৭ ওভার। তবে অস্ট্রেলিয়া এক ইনিংসে যে রানের পাহাড় গড়ছে, তাতেই লঙ্কানদের হিমশিম খাওয়ার মতো অবস্থা।
৯ ঘণ্টা আগেঅনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা ভারত এক অভ্যাসে পরিণত করেছে। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম দুইবারই ফাইনালে উঠল ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। নিকি প্রসাদের নেতৃত্বাধীন দলটির ফাইনালে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
১০ ঘণ্টা আগেনিত্যনতুন রেকর্ডে নাম লেখানো যেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দারুণ এক অভ্যাসে পরিণত করেছেন। গোলের রেকর্ডের পাশাপাশি অন্যান্য রেকর্ডেও উঠে যায় তাঁর নাম। এবার যে রেকর্ড পর্তুগিজ ফুটবলার গড়েছেন তাতে আছেন শুধু নিজেই।
১১ ঘণ্টা আগে