নিজস্ব প্রতিবেদক, সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে
কী এক ক্ল্যাসিক লড়াই দেখা গেল সেন্ট ভিনসেন্টে । ঘুম ঘুম চোখে বাংলাদেশের দর্শক সকালে উঠে যদি স্কোরকার্ডে দেখেন মাত্র ১ রানে নেপালকে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, তাতে বোঝা যাবে না, আর্নস ভেলের এই রাতে কী রোমাঞ্চ উপহার দিয়েছেন নেপালিরা।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এই ম্যাচটা ছিল শুধুই ‘ডেড রাবার’। তবে নেপালের কাছে ছিল জায়ান্ট কিলিংয়ের দারুণ এক সুযোগ। ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেওয়ার সুযোগ। আর এই ম্যাচে নেপালিরা চাঙা হয়ে উঠেছিল তাদের তারকা লেগ স্পিনার সন্দীপ লামিচানকে পেয়ে। একই ভেন্যুতে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ দেখার পরও উইকেট পড়তে একটু অসুবিধা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার, তাদের বোলিং আক্রমণ এই ম্যাচেও পুরোটাই ছিল পেসনির্ভর। ছন্দে থাকা কেশব মহারাজ একাদশের বাইরে। একমাত্র স্বীকৃত স্পিনার হিসেবে খেলেছেন তাবরিজ শামসি। অথচ নেপালের বোলিং আক্রমণে লেগ স্পিনারই ছিলেন দুজন।
আর্নস ভেলের মন্থর স্পিনসহায়ক উইকেটে স্পিনারদের ভেলকিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৭ রানে আটকে ফেলে নেপাল। নিউইয়র্কে বাংলাদেশের বিপক্ষে লো স্কোরিং থ্রিলার জেতা দক্ষিণ আফ্রিকা আত্মবিশ্বাসী ছিল অভিজ্ঞতা আর স্কিল দিয়ে উতরে যাবে এই চ্যালেঞ্জ। শেষ দিকে অনেকটা নিউইয়র্কের সেই ম্যাচের পুনরাবৃত্তিই যেন হতে চলেছিল আর্নস ভেলে। বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৮ বলে ২০ রান, ম্যাচটা দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছিল ৪ রানে। আর নেপালের দরকার ১৮ বলে ১৮ রান। শেষ ২ ওভারে যা নেমে আসে ১৬ রানে। ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই স্টাবসকে মারা ভুরতালের ১০৫ মিটারের স্টেডিয়াম ছাড়ানো ছক্কায় নেপালের আশা আবারও ধপ করে জ্বলে ওঠে।
স্নায়ুক্ষয়ী সব মুহূর্ত পেরিয়ে ইয়ানসেনের শেষ ওভারের ৮ রানের সমীকরণও প্রায় মিলিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলো না, তাদের হার মানতে হলো মাত্র ১ রানে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে একজন শামসির রিস্ট স্পিনের কাছে হার মানতে হলো তাদের। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের কাজ ছিল রান নিয়ন্ত্রণ করা। আর লেগ স্পিনার শামসির কাজ ছিল টপাটপ উইকেট শিকার। দুটিতেই সফল প্রোটিয়ারা। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের নায়ক শামসি। তীরের এত কাছে এসেও গড়া হলো না নেপালি ইতিহাস, হিমালয়ের পাদদেশে অল্পের জন্য হলো না উৎসব। তবে তারুণ্যনির্ভর অনভিজ্ঞ এই নেপাল যে ক্রিকেট উপহার দিয়েছে, ধারাভাষ্যকরেরা এমনি বলেননি, ‘মোর ম্যাগনিফিসেন্ট নাইট ফর নেপাল ক্রিকেট। হাউ লাকি সাউথ আফ্রিকা, হাউ আনলাকি নেপাল...।’
নেপালের এই অবিশ্বাস্য লড়াই দেখে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বেড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। নেপাল জিতে গেলে একই মাঠে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে ঈদের দিন বাংলাদেশকে নামতে হতো বাঁচা-মরার ম্যাচ ধরে। ওই ম্যাচে নেপাল জিতে গেলে বাংলাদেশকে বিদায় নিতে হতো গ্রুপ পর্ব থেকে। তবে বাংলাদেশের সেই চিন্তা কমিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ে শান্তরা ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে নিরাপদ অবস্থানে আছেন। ১৭ জুন নেপালকে হারালেই সুপার এইটে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেটি হলে শান্তদের আর কোনো হিসাবই মেলাতে হবে না; তাকাতেই হবে না একই দিনে হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কা-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচের দিকেও।
কী এক ক্ল্যাসিক লড়াই দেখা গেল সেন্ট ভিনসেন্টে । ঘুম ঘুম চোখে বাংলাদেশের দর্শক সকালে উঠে যদি স্কোরকার্ডে দেখেন মাত্র ১ রানে নেপালকে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, তাতে বোঝা যাবে না, আর্নস ভেলের এই রাতে কী রোমাঞ্চ উপহার দিয়েছেন নেপালিরা।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এই ম্যাচটা ছিল শুধুই ‘ডেড রাবার’। তবে নেপালের কাছে ছিল জায়ান্ট কিলিংয়ের দারুণ এক সুযোগ। ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেওয়ার সুযোগ। আর এই ম্যাচে নেপালিরা চাঙা হয়ে উঠেছিল তাদের তারকা লেগ স্পিনার সন্দীপ লামিচানকে পেয়ে। একই ভেন্যুতে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ দেখার পরও উইকেট পড়তে একটু অসুবিধা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার, তাদের বোলিং আক্রমণ এই ম্যাচেও পুরোটাই ছিল পেসনির্ভর। ছন্দে থাকা কেশব মহারাজ একাদশের বাইরে। একমাত্র স্বীকৃত স্পিনার হিসেবে খেলেছেন তাবরিজ শামসি। অথচ নেপালের বোলিং আক্রমণে লেগ স্পিনারই ছিলেন দুজন।
আর্নস ভেলের মন্থর স্পিনসহায়ক উইকেটে স্পিনারদের ভেলকিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৭ রানে আটকে ফেলে নেপাল। নিউইয়র্কে বাংলাদেশের বিপক্ষে লো স্কোরিং থ্রিলার জেতা দক্ষিণ আফ্রিকা আত্মবিশ্বাসী ছিল অভিজ্ঞতা আর স্কিল দিয়ে উতরে যাবে এই চ্যালেঞ্জ। শেষ দিকে অনেকটা নিউইয়র্কের সেই ম্যাচের পুনরাবৃত্তিই যেন হতে চলেছিল আর্নস ভেলে। বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৮ বলে ২০ রান, ম্যাচটা দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছিল ৪ রানে। আর নেপালের দরকার ১৮ বলে ১৮ রান। শেষ ২ ওভারে যা নেমে আসে ১৬ রানে। ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই স্টাবসকে মারা ভুরতালের ১০৫ মিটারের স্টেডিয়াম ছাড়ানো ছক্কায় নেপালের আশা আবারও ধপ করে জ্বলে ওঠে।
স্নায়ুক্ষয়ী সব মুহূর্ত পেরিয়ে ইয়ানসেনের শেষ ওভারের ৮ রানের সমীকরণও প্রায় মিলিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলো না, তাদের হার মানতে হলো মাত্র ১ রানে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে একজন শামসির রিস্ট স্পিনের কাছে হার মানতে হলো তাদের। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের কাজ ছিল রান নিয়ন্ত্রণ করা। আর লেগ স্পিনার শামসির কাজ ছিল টপাটপ উইকেট শিকার। দুটিতেই সফল প্রোটিয়ারা। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের নায়ক শামসি। তীরের এত কাছে এসেও গড়া হলো না নেপালি ইতিহাস, হিমালয়ের পাদদেশে অল্পের জন্য হলো না উৎসব। তবে তারুণ্যনির্ভর অনভিজ্ঞ এই নেপাল যে ক্রিকেট উপহার দিয়েছে, ধারাভাষ্যকরেরা এমনি বলেননি, ‘মোর ম্যাগনিফিসেন্ট নাইট ফর নেপাল ক্রিকেট। হাউ লাকি সাউথ আফ্রিকা, হাউ আনলাকি নেপাল...।’
নেপালের এই অবিশ্বাস্য লড়াই দেখে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বেড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। নেপাল জিতে গেলে একই মাঠে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে ঈদের দিন বাংলাদেশকে নামতে হতো বাঁচা-মরার ম্যাচ ধরে। ওই ম্যাচে নেপাল জিতে গেলে বাংলাদেশকে বিদায় নিতে হতো গ্রুপ পর্ব থেকে। তবে বাংলাদেশের সেই চিন্তা কমিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ে শান্তরা ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে নিরাপদ অবস্থানে আছেন। ১৭ জুন নেপালকে হারালেই সুপার এইটে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেটি হলে শান্তদের আর কোনো হিসাবই মেলাতে হবে না; তাকাতেই হবে না একই দিনে হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কা-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচের দিকেও।
ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ছিল বিশৃঙ্খলার ছাপ। তাই হামজা চৌধুরী-শমিত শোমদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মোতায়েন থাকবে পুলিশের বিশেষ ইউনিট সোয়াট (স্পেশাল ওয়েপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস)।
৮ ঘণ্টা আগে৯০ মিনিটের একটি ম্যাচ, সেটা ঘিরে কতই না উন্মাদনা। দেশের ফুটবলও দানা বাঁধতে শুরু করেছে নতুন করে। ১০ জুন সিঙ্গাপুরকে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হারালে স্বপ্নের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাবেন হামজা চৌধুরী-শমিত শোমরা। এনিয়ে চতুর্থবার সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ।
১০ ঘণ্টা আগেনেইমার থাকবেন, অথচ তাঁকে নিয়ে আলোচনা হবে না—সেটা কি কখনো সম্ভব! মাঠের পারফরম্যান্স যেমনই হোক, তাঁর অন্যান্য কর্মকাণ্ড নিয়ে কথাবার্তা হয় প্রায় সময়ই। ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে এবার তাঁর আলোচিত প্রেমিকা যা বললেন, সেটা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো।
১২ ঘণ্টা আগেব্যাট সামনে দেখলেই নিশপিশ করত হাত। তাই নিজের ঘরেই একটি আলাদা ব্যাট রাখতেন তিনি। মন চাইলে করে নিতেন শ্যাডো ব্যাটিং। সেই স্টিভেন স্মিথ কি না ব্যাট ধরেননি তিন মাস। ব্যাটিং পাগল হিসেবে তিনি নিজেকে যেভাবে পরিচিত করেছেন, তারপর এমনটা শুনলে অবাকই হতে হয়। কিস্তু কথাটি যখন স্মিথ নিজেই বলেছেন, তখন বিশ্বাস না
১২ ঘণ্টা আগে