Ajker Patrika

‘তিনে তিন’ করে চ্যাম্পিয়ন ভারত

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০: ৫০
ফাইনালে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর তিলক ভার্মার উচ্ছ্বাস। ছবি: এক্স
ফাইনালে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর তিলক ভার্মার উচ্ছ্বাস। ছবি: এক্স

সকাল সব সময় দিনের পূর্বাভাস দেয় না! যে চমক দেখিয়ে পাকিস্তান ইনিংসের শুরু, শেষে সেই চমকের ‘চ’ও ছিল না। কিংবা লক্ষ্য তাড়ায় ২০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে যে দুঃস্বপ্নের শুরু ভারতের, সেটির ওপর দাঁড়িয়েই প্রথমে প্রতিরোধ ও পরে আগ্রাসন দেখিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। এই যে ভালো শুরু করেও একদলের তা ধরে রাখতে না পারা, কিংবা বাজে শুরুর পরও আরেক দলের পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে নিয়ে আসা—এটাই তো বুঝিয়ে দিয়েছে ফাইনালের যোগ্যতম দল কারা। বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতেও হার না মানার ইস্পাতসম মানসিকতা দেখিয়ে জিতেছে ভারত। ৫ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে ১৭তম এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন ভারত।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১৪৬ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে ৫ উইকেট অক্ষত রেখে জিতে যায় ভারত। মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সংস্করণ মিলিয়ে এটি নবম শিরোপা ভারতের।

লক্ষ তাড়ায় ভারতের বাজে শুরু হলেও পরে যতই সময় গড়িয়েছে দেখে শুনে খেলে দলকে জয়ের কক্ষপথেই ধরে রাখেন তিলক ভার্মা, সঞ্জু স্যামসন, শিবম দুবেরা। চতুর্থ উইকেটে স্যামসন-ভার্মার ৫০ বলে ৫৭ এবং পঞ্চম উইকেটে দুবে-ভার্মার ৪০ বলে ৬০ রানের জুটি ভারতের জয় ত্বরান্বিত করে।

চাপের মুখে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তিলক ভার্মা। ৫৩ বলে খেলেছেন হার না মানা ৬৯ রানের ইনিংস। ৩ টি চার ও ৪টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। ভারতের জয়ে ভালো অবদান রাখা সঞ্জু স্যামসন আউট হওয়ার আগে ২১ বলে করেছেন ২৪ রান। শিবম দুবে ২২ বলে ৩৩।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ১০ রান। হারিস রউফের ওভারের প্রথম বলে ২ রান নেন ভার্মা। পরের বলে হাঁকান ছক্কা। শেষ চার বলে দরকার ২ রান। পরের বলে ১ রান উঠলে স্ট্রাইক পান রিঙ্কু সিংহ। দারুণ এক চার মেরে ২ বল হাতে রেখেই ভারতের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। এবারের এশিয়া কাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে এটি তৃতীয় জয় ভারতের।

এর আগে দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ১৯.১ ওভারে ১৪৬ রান তোলে পাকিস্তান।

যেভাবে শুরু করেছিল পাকিস্তান, সেই শুরু দেখে কল্পনাও করা যায়নি দেড় শ রানের আগেই গুটিয়ে যাবে তারা। ওপেনিংয়ে ৮৪ রানের দারুণ একটা জুটি গড়ে দিয়েছিলেন সাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান। ভারতীয় বোলারদের পাত্তা দেননি তাঁরা। এমনকি যশপ্রীত বুমরার ওপরও চড়াও হয়ে খেলেছেন তারা। ফারহান তো বুমরাকে তিনটি ছক্কাও হাঁকিয়েছেন। এই সংস্করণে ফারহানই প্রথম ব্যাটার যিনি বুমরাকে তিনটি ছক্কা মারলেন। দুজনে যখন রানের চাকাকে দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছিলেন, তখন মনে হয়েছিল আজ হয়তো বড় একটা স্কোরই গড়বে পাকিস্তান। কিন্তু ৩৮ বলে ৫৭ করে ফারহান বরুণ চক্রবর্তীর বলে তিলক ভার্মার তালবন্দী হলে ভাঙে এই জুটি। দারুণ শুরুর পরও পাকিস্তান বিপর্যয়ে পড়ে ১৩তম ওভারে সায়েম আইয়ুব আউট হয়ে গেলে। তাঁর আউটের আগে পাকিস্তানের রান ছিল ১ উইকেটে ১১৩। কিন্তু আইয়ুবের বিদায়ের পর একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান।

পাকিস্তান শেষ ৯ উইকেট হারায় মাত্র ৩৩ রানে। ফারহানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ বলে ৪৬ করেন ফখর জামান। রানের দুই অঙ্ক ছোঁয়া পাকিস্তানের তৃতীয় ব্যাটার হলেন সায়েম আইয়ুব।

বল হাতে সবচেয়ে সফল স্পিনার কুলদীপ যাদব; ৩০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন যশপ্রীত বুমরা, বরুণ চক্রবর্তী ও অক্ষর প্যাটেল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে কোথায় এগিয়ে বাংলাদেশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ওয়ানডে সিরিজ শেষে এবার টি–টোয়েন্টি খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি
ওয়ানডে সিরিজ শেষে এবার টি–টোয়েন্টি খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি

চট্টগ্রামের উইকেট দেখে কাল ড্যারেন স্যামির মুখে ফুটে উঠেছে একচিলতে হাসি। মিরপুরের কালো উইকেটের বিপরীতে চট্টগ্রামের বাদামি সবুজাভ পিচ দেখে মনে একটা স্বস্তির হাওয়া বইয়ে যাওয়ার কথা ক্যারিবীয় কোচের। বিপিএল আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বাংলাদেশে তো কম খেলেননি স্যামি। বাংলাদেশের উইকেট-কন্ডিশন তাঁর যে ভালোই চেনা, সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচের কথাতেই বোঝা যাবে।

মিরপুরে ওয়ানডে সিরিজ শেষে স্যামি বলেছেন, ‘আমার অভিজ্ঞতা বলে, বাংলাদেশের সেরা উইকেট (চট্টগ্রামে)। যদি ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের তুলনা করি, ওয়ানডে সিরিজের উল্টো ফল পেতে উন্মুখ হয়ে আছি। গত বছরের ডিসেম্বরে আমাদের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে আমরা জেতার পর তারা (বাংলাদেশ) কিন্তু আমাদের ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল। আশা করি এখানে আমরাও তেমন কিছু করতে পারব।’

চট্টগ্রামের ভালো উইকেটে স্যামি যেটা করার আশায় আছেন, সেটা ভেস্তে দিতে তৈরি বাংলাদেশও! দুই বছর আগেও ২০ ওভারের ক্রিকেটে দুই দলের সাক্ষাতে এগিয়ে রাখা যেত ক্যারিবীয়দের। গত দুই দশকে ২০ ওভারের ক্রিকেটেই তো মজেছে তারা। দুটো বিশ্বকাপ জিতেছে। কিন্তু এখন সেটা বলার সুযোগ নেই। পরিসংখ্যান-রেকর্ডই সে সুযোগ দিচ্ছে না। কাল থেকে চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বরং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশকে ‘ফেবারিট’ বলতে হবে।

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে জেতার আগে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ টানা চারটি ওয়ানডে সিরিজ হারলেও টি-টোয়েন্টিতে কিন্তু উল্টো দৃশ্য। টানা চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতলে শারজায় আফগানিস্তানকে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশ কিন্তু ক্যারিবীয়দের মাঠেই ধবলধোলাই করে এসেছে। সেই সিরিজের কথাই মিরপুরে উল্লেখ করেছেন স্যামি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরিসংখ্যান ঠিক উল্টো। এ বছর যে ৫টি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে ক্যারিবীয়রা, তার মধ্যে এক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতেছে। বাকি চারটিতেই হার। এর মধ্যে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার কাছে হয়েছে ধবলধোলাই। বাংলাদেশে আসার আগে নেপালের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে তারা।

২০ ওভারের ক্রিকেটে এমনিতেই বাংলাদেশ দারুণ ছন্দে আছে, দুদিন আগে ওয়ানডে সিরিজ জিতে আরও আত্মবিশ্বাসী স্বাগতিকেরা। দলকে উজ্জীবিত রাখতে এরই মধ্যে চোট কাটিয়ে ফিরেছেন নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাস। পাঁচ মাস পর ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাঠে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের বিপক্ষে নিজেদের তৈরি করার সুযোগটাও কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ওয়ানডেতে যতটা ঘূর্ণি উইকেটের ফাঁদ তৈরি করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঘায়েল করতে চেয়েছে বাংলাদেশ, টি-টোয়েন্টিতে সেটা স্বাগতিকেরা নিশ্চয়ই করতে চাইবে না। বিশ্বকাপ ভাবনায় রেখে চট্টগ্রামের রানপ্রসবা উইকেটে আদর্শ টি-টোয়েন্টি ম্যাচই খেলতে চাইবে বাংলাদেশ।

পাওয়ার হিটিংয়ে এখন বাংলাদেশ বেশ এগিয়েছে, চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটাতে তাদের বেগ পেতে হয় না। ক্যারিবীয়রাও জানে ২০ ওভারের রোমাঞ্চ জমিয়ে তুলতে হয়, সে হিসেবে চট্টগ্রামে একটা জমজমাট টি-টোয়েন্টি সিরিজের আশা তো করাই যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সান্ত্বনার জয়ের খোঁজে জ্যোতিরা

ক্রীড়া ডেস্ক    
নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি
নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি

অনুশীলনে কাল পেসার মারুফা আক্তারকে দেখতেই এগিয়ে এলেন ভারতীয় নারী ক্রিকেট তারকা স্মৃতি মান্ধানা। হাসিঠাট্টায় মেতে উঠলেন দুজনে। সর্পিল সুইং আর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে এরই মধ্যে নিজেকে চিনিয়েছেন মারুফা। প্রতিপক্ষের প্রতিভাবান পেসারের সঙ্গে কাল আড্ডা দিলেও আজ মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে মারুফার ওপর চড়াও হতে দুবার ভাববেন না স্মৃতি!

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি দিয়ে টুর্নামেন্টের লিগ পর্ব হলেও দুই দল নামবে শুধু আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার্থে। প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা, আর ভারত-অস্ট্রেলিয়া খেলবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ২০ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে হেরে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে গতকাল বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে আসা সোবহানা মোস্তারির কথায় এল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি। রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে জিততে জিততে হেরে গেছে বাংলাদেশ। মোস্তারি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা ম্যাচ হারের পরের দুই দিন অনেক কঠিন ছিল। গত চার দিন আমরা ঘুমাতে পারিনি। আমাদের ম্যানেজমেন্টও কোনো নেতিবাচক কথা বলছেন না। আগামীকাল (আজ) আমাদের ম্যাচ। সবাই ইতিবাচক।’

৩৩১ ও ৩০৮ রান করে সিরিজে সর্বোচ্চ দুই রানসংগ্রাহক ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও প্রতীকা রাওয়াল। অস্ট্রেলিয়ার অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের (১৫) পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ উইকেট ভারতের দীপ্তি শার্মার। ব্যাটিং, ফিল্ডিং খারাপ হলেও টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বোলিং দারুণ হয়েছে। লেগ স্পিনার রাবেয়া খান নিয়েছেন ৭ উইকেট। ৬টি করে উইকেট নিয়েছেন স্বর্ণা আক্তার, মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তার। বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড স্বর্ণা এই বিশ্বকাপেই করেছেন। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের সুযোগ ছিল অন্তত ৩টি ম্যাচ জেতার। সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেননি জ্যোতিরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ দেখবেন কীভাবে

ক্রীড়া ডেস্ক    
: ৬ ম্যাচে মাত্র এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আগেই লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ছবি: এক্স
: ৬ ম্যাচে মাত্র এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আগেই লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ছবি: এক্স

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের লিগ পর্ব থেকে আগেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ৬ ম্যাচে মাত্র এক জয় পেয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এরপর টানা ৫ হারের তিক্ত স্বাদ পায় তারা। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে দুই দলের ম্যাচটি কেবলমাত্র নিয়মরক্ষার। বাংলাদেশ বিদায় নিশ্চিত হলেও শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে আয়োজকরা। এছাড়া আজ মাঠে গড়াবে আরও বেশকিছু ম্যাচ। একনজরে দেখে নেওয়া যাক আজকের টিভি সূচি।

আজকের খেলা

ক্রিকেট

মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ

বাংলাদেশ-ভারত

বেলা সাড়ে ৩টা, সরাসরি

টি স্পোর্টস

ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড

বেলা সাড়ে ১১টা, সরাসরি

টি স্পোর্টস

প্রথম ওয়ানডে

নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড

সকাল ৭টা, সরাসরি

সনি টেন ১

ফুটবল

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

আর্সেনাল-প্যালেস

রাত ৮টা, সরাসরি

ভিলা-ম্যানসিটি

রাত ৮টা, সরাসরি

বোর্নমাউথ-ফরেস্ট

রাত ৮টা, সরাসরি

এভারটন-টটেনহাম

রাত সাড়ে ১০টা ৩০ মিনিট

বঙ্গ অ্যাপ

বুন্দেসলিগা

লেভারকুজেন-ফ্রেইবুর্গ

রাত সাড়ে ৮টা, সরাসরি

স্টুটগার্ট-মেইঞ্জ

রাত সাড়ে ১০টা, সরাসরি

সনি টেন ২

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফুটবলে নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি: আসিফ মাহমুদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ২৬
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফাইল ছবি
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফাইল ছবি

ক্রিকেট নিয়ে গত দুই দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে নব্বইয়ের দশকে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল নিয়ে জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে থাকতে হতো তটস্থ।

কালের বিবর্তনে বাংলাদেশের ফুটবলে নিয়ে তুমুল উন্মাদনায় নেমেছিল ধস। তবে হামজা চৌধুরী, শমিত শোমদের মতো প্রবাসী ফুটবলারদের আগমনে গত কয়েক মাসে দেশের ফুটবলে জোয়ার উঠেছে। যে উন্মাদনা এখন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের, সেটা কেবল জাতীয় দলকে ঘিরেই। বাংলাদেশ-ভুটান, বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশ-হংকং—ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সাম্প্রতিক সময়ে এই তিনটি ম্যাচে গ্যালারিতে দর্শকদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। এমনকি হামজাদের ম্যাচ দেখতে গেট ভেঙে দর্শকদের স্টেডিয়ামে ঢোকার মতো ঘটনা ঘটেছে।

বিকেলে আজ ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা একটা প্রীতি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দাবি করেছেন, নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা তাঁরা ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন। সাংবাদিকদের ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আসলে ফুটবল যে পর্যায়ে ছিল, সেখান থেকে এক বছরে খুব বেশি যাচাই করার সুযোগ নেই। কারণ, এক বছর আগে আমরা কোথায় ছিলাম আর এক বছর পরে কোথায় আছি, সেটাই যদি আপনারা একটু পর্যালোচনা করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন। আসলে বাফুফে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে ফুটবলে আমরা নব্বই দশকের উন্মাদনা, সেটা আমরা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এখন গ্যালারিভর্তি মানুষ থাকেন। বাইরেও থাকেন, ঢুকতে পারেন না এমন। দর্শকদের এই ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।’

জাতীয় স্টেডিয়ামে ৯ অক্টোবর ১৩ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে অসাধারণ এক ক্রসে বাংলাদেশকে শুরুতেই লিড এনে দিয়েছিলেন হামজা। তাঁর এই গোলের পর গ্যালারিতে দেখা গিয়েছিল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। কিন্তু এএফসি এশিয়ান বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডের এই ম্যাচে হংকং দ্রুত তিন গোল দিয়ে বসলে ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। শেষ দিকে শেখ মোরসালিন, শমিত শোমের গোলে সমতায় ফিরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অন্তিম মুহূর্তে রাফায়েল মার্কিস গোল করে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল স্বাগতিকেরা।

আসিফ মাহমুদের মতে বাংলাদেশের ফুটবলে অনেক উন্নতি হলেও সাফল্য পেতে ধৈর্য ধরতে হবে। সাংবাদিকদের আজ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই খেলা অনেক উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশে উইং থেকে ক্রস এটা আমরা দেখিনি আমাদের শৈশবের পরে। আবার নতুন করে দেখতে পাচ্ছি। আমাদের খেলার উন্নয়ন হয়েছে। তবে সাফল্য আসতে সময়ের প্রয়োজন।পৃথিবীতে যেসব দেশ ভালো ফুটবল খেলে, ১০-১৫-২০ বছর ধরে তাদের অবকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে। ফুটবলারদের উন্নত মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ ৪ ম্যাচ খেলে দুটি করে ম্যাচ ড্র করেছে ও হেরেছে। হামজা-শমিতদের পয়েন্ট ২। চার দলের মধ্যে পয়েন্ট টেবিলের তিনে অবস্থান করছে হাভিয়ের কাবরেরার বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে আর খেলা হচ্ছে না হামজা-শমিতের দলের। সমান ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের এক ও দুইয়ে হংকং ও সিঙ্গাপুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত