Ajker Patrika

সেই জিম্বাবুয়েকে দিয়েই ৪ বছরের অপেক্ষা ফুরোল সাদমানের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে 
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫: ৩৫
চার বছর পর সেঞ্চুরি পেলেন সাদমান ইসলাম। মুমিনুল হক দেখছেন সাদমানের সেঞ্চুরি উদযাপন। ছবি: বিসিবি
চার বছর পর সেঞ্চুরি পেলেন সাদমান ইসলাম। মুমিনুল হক দেখছেন সাদমানের সেঞ্চুরি উদযাপন। ছবি: বিসিবি

হারারে থেকে চট্টগ্রাম—দূরত্ব প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার। মাঝে কেটে গেছে প্রায় চার বছর। ২০২১ সালে হারারেতে সাদমান ইসলাম টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে এরপর ২৬ ইনিংসে পাননি সেঞ্চুরির দেখা। অবশেষে আজ সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই সাদমান তুলে নিলেন টেস্টের আরেকটি সেঞ্চুরি।

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় টেস্ট। আজ দ্বিতীয় দিনে যখন সাদমান সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন, তখন যেন তার কাঁধ থেকে নেমে গেল দীর্ঘ এক বোঝা। অফফর্ম, বাজেভাবে আউটসহ নানা কারণে যাঁকে নিয়ে হচ্ছিল সমালোচনা, সেই সাদমান সবকিছুর জবাব দিলেন ব্যাটে।

সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের কাছে হারের পর বাংলাদেশ ছিল চাপে। মাঠে ছিল না লড়াইয়ের ছাপ। ফিল্ডিংয়েও ছিল ভুলের ছড়াছড়ি। এমন এক পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম দিনের শেষ বিকেল থেকে শুরু তাইজুল ইসলামের স্পিন ভেলকি। আজ সকালে দিনের প্রথম বলেই সফরকারী দলের ইনিংসের শেষ উইকেট তুলে নেন তাইজুল। সফরকারীরা থেমে যায় ২২৭ রানে। জিম্বাবুয়ের ১০ উইকেটের ৬টিই নিয়েছেন তাইজুল।

জিম্বাবুয়ে অলআউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন সাদমান ও এনামুল হক বিজয়। জিম্বাবুয়ের পেসার রিচার্ড এনগারাভা তিন স্লিপ ও গালির আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়ে শুরু করেন বোলিং আক্রমণ। শুরুতে এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি মিলেই চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালান। তবে সাদমান আর জয়ের দৃঢ়তায় বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিই হয়ে ওঠে সেই প্রাচীর, যেখানে চিড় ধরাতে পারেনি সফরকারীরা। ৩২ ইনিংস পর বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে আসে শতরানের জুটি। যেটার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৮ মাস।

বিজয় ৩৯ রানে বিদায় নিলে ভেঙে যায় বাংলাদেশের ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। তিন নম্বরে এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন মুমিনুল হক। মুমিনুলের সঙ্গে সেই জুটিতেই এগিয়ে চলেন সাদমান। মিড অন, মিড উইকেট, কাভার, এক্সট্রা কাভার কিংবা পুল শট—সব দিকেই ছিল সাদমানের নিয়ন্ত্রিত আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং।১৪২ বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার মেরে টেস্টের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৭২ বলে ১৭ চার ও এক ছক্কায় করেছেন ১১৭ রান। আর ৫০ ওভারে ১ উইকেটে ১৮৪ রান করেছে বাংলাদেশ।

২০২৪ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৩ রানে আউট না হলে সেঞ্চুরিটা সাদমানের আরও আগেই চলে আসত। দেরিতে এলেও সেই সেঞ্চুরিটা পেলেন তিনি। পরিসংখ্যান বিচার-বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান চট্টগ্রাম টেস্টে ৯১ শতাংশ শটে নিয়ন্ত্রণ ছিল সাদমানের। যেটা তাঁর পরিপক্ব ও আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়েরই পরিচায়ক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অলিখিত ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজ জিতল পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
৬ উইকেটে হেরেছে স্বাগতিকেরা। ছবি: বিসিবি
৬ উইকেটে হেরেছে স্বাগতিকেরা। ছবি: বিসিবি

প্রথম ৪ টি-টোয়েন্টি শেষে ২-২ সমতায় ছিল বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান নারী অনূর্ধ্ব ১৯ দল। সিরিজের শেষ ম্যাচটি তাই রূপ নিয়েছিল অলিখিত ফাইনালে। যেখানে একচেটিয়া দাপ দেখাল সফরকারীরা। স্বাগতিকেদের ৬ উইকেটে হারিয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিল তারা।

কক্সবাজার একাডেমি গ্রাউন্ডে এদিন ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি হেরেছে বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক নারী দলটি। ১৯.১ ওভারে ৮৪ রানে অলআউট হয় সাদিয়া ইসলামরা। এক সাদিয়া আক্তার ছাড়া আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। ৩০ বলে ৩ চারে ২৮ রান করেন এই মিডলঅর্ডার।

সমান ৯ রান করেন সুমাইয়া আক্তার সুবর্না এবং হাবিবা ইসলাম পিংকি। ৭ রান আসে ফারজানা ইয়াসমিন মেধার ব্যাট থেকে। ১৬ রানে ৩ উইকেট নেন বারিরাহ সাইফ। সমান রান খরচ করে ২ উইকেট নেন রোজিনা আকরাম।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানও বিপদে পড়েছিল। দলীয় ১৬ রানে ইমান নাসের ও রাহিমা সাইদকে হারায় অতিথিরা। তবে কোমাল খান, আকসা হাবিবের ব্যাটে বিপদ এড়িয়ে জয়ের পথে আগায় পাকিস্তান। ২৫ ও ২১ রান করেন এই দুজন বিদায় নিলে ফাইজা ফিয়াজ ও আরিসা আনসারির ব্যাটে জয় নিশ্চিত করে দলটি।

ফাইজা ১৮ ও আনসারি ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে অতশি মজুমদার, ফারজানা ও পিংকি একটি করে উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন পাকিস্তানের বারিরাহ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শ্রীলঙ্কাকে হেসেখেলে হারিয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক    
শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৭ দলকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি
শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৭ দলকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৭ দলের লড়াইটা হয়েছে সমানে সমানে। দুটি তিন দিনের ম্যাচ শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়। সমানে সমানে লড়াই হওয়া ওয়ানডে সিরিজটা জিতে নিল বাংলাদেশের যুবারা।

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামেই হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৭ দলের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। প্রথম দুই ম্যাচ শেষে সিরিজ ছিল ১-১ সমতায়। আজ এই মাঠে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে জিতল মোহাম্মদ রাকিবুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। রাকিবুলদের জয়ের পরও বাকি ছিল ৬৭ বল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশের যুবারা।

সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে ১৮০ রানের লক্ষ্যে নেমে দলীয় ১ রানেই ভেঙে যায় বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ নাঈমকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন জিমহান মেন্ডিস। নাঈম মেরেছেন গোল্ডেন ডাক। দ্বিতীয় উইকেটে শেখ জারিফ সিয়াম ও কাওসার আহমেদ গড়েন ৬৮ রানের জুটি। ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কাওসারকে (৩০) বোল্ড করে জুটি ভাঙেন মানিথা রাজাপক্ষে।

চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন আদ্রিতো। তৃতীয় উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন সিয়াম-আদ্রিতো। দুজনেই ফিফটি করেন। সিয়াম (৫১), রাকিবুল (০) দ্রুত বিদায় নিলে ২৪.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১১৫ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়েন আকাশ রায় ও আদ্রিতো।

জয়ের জন্য যখন ১৩ রান দরকার, তখন আউট হয়েছেন আদ্রিতো। ৭৭ বলে ৪ চারে ৫৩ রান করে তিনি জিমহান মেন্ডিসের কট এন্ড বোল্ডের শিকার হয়েছেন। তুলির শেষ আঁচড় দিয়েছেন আকাশ। ৩৯তম ওভারের পঞ্চম বলে পুলজিত ওয়াথসুকাকে চার মেরে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটের জয় এনে দেন আকাশ রয়।

৬৭ বল হাতে রেখে পাওয়া বাংলাদেশের ৫ উইকেটের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন আকাশ। ১০ ওভারে ২১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার ৩ ওভার মেডেন দিয়েছেন। টস জিতে তৃতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং নিয়ে ৪৫.১ ওভারে ১৭৯ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৭ দল। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেছেন সানুল বীরারত্নে। বাংলাদেশের আকাশ পেয়েছেন ৪ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সিয়াম, মোহাম্মদ নুবায়েত আলম, আকাশ রয় ও রাকিবুল। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক রেহান পেইরিস ও বীরারত্নে রান আউট হয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশ্বকাপের টিকিটের দাম আকাশচুম্বী, সমর্থকদের কাছে ফিফা ‘বিশ্বাসঘাতক’

ক্রীড়া ডেস্ক    
বিশ্বকাপ টিকিটের মূল্য দেখে ক্ষুব্ধ ভক্তরা। ছবি: এক্স
বিশ্বকাপ টিকিটের মূল্য দেখে ক্ষুব্ধ ভক্তরা। ছবি: এক্স

২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের আমেজ শুরু হয়েছে এরই মধ্যে। গত ৫ ডিসেম্বর কেনেডি ওভারে বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্র অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথম বাঁশি বাজার দিন গুনতে শুরু করেছে ভক্তরা। তবে টিকিটের উচ্চ দামের কারণে বিশ্বকাপ শুরুর ৬ মাস আগেই তোপের মুখে পড়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)।

বিশ্বকাপের প্রতি আসরেই নিবেদিত ভক্তদের জন্য কিছু টিকিট বিক্রি করে জাতীয় সংস্থাগুলো। বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী এবারও ৮ শতাংশ টিকিট জাতীয় সংস্থাগুলোর জন্য বরাদ্দ রেখেছে ফিফা। তাতেই প্রকাশ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের টিকিটের মূল্য। যা রীতিমতো হতাশ করেছে ভক্তদের।

২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের টিকিটের মুল্য প্রকাশ করেছে জার্মানি ফুটবল ফেডারেশন। সেই তালিকায় দেখা গেছে, গ্রুপ পর্বের বিভিন্ন ম্যাচের টিকিটের মূল্য সর্বনিম্ন ১৮০ ডলার থেকে ৭০০ ডলারের মধ্যে। অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২১ হাজার ৯৫৫ থেকে ৮৫ হাজার ৩৮৪ টাকা।

আগামী ১৯ জুলাই নিউইয়র্কের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ দেখতে ভক্তদের খরচ করতে হবে আরও অনেক বেশি অর্থ। ফাইনালের সবচেয়ে কম দামি টিকিটের জন্য খরচ করতে হবে ৪ হাজার ১৮৫ ডলার বা ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। সবচেয়ে দামি টিকিট কেনার জন্য গুনতে হবে ৮ হাজার ৬৮০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১০ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬৪ টাকা।

প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বকাপের টিকিটের অত্যধিক মূল্য দেখে ফিফাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে মন্তব্য করেছে ফুটবল সাপোর্টার্স ইউরোপ (এফএসই)। এক বিবৃতিতে এফএসই বলেছে, ‘এটা বিশ্বকাপের ঐতিহ্যের প্রতি বড় ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা। বিশ্বকাপকে আরও আকর্ষণীয় করতে ভক্তদের যে অবদান, ফিফা সেটাকে পাত্তা দেয়নি।’ বিসিবি জানিয়েছে, সমর্থকদের এমন অভিযোগের পর এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ফিফা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনদের পাশে বাহরাইনের পেসার

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫০
৭ উইকেট নিয়ে তাসকিন আহমেদের পাশে আলী দাউদ। ছবি: সংগৃহীত
৭ উইকেট নিয়ে তাসকিন আহমেদের পাশে আলী দাউদ। ছবি: সংগৃহীত

কার্বন কপি বলতে যা বোঝায়, ঠিক তা-ই করলেন বাহরাইনের পেসার আলী দাউদ। ক্রিকেট বিশ্বে খুব একটা পরিচিত না হলেও আজ তিনি দুর্দান্ত বোলিং করে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড বইয়ে। ২০২৫ বিপিএলে তাসকিন আহমেদ যেমন বোলিং করেছেন, স্কোরকার্ড খুললে দাউদেরটাও দেখা যাচ্ছে তেমনই।

বাহরাইন ক্রিকেট দল এখন ভুটান সফরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ব্যস্ত। জেলেফু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গ্রাউন্ডে গতকাল ভুটানের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৯ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন দাউদ। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত চার বোলার ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছেন। মালয়েশিয়ার সৈয়াজরুল ইদ্রিস, নেদারল্যান্ডসের কলিন অ্যাকারমান, বাংলাদেশের তাসকিন ও বাহরাইনের দাউদ আছেন এই তালিকায়। যাঁদের মধ্যে তাসকিন ও দাউদের বোলিং হুবহু একই। এ বছরের ২ জানুয়ারি দুর্বার রাজশাহীর হয়ে ৪ ওভারে ১৯ রানে ৭ উইকেট তাসকিন নিয়েছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে।

যে চার বোলার ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছেন, তাদের মধ্যে মালয়েশিয়ার ইদ্রিস ও বাহরাইনের দাউদের রেকর্ড আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে চীনের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৮ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ইদ্রিস। এক ওভার মেডেনও দিয়েছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটা এখন পর্যন্ত। এই তালিকায় এখন দুইয়ে বাহরাইনের দাউদ। তাঁর ৭ উইকেটের মধ্যে ভুটানের ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তিনি নিয়েছেন ২ উইকেট। ১৬ তম ওভারে পেয়েছেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট পেয়েছেন ১৮ তম ওভারে।

দাউদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাহরাইন পায় ৩৫ রানের আয়েশী জয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাহরাইন ৪ উইকেটে করে ১৬০ রান। ১৬১ রানের লক্ষ্যে নেমে ভুটান পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে ১২৫ রানে আটকে যায়। ৭ উইকেট নেওয়া দাউদই পেয়েছেন ম্যাচসেরা। জেলেফু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ বাহরাইন জিতেছে ৪২ রানে। এবার দাউদ পেয়েছেন ১ উইকেট। তাসকিনের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ৭ উইকেট নেওয়া আরেক বোলার কলিন অ্যাকারমান। ২০১৯ ভাইটালিটি ব্লাস্টে বার্মিংহামের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৮ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। অ্যাকারমান তখন খেলেছিলে লেস্টারশায়ার হয়ে।

স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সেরা বোলিং

দল বোলিং প্রতিপক্ষ সাল

সৈয়াজরুল ইদ্রিস মালয়েশিয়া ৭/৮ চীন ২০২৩

কলিন অ্যাকারমান লেস্টারশায়ার ৭/১৮ বার্মিংহাম ২০১৯

তাসকিন আহমেদ দুর্বার রাজশাহী ৭/১৯ ঢাকা ক্যাপিটালস ২০২৫

আলী দাউদ বাহরাইন ৭/১৯ ভুটান ২০২৫

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত