Ajker Patrika

এভাবে টেস্ট ম্যাচ নষ্ট হওয়ায় ‘ক্ষোভ’ আফগানিস্তান-নিউজিল্যান্ডের

এভাবে টেস্ট ম্যাচ নষ্ট হওয়ায় ‘ক্ষোভ’ আফগানিস্তান-নিউজিল্যান্ডের

ঐতিহাসিক টেস্ট বলে কথা। আফগানিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে কতই না আগ্রহ, রোমাঞ্চের জন্য অপেক্ষা ছিল ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ক্রিকেটপ্রেমীদের। কিন্তু গ্রেটার নয়ডার স্পোর্টিং কমপ্লেক্সে সব মাঠে মারা গেল। কোনো বল না খেলে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় দুই দলই হতাশা প্রকাশ করেছে। 

প্রথম চার দিন খেলা না হওয়ায় পঞ্চম দিনে একটু খেলার অপেক্ষা ছিল আফগানিস্তান-নিউজিল্যান্ড দুই দলেরই। কিন্তু সান্ত্বনার খেলাটুকু হতে দিল না নয়ডার বৈরি আবহাওয়া। সকাল ১০টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মুষলধারে বৃষ্টির কারণে আগেভাগেই টেস্ট পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন ম্যাচ কর্মকর্তারা। ১৪৭ বছরের ইতিহাসে কোনো বল না খেলে এই নিয়ে অষ্টম কোনো টেস্ট পরিত্যক্ত হয়েছে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তানের প্রধান কোচ জোনাথন ট্রট বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে খুবই হতাশ হয়েছি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে আমরা মুখিয়ে ছিলাম। সেই চ্যালেঞ্জের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছিলাম। খেলার জন্য ক্রিকেটাররা কঠোর পরিশ্রম করেছিল।  তবে বছরে এই সময়ে একটা টেস্ট আয়োজন করা খুব ট্রিকি।’
  
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলে আফগানিস্তান-নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছে ৫ বার। তবে টেস্টে যে এবারই প্রথমবার মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল দুই দলের। সেই ম্যাচ এভাবে ভেসে যাওয়ায় হতাশা লুকাতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের প্রধান কোচ গ্যারি স্টিডও। ট্রটের সঙ্গে একসঙ্গেই সংবাদ সম্মেলনে ম্যাচ শেষে আসেন স্টিড। নিউজিল্যান্ডের প্রধান কোচ বলেন, ‘আমাদের জন্য ভীষণ হতাশার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমাদের প্রথম টেস্ট ছিল। সেটা নিয়ে আমরা মুখিয়ে ছিলাম। গত কয়েক বিশ্বকাপ তারা দারুণ প্রতিযোগিতা করেছে। তাদের সঙ্গে দারুণ কিছু  ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য হয়েছে।’

শেষ তিন দিন তো সকালে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে ভেসে গেছে। তবে গ্রেটার নয়ডা স্পোর্টিং কমপ্লেক্সে প্রথম দুই দিন সকালের আবহাওয়া ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল। কিন্তু মাঝ রাতের বৃষ্টির কারণে মাঠের আউটফিল্ডের এমন দশা হয়েছে যে
খেলা চালানোর মতো পরিস্থিতিই ছিল না। ফ্যানের বাতাস দিয়ে শুকিয়েও কাজ হয়নি। শহীদ বিজয় সিং পথিক স্পোর্ট কমপ্লেক্সের (নয়ডা স্টেডিয়াম) বাজে ড্রেনেজ সিস্টেম নিয়েও শুরু থেকে ছিল আলোচনায়। মাঠের এমন অব্যবস্থাপনা নিয়ে ট্রট বলেন, ‘সুযোগ সুবিধার দিক থেকে আমরা সত্যিই হতাশ। কারণ আমরা খেলতে পারিনি। তবে এই সময় এত পরিমাণ পানি এসেছে সেটা ধারণারও বাইরে ছিল।’

নিজের দেশে আফগানিস্তান এখনো পর্যন্ত ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি আফগানিস্তান। সেকারণে ঘরের মাঠ হিসেবে আফগানরা সংযুক্ত আরব আমিরাত তো বটেই, পাশাপাশি ভারতের গ্রেটার নয়ডা, দেরাদুন, লক্ষ্ণৌ এসব ভেন্যুতেও খেলেছে। নিউজিল্যান্ড টেস্ট শুরুর আগে আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ শাহীদি নির্দিষ্ট কোনো হোম ভেন্যু পাওয়া হিসেবে আশার কথা শুনিয়েছিলেন। আফগান অধিনায়কের সেই কথার প্রেক্ষিতে আজ ট্রট বলেন, ‘যদি আপনার নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যু থাকে, সেক্ষেত্রে একটা ব্যাপারে আপনি কথা বলতে পারেন। সেটা অবশ্যই ভালো। তবে আমি মনে করি অতীতে এমন কারণে অনেক ম্যাচ খেলা যায়নি। আমরা এমন এক ভেন্যু খুঁজছি যেখানে ধারাবাহিকভাবে খেলতে পারি। নির্দিষ্ট একটা ভেন্যু পেলে ভালো লাগবে। বছরে এই সময়ে একটা টেস্ট আয়োজন করা খুব ট্রিকি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত