Ajker Patrika

টি-২০ শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে এশিয়ারই দাপট

বোরহান জাবেদ, ঢাকা
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪: ৩০
টি-২০ শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে এশিয়ারই দাপট

দুয়ারে কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দর্শক বিনোদনের চাহিদা থেকে ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের আবির্ভাব। সেই আবির্ভাব বিনোদন ছাড়িয়ে এখন ক্রিকেট-বাণিজ্যের সর্বোচ্চ চূড়া ছুঁয়েছে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য, ক্যারিবিয়ান দীপপুঞ্জ আর উপমহাদেশ ঘুরে এবার টুর্নামেন্টটি পা ফেলছে মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (এতে অবশ্য করোনার ‘অবদান’ আছে)।

দর্শকের আগ্রহ থেকে ২০০৭ সালে প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পথচলা শুরু। গত ১৪ বছরে আরও পাঁচবার মাঠে গড়িয়েছে আইসিসির লাভজনক এই টুর্নামেন্ট। একমাত্র দল হিসেবে দুবার শিরোপা জিতেছে উইন্ডিজ। তবে মহাদেশ হিসেবে রুপালি ট্রফিটা সবচেয়ে বেশি তিনবার উপমহাদেশে এসেছে। টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কারটাও সবচেয়ে বেশি চারবার এশিয়ানদের দখলেই গেছে।

মরুর দেশে আবার কি এশিয়ানরাই দাপট দেখাবেন? নাকি সর্বশেষ ২০১৬ সালের মতো আরেকবার ক্যারিবিয়ান নৃত্যে মুখরিত হবে আমিরাত? কে হবেন টুর্নামেন্ট মাতানো সেরা খেলোয়াড়? এসব নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা! কারও চোখে অধিনায়ক হিসেবে ‘শেষ’ ঘোষণা দেওয়া কোহলি প্রথমবার ট্রফি উঁচিয়ে ধরবেন। কারও মতে, টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি বয়সী একই সঙ্গে এই সংস্করণের অবিসংবাদিত নেতা গেইল ‘বুড়ো হাড়ে’ ওস্তাদের শেষ মারটা দিয়ে টুর্নামেন্ট রাঙাবেন! দুবার ট্রফি জিতলেও গত ছয়বারের একবারও ‘ইউনিভার্স বস’ গেইলের যে টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার জেতা হয়নি। 

২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপে তীরে এসে তরি ডুবিয়েছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রতিনিধি হয়ে শহীদ আফ্রিদি অবশ্য ৯২ রানের সঙ্গে ১২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট-সেরার পুরস্কারটা ঠিকই নিজের করে নিয়েছিলেন। দুই এশিয়ান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই সেবার ভিন্ন মাত্রা পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। পরের পাঁচটি বিশ্বকাপেও এশিয়ানদের দাপট। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের শিরোপা জয়ের আক্ষেপে প্রলেপ পড়লেও রানার্সআপ আরেক এশিয়ান পরাশক্তি শ্রীলঙ্কা। এবার শ্রীলঙ্কার ‘আফ্রিদি’ হয়ে ৭ ম্যাচে ৩১৭ রান করে টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার ওঠে তিলেকরত্নে ‘দিলস্কুপ’ দিলশানের হাতে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওড়ে ইংলিশদের পতাকা। বড় মঞ্চে একটা শিরোপা জেতার আক্ষেপ ইংলিশদের পূরণ হয়েছে এই টুর্নামেন্টে। দলের শিরোপা জয়ের সঙ্গে টুর্নামেন্ট-সেরার পুরস্কারও ওঠে জয়ী দলের কেভিন পিটারসনের হাতে। এবারই প্রথম এশিয়ার বাইরে দুটো পুরস্কারই গেল।

শ্রীলঙ্কায় হওয়া ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট-সেরা এক অস্ট্রেলিয়ান—শেন ওয়াটসন। শিরোপাটা ক্যারিবিয়ান দ্বীপে গেলেও ব্যাটে-বলে ওয়াটসনের সর্বোচ্চ অলরাউন্ড সত্তাটাই সেবার বেরিয়ে এসেছিল। ৬ ম্যাচে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ২৪৯ রানের সঙ্গে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ উইকেট নিলেও শিরোপা উঁচিয়ে ধরার সৌভাগ্য হয়নি তাঁর।

সর্বশেষ দুই প্রতিযোগিতায় চলেছে কোহলি-রাজ। বাংলাদেশে হওয়া ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য ১০৬.৩৩ ব্যাটিং গড়ে ৩১৯ রান করে টুর্নামেন্ট-সেরা হয়েছিলেন কোহলি। শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যদিও ট্রফিটা জেতা হয়নি তাঁর। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে ভারত সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গেলেও কোহলি ছিলেন আগের মতোই দুর্দান্ত। ১৩৬.৫০ গড়ে ২৭৩ রান করে সেবারও টুর্নামেন্ট-সেরা কোহলি। শিরোপাটা অবশ্য উঠেছিল গেইলদের হাতে।

গত ছয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তিনটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা ইংল্যান্ড জিতলেও ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে যে এশীয়দেরই দাপট, সেটি রোল অব অনার আর টুর্নামেন্ট-সেরাদের তালিকা দেখলেই হচ্ছে! 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণা দিতেই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম

এপিএসের বেতন ১ বছরে বেড়েছে ১৮ বছরের সমান

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত