
২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ফিল সিমন্স তাঁর নতুন অধ্যায় শুরু করতে ঢাকায় আসছেন আগামী বুধবার। গত ছয় মাসে সাফল্য - ব্যর্থতা মিলিয়ে সিমন্সের অভিজ্ঞতা নেহাত মন্দ নয়। তাঁর কাজের ধরনে সন্তুষ্ট হয়েই লম্বা মেয়াদে চুক্তি করেছে বিসিবি। এবার তিনি কোন লক্ষ্যে এগোবেন , গতকাল ইংল্যান্ড থেকে ফোনে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেসব বিষয় তুলে ধরলেন সিমন্স। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো করলে কৃতিত্ব সেভাবে মিলবে না। কিন্তু খারাপ করলেই সমালোচনার তির ছুটে যাবে। এ ধরনের সিরিজে কি ভিন্ন কোনো চ্যালেঞ্জ অনুভব হয়?
ফিল সিমন্স: না, এটা আরেকটা সিরিজ। আমাদের ভালো খেলতে হবে, যেটা আমরা ক্যারিবীয় সফরে (গত ডিসেম্বরে) খেলেছি। ওই পারফরম্যান্সটাই ধরে রাখতে হবে। আমি কখনোই মনে করি না প্রতিপক্ষের র্যাঙ্কিং বুঝে খেলতে হবে। আমি মনে করি, যে দল আপনার সামনে, তার বিপক্ষে একটা টেস্ট খেলুড়ে দল হিসেবে সিরিজ জেতার জন্য খেলতে হবে।
প্রশ্ন: গত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে বাংলাদেশ আগের তুলনায় ভালো খেলেছে। এবার আরও ভালো করতে কতটা আশাবাদী?
সিমন্স: অনেক আশাবাদী। দেখুন, আমরা সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচটা কীভাবে খেলেছি। চেষ্টা করতে হবে। কাজ করতে হবে। যখন আমরা এবার প্রথম টেস্ট শুরু করব, তখন এটা মনে না করা যে সর্বশেষ টেস্টটা কীভাবে খেলেছিলাম। কীভাবে গত টেস্ট খেলেছি সেটাতে নয়, মনোযোগ থাকতে হবে কীভাবে আমরা নতুন একটা সিরিজ শুরু করছি।
প্রশ্ন: আগামী দুই বছরে বাংলাদেশ দুটি আইসিসির ইভেন্ট খেলবে। বাংলাদেশ বড় মঞ্চে প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজেদের মেলে ধরতে পারে না। এর পেছনে কী কী কারণ থাকতে পারে?
সিমন্স: আমাদের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে বড় মঞ্চে বড় টুর্নামেন্টে আমরা কী করতে পারি। টুর্নামেন্টের আগে ভালো প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া নয়, বছরজুড়ে এমনভাবে খেলতে হবে যেন সবাই অভ্যস্ত হয়ে উঠবে যে একটা দল হিসেবে আমাদের কীভাবে খেলতে হবে। দুই বিশ্বকাপ সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি শুরু এখন থেকেই।
প্রশ্ন: বড় মঞ্চে ধারাবাহিক ব্যর্থ হওয়াটা মনস্তাত্ত্বিক নাকি দক্ষতায় ঘাটতি?
সিমন্স: স্কিলে ঘাটতি নেই। আমরা দেখেছি স্কিলে কোনো ঘাটতি নেই। টুর্নামেন্টে আমরা কী মানসিকতায় যাচ্ছি, সেটাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যখন আপনি বড় দলকে হারাতে থাকবেন, সিরিজ জিতবেন বড় দলের বিপক্ষে, আত্মবিশ্বাস তখন উঁচুতে উঠে যায়। ইংল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতলে এমন বিশ্বাস জন্মে যে এই টুর্নামেন্টেও এটা করে দেখাতে পারবেন।

প্রশ্ন: এখন তো টি-টোয়েন্টি মানে ২০০+ রান আর ওয়ানডে মানেই ৩০০+ রানের খেলা। আর দুটিতেই বাংলাদেশ যথেষ্ট পিছিয়ে। এই ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে কোথায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন?
সিমন্স: ঘাটতি বলতে, তাদের যে প্রতিভা আছে, সেটার যথাযথ ব্যবহার করা। অসাধারণ সব প্রতিভা আছে। এমন তরুণ খেলোয়াড় আছে, যারা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারে। কোনো ভয় না রেখে নামতে হবে, যে খেলাটা জানে, সেটাই খেলতে হবে। এই বিষয়গুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমরা যেভাবে ওয়ানডে খেলছি, মাঝের ওভারগুলোয় আমাদের খেলার ধরন বদলাতে হবে। এসবই আসে ভয়ডরহীন-নিয়ামক থেকে। আমরা ভয়ডরহীন ক্রিকেটই খেলব, তাতে যে সমালোচনা হয় হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের ফাস্ট বোলিং গত দুই-তিন বছরে যতটা উন্নতি করছে, ব্যাটিং ইউনিট ততটাই সংগ্রাম করছে। অনেক অভিজ্ঞ ব্যাটার অবসরে চলে গেছেন। তরুণ ব্যাটাররা কি একটু বেশিই সময় নিচ্ছেন বাংলাদেশ দলে প্রতিষ্ঠিত হতে?
সিমন্স: ঠিক জানি না। কারণ, এই দলে আমি খুব অল্প সময়ে কাজ করেছি। আমি মনে করি তরুণ খেলোয়াড়েরা মাত্রই সুযোগ কাজে লাগাতে শুরু করেছে। দলে জায়গা নিশ্চিত করতে শুরু করেছে, দলকে জয় এনে দিতে শুরু করেছে। জানি না সময় নিচ্ছে বলতে কী বোঝাচ্ছেন। কারণ, আমরা তো তাদের খুব বেশি দিন আসতে দেখিনি।
প্রশ্ন: স্থানীয় কোচদের সঙ্গে আপনার কাজ করার ধরনে বিসিবি বেশ খুশি। সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের কোন বিষয়টি আপনাকে বেশি মুগ্ধ করেছে?
সিমন্স: সে তার কাজ জানে, কোচিং জানে। সব কোচই কোচিং জানে। তবে সালাহ উদ্দিনের যে বিষয় আমাকে মুগ্ধ করেছে, খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার কাজের ধরনটা। খেলোয়াড়দের সঙ্গে সে যতটা পারে, একেবারে সোজাসাপ্টা। তবে তাদের অনেক সাহস জোগায়। কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, সে চেষ্টাই করে। তবে কঠোর হতে হলে অনেক কঠোর হতে পারে। একটা জাতীয় দলে কোচিং করাতে হলে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: আপনার আগে যিনি বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ছিলেন, তিনি কিছু বিষয় চালু করেছিলেন। খেলোয়াড়দের উৎসাহ জোগাতে বিশেষ বই যেটার নাম দ্য টাইগার্স কোড, মেরুন জ্যাকেট দেওয়ার রীতি চালু করেছিলেন। আপনি আপনার মেয়াদে দলে কী ধরনের সংস্কৃতি তৈরিতে ইচ্ছুক?
সিমন্স: আমি এ বিষয়ে খুব একটা জানি না। আমি এমন সংস্কৃতি চালু করতে চাই, যেটা হবে দলীয় সংস্কৃতি। এমন সংস্কৃতি যেখানে সবাই সবার জন্য খেলতে চায়। আমরা চাই দলের সাফল্য। দলের সাফল্যে আমরা খুশি হতে চাই। সংস্কৃতি হচ্ছে একে অন্যের জন্য খেলা। নিজের জন্য কিছু নয়।
প্রশ্ন: অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবে তাকে নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
সিমন্স: আমার মনে হয় শান্ত একজন নেতা। তার নেতৃত্বের ধরন দারুণ। কারণ, খেলোয়াড়েরা তাকে অনেক সম্মান করে। সতীর্থরা ওর সঙ্গে বসতে পারে, মন খুলে কথা বলতে পারে। কিছু নেতা, কিছু অধিনায়ক থাকে, যাদের কাছে খেলোয়াড়েরা খুব একটা যায় না। কিন্তু খেলোয়াড়েরা তার কাছে যেতে পারে, কথা বলতে পারে। তাকে ভরসা করতে পারে, তার নেতৃত্বের ধরনে আস্থা রাখতে পারে। সে এমন একজন নেতা, সে জানে কীভাবে তার সতীর্থদের নেতৃত্ব দিতে হবে। যতটুকু সময় ওকে দেখেছি, ভালো মনে হয়েছে। একজন অধিনায়কের কাছে এটাই তো চাইতে পারি, দলের খেলোয়াড়েরা যেন তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারে। অধিনায়কের মাঠের কাজটা আসলে নির্ভর করে আশপাশে থাকা সিনিয়র খেলোয়াড়দের ওপর। অধিনায়কের কাজটা তখন অনেক সহজ হয়।
প্রশ্ন: শোনা যাচ্ছে, বিসিবি টি-টোয়েন্টিতে নতুন অধিনায়ক ঠিক করবে। আপনার কি মনে হয়, বাংলাদেশ আবারও সংস্করণভেদে অধিনায়ক বেছে নিতে পারে?
সিমন্স: আমার মনে হয় না। আসলে এটা আমার একটু ভালোভাবে জানতে হবে। এটা নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে সবার আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে জাতীয় দল। দল ভালো না করতে পারলে অনেক হইচই হয়, নানা বিতর্কিত ঘটনা ঘটে। এসব হইচই-আওয়াজের মধ্যে ধারাবাহিক সাফল্য এনে দেওয়া বিরাট এক চ্যালেঞ্জিং কাজ। এই চ্যালেঞ্জটা কীভাবে দেখেন?
সিমন্স: পুরো ব্যবস্থার মধ্যে এটাই আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সব সময় সফল হব না। যখন সাফল্য পাব না, তখন খেলোয়াড়দের সমর্থন পাওয়াটা খুব দরকার। যখন সাফল্য পাবে, তখন তারা এমনি খুব ভালো অবস্থায় থাকবে। তখন কাজও সহজ। কিন্তু কয়েকবার ব্যর্থ হলে তখন সমর্থন খুব দরকার। কিছু বিষয়ের পরিবর্তনের প্রার্থনা করব। যে সমর্থন দরকার সেটা যেন আমরা পাই। বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে। আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন খেলতে নামব, অবশ্যই পুরোটাই উজাড় করে দেব। ১৫০ পার্সেন্ট দেব। আমরা যেভাবে চেষ্টা করব, মানুষ খুশিই হব। যদি আপনি সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা না করেন, তখনই সবাই আপনার বিপক্ষে যাবে। খেলোয়াড়েরা আশা করি সংবাদমাধ্যম ভীতি, সামাজিকমাধ্যম ভীতি, সমর্থকদের নিয়ে ভয় কাটিয়ে উঠবে। সমর্থকেরা ভালোবাসবে, এমন কিছুই করতে হবে।
প্রশ্ন: সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো করলে কৃতিত্ব সেভাবে মিলবে না। কিন্তু খারাপ করলেই সমালোচনার তির ছুটে যাবে। এ ধরনের সিরিজে কি ভিন্ন কোনো চ্যালেঞ্জ অনুভব হয়?
ফিল সিমন্স: না, এটা আরেকটা সিরিজ। আমাদের ভালো খেলতে হবে, যেটা আমরা ক্যারিবীয় সফরে (গত ডিসেম্বরে) খেলেছি। ওই পারফরম্যান্সটাই ধরে রাখতে হবে। আমি কখনোই মনে করি না প্রতিপক্ষের র্যাঙ্কিং বুঝে খেলতে হবে। আমি মনে করি, যে দল আপনার সামনে, তার বিপক্ষে একটা টেস্ট খেলুড়ে দল হিসেবে সিরিজ জেতার জন্য খেলতে হবে।
প্রশ্ন: গত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে বাংলাদেশ আগের তুলনায় ভালো খেলেছে। এবার আরও ভালো করতে কতটা আশাবাদী?
সিমন্স: অনেক আশাবাদী। দেখুন, আমরা সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচটা কীভাবে খেলেছি। চেষ্টা করতে হবে। কাজ করতে হবে। যখন আমরা এবার প্রথম টেস্ট শুরু করব, তখন এটা মনে না করা যে সর্বশেষ টেস্টটা কীভাবে খেলেছিলাম। কীভাবে গত টেস্ট খেলেছি সেটাতে নয়, মনোযোগ থাকতে হবে কীভাবে আমরা নতুন একটা সিরিজ শুরু করছি।
প্রশ্ন: আগামী দুই বছরে বাংলাদেশ দুটি আইসিসির ইভেন্ট খেলবে। বাংলাদেশ বড় মঞ্চে প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজেদের মেলে ধরতে পারে না। এর পেছনে কী কী কারণ থাকতে পারে?
সিমন্স: আমাদের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে বড় মঞ্চে বড় টুর্নামেন্টে আমরা কী করতে পারি। টুর্নামেন্টের আগে ভালো প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া নয়, বছরজুড়ে এমনভাবে খেলতে হবে যেন সবাই অভ্যস্ত হয়ে উঠবে যে একটা দল হিসেবে আমাদের কীভাবে খেলতে হবে। দুই বিশ্বকাপ সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি শুরু এখন থেকেই।
প্রশ্ন: বড় মঞ্চে ধারাবাহিক ব্যর্থ হওয়াটা মনস্তাত্ত্বিক নাকি দক্ষতায় ঘাটতি?
সিমন্স: স্কিলে ঘাটতি নেই। আমরা দেখেছি স্কিলে কোনো ঘাটতি নেই। টুর্নামেন্টে আমরা কী মানসিকতায় যাচ্ছি, সেটাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যখন আপনি বড় দলকে হারাতে থাকবেন, সিরিজ জিতবেন বড় দলের বিপক্ষে, আত্মবিশ্বাস তখন উঁচুতে উঠে যায়। ইংল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতলে এমন বিশ্বাস জন্মে যে এই টুর্নামেন্টেও এটা করে দেখাতে পারবেন।

প্রশ্ন: এখন তো টি-টোয়েন্টি মানে ২০০+ রান আর ওয়ানডে মানেই ৩০০+ রানের খেলা। আর দুটিতেই বাংলাদেশ যথেষ্ট পিছিয়ে। এই ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে কোথায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন?
সিমন্স: ঘাটতি বলতে, তাদের যে প্রতিভা আছে, সেটার যথাযথ ব্যবহার করা। অসাধারণ সব প্রতিভা আছে। এমন তরুণ খেলোয়াড় আছে, যারা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারে। কোনো ভয় না রেখে নামতে হবে, যে খেলাটা জানে, সেটাই খেলতে হবে। এই বিষয়গুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমরা যেভাবে ওয়ানডে খেলছি, মাঝের ওভারগুলোয় আমাদের খেলার ধরন বদলাতে হবে। এসবই আসে ভয়ডরহীন-নিয়ামক থেকে। আমরা ভয়ডরহীন ক্রিকেটই খেলব, তাতে যে সমালোচনা হয় হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের ফাস্ট বোলিং গত দুই-তিন বছরে যতটা উন্নতি করছে, ব্যাটিং ইউনিট ততটাই সংগ্রাম করছে। অনেক অভিজ্ঞ ব্যাটার অবসরে চলে গেছেন। তরুণ ব্যাটাররা কি একটু বেশিই সময় নিচ্ছেন বাংলাদেশ দলে প্রতিষ্ঠিত হতে?
সিমন্স: ঠিক জানি না। কারণ, এই দলে আমি খুব অল্প সময়ে কাজ করেছি। আমি মনে করি তরুণ খেলোয়াড়েরা মাত্রই সুযোগ কাজে লাগাতে শুরু করেছে। দলে জায়গা নিশ্চিত করতে শুরু করেছে, দলকে জয় এনে দিতে শুরু করেছে। জানি না সময় নিচ্ছে বলতে কী বোঝাচ্ছেন। কারণ, আমরা তো তাদের খুব বেশি দিন আসতে দেখিনি।
প্রশ্ন: স্থানীয় কোচদের সঙ্গে আপনার কাজ করার ধরনে বিসিবি বেশ খুশি। সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের কোন বিষয়টি আপনাকে বেশি মুগ্ধ করেছে?
সিমন্স: সে তার কাজ জানে, কোচিং জানে। সব কোচই কোচিং জানে। তবে সালাহ উদ্দিনের যে বিষয় আমাকে মুগ্ধ করেছে, খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার কাজের ধরনটা। খেলোয়াড়দের সঙ্গে সে যতটা পারে, একেবারে সোজাসাপ্টা। তবে তাদের অনেক সাহস জোগায়। কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, সে চেষ্টাই করে। তবে কঠোর হতে হলে অনেক কঠোর হতে পারে। একটা জাতীয় দলে কোচিং করাতে হলে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: আপনার আগে যিনি বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ছিলেন, তিনি কিছু বিষয় চালু করেছিলেন। খেলোয়াড়দের উৎসাহ জোগাতে বিশেষ বই যেটার নাম দ্য টাইগার্স কোড, মেরুন জ্যাকেট দেওয়ার রীতি চালু করেছিলেন। আপনি আপনার মেয়াদে দলে কী ধরনের সংস্কৃতি তৈরিতে ইচ্ছুক?
সিমন্স: আমি এ বিষয়ে খুব একটা জানি না। আমি এমন সংস্কৃতি চালু করতে চাই, যেটা হবে দলীয় সংস্কৃতি। এমন সংস্কৃতি যেখানে সবাই সবার জন্য খেলতে চায়। আমরা চাই দলের সাফল্য। দলের সাফল্যে আমরা খুশি হতে চাই। সংস্কৃতি হচ্ছে একে অন্যের জন্য খেলা। নিজের জন্য কিছু নয়।
প্রশ্ন: অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবে তাকে নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
সিমন্স: আমার মনে হয় শান্ত একজন নেতা। তার নেতৃত্বের ধরন দারুণ। কারণ, খেলোয়াড়েরা তাকে অনেক সম্মান করে। সতীর্থরা ওর সঙ্গে বসতে পারে, মন খুলে কথা বলতে পারে। কিছু নেতা, কিছু অধিনায়ক থাকে, যাদের কাছে খেলোয়াড়েরা খুব একটা যায় না। কিন্তু খেলোয়াড়েরা তার কাছে যেতে পারে, কথা বলতে পারে। তাকে ভরসা করতে পারে, তার নেতৃত্বের ধরনে আস্থা রাখতে পারে। সে এমন একজন নেতা, সে জানে কীভাবে তার সতীর্থদের নেতৃত্ব দিতে হবে। যতটুকু সময় ওকে দেখেছি, ভালো মনে হয়েছে। একজন অধিনায়কের কাছে এটাই তো চাইতে পারি, দলের খেলোয়াড়েরা যেন তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারে। অধিনায়কের মাঠের কাজটা আসলে নির্ভর করে আশপাশে থাকা সিনিয়র খেলোয়াড়দের ওপর। অধিনায়কের কাজটা তখন অনেক সহজ হয়।
প্রশ্ন: শোনা যাচ্ছে, বিসিবি টি-টোয়েন্টিতে নতুন অধিনায়ক ঠিক করবে। আপনার কি মনে হয়, বাংলাদেশ আবারও সংস্করণভেদে অধিনায়ক বেছে নিতে পারে?
সিমন্স: আমার মনে হয় না। আসলে এটা আমার একটু ভালোভাবে জানতে হবে। এটা নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে সবার আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে জাতীয় দল। দল ভালো না করতে পারলে অনেক হইচই হয়, নানা বিতর্কিত ঘটনা ঘটে। এসব হইচই-আওয়াজের মধ্যে ধারাবাহিক সাফল্য এনে দেওয়া বিরাট এক চ্যালেঞ্জিং কাজ। এই চ্যালেঞ্জটা কীভাবে দেখেন?
সিমন্স: পুরো ব্যবস্থার মধ্যে এটাই আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সব সময় সফল হব না। যখন সাফল্য পাব না, তখন খেলোয়াড়দের সমর্থন পাওয়াটা খুব দরকার। যখন সাফল্য পাবে, তখন তারা এমনি খুব ভালো অবস্থায় থাকবে। তখন কাজও সহজ। কিন্তু কয়েকবার ব্যর্থ হলে তখন সমর্থন খুব দরকার। কিছু বিষয়ের পরিবর্তনের প্রার্থনা করব। যে সমর্থন দরকার সেটা যেন আমরা পাই। বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে। আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন খেলতে নামব, অবশ্যই পুরোটাই উজাড় করে দেব। ১৫০ পার্সেন্ট দেব। আমরা যেভাবে চেষ্টা করব, মানুষ খুশিই হব। যদি আপনি সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা না করেন, তখনই সবাই আপনার বিপক্ষে যাবে। খেলোয়াড়েরা আশা করি সংবাদমাধ্যম ভীতি, সামাজিকমাধ্যম ভীতি, সমর্থকদের নিয়ে ভয় কাটিয়ে উঠবে। সমর্থকেরা ভালোবাসবে, এমন কিছুই করতে হবে।

ক্রিকেট নিয়ে গত দুই দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে নব্বইয়ের দশকে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল নিয়ে জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে থাকতে হতো তটস্থ।
১১ ঘণ্টা আগে
রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
১২ ঘণ্টা আগে
শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
১২ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চার আসর মিলিয়ে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্রিকেট নিয়ে গত দুই দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে নব্বইয়ের দশকে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল নিয়ে জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে থাকতে হতো তটস্থ।
কালের বিবর্তনে বাংলাদেশের ফুটবলে নিয়ে তুমুল উন্মাদনায় নেমেছিল ধস। তবে হামজা চৌধুরী, শমিত শোমদের মতো প্রবাসী ফুটবলারদের আগমনে গত কয়েক মাসে দেশের ফুটবলে জোয়ার উঠেছে। যে উন্মাদনা এখন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের, সেটা কেবল জাতীয় দলকে ঘিরেই। বাংলাদেশ-ভুটান, বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশ-হংকং—ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সাম্প্রতিক সময়ে এই তিনটি ম্যাচে গ্যালারিতে দর্শকদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। এমনকি হামজাদের ম্যাচ দেখতে গেট ভেঙে দর্শকদের স্টেডিয়ামে ঢোকার মতো ঘটনা ঘটেছে।
বিকেলে আজ ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা একটা প্রীতি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দাবি করেছেন, নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা তাঁরা ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন। সাংবাদিকদের ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আসলে ফুটবল যে পর্যায়ে ছিল, সেখান থেকে এক বছরে খুব বেশি যাচাই করার সুযোগ নেই। কারণ, এক বছর আগে আমরা কোথায় ছিলাম আর এক বছর পরে কোথায় আছি, সেটাই যদি আপনারা একটু পর্যালোচনা করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন। আসলে বাফুফে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে ফুটবলে আমরা নব্বই দশকের উন্মাদনা, সেটা আমরা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এখন গ্যালারিভর্তি মানুষ থাকেন। বাইরেও থাকেন, ঢুকতে পারেন না এমন। দর্শকদের এই ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।’
জাতীয় স্টেডিয়ামে ৯ অক্টোবর ১৩ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে অসাধারণ এক ক্রসে বাংলাদেশকে শুরুতেই লিড এনে দিয়েছিলেন হামজা। তাঁর এই গোলের পর গ্যালারিতে দেখা গিয়েছিল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। কিন্তু এএফসি এশিয়ান বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডের এই ম্যাচে হংকং দ্রুত তিন গোল দিয়ে বসলে ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। শেষ দিকে শেখ মোরসালিন, শমিত শোমের গোলে সমতায় ফিরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অন্তিম মুহূর্তে রাফায়েল মার্কিস গোল করে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল স্বাগতিকেরা।
আসিফ মাহমুদের মতে বাংলাদেশের ফুটবলে অনেক উন্নতি হলেও সাফল্য পেতে ধৈর্য ধরতে হবে। সাংবাদিকদের আজ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই খেলা অনেক উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশে উইং থেকে ক্রস এটা আমরা দেখিনি আমাদের শৈশবের পরে। আবার নতুন করে দেখতে পাচ্ছি। আমাদের খেলার উন্নয়ন হয়েছে। তবে সাফল্য আসতে সময়ের প্রয়োজন।পৃথিবীতে যেসব দেশ ভালো ফুটবল খেলে, ১০-১৫-২০ বছর ধরে তাদের অবকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে। ফুটবলারদের উন্নত মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ ৪ ম্যাচ খেলে দুটি করে ম্যাচ ড্র করেছে ও হেরেছে। হামজা-শমিতদের পয়েন্ট ২। চার দলের মধ্যে পয়েন্ট টেবিলের তিনে অবস্থান করছে হাভিয়ের কাবরেরার বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে আর খেলা হচ্ছে না হামজা-শমিতের দলের। সমান ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের এক ও দুইয়ে হংকং ও সিঙ্গাপুর।

ক্রিকেট নিয়ে গত দুই দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে নব্বইয়ের দশকে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল নিয়ে জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে থাকতে হতো তটস্থ।
কালের বিবর্তনে বাংলাদেশের ফুটবলে নিয়ে তুমুল উন্মাদনায় নেমেছিল ধস। তবে হামজা চৌধুরী, শমিত শোমদের মতো প্রবাসী ফুটবলারদের আগমনে গত কয়েক মাসে দেশের ফুটবলে জোয়ার উঠেছে। যে উন্মাদনা এখন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের, সেটা কেবল জাতীয় দলকে ঘিরেই। বাংলাদেশ-ভুটান, বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশ-হংকং—ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সাম্প্রতিক সময়ে এই তিনটি ম্যাচে গ্যালারিতে দর্শকদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। এমনকি হামজাদের ম্যাচ দেখতে গেট ভেঙে দর্শকদের স্টেডিয়ামে ঢোকার মতো ঘটনা ঘটেছে।
বিকেলে আজ ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা একটা প্রীতি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দাবি করেছেন, নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা তাঁরা ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন। সাংবাদিকদের ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আসলে ফুটবল যে পর্যায়ে ছিল, সেখান থেকে এক বছরে খুব বেশি যাচাই করার সুযোগ নেই। কারণ, এক বছর আগে আমরা কোথায় ছিলাম আর এক বছর পরে কোথায় আছি, সেটাই যদি আপনারা একটু পর্যালোচনা করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন। আসলে বাফুফে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে ফুটবলে আমরা নব্বই দশকের উন্মাদনা, সেটা আমরা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এখন গ্যালারিভর্তি মানুষ থাকেন। বাইরেও থাকেন, ঢুকতে পারেন না এমন। দর্শকদের এই ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।’
জাতীয় স্টেডিয়ামে ৯ অক্টোবর ১৩ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে অসাধারণ এক ক্রসে বাংলাদেশকে শুরুতেই লিড এনে দিয়েছিলেন হামজা। তাঁর এই গোলের পর গ্যালারিতে দেখা গিয়েছিল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। কিন্তু এএফসি এশিয়ান বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডের এই ম্যাচে হংকং দ্রুত তিন গোল দিয়ে বসলে ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। শেষ দিকে শেখ মোরসালিন, শমিত শোমের গোলে সমতায় ফিরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অন্তিম মুহূর্তে রাফায়েল মার্কিস গোল করে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল স্বাগতিকেরা।
আসিফ মাহমুদের মতে বাংলাদেশের ফুটবলে অনেক উন্নতি হলেও সাফল্য পেতে ধৈর্য ধরতে হবে। সাংবাদিকদের আজ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই খেলা অনেক উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশে উইং থেকে ক্রস এটা আমরা দেখিনি আমাদের শৈশবের পরে। আবার নতুন করে দেখতে পাচ্ছি। আমাদের খেলার উন্নয়ন হয়েছে। তবে সাফল্য আসতে সময়ের প্রয়োজন।পৃথিবীতে যেসব দেশ ভালো ফুটবল খেলে, ১০-১৫-২০ বছর ধরে তাদের অবকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে। ফুটবলারদের উন্নত মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ ৪ ম্যাচ খেলে দুটি করে ম্যাচ ড্র করেছে ও হেরেছে। হামজা-শমিতদের পয়েন্ট ২। চার দলের মধ্যে পয়েন্ট টেবিলের তিনে অবস্থান করছে হাভিয়ের কাবরেরার বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে আর খেলা হচ্ছে না হামজা-শমিতের দলের। সমান ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের এক ও দুইয়ে হংকং ও সিঙ্গাপুর।

২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ফিল সিমন্স তাঁর নতুন অধ্যায় শুরু করতে ঢাকায় আসছেন আগামী বুধবার। গত ছয় মাসে সাফল্য - ব্যর্থতা মিলিয়ে সিমন্সের অভিজ্ঞতা নেহাত মন্দ নয়। তাঁর কাজের ধরনে সন্তুষ্ট হয়েই লম্বা মেয়াদে চুক্তি করেছে বিসিবি।
০৪ এপ্রিল ২০২৫
রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
১২ ঘণ্টা আগে
শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
১২ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চার আসর মিলিয়ে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
কুয়েতের জাবের আল-মুবারক আল-সাবাহ স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে গোলের মুখ থেকে ফিরে যায় কিংস। দোরিয়েলতনের ফ্লিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান আল সিব গোলরক্ষক আহমেদ আলরাওয়াহি। বিপদ কাটিয়ে ৭ মিনিটে এগিয়ে যায় আল সিব। আরশাদ আলআলাওয়ির লং পাস বুকে থামিয়ে বসুন্ধরার গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের পাশ দিয়ে নিখুঁতভাবে জালে বল পাঠান নাসের আলরাওয়াহি।
গোল হজমের পরও বসুন্ধরা মনোবল হারায়নি। ১৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দোরিয়েলতনের শট ঠেকিয়ে দেন আলরাওয়াহি। ৪১ মিনিটে অবশেষে সফল হয় কিংস। রাফায়েল অগুস্তোর গোলে ফেরা য় সমতা। সাদ উদ্দিনের রিবাউন্ড শট বক্সে নিখুঁতভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ঠান্ডা মাথায় জালে পাঠান অগুস্তো।
বিরতির পর আরও জমে উঠে ম্যাচ। ৫৩ মিনিটে রাকিবের গোলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে কিংস। দোরিয়েলতনের পাস ধরে ডান দিক দিয়ে এগিয়ে যান রাকিব। এরপর দূরপাল্লার অসাধারণ এক শটে পরাস্ত করেন আলরাওয়াহিকে। আল সিব গোলরক্ষক ডাইভ দিয়েও বলের নাগাল পাননি।
সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি কিংস। ৬০ মিনিটে হোসেন আল আজমির ক্রসে নিচু শটে আল সিবকে সমতায় ফেরান জহির আল আঘবারি। ৭৭ মিনিটে আবারও আল আজমির ক্রস থেকেই আসে আল সিবের জয়সূচক গোল। দারুণ ভলিতে জাল কাঁপান আব্দুলআজিজ আল মাকবালি।
বুধবার একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে লেবাননের আল আনসার এফসির মুখোমুখি হবে কিংস।
কিক অফের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পেতে পারত বসুন্ধরা কিংস। সানডের দারুণ কাটব্যাক থেকে দরিয়েলতন গোমেজের স্লাইড লাফিয়ে ফিরিয়ে দেন আল সিবের গোলকিপার। অষ্টম মিনিটে নাসের আল রাওয়াহির গোলে এগিয়ে যায় আল সিব। বক্সে লং বল পেয়ে বুক থেকে পায়ে নামিয়ে টোকায় শ্রাবণকে কাটিয়ে জালে বল ঠেলে দেন এই ফরোয়ার্ড।
পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে থাকা বসুন্ধরা কিংস সেভাবে কার্যকরী কোনো আক্রমণ শানাতে পারছিল না। ১৭ মিনিটে দরিয়েলতন গোমেজের দুর্বল শট অনায়েসে গ্লাভসবন্দী করেন আল সিব গোলকিপার।
২৫ মিনিটে দরিয়েলতনের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বা প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন সানডে। কিন্তু বক্সের অনেকটা দূর থেকে তড়িঘড়ি করে শট নেন।
প্রথম আধা ঘন্টা পর খেলায় ছন্দ খুজে পায় বসুন্ধরা কিংস। বিরতির তিন মিনিট আগে রাফায়েল আগুস্তর গোলে ১-১ সমতায় ফেরে মারিও গোমেজের দল। ম্যাচে পাওয়া প্রথম কর্নার প্রতিপক্ষের রক্ষণ বাঁধায় ফিরে আসলে ফিরতি বলে মাটি কামরানো শট নেন সাদ উদ্দিন। গোলমুখের সামনে আগুস্তর পায়ে ভমবল লেগে উপরে ভেসে ওঠে, এরপর সামনে থাকা গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে আলতো টোকায় কাজ সারেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর রাকিবের দৃষ্টিনন্দন গোলে দ্রুতই লিড নেয় বসুন্ধরা কিংস। মাঝ মাঠে দরিয়েলতনের কাছ থেকে বল নিয়ে আল সিব মিডফিল্ডার বালুসিকে কাটান। বক্সের বাইরে থেকে বা পায়ের আড়াআড়ি শটে জালে বল জড়ান। সিবের গোলকিপার আল রাওয়াহি ডান দিকে ঝাপিয়ে বলের নাগাল পাননি।
৬০ মিনিটে জাহির আল আগবারির গোলে জয় ২-২ সমতা টানে ওমানের ক্লাবটি। ১০ মিনিট পর বদরি হিসেবে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও সিনিয়র সোহেল রানাকে মাঠে নামান কোচ মারিও গোমেজ।
৭৭ মিনিটে কিংসের বক্সে ফাহিম, তাজ আর এমানুয়েল টনির সামনে আল বুসাইদির সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে ভলিতে জালে বল পাঠান আব্দুল আজিজ মুকবালি। ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ওমানের লিগ চ্যাম্পিয়নরা

রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
কুয়েতের জাবের আল-মুবারক আল-সাবাহ স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে গোলের মুখ থেকে ফিরে যায় কিংস। দোরিয়েলতনের ফ্লিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান আল সিব গোলরক্ষক আহমেদ আলরাওয়াহি। বিপদ কাটিয়ে ৭ মিনিটে এগিয়ে যায় আল সিব। আরশাদ আলআলাওয়ির লং পাস বুকে থামিয়ে বসুন্ধরার গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের পাশ দিয়ে নিখুঁতভাবে জালে বল পাঠান নাসের আলরাওয়াহি।
গোল হজমের পরও বসুন্ধরা মনোবল হারায়নি। ১৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দোরিয়েলতনের শট ঠেকিয়ে দেন আলরাওয়াহি। ৪১ মিনিটে অবশেষে সফল হয় কিংস। রাফায়েল অগুস্তোর গোলে ফেরা য় সমতা। সাদ উদ্দিনের রিবাউন্ড শট বক্সে নিখুঁতভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ঠান্ডা মাথায় জালে পাঠান অগুস্তো।
বিরতির পর আরও জমে উঠে ম্যাচ। ৫৩ মিনিটে রাকিবের গোলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে কিংস। দোরিয়েলতনের পাস ধরে ডান দিক দিয়ে এগিয়ে যান রাকিব। এরপর দূরপাল্লার অসাধারণ এক শটে পরাস্ত করেন আলরাওয়াহিকে। আল সিব গোলরক্ষক ডাইভ দিয়েও বলের নাগাল পাননি।
সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি কিংস। ৬০ মিনিটে হোসেন আল আজমির ক্রসে নিচু শটে আল সিবকে সমতায় ফেরান জহির আল আঘবারি। ৭৭ মিনিটে আবারও আল আজমির ক্রস থেকেই আসে আল সিবের জয়সূচক গোল। দারুণ ভলিতে জাল কাঁপান আব্দুলআজিজ আল মাকবালি।
বুধবার একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে লেবাননের আল আনসার এফসির মুখোমুখি হবে কিংস।
কিক অফের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পেতে পারত বসুন্ধরা কিংস। সানডের দারুণ কাটব্যাক থেকে দরিয়েলতন গোমেজের স্লাইড লাফিয়ে ফিরিয়ে দেন আল সিবের গোলকিপার। অষ্টম মিনিটে নাসের আল রাওয়াহির গোলে এগিয়ে যায় আল সিব। বক্সে লং বল পেয়ে বুক থেকে পায়ে নামিয়ে টোকায় শ্রাবণকে কাটিয়ে জালে বল ঠেলে দেন এই ফরোয়ার্ড।
পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে থাকা বসুন্ধরা কিংস সেভাবে কার্যকরী কোনো আক্রমণ শানাতে পারছিল না। ১৭ মিনিটে দরিয়েলতন গোমেজের দুর্বল শট অনায়েসে গ্লাভসবন্দী করেন আল সিব গোলকিপার।
২৫ মিনিটে দরিয়েলতনের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বা প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন সানডে। কিন্তু বক্সের অনেকটা দূর থেকে তড়িঘড়ি করে শট নেন।
প্রথম আধা ঘন্টা পর খেলায় ছন্দ খুজে পায় বসুন্ধরা কিংস। বিরতির তিন মিনিট আগে রাফায়েল আগুস্তর গোলে ১-১ সমতায় ফেরে মারিও গোমেজের দল। ম্যাচে পাওয়া প্রথম কর্নার প্রতিপক্ষের রক্ষণ বাঁধায় ফিরে আসলে ফিরতি বলে মাটি কামরানো শট নেন সাদ উদ্দিন। গোলমুখের সামনে আগুস্তর পায়ে ভমবল লেগে উপরে ভেসে ওঠে, এরপর সামনে থাকা গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে আলতো টোকায় কাজ সারেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর রাকিবের দৃষ্টিনন্দন গোলে দ্রুতই লিড নেয় বসুন্ধরা কিংস। মাঝ মাঠে দরিয়েলতনের কাছ থেকে বল নিয়ে আল সিব মিডফিল্ডার বালুসিকে কাটান। বক্সের বাইরে থেকে বা পায়ের আড়াআড়ি শটে জালে বল জড়ান। সিবের গোলকিপার আল রাওয়াহি ডান দিকে ঝাপিয়ে বলের নাগাল পাননি।
৬০ মিনিটে জাহির আল আগবারির গোলে জয় ২-২ সমতা টানে ওমানের ক্লাবটি। ১০ মিনিট পর বদরি হিসেবে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও সিনিয়র সোহেল রানাকে মাঠে নামান কোচ মারিও গোমেজ।
৭৭ মিনিটে কিংসের বক্সে ফাহিম, তাজ আর এমানুয়েল টনির সামনে আল বুসাইদির সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে ভলিতে জালে বল পাঠান আব্দুল আজিজ মুকবালি। ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ওমানের লিগ চ্যাম্পিয়নরা

২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ফিল সিমন্স তাঁর নতুন অধ্যায় শুরু করতে ঢাকায় আসছেন আগামী বুধবার। গত ছয় মাসে সাফল্য - ব্যর্থতা মিলিয়ে সিমন্সের অভিজ্ঞতা নেহাত মন্দ নয়। তাঁর কাজের ধরনে সন্তুষ্ট হয়েই লম্বা মেয়াদে চুক্তি করেছে বিসিবি।
০৪ এপ্রিল ২০২৫
ক্রিকেট নিয়ে গত দুই দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে নব্বইয়ের দশকে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল নিয়ে জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে থাকতে হতো তটস্থ।
১১ ঘণ্টা আগে
শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
১২ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চার আসর মিলিয়ে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে সোবহানা মোস্তারি এলে তাঁর কাছে এসেছে শ্রীলঙ্কা ম্যাচের প্রসঙ্গ। এই স্টেডিয়ামে গত সোমবার বাংলাদেশ জিতলে এখন সেমিতে ওঠার নানা সমীকরণ। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে শেষ ১২ বলে ১২ রানের সহজ সমীকরণ না মেলানোর দুঃখ তো অত সহজে ভোলা যায় না। মুম্বাইয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে মোস্তারি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর অনেক কঠিন সময় গেছে। গত চার দিন আমরা ঘুমাতে পারিনি। আমাদের ম্যানেজমেন্টও কোনো নেতিবাচক কথা বলছেন না। তারা সব সময়ই ইতিবাচক কথা বলে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বসে নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে এখন বাংলাদেশ ৮ দলের মধ্যে ৮ নম্বরে অবস্থান করছে। যে পাঁচ ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ, সেগুলোর মধ্যে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কাকে হারালে এখন দৃশ্যপট অন্যরকম হতো। ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়ে শেষ হচ্ছে লিগ পর্ব। এখন সেটা শুধুই আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ। অতীতে যা হয়ে গেছে, সেগুলো নিয়ে এখন আর ভাবতে চান না মোস্তারি। ২৩ বছর বয়সী বাংলাদেশের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমাদের ভুলে ম্যাচ হেরে বসি। কেবল এক ম্যাচ জিতেছি। খুবই হতাশাজনক। তবে আগামীকাল আমাদের ম্যাচ। সবাই ইতিবাচক থাকতে চাচ্ছি।’
ভারতের বিপক্ষে ভালো করলে বা ভারতকে হারালে আইপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সুযোগ পাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে কাঁপিয়ে দেওয়া মোস্তাফিজ আইপিএলে নিয়মিতই খেলছেন। আগামীকাল যেহেতু বাংলাদেশের মেয়েরা ভারতের বিপক্ষে নামবে, সেক্ষেত্রে নারী প্রিমিয়ার লিগে (ডব্লিউপিএল) দল পাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশকে কতটুকু অনুপ্রাণিত করে—এই প্রশ্নের উত্তরে মোস্তারি বলেন,‘ডব্লিউপিএল একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। প্রত্যেকবার আমাদের নাম পাঠাই। কিন্তু কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার নেয় না। ভারতের এই কন্ডিশনে মারুফা অনেক ভালো করছে। রাবেয়াও দুর্দান্ত খেলছে। নতুন মৌসুমে দল পাওয়া যাবে বলে মনে করি।’
৩৩১ ও ৩০৮ রান করে সিরিজে সর্বোচ্চ দুই রানসংগ্রাহক ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও প্রতীকা রাওয়াল। অস্ট্রেলিয়ার অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের (১৫) পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ উইকেট ভারতের দীপ্তি শার্মার। ব্যাটিং, ফিল্ডিং খারাপ হলেও টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বোলিং দারুণ হয়েছে। লেগস্পিনার রাবেয়া খান নিয়েছেন ৭ উইকেট। ছয়টি করে উইকেট নিয়েছেন স্বর্ণা আক্তার, মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তার। বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড স্বর্ণা এই বিশ্বকাপেই করেছেন।
এদিকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লাইনআপ আজ ঠিক হয়ে গেছে। ২৯ অক্টোবর গুয়াহাটিতে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৩০ অক্টোবর ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় সেমিফাইনাল।

শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে সোবহানা মোস্তারি এলে তাঁর কাছে এসেছে শ্রীলঙ্কা ম্যাচের প্রসঙ্গ। এই স্টেডিয়ামে গত সোমবার বাংলাদেশ জিতলে এখন সেমিতে ওঠার নানা সমীকরণ। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে শেষ ১২ বলে ১২ রানের সহজ সমীকরণ না মেলানোর দুঃখ তো অত সহজে ভোলা যায় না। মুম্বাইয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে মোস্তারি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর অনেক কঠিন সময় গেছে। গত চার দিন আমরা ঘুমাতে পারিনি। আমাদের ম্যানেজমেন্টও কোনো নেতিবাচক কথা বলছেন না। তারা সব সময়ই ইতিবাচক কথা বলে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বসে নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে এখন বাংলাদেশ ৮ দলের মধ্যে ৮ নম্বরে অবস্থান করছে। যে পাঁচ ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ, সেগুলোর মধ্যে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কাকে হারালে এখন দৃশ্যপট অন্যরকম হতো। ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়ে শেষ হচ্ছে লিগ পর্ব। এখন সেটা শুধুই আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ। অতীতে যা হয়ে গেছে, সেগুলো নিয়ে এখন আর ভাবতে চান না মোস্তারি। ২৩ বছর বয়সী বাংলাদেশের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমাদের ভুলে ম্যাচ হেরে বসি। কেবল এক ম্যাচ জিতেছি। খুবই হতাশাজনক। তবে আগামীকাল আমাদের ম্যাচ। সবাই ইতিবাচক থাকতে চাচ্ছি।’
ভারতের বিপক্ষে ভালো করলে বা ভারতকে হারালে আইপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সুযোগ পাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে কাঁপিয়ে দেওয়া মোস্তাফিজ আইপিএলে নিয়মিতই খেলছেন। আগামীকাল যেহেতু বাংলাদেশের মেয়েরা ভারতের বিপক্ষে নামবে, সেক্ষেত্রে নারী প্রিমিয়ার লিগে (ডব্লিউপিএল) দল পাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশকে কতটুকু অনুপ্রাণিত করে—এই প্রশ্নের উত্তরে মোস্তারি বলেন,‘ডব্লিউপিএল একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। প্রত্যেকবার আমাদের নাম পাঠাই। কিন্তু কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার নেয় না। ভারতের এই কন্ডিশনে মারুফা অনেক ভালো করছে। রাবেয়াও দুর্দান্ত খেলছে। নতুন মৌসুমে দল পাওয়া যাবে বলে মনে করি।’
৩৩১ ও ৩০৮ রান করে সিরিজে সর্বোচ্চ দুই রানসংগ্রাহক ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও প্রতীকা রাওয়াল। অস্ট্রেলিয়ার অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের (১৫) পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ উইকেট ভারতের দীপ্তি শার্মার। ব্যাটিং, ফিল্ডিং খারাপ হলেও টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বোলিং দারুণ হয়েছে। লেগস্পিনার রাবেয়া খান নিয়েছেন ৭ উইকেট। ছয়টি করে উইকেট নিয়েছেন স্বর্ণা আক্তার, মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তার। বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড স্বর্ণা এই বিশ্বকাপেই করেছেন।
এদিকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লাইনআপ আজ ঠিক হয়ে গেছে। ২৯ অক্টোবর গুয়াহাটিতে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৩০ অক্টোবর ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় সেমিফাইনাল।

২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ফিল সিমন্স তাঁর নতুন অধ্যায় শুরু করতে ঢাকায় আসছেন আগামী বুধবার। গত ছয় মাসে সাফল্য - ব্যর্থতা মিলিয়ে সিমন্সের অভিজ্ঞতা নেহাত মন্দ নয়। তাঁর কাজের ধরনে সন্তুষ্ট হয়েই লম্বা মেয়াদে চুক্তি করেছে বিসিবি।
০৪ এপ্রিল ২০২৫
ক্রিকেট নিয়ে গত দুই দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে নব্বইয়ের দশকে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল নিয়ে জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে থাকতে হতো তটস্থ।
১১ ঘণ্টা আগে
রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
১২ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চার আসর মিলিয়ে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চতুর্থ আসরে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৩৯.৯৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে এই ইভেন্টে সোনা জিতেছে শ্রীলঙ্কা। রুপা জেতা ভারত ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করে ৪০.৬৫ সেকেন্ডে। যদিও ২০০ মিটার পর্যন্ত ভারতের চেয়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। শেষের ২০০ মিটারে আর পেরে উঠেননি মোতালেব ও ইসমাইল। মেয়েদের ৪ গুণিতক ১০০ মিটার রিলেতে চতুর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।
১১০ মিটার হার্ডলস, ৪০০ মিটার স্প্রিন্ট ও ডিসকাস থ্রোয়ে পদক এনে দিতে পারেননি অ্যাথলেটরা। গতকাল প্রথম দিনও কেটেছে শূন্য হাতে।

ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চতুর্থ আসরে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৩৯.৯৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে এই ইভেন্টে সোনা জিতেছে শ্রীলঙ্কা। রুপা জেতা ভারত ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করে ৪০.৬৫ সেকেন্ডে। যদিও ২০০ মিটার পর্যন্ত ভারতের চেয়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। শেষের ২০০ মিটারে আর পেরে উঠেননি মোতালেব ও ইসমাইল। মেয়েদের ৪ গুণিতক ১০০ মিটার রিলেতে চতুর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।
১১০ মিটার হার্ডলস, ৪০০ মিটার স্প্রিন্ট ও ডিসকাস থ্রোয়ে পদক এনে দিতে পারেননি অ্যাথলেটরা। গতকাল প্রথম দিনও কেটেছে শূন্য হাতে।

২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ফিল সিমন্স তাঁর নতুন অধ্যায় শুরু করতে ঢাকায় আসছেন আগামী বুধবার। গত ছয় মাসে সাফল্য - ব্যর্থতা মিলিয়ে সিমন্সের অভিজ্ঞতা নেহাত মন্দ নয়। তাঁর কাজের ধরনে সন্তুষ্ট হয়েই লম্বা মেয়াদে চুক্তি করেছে বিসিবি।
০৪ এপ্রিল ২০২৫
ক্রিকেট নিয়ে গত দুই দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে নব্বইয়ের দশকে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল নিয়ে জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে ছিল যে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে থাকতে হতো তটস্থ।
১১ ঘণ্টা আগে
রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
১২ ঘণ্টা আগে
শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
১২ ঘণ্টা আগে