তাসনীম হাসান, ঢাকা
নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর নিজেকে একটু আড়াল করে রাখতে চেয়েছেন নাসুম আহমেদ। ছুটিটা নিজের মতো করে কাটাতে বাঁহাতি স্পিনার এখন নিজ শহর সিলেটে। শহরের পশ্চিম পীরমহল্লা এলাকায় তাঁদের বাড়িটা বেশ আগ্রহের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে আশপাশের অনেকের কাছে। সেখানে ফিরতেই ব্যস্ততা যেন তাঁর আরও বেড়েছে।
পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সময় কাটানোর ফাঁকে পাওয়া গেল নাসুমকে। ফোনে বলছিলেন, ‘বাসার মানুষ তো বটেই, এবার আশপাশের মানুষও আমাকে নিয়ে বেশি খুশি।’
এক মাসের মধ্যেই বাঁহাতি স্পিনারের জীবনটা অনেক বদলে গেছে। এমনটাই হওয়ার কথা। তাসকিন থেকে লিটন-সৌম্য, সোহান থেকে মোসাদ্দেক—তালিকাটা বেশ লম্বা। ২০১২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলা এই ক্রিকেটাররা অনেক আগেই খেলেছেন বাংলাদেশ দলে। ওই যুব বিশ্বকাপ খেলা নাসুম জাতীয় দলের আশপাশে দূরের কথা, নিয়মিত ছিলেন না ঘরোয়া ক্রিকেটেও। মাঝে তো নাসুমের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে প্রায় যতিচিহ্ন বসে যাওয়ার উপক্রম!
ক্রমেই যখন তলিয়ে যাচ্ছিলেন আঁধারে, সেখান থেকেই নাসুমের ঘুরে দাঁড়ানো। সাফল্যের আলোর খোঁজ পাওয়া। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত সুযোগ পেয়ে ছড়াতে থাকেন আলো। নাসুমের এক জীবনের সেই আরাধ্য স্বপ্ন পূরণ হলো দ্রুতই। গত বছরের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পান নাসুম। তাঁর পরের জীবনটা যেন এলাম, খেললাম, জিতলাম! ১৬ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে জায়গা করে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও।
এর মধ্যেই বিশ্বকাপ নিয়ে স্বপ্নের ডালপালাও মেলেছে নাসুমের মনে। স্বপ্নাতুর চোখে বলছিলেন, ‘বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখন আশা, নিজের প্রথম বিশ্বকাপে ভালো করা। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই টুর্নামেন্টে।’
ঘরের মাঠে ঘূর্ণি-মন্থর উইকেটে কাজটা যতটা সহজে করা গেছে, বিশ্বকাপের মঞ্চে সেটি যে হবে না, অজানা নয় নাসুমের। কিন্তু বড় খেলোয়াড় হতে গেলে এসব চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে হয়। তরুণ বাঁহাতি স্পিনার তাই চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন। আর তাঁকে অনুপ্রাণিত করছে নিজেরই পরিসংখ্যান। ক্যারিয়ারের প্রথম ৪টি-টোয়েন্টিতে নাসুমের ঝুলিতে ছিল ২ উইকেট। পরের ১০ ম্যাচে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। নাসুমের এই বদলে যাওয়ার পেছনে অবদান আছে বর্তমান বিসিবির স্পিন পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথেরও। নাসুম বললেন, ‘আরও কীভাবে ভালো করা যায়, সেটি নিয়ে তাঁর (হেরাথ) সঙ্গে নিয়মিত কাজ করছি। সে কাজের ফলও পাচ্ছি।’ ড্রেসিংরুমে সাকিব আল হাসানদের মতো খেলোয়াড় থাকলে নাসুম কতটা উজ্জীবিত থাকে, সেটি বলছেন এভাবে, ‘সাকিব ভাই অনেক অভিজ্ঞ। মাঠে তাঁর কাছ থেকে অনেক সহযোগিতা পাই। রিয়াদ ভাইও (মাহমুদউল্লাহ) একইভাবে সহযোগিতা করেন।’
দুটি স্বপ্ন পূরণ হয়ে গেছে, নাসুম এবার চোখ রাখছেন পরের লক্ষ্যে, ‘জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া ও বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তিন সংস্করণের দলে সুযোগ পাওয়াই এখন আমার লক্ষ্য।’
নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর নিজেকে একটু আড়াল করে রাখতে চেয়েছেন নাসুম আহমেদ। ছুটিটা নিজের মতো করে কাটাতে বাঁহাতি স্পিনার এখন নিজ শহর সিলেটে। শহরের পশ্চিম পীরমহল্লা এলাকায় তাঁদের বাড়িটা বেশ আগ্রহের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে আশপাশের অনেকের কাছে। সেখানে ফিরতেই ব্যস্ততা যেন তাঁর আরও বেড়েছে।
পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সময় কাটানোর ফাঁকে পাওয়া গেল নাসুমকে। ফোনে বলছিলেন, ‘বাসার মানুষ তো বটেই, এবার আশপাশের মানুষও আমাকে নিয়ে বেশি খুশি।’
এক মাসের মধ্যেই বাঁহাতি স্পিনারের জীবনটা অনেক বদলে গেছে। এমনটাই হওয়ার কথা। তাসকিন থেকে লিটন-সৌম্য, সোহান থেকে মোসাদ্দেক—তালিকাটা বেশ লম্বা। ২০১২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলা এই ক্রিকেটাররা অনেক আগেই খেলেছেন বাংলাদেশ দলে। ওই যুব বিশ্বকাপ খেলা নাসুম জাতীয় দলের আশপাশে দূরের কথা, নিয়মিত ছিলেন না ঘরোয়া ক্রিকেটেও। মাঝে তো নাসুমের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে প্রায় যতিচিহ্ন বসে যাওয়ার উপক্রম!
ক্রমেই যখন তলিয়ে যাচ্ছিলেন আঁধারে, সেখান থেকেই নাসুমের ঘুরে দাঁড়ানো। সাফল্যের আলোর খোঁজ পাওয়া। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত সুযোগ পেয়ে ছড়াতে থাকেন আলো। নাসুমের এক জীবনের সেই আরাধ্য স্বপ্ন পূরণ হলো দ্রুতই। গত বছরের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পান নাসুম। তাঁর পরের জীবনটা যেন এলাম, খেললাম, জিতলাম! ১৬ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে জায়গা করে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও।
এর মধ্যেই বিশ্বকাপ নিয়ে স্বপ্নের ডালপালাও মেলেছে নাসুমের মনে। স্বপ্নাতুর চোখে বলছিলেন, ‘বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখন আশা, নিজের প্রথম বিশ্বকাপে ভালো করা। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই টুর্নামেন্টে।’
ঘরের মাঠে ঘূর্ণি-মন্থর উইকেটে কাজটা যতটা সহজে করা গেছে, বিশ্বকাপের মঞ্চে সেটি যে হবে না, অজানা নয় নাসুমের। কিন্তু বড় খেলোয়াড় হতে গেলে এসব চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে হয়। তরুণ বাঁহাতি স্পিনার তাই চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন। আর তাঁকে অনুপ্রাণিত করছে নিজেরই পরিসংখ্যান। ক্যারিয়ারের প্রথম ৪টি-টোয়েন্টিতে নাসুমের ঝুলিতে ছিল ২ উইকেট। পরের ১০ ম্যাচে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। নাসুমের এই বদলে যাওয়ার পেছনে অবদান আছে বর্তমান বিসিবির স্পিন পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথেরও। নাসুম বললেন, ‘আরও কীভাবে ভালো করা যায়, সেটি নিয়ে তাঁর (হেরাথ) সঙ্গে নিয়মিত কাজ করছি। সে কাজের ফলও পাচ্ছি।’ ড্রেসিংরুমে সাকিব আল হাসানদের মতো খেলোয়াড় থাকলে নাসুম কতটা উজ্জীবিত থাকে, সেটি বলছেন এভাবে, ‘সাকিব ভাই অনেক অভিজ্ঞ। মাঠে তাঁর কাছ থেকে অনেক সহযোগিতা পাই। রিয়াদ ভাইও (মাহমুদউল্লাহ) একইভাবে সহযোগিতা করেন।’
দুটি স্বপ্ন পূরণ হয়ে গেছে, নাসুম এবার চোখ রাখছেন পরের লক্ষ্যে, ‘জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া ও বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তিন সংস্করণের দলে সুযোগ পাওয়াই এখন আমার লক্ষ্য।’
ওয়ানডে থেকে টি-টোয়েন্টি—সংস্করণ বদলাতেই যেন বদলে গেলেন বাবর আজম। কদিন আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাবরের ছিল দুটি ফিফটি, এবার টি-টোয়েন্টিতে রানের জন্য রীতিমতো ধুঁকছেন তিনি। একজন অধিনায়ককে যখন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা, তাঁর বেলায় ঘটছে উল্টো।
২৫ মিনিট আগেমেহেদী হাসান মিরাজ এখন ব্যস্ত সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের একাদশে আছেন বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডার। এই টেস্টের মাঝেই তাঁর নাম দেখা গেল কানাডা লিগে।
১ ঘণ্টা আগেমেঘলা আবহাওয়ার মধ্যে ঝলমলে রোদ্দুর—সিলেটে আজ শুরু হওয়া বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে প্রথম টেস্টের প্রথম সেশন ছিল এমনই। লাঞ্চ বিরতির আগে কোনো বৃষ্টি হয়নি। তবে প্রথম সেশনের খেলা শেষ হওয়ার পরই আবহাওয়ার পূর্বাভাস সত্য করে নেমেছে বৃষ্টি। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ কাভারে ঢাকা রয়েছে। এই প্রতিবেদন
২ ঘণ্টা আগেঘরের মাঠের চেনা কন্ডিশন হলেও বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সিলেটে আজ শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ৫০ রান ওঠার আগেই দুই ওপেনারকে হারায় স্বাগতিকেরা।
২ ঘণ্টা আগে