অয়ন রায়, ঢাকা
টেস্ট, ওয়ানডে নাকি টি-টোয়েন্টি—কোন সংস্করণে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ভালো খেলে? কদিন আগেও চোখ বুজে বলা যেত—ওয়ানডে। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তো বড়ই হয়ে ওঠেন ৫০ ওভারের ক্রিকেটের আবহে। এ সংস্করণেই বাংলাদেশের কত ইতিহাস। অথচ সেই ‘প্রিয়’ সংস্করণ খেলাটাই যেন ভুলতে বসেছে বাংলাদেশ, ‘অপ্রিয়’ হয়ে যাচ্ছে!
যে আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশ এক ম্যাচ হাতে রেখে ওয়ানডে সিরিজ খুইয়েছে, একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কদিন আগে নিয়মিত জিতছিল বাংলাদেশ। এশিয়া কাপ ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ—সংযুক্ত আরব আমিরাতে টানা চার টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। অথচ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যে বিস্তর ফারাক দেখা গেছে কদিন আগেও। শুধু আফগানদের বিপক্ষে কেন, গত চার মাসে বাংলাদেশ যেভাবে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এত দিনে রপ্ত করতে পারছে। নিজেদের সর্বশেষ চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও আফগানিস্তান। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের খেলা রপ্ত করতে গিয়ে কি বাংলাদেশ সাদা বলের আরেকটি ফরম্যাট ৫০ ওভারের ক্রিকেট ভুলে যাচ্ছে?
সর্বশেষ চার ওয়ানডে সিরিজের প্রতিটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। গত ১১ মাসে বাংলাদেশ দুবার ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে শুধু আফগানদের কাছেই। এই সময়ে বাংলাদেশ যে সংখ্যায় টি-টোয়েন্টি খেলেছে, সে তুলনায় ওয়ানডে ক্রিকেট কম। আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বলেছিলেন, ‘ওয়ানডে ম্যাচ অনেক লম্বা বিরতি দিয়ে আমরা খেলেছি। এ কারণে সমস্যাটা হয়েছে। টানা খেললে খেলার অভ্যাস থেকে যায়।’
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ভারতের (১৪) চেয়ে বাংলাদেশ (১৯) বেশি ওয়ানডে খেলেছে। এই সময়ে বাংলাদেশ জিতেছে মোটে ৫ ম্যাচ। যে ১৪ ওয়ানডে তারা হেরেছে, এগুলোর মধ্যে ৮টিই হেরেছে মিরাজের নেতৃত্বে। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে পরশু দ্বিতীয় ওয়ানডে তো হাতের নাগালেই ছিল। টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া আফগানিস্তান ১৯০ রানে গুটিয়ে গেছে; যা এই মাঠে প্রথম ইনিংসে সর্বনিম্ন স্কোর। ১৯১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১০৯ রানে গুটিয়ে গেছে মিরাজের দল। এই হারে কম খেলা, বেশি খেলার কী যুক্তি হতে পারে?
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হারের পর সংবাদ সম্মেলনে স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ বলেছেন, ‘স্কিল ও মানসিক—দুই জায়গাতেই সমস্যা আমাদের ক্রিকেটারদের। বোলারকে না খেলে বল খেলতে হবে। যেটা পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারলাম, রশিদের বিরুদ্ধে খেলে তারা (বাংলাদেশের ব্যাটার)। রশিদের বলের বিরুদ্ধে নয়।’
যে ওয়ানডেতে দুর্দশা যাচ্ছে বাংলাদেশের, সেটিতে কত গৌরবগাথা লিখেছে তারা। ওয়ানডেতে ধারাবাহিক ব্যর্থতা নিয়ে সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি সহসভাপতি ফারুক আহমেদ গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘গত ৬ মাসে আমাদের টি-টোয়েন্টির ফল খুব ভালো। সাবেক অধিনায়ক হিসেবে মনে করি, মিডল অর্ডারে টিম ম্যানেজমেন্টও ঠিক বুঝতে পারছে না কাকে কোন জায়গায় ব্যবহার করবে। কিছু খেলোয়াড় ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে। ওয়ানডে দলটা সবচেয়ে শক্তিশালী হওয়ার কথা। প্রধান নির্বাচক হিসেবে আমার দুই মেয়াদে (২০০৩-০৭, ২০১৩-১৬) ওয়ানডে দলটা দাঁড় করিয়ে ফেলেছিলাম। আবার অবনতি হয়েছে। এটা আমাকে কষ্ট দেয়। একটা দলকে তৈরি করে এগোনো উচিত, ঘন ঘন পরিবর্তন হলে খেলোয়াড়েরা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। টিম ম্যানেজমেন্টকে বিষয়টি নিয়ে বসতে হবে।’
৭৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বরে বাংলাদেশ। ২০২৭ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে সেরা ৯ নম্বরের মধ্যে থাকতে না পারলে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে পারবেন না মিরাজ-হৃদয়রা।
টেস্ট, ওয়ানডে নাকি টি-টোয়েন্টি—কোন সংস্করণে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ভালো খেলে? কদিন আগেও চোখ বুজে বলা যেত—ওয়ানডে। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তো বড়ই হয়ে ওঠেন ৫০ ওভারের ক্রিকেটের আবহে। এ সংস্করণেই বাংলাদেশের কত ইতিহাস। অথচ সেই ‘প্রিয়’ সংস্করণ খেলাটাই যেন ভুলতে বসেছে বাংলাদেশ, ‘অপ্রিয়’ হয়ে যাচ্ছে!
যে আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশ এক ম্যাচ হাতে রেখে ওয়ানডে সিরিজ খুইয়েছে, একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কদিন আগে নিয়মিত জিতছিল বাংলাদেশ। এশিয়া কাপ ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ—সংযুক্ত আরব আমিরাতে টানা চার টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। অথচ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যে বিস্তর ফারাক দেখা গেছে কদিন আগেও। শুধু আফগানদের বিপক্ষে কেন, গত চার মাসে বাংলাদেশ যেভাবে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এত দিনে রপ্ত করতে পারছে। নিজেদের সর্বশেষ চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও আফগানিস্তান। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের খেলা রপ্ত করতে গিয়ে কি বাংলাদেশ সাদা বলের আরেকটি ফরম্যাট ৫০ ওভারের ক্রিকেট ভুলে যাচ্ছে?
সর্বশেষ চার ওয়ানডে সিরিজের প্রতিটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। গত ১১ মাসে বাংলাদেশ দুবার ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে শুধু আফগানদের কাছেই। এই সময়ে বাংলাদেশ যে সংখ্যায় টি-টোয়েন্টি খেলেছে, সে তুলনায় ওয়ানডে ক্রিকেট কম। আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বলেছিলেন, ‘ওয়ানডে ম্যাচ অনেক লম্বা বিরতি দিয়ে আমরা খেলেছি। এ কারণে সমস্যাটা হয়েছে। টানা খেললে খেলার অভ্যাস থেকে যায়।’
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ভারতের (১৪) চেয়ে বাংলাদেশ (১৯) বেশি ওয়ানডে খেলেছে। এই সময়ে বাংলাদেশ জিতেছে মোটে ৫ ম্যাচ। যে ১৪ ওয়ানডে তারা হেরেছে, এগুলোর মধ্যে ৮টিই হেরেছে মিরাজের নেতৃত্বে। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে পরশু দ্বিতীয় ওয়ানডে তো হাতের নাগালেই ছিল। টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া আফগানিস্তান ১৯০ রানে গুটিয়ে গেছে; যা এই মাঠে প্রথম ইনিংসে সর্বনিম্ন স্কোর। ১৯১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১০৯ রানে গুটিয়ে গেছে মিরাজের দল। এই হারে কম খেলা, বেশি খেলার কী যুক্তি হতে পারে?
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হারের পর সংবাদ সম্মেলনে স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ বলেছেন, ‘স্কিল ও মানসিক—দুই জায়গাতেই সমস্যা আমাদের ক্রিকেটারদের। বোলারকে না খেলে বল খেলতে হবে। যেটা পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারলাম, রশিদের বিরুদ্ধে খেলে তারা (বাংলাদেশের ব্যাটার)। রশিদের বলের বিরুদ্ধে নয়।’
যে ওয়ানডেতে দুর্দশা যাচ্ছে বাংলাদেশের, সেটিতে কত গৌরবগাথা লিখেছে তারা। ওয়ানডেতে ধারাবাহিক ব্যর্থতা নিয়ে সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি সহসভাপতি ফারুক আহমেদ গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘গত ৬ মাসে আমাদের টি-টোয়েন্টির ফল খুব ভালো। সাবেক অধিনায়ক হিসেবে মনে করি, মিডল অর্ডারে টিম ম্যানেজমেন্টও ঠিক বুঝতে পারছে না কাকে কোন জায়গায় ব্যবহার করবে। কিছু খেলোয়াড় ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে। ওয়ানডে দলটা সবচেয়ে শক্তিশালী হওয়ার কথা। প্রধান নির্বাচক হিসেবে আমার দুই মেয়াদে (২০০৩-০৭, ২০১৩-১৬) ওয়ানডে দলটা দাঁড় করিয়ে ফেলেছিলাম। আবার অবনতি হয়েছে। এটা আমাকে কষ্ট দেয়। একটা দলকে তৈরি করে এগোনো উচিত, ঘন ঘন পরিবর্তন হলে খেলোয়াড়েরা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। টিম ম্যানেজমেন্টকে বিষয়টি নিয়ে বসতে হবে।’
৭৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বরে বাংলাদেশ। ২০২৭ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে সেরা ৯ নম্বরের মধ্যে থাকতে না পারলে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে পারবেন না মিরাজ-হৃদয়রা।
২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাজে সময় পার করছে সুইডেন। সেই বাজে সময়কে আরও দীর্ঘ করে সবশেষ ম্যাচে কসোভোর কাছে ১–০ গোলে হেরেছে সুইডিশরা। এই হারে কপাল পুড়ল দলটির প্রধান কোচ ইয়ন ডাল টমাসনের।
১৪ মিনিট আগেরাকিব হোসেন গোল পেয়েই যাবেন, এমন আভাস মিলছিল। হংকং তখন ১০ জন নিয়ে খেলছে। বাংলাদেশের আক্রমণের সামনে কোনোভাবে দাঁড়াতে পারছিল না হংকং। একের পর এক চাপে শেষ পর্যন্ত ভেঙে যায় তাদের রক্ষণ। ৮৫ মিনিটে ফাহামিদুল ইসলামের অ্যাসিস্ট থেকে বল জালে ফেলতে আর কোনো ভুল করেননি রাকিব। বিজ্ঞাপন বোর্ডের ওপর বসে ফাহামিদুলক
১৮ মিনিট আগেহংকংয়ের বিপক্ষে ড্রয়ের পরপরই বাংলাদেশের চোখ চলে যায় ভারত-সিঙ্গাপুর ম্যাচের দিকে। ভারত জিতলেই মূলপর্বে যাওয়ার লড়াইয়ে টিকে থাকত। ঘরের মাঠে ভারত এগিয়েও যায়। কিন্তু সেই আশা চিরতরে নিভিয়ে দেয় সিঙ্গাপুর। গোয়ার ফাতোর্দা স্টেডিয়ামে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। সেই সঙ্গে ভারতের পাশাপাশি বিদায় ঘণ্টা বেজে
২৪ মিনিট আগেইব্রাহিম জাদরান ও রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল আফগানিস্তান। মাঝের ওভারে ধাক্কা খেলেও সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সামনে ২৯৩ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করিয়েছে হাশমতউল্লাহ শাহিদির দল। অর্থাৎ সিরিজ জিততে বাংলাদেশের দরকার ২৯৪ রান।
২ ঘণ্টা আগে