এবারসহ টানা তিনটি বিপিএলে জাকির হাসান খেলছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে। তাঁর দল এবার নিষ্প্রভ; লিগ পর্বেই বিদায় নিয়েছে। তবু ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন জাতীয় দলের এই ব্যাটার। ১৪০.৪৩ স্ট্রাইকরেটে ১২ ইনিংসে করেছেন ৩৮৯ রান; যা টুর্নামেন্টের চতুর্থ সর্বোচ্চ। এই ফর্মটাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ধরে রাখতে আত্মবিশ্বাসী জাকির। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জাকির তাঁর পরিকল্পনা, চ্যালেঞ্জ এবং নতুন বছরের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ
আহমেদ রিয়াদ
প্রশ্ন: এবারের পারফরম্যান্সে কতটা তৃপ্ত?
জাকির হাসান: এবারের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি বেশ খুশি। তবে শেষ দিকে কিছু ম্যাচে ভালো শুরু পেয়েছিলাম। সেগুলো বড় ইনিংসে পরিণত করতে পারলে তৃপ্তি আরও বেশি হতো। ব্যক্তিগতভাবে এটা আমার অন্যতম সফল বিপিএল মৌসুম। তবে দলগতভাবে আমরা ভালো খেলতে পারিনি, যা হতাশার। সব মিলিয়ে নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট, কিন্তু দল হিসেবে আমাদের আরও ভালো করার সুযোগ ছিল।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনার পারফরম্যান্স গ্রাফ কিছুটা নিচের দিকে নেমেছিল। ঘরোয়া লিগে পুরোনো ছন্দ ফিরে পেয়েছেন বলে মনে করছেন?
জাকির: ঘরোয়া ক্রিকেটে আমি সব সময় ভালো পারফর্ম করেছি। নিয়মিত ম্যাচ খেললে পারফরম্যান্স ভালো হয়েছে, সেঞ্চুরিও করেছি। তবে জাতীয় দলে গত বছর যেভাবে পারফর্ম করতে চেয়েছিলাম, সেটা হয়নি। আমি কখনো ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে নিয়ে খারাপ চিন্তা করিনি। বরং আমার স্বাভাবিক খেলার ধরন বজায় রেখে ব্যাট করেছি এবং কিছু শট নিয়ে আলাদা কাজ করেছি। সবচেয়ে বড় বিষয়, খারাপ সময় নিয়ে চিন্তা না করে কীভাবে ইতিবাচক থাকা যায়, সেই দিকেই মনোযোগ দিয়েছি। এ কারণেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করতে পেরেছি।
প্রশ্ন: গত বছর লাল বলের ক্রিকেট খেলেছেন, সাদা বলেও ফিরেছেন। কিন্তু প্রমাণের সুযোগ খুব বেশি ছিল না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের জায়গা ফিরে পেতে চ্যালেঞ্জটা কোথায় দেখছেন?
জাকির: আমার কাছে নিয়মিত ম্যাচ খেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ, সেটা লাল বল হোক বা সাদা। আমি কখনো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করি না। সামনে যে ম্যাচ আছে বা সিরিজ আছে, সেটার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করি। আমার কাজ হলো মাঠে নেমে সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করা। ম্যাচ চলাকালে পরিস্থিতি বুঝে ভূমিকা পালন করতে হবে। তাই এখন শুধু সামনে যেসব সুযোগ আসবে, সেগুলো কাজে লাগানোর দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি।
প্রশ্ন: চলতি বিপিএলে আপনার সতীর্থ নাঈম শেখ ও তানজিদ হাসান তামিম সেঞ্চুরি পেয়েছেন। আপনি ধারাবাহিকভাবে রান করলেও শতক পাননি। এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ?
জাকির: সেঞ্চুরি করতে না পারা অবশ্যই আক্ষেপের জায়গা। একজন ব্যাটার হিসেবে বড় ইনিংস খেলা আমার অন্যতম দায়িত্ব। প্রতিটি ম্যাচে চেষ্টা করেছি ভালো ইনিংস খেলতে। কখনো সেটা সফল হয়েছে, কখনো হয়নি। সেঞ্চুরি আত্মতৃপ্তি এনে দেয় এবং সেটা করতে পারলে নিজের কাছে ভালো লাগত। তবে যেভাবে ব্যাটিং করেছি, তা নিয়ে আমি খুশি। আশা করি, ভবিষ্যতে বড় ইনিংস ও সেঞ্চুরি করার সুযোগ পাব।
প্রশ্ন: আপনার জন্য বিপিএল শেষ, ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সামনে ব্যস্ত সময়। আপনার সুযোগ ও লক্ষ্য কী?
জাকির: আমার লক্ষ্য সব সময় এক, জাতীয় দলে ফিরে নিজের জায়গা নিশ্চিত করা এবং ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করা। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে সেরা পারফর্মার হিসেবে দেখতে চাই। এ বছরকে আমার ক্যারিয়ারের স্মরণীয় বছর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। জাতীয় দলে ফিরে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে দলের সাফল্যে অবদান রাখতে চাই।
প্রশ্ন: এবারের বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্স মাত্র দুটি জয় পেয়েছে। দল নিয়ে নানান গুঞ্জন। আপনি দলটির সব ম্যাচ খেলেছেন এবং ড্রেসিং রুমের পরিবেশ কাছ থেকে দেখেছেন। দল কেন এত খারাপ করল বলে মনে করেন? নানান গুঞ্জন নিয়ে আপনার কী মতামত?
জাকির: গুঞ্জন নিয়ে আমি পরিষ্কার কিছু জানি না। তবে দলের পারফরম্যান্সের দিক থেকে দেখলে আমার মনে হয় আমরা দল হিসেবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি। আমাদের দলে খারাপ ক্রিকেটার ছিল না, কিন্তু মাঠে দলীয় সামর্থ্যের পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি। কিছু খেলোয়াড় চোটে পড়ে লিগের শুরুতে, যা লিগে দলীয় পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করেছে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, দল হিসেবে সম্মিলিতভাবে খেলার অভাব ছিল। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স কিছু হলেও তা ঠিক সময়ে কাজে আসেনি। দলগত ক্রিকেটই আসলে সাফল্যের চাবিকাঠি এবং সেখানেই আমরা পিছিয়ে গেছি।
প্রশ্ন: সিলেট স্ট্রাইকার্স নিয়ে সমালোচনা হলেও আপনি কীভাবে দলটির পরিবেশ মূল্যায়ন করবেন?
জাকির: দলের পরিবেশ সব সময় ভালো ছিল। ড্রেসিং রুমে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে মাঠের পারফরম্যান্সই সবকিছুর মাপকাঠি। আমাদের দলটি ভালো সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। তবে আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে দল আরও ভালো করবে।
প্রশ্ন: এবারের পারফরম্যান্সে কতটা তৃপ্ত?
জাকির হাসান: এবারের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি বেশ খুশি। তবে শেষ দিকে কিছু ম্যাচে ভালো শুরু পেয়েছিলাম। সেগুলো বড় ইনিংসে পরিণত করতে পারলে তৃপ্তি আরও বেশি হতো। ব্যক্তিগতভাবে এটা আমার অন্যতম সফল বিপিএল মৌসুম। তবে দলগতভাবে আমরা ভালো খেলতে পারিনি, যা হতাশার। সব মিলিয়ে নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট, কিন্তু দল হিসেবে আমাদের আরও ভালো করার সুযোগ ছিল।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনার পারফরম্যান্স গ্রাফ কিছুটা নিচের দিকে নেমেছিল। ঘরোয়া লিগে পুরোনো ছন্দ ফিরে পেয়েছেন বলে মনে করছেন?
জাকির: ঘরোয়া ক্রিকেটে আমি সব সময় ভালো পারফর্ম করেছি। নিয়মিত ম্যাচ খেললে পারফরম্যান্স ভালো হয়েছে, সেঞ্চুরিও করেছি। তবে জাতীয় দলে গত বছর যেভাবে পারফর্ম করতে চেয়েছিলাম, সেটা হয়নি। আমি কখনো ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে নিয়ে খারাপ চিন্তা করিনি। বরং আমার স্বাভাবিক খেলার ধরন বজায় রেখে ব্যাট করেছি এবং কিছু শট নিয়ে আলাদা কাজ করেছি। সবচেয়ে বড় বিষয়, খারাপ সময় নিয়ে চিন্তা না করে কীভাবে ইতিবাচক থাকা যায়, সেই দিকেই মনোযোগ দিয়েছি। এ কারণেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করতে পেরেছি।
প্রশ্ন: গত বছর লাল বলের ক্রিকেট খেলেছেন, সাদা বলেও ফিরেছেন। কিন্তু প্রমাণের সুযোগ খুব বেশি ছিল না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের জায়গা ফিরে পেতে চ্যালেঞ্জটা কোথায় দেখছেন?
জাকির: আমার কাছে নিয়মিত ম্যাচ খেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ, সেটা লাল বল হোক বা সাদা। আমি কখনো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করি না। সামনে যে ম্যাচ আছে বা সিরিজ আছে, সেটার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করি। আমার কাজ হলো মাঠে নেমে সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করা। ম্যাচ চলাকালে পরিস্থিতি বুঝে ভূমিকা পালন করতে হবে। তাই এখন শুধু সামনে যেসব সুযোগ আসবে, সেগুলো কাজে লাগানোর দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি।
প্রশ্ন: চলতি বিপিএলে আপনার সতীর্থ নাঈম শেখ ও তানজিদ হাসান তামিম সেঞ্চুরি পেয়েছেন। আপনি ধারাবাহিকভাবে রান করলেও শতক পাননি। এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ?
জাকির: সেঞ্চুরি করতে না পারা অবশ্যই আক্ষেপের জায়গা। একজন ব্যাটার হিসেবে বড় ইনিংস খেলা আমার অন্যতম দায়িত্ব। প্রতিটি ম্যাচে চেষ্টা করেছি ভালো ইনিংস খেলতে। কখনো সেটা সফল হয়েছে, কখনো হয়নি। সেঞ্চুরি আত্মতৃপ্তি এনে দেয় এবং সেটা করতে পারলে নিজের কাছে ভালো লাগত। তবে যেভাবে ব্যাটিং করেছি, তা নিয়ে আমি খুশি। আশা করি, ভবিষ্যতে বড় ইনিংস ও সেঞ্চুরি করার সুযোগ পাব।
প্রশ্ন: আপনার জন্য বিপিএল শেষ, ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সামনে ব্যস্ত সময়। আপনার সুযোগ ও লক্ষ্য কী?
জাকির: আমার লক্ষ্য সব সময় এক, জাতীয় দলে ফিরে নিজের জায়গা নিশ্চিত করা এবং ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করা। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে সেরা পারফর্মার হিসেবে দেখতে চাই। এ বছরকে আমার ক্যারিয়ারের স্মরণীয় বছর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। জাতীয় দলে ফিরে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে দলের সাফল্যে অবদান রাখতে চাই।
প্রশ্ন: এবারের বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্স মাত্র দুটি জয় পেয়েছে। দল নিয়ে নানান গুঞ্জন। আপনি দলটির সব ম্যাচ খেলেছেন এবং ড্রেসিং রুমের পরিবেশ কাছ থেকে দেখেছেন। দল কেন এত খারাপ করল বলে মনে করেন? নানান গুঞ্জন নিয়ে আপনার কী মতামত?
জাকির: গুঞ্জন নিয়ে আমি পরিষ্কার কিছু জানি না। তবে দলের পারফরম্যান্সের দিক থেকে দেখলে আমার মনে হয় আমরা দল হিসেবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি। আমাদের দলে খারাপ ক্রিকেটার ছিল না, কিন্তু মাঠে দলীয় সামর্থ্যের পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি। কিছু খেলোয়াড় চোটে পড়ে লিগের শুরুতে, যা লিগে দলীয় পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করেছে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, দল হিসেবে সম্মিলিতভাবে খেলার অভাব ছিল। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স কিছু হলেও তা ঠিক সময়ে কাজে আসেনি। দলগত ক্রিকেটই আসলে সাফল্যের চাবিকাঠি এবং সেখানেই আমরা পিছিয়ে গেছি।
প্রশ্ন: সিলেট স্ট্রাইকার্স নিয়ে সমালোচনা হলেও আপনি কীভাবে দলটির পরিবেশ মূল্যায়ন করবেন?
জাকির: দলের পরিবেশ সব সময় ভালো ছিল। ড্রেসিং রুমে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে মাঠের পারফরম্যান্সই সবকিছুর মাপকাঠি। আমাদের দলটি ভালো সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। তবে আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে দল আরও ভালো করবে।
সিরিজ আগেই হেরেছে। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ছিল সান্ত্বনার জয়। সঙ্গে ধবলধোলাই এড়ানো। তবে পরিচিত সেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেভাবে লড়াইটুকুও করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। সেন্ট কিটসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে আরও একটি বড় ব্যবধানের হারে ধবলধোলাইয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের।
২ ঘণ্টা আগেগল টেস্টে গতকাল তৃতীয় দিন শেষে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। আজ চতুর্থ দিন আর ২৯ রান তুলতেই বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে তারা। ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাটিংয়ে নেমেছে স্বাগতিকেরা। এদিকে বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্সের জয় ও হারের ওপর নির্ভর করছে দুর্বার রাজশাহীর প্লে-অফ...
৩ ঘণ্টা আগেএক মাস ধরে চলা বহুল আলোচিত ও সমালোচিত এবারের বিপিএল চলে এসেছে লিগ পর্বের শেষ ধাপে। ৪০ ম্যাচ শেষে এখন প্লে-অফের শেষ স্থানের জন্য লড়াই। যে লড়াইয়ে টিকে রয়েছে খুলনা টাইগার্স ও দুর্বার রাজশাহী।
৪ ঘণ্টা আগেদেশের ফুটবলে এমন নজির আগে দেখা যায়নি। কোচের বিরুদ্ধে একসঙ্গে ১৮ ফুটবলার অবস্থান নিয়ে গণ-অবসরে যাওয়ার হুমকি দিলেন। তা-ও তাঁরা যেনতেন ফুটবলার নন! বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও মেধাবীরা। যেখানে আছেন সর্বশেষ সাফের সেরা খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা। আছেন সেরা গোলকিপার রুপনা চাকমা।
৪ ঘণ্টা আগে